নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক আগে থেকেই মানুষ ডিফারেন্ট কিছু ভাবার-করার ট্রাই করে যাচ্ছে দুঃখের ব্যাপার হল এইসব মানুষের সংখ্যাটা অনেক কম হলেও সুবিধাটা পরবর্তীতে সবাই নিচ্ছে । গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি বলেছিলেন “think Different” । হাহাহা এখন আর ওসব চলেনা –আশেপাশের অনেক মানুষকে প্রায়ই বলতে-লিখতে দেখি -কি দরকার ভাই যেকোন ধরনের আলাদা চিন্তা-কাজের... গোল আলু হও , মেমোরী ফরম্যাট মেরে দিয়ে আমাদের গুলাই ইনপুট নাও । এটাই ভাল তাইনা (!) সবার একই ইনপুট একই আউটপুট । আসলেই তো – “জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথা তাই” - “একটু বেশী জানে যে পথেঘাটে মরে সে” !
প্রচলিত বিশ্বাস তাইনা ... আরে...
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলেই পৃথিবী সুর্যের চারিদিকে ঘোরে-পিথাগোরাস অঙ্ক কষে ধ্রুব সত্য প্রমান করা এরিষ্টটলের ‘জিওসেন্ট্রিক থিয়োরী’ ভেঙ্গে ‘হেলিওসেন্ট্রিক থিওরী’ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং একেই সত্য বলে প্রমান করার সাথে সাথে মেনেও চলা হচ্ছে এখোনো ,
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলে উদিত হওয়ার জন্য, সূর্যের অনুমতির দরকার হয় না, এখন সূর্য আজীবন জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকবে,
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলে পৃথিবী চ্যাপ্টা থেকে গোলাকার হয়েছিল,
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলে পৃথিবীর ছাদ শূণ্যে মিলিয়ে গেছে
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলে কোন নারীকে এখন আর আগুনে পুড়ে সতী হতে হয় না,
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলে সময়োপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত কোন নারী এখন আর ডাইনী নয়,
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলে ওলা বিবি এখন গ্রামে ঢুকতে ভয় পায়,
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে দাড়িয়েছিল বলে পাপের কারনে এখন আর কন্যাশিশু জন্মে না, জন্মে বাবা মার ক্রোমোজোম এর কারনে।
বেশী কিছু বলব না হুমায়ুন আযাদ স্যারের একটা কথা দিয়ে শেষ করছি –“ অধিকাংশ মানুষ আজো বাস করে মহাজাগতিক অন্ধকারে। আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা ভাবে স্বর্গ আর নরকের কথা; কেঁপে ওঠে নরকের ভয়ে, সুখী হয় স্বর্গের বিলাসের কথা ভেবে”।
©somewhere in net ltd.