নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল

মাতাল ঋত্বিক আমি, প্রেমকথা আমার ঋগ্বেদ

আরণ্যক রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভৌতিক গল্প- এক নাস্তিকের মৃত্যু

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

বিকেল শেষ হব হব করছে। শীতবিকেল হঠাৎ জাগা কামের মত, তেতে ওঠার আগেই ফুড়ুৎ। কিছু করার ছিল না বলে, ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলাম। বাইক স্ট্যান্ডের। নিজের বাইক নেই, থাকলেও, স্ট্যান্ড করার উপযোগী বাইক কিনতাম না নিশ্চয়ই। গুরু বলেন, বাঙালির হাতই সম্বল (বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত)! সুতরাং স্ট্যান্ড করে সেটাই যদি ভেঙে ফেলি তবে আর থাকল কী! নিজেকে বাইকারের জায়গায় কল্পনা করে, দুধের সাধ ঘোলে মেটাচ্ছি(তা কি আর মেটে রে পাগলা? সায়েদ জামিল কি আর গুপ্ত বাবুর জায়গা নিতে পারে?)।
আচমকা সজীবের ফোন আমাকে হতচকিয়ে দেয়। ব্যাটা অনেকদিন খোঁজ খবর নেয় না। কাল একবার ফোন দিয়েছিল। আজও দিল; রহস্যময় ব্যাপার!
“কী খবর দোস্ত, জিএফ ছ্যাকা দিছে নাকি?”
“যে ফ্রেন্ড বছরেও একবার খোঁজ নেয় না, সে যদি আপনার খবর নেয়, ফোন দেয়, টেক্সট করে- তবে বুঝতে হবে তার গার্লফ্রেন্ড ভেগেছে নয়তো নতুন প্রেম শুরু করেছে”- ফেবুর এক লাফাঙ্গা ফ্রেন্ডের স্ট্যাটাস। আমি সেই থিয়োরিই খাটালাম।
“বাজে কথা রাখ! খবর শুনছিস?”
“কীসের খবর! মুজাহিদের ফাঁসি হইছে, শুনছি...”
“ধুর বাল। সোহেলের বাপ মারা গেছে শুনছিস?”
টাস্কি খেলাম। জানতাম না। “কবে? কখন?”
“চারটার সময়। সোহেল ফোন দিছিল। রাতেই মাটি হবে।”
সোহেলের বাবা মারা গেছে শুনে যতোটা খারাপ লাগা উচিৎ ততোটা লাগল না। অথচ ও আমার ওয়ান অফ দ্যা বেস্টেস্ট ফ্রেন্ডস। কেউ মারা গেলে, মাটি দেয়াটাও আমার স্বভাববিরুদ্ধ। খুব খারাপ লাগে। এতগুলো মনমরা মুখের সাথে নিজেরটাকে মেলাতে পারি না। কিন্তু বন্ধুর বাবা মরে গেলে, মাটি দিতে, জানাজা পড়তে বাধ্য হয়েই যেতে হয়।
পঞ্চপাণ্ডবের বাকি দুজনকেও জানালাম। আমার ছাত্র ইউনিয়ন করা বন্ধু শিশির এখন অ্যামেরিকায়। হোয়াটস্যাপে ভয়েজ সেন্ড করলাম। বাবলু চিটাগাং-এ। সেও আসছে না। আমি আর সজীবই কাছাকাছি আছি। আমরা দুজনই যাচ্ছি তবে মাটি দিতে।
আমাদের পাঁচজনের ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে’ টাইপ বন্ধুত্ব ছিল। ছিল বলছি কারণ বন্ধুত্ব আমরা ভাঙিনি বটে, তবে আমরা আর এক নেই। স্কুল জীবনে এমন কোন অ এবং কু উপসর্গযুক্ত কাজ ছিল না যা আমরা করিনি। ফল পাকুড় চুরি থেকে শুরু করে মসজিদের দানবাক্সের তালা ভেঙে টাকা চুরি পর্যন্ত- সব করেছি। পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে ডানপিটে ছিল সোহেল। সে যেমন লম্বা, তার মুখও তেমন লম্বাটে। সেকালে বয়লার মুরগীর ডিম(আসলে বয়লার ডিম দেয় না; যেসব মুরগী ডিম দেয়, তাদের লেয়ার বলে। লে মানে পাড়া) আর হরলিক্স কোনটাই আমাদের খাওয়ানো হতো না। সুতরাং কীভাবে সোহেল এতো নাদুসনুদুস পাকা কুমড়োর মত শরীর পেল সেটা ওর সৃষ্টিকর্তা জানেন। ওর বাবা খুব পরহেজগার লোক ছিলেন তাই হয়তো আল্লাহ তার শরীরে ত্রিশ কেজি এক্সট্রা মাংস দিয়েছেন! লম্বা ছিল বলে কিছুটা রক্ষা! নয়তো তারও অনন্ত জলিলের মত বক্ষবন্ধনীর প্রয়োজন হতো। সেই ছিল আমাদের নেতা। মানুষ ভাল কাজ করলে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করে; আমরা যেহেতু ভাল কাজের ধার দিয়েও যেতাম না, তাই সোহেলের নামাবলী গেয়েই শুরু হয়ে যেতাম। সে ছিল চরম নাস্তিক। নাস্তিকের প্রকারভেদ আছে, নিঃসন্দেহে। কেউ মুর্খ নাস্তিক (সাধারণত যারা ফেসবুক পোস্ট পড়ে নাস্তিক হয়েছে), ভেক ধরা নাস্তিক(আস্তিক হলে আপনি মধ্যযুগের- এটা অত্যাধুনিক এক খনার-বচন, সুতরাং নিজেকে আধুনিক প্রমাণ করতে এরা নাস্তিক), অতি পণ্ডিত নাস্তিক (এদের সম্পর্কে কিছু বলার নেই) আবার ‘নিজ পুটু নিজেই মারি’ অর্থাৎ ঢাকঢোল বাজিয়ে পাড়া মাথায় করা টাইপ নাস্তিক। কিন্তু সোহেলকে আমি উপরের টাইপগুলোর মধ্যে ফেলতে পারি না। সে হল বিচ্ছু নাস্তিক। ওর বাবা মস্ত দরবেশ কাম মসজিদের ইমাম কাম কবিরাজ আর লেটেস্ট যে তকমাটা তার গায়ে জ্বলজ্বল করছে সেটা হল হাজী। সুতরাং সোহেলকেকে ছোটবেলায় কোরান-হাদিস বিস্তর হরকৎ-নোকতা সহ যাকে বলে তাজবিদের সহিত আবৃত্তি(তিলোয়াত) এবং মুখস্থ করতে হয়েছে।
কিন্তু সোহেল তো সোহেলই। সে সুযোগ পেলেই আস্তিকদের বলাৎকার করতে ছাড়ত না। একেবারে নাংগা করে ছেড়ে দিত। আস্তিকেরাও মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে সুতরাং তারাও ‘মা’ থেকে শুরু করে বোন, নানি এমনকি তার হবু বৌকেও ছাড়েনি, সবাইকে মুখের চচ্চড়িতে প্রেগন্যান্ট করে ছেড়েছে!
একটা ঘটনা বলি, তাহলে বুঝতে পারবেন, সে কেমন ছিল। একবার আমাদের গ্রামে এক তাবলিক পার্টি এলো। তারা যা করে আরকি, ধরে ধরে মসজিদে নিয়ে যায়(?)। সময়ে অসময়ে হাদিস শোনায়(?)। ধরুন চারটা বেজে গেছে, গার্লস স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছে, আপনি দৌড়ে দৌড়ে রাস্তার মোড়ে যাচ্ছেন, পাখি হয়তো চলেই গেছে, দেখা হবে কি হবে না-এই সাসপেন্সে কপালে দেখা দিয়েছে ঘামের রেখা, এমন সময় ওদের আগমন, আপনাকে সালাম দিয়ে বলছে, “তরুণ বয়সের ইবাদত আল্লাহ বড়ই পছন্দ করে”! কিংবা বাপমায়ের চোখ বাঁচিয়ে বিড়ি ফুঁকছেন, তারা এসে বলছে, ‘আসুন আমাদের মসজিদে, আমরা এসেছি, আপনিও সামিল হয়ে জান্নাতের রাস্তায় পা বাড়ান”! ইত্যাদি ইত্যাদি। কেমন লাগবে ভাবুন!
সেদিন আমরা স্কুল পালিয়ে গ্রামের একমাত্র বাজারে উপস্থিত হয়েছি। ভাল লাগে না আর পড়াশুনা, অ্যাজইউজুয়াল। মাঝেমাঝেই ইচ্ছে হয়, রবিনসন ক্রুসোর মত ভেলা ভাসিয়ে চলে যাই। কিন্তু সমুদ্র অনেক দূরে আর নদী নেহায়েত ছোট, ভেলা বানানো ভীষণ ঝক্কির কাজ- এসব ভেবে আর যেতে পারি না। আমরা সুতরাং বিড়ি ধরিয়ে ‘চরম উদাস’ হয়ে আকাশ পানে চেয়ে সোনালী ডানার চিল দেখি। সেদিনও তাই করছিলাম। এমন সময় সেই মুন্সীকুলের আগমন। সালাম দিল। নিলাম। বাধ্য হয়ে নিভিয়ে ফেললাম বিড়ির আগুন। তাদের ‘জিম্মাদার’ আমাদের আছপাছ কিছু কথা বলার পর বললেন, “আচ্ছা, আপনার বাড়ির পাশে যদি একটা নদী থাকে আর আপনি যদি দিনে পাঁচবার সেখানে গোসল করেন তাহলে কি আপনার গায়ে কোন ময়লা থাকবে?”
আমি পার্ভাট মনের অধিকারী। মনে মনে ভাবলাম, ‘কে সেই আসল পুরুষ যার দৈনিক পাঁচবার গোসল করার প্রয়োজন পরে! সে খায় কী?”। সে সময় চ্যানেলে চ্যানেলে শক্তি প্রাসের বিজ্ঞাপন দিত না। সেই বিজ্ঞাপন দেখলে নিঃসন্দেহে বলতাম, ‘শক্তিপ্রাস খায় বুঝি?”
কিন্তু মুখে বললাম, “না, ময়লা থাকবে না।”
এবার হুজুর বললেন, “নামাজও সেইরপ। কেউ যদি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করে, তবে তারও কোন পাপ থাকবে না। সুতরাং আসুন আমরা নামাজ আদায় করি।”
এসব বলে তারা চলে যেতে উদ্যত হলে, সোহেল বলে, “হুজুর একটা প্রশ্ন ছিল?”
আমাদের বোঝাচ্ছিলেন যেজন, সেজন কিছুটা তরুণ ছিলেন। তাকে হুজুর সম্বোধন করায় তিনি যতপরনাই আহ্লাদিত হলেন। বললেন, “অবশ্যই অবশ্যই”
সোহেল বলে, “আচ্ছা ধরুন, আপনার এক আত্মীয় আপনার পাশের গ্রামে থাকেন। এখন আপনি যদি প্রতিদিন পাঁচবার তার বাড়ি যান তবে কি তিনি প্রতিবার আপনাকে আপ্যায়ন করবেন? চা বিস্কুট খাওয়াবেন?”
হুজুর থতমত খেয়ে যান। তিনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। সোহেল বলে, ‘খাওয়াবে না। যদি প্রতিদিন একবার যান, তবে চা পাবেন বটে, তবে মাঝেমাঝে কটু কথাও শুনতে হতে পারে। আর যদি সপ্তাহে একবার যান, তবে চায়ের সাথে টায়ের ব্যবস্থাও হতে পারে। ধরে নেই হবে। আর যদি মাসে একবার করে যান তবে দুপুরের খাবারটা খেয়ে আসার গ্যারান্টি দেয়া যায়। কিন্তু যদি বছরে দুবছরে একবার করে যান, তবে? তবে কিন্তু সেই হাইফাই ব্যাপার। আপনার জন্য স্পেশাল করে রান্না হবে। বাজার থেকে মাংস কিনে নেয়া হবে, পুকুর থেকে মাছ। বুঝলেন ব্যাপারটা? অনেকটা দুর্গা পূজোর মত, তুলসী ঠাকুরকে প্রতিদিন পূজা করতে হয় বলে তার পূজায় জাঁকজমক নেই। আর দুর্গা পূজা বছরে করতে হয় একবার, সেইজন্যই তার পূজায় এতো মাতামাতি! বুঝলেন কিছু? ”
হুজুর যে বোঝেননি সোহেল সেটা বুঝতে পারে। সে বলে, “মসজিদ তো আল্লাহর ঘর, নাকি? ঘর মানেই বাড়ি। এখন আপনি ভাবুন তো, আপনি প্রতদিন পাঁচবার করে মসজিদে যান আর আমি বছরে দুবছরে একবার করে মসজিদে যাই, কাকে মূল্য আল্লাহ বেশি দেবেন? বেশি আপ্যায়ন করবেন কাকে? আপনাকে না আমাকে?”
হুজুরের মুখে রাগের চিহ্ন দেখা যায়। সোহেল আরও বলে, “আপনারা তো মসজিদে থাকেন। মসজিদ আল্লাহর ঘর হলে, আপনারা সেই ঘরের নিস্কর্মা অন্নধ্বংসকারী! আপনাদের যে পাচায় লাথি দিয়ে বের করে দেয় না সেটাই তো বড় ব্যাপার। আবার জান্নাতে যেতে চান? জান্নাত কি বাংলা সিনেমা যে হলে গেলাম, টিকিট কাটলাম আর দেখে ফেললাম?”
হুজুর ক্ষেপে ছিলেন। সোহেলের শেষ কথায় ওর রাগ একেবারে মাথা থেকে হাতে নেমে এলো। শুরু হল মারামারি। সেই মারামারির বিচার হয়েছিল। সোহেলের বাবাই বিচার করেছিলেন। তিনি নিজের হাতে সোহেলকে বাটা স্যান্ডেল দিয়ে একগ্রাম লোকের সামনে দশটা থাপ্পড় মেরেছিলেন। অবশ্য সেই তাবলিক পার্টিও আর গ্রামে টিকতে পারেনি। সেই দিন বিকেলেই তারা গ্রামছাড়া হয়েছিল।
সেসময় নজরুলের ‘আয় বেহেশতে কে যাবি আয়’ কবিতাটা প্রায়ই আবৃত্তি করতাম আমরা-
“যুবা-যুবতীর সে-দেশে ভিড়,
সেথা যেতে নারে বুঢঢা পীর,
শাস্ত্র-শকুন জ্ঞান-মজুর
যেতে নারে সেই হুরী-পরীর
শরাব সাকীর গুলিস্তাঁয়।
আয় বেহেশতে কে যাবি আয়।”
ভাগ্যিস নজরুল এ যুগে জন্মাননি, জন্মালে নিশ্চিত নাস্তিক ট্যাগে ট্যাগাংকিত হয়ে চাপাতির কোপে মরতে হতো!
আরও এমন কতো কী করেছি আমরা, একসাথে! সেই সোহেলের বাবাই মারা গেলেন! সোহেলের সাথে তার বাবার কথা হয় না বলেই জানি। তাই তার মৃত্যুতে খুব একটা কাহিল যে সে হবে, এটা মনে হচ্ছে না। তবে বাবা তো বাবাই।
যখন পৌঁছলাম, রাত হয়ে গেছে। সজীব, আমি আসার আধঘণ্টা আগে পৌঁছেছে। আমাকে দেখেই হাসিমুখে এগিয়ে এলো। তার হাসি দেখে মনে হল না যে মরার বাড়ি এসেছি!
জিজ্ঞেস করলাম, “সোহেল কৈ?”
“দেখি নাই।”
এই পরিস্থিতিতে কাউকে সোহেলের কথা জিজ্ঞেস করতেও লজ্জা লাগছে। ওর বৌ কাঁদছে দেখলাম। দুবছরের বাচ্চাটা মায়ের সাথে তাল মিলিয়ে কেঁদে চলেছে। মাদার’স চাইল্ড!
সোহেলকে পেলাম পুকুর পাড়ে। গাছের গুড়িতে হেলান দিয়ে আছে। সজীব একটা সিগারেট জ্বালিয়ে বলল, “মাটি কখন?”
“রাত দশটায়”
পুকুরটা বিশাল, আক্ষরিক অর্থেই। কতদিন এই পুকুরে গোসল করেছি। এখন কেমন অচেনা লাগছে। পুকুরের পাড়ে নারিকেল গাছের সারি ছিল। এখনও কয়েকটা আছে ইতস্তত সান্ত্রীর মত, কিন্তু নারিকেলবীথি যাকে বলে, সেটা আর নেই।
“কীভাবে মারা গেল”, জিজ্ঞেস করি আমি। এখন ওকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে না কিন্তু নীরবতার চাদর খুব অস্বস্তিকর।
“নামাজ পড়তে পড়তেই মারা গেছে।”
পরে জানলাম, অসুস্থ বলে মসজিদের ইমামতি ছেড়ে বাড়িতেই নামাজ পড়তেন গত ক’মাস ধরে। অবশ্য জুমার নামাজ তিনিই পড়াতেন।
বেশ শীত লাগছে। পুকুরের পরেই বিশাল খোলা মাঠ। বাতাস হুহু করে আসছে। জ্যাকেট পরে এসেছি অবশ্য। কিন্তু জ্যাকেটের সাধ্য কী এই শীত আটকাবে! শরীর গরম করতেই সিগারেটটা ধরালাম। সোহেলকেও দিলাম একটা। গ্যাস ওর পকেটেই ছিল, নিজেরটা জ্বালিয়ে আমারটা জ্বালিয়ে দিল।
“লিপ ভাল্লাগে না আর। শরীর পার্মিট করে না” সোহেল একটা টান দিয়ে বলে।
“পিনিক এইটারই সবচে’ বেশি। বাকিগুলা খাওয়ার চাইতে হুঁকা টানা ভাল”, জবাব দেই আমি।
সোহেলের বাবা মারা গেছে আর আমরা সিগারেটের ব্র্যান্ড নিয়ে কথা বলছি! মানব চরিত্র আজব।
চাঁদ উঠেছে। অনেকদিন চাঁদ দেখি না। আজ হয়তো শুক্লা একাদশী কিংবা দ্বাদশী। সদ্য বিকশিত কিশোরীর মত চাঁদ; পূর্ণতা পাবে পূর্ণিমায়। সেদিন তার চোখের আভায় কোন অনিশ্চয়তা থাকবে না।
চার্জার জ্বালিয়ে কয়েকজন তাল্লিম একসাথে কোরান পড়ছে। তাদের তিলোয়াত কান্নার সাথে মিশে কান্নার মতই লাগছে অনেকটা। এখনও অনেকেই আসছে দেখতে। সোহেলের বোন এখনও আসেনি। তার জন্যই এতক্ষণ দেরী। নয়তো আগেই মাটি হয়ে যেত। মুরুব্বিগোছের লোকেরা চেয়ারে বসে আছে। সবাই প্রায় দাঁড়িওয়ালা।
“চল ভিতরে যাই। আব্বাকে দেখছিস?” সোহেল বলে। ওর কথায় লজ্জা পাই আমি। সত্যিই আমি এখনও ওর বাবাকে দেখিনি।
“না দেখি নাই।”
সজীব আর আমি ওকে অনুসরণ করে ভিতরে যাই। সব কিছু কেমন থেমে আছে। শুধু সোহেলের ছোটভাই রাজনের কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিশ্রি লাগে আমার। এতো কাঁদার কী আছে? এই লোকটা কোনদিন বেঁচে ছিল? যে লোক আজীবন স্বর্গ-নরক, জান্নাত-জাহান্নাম করে করেই জীবন কাঁটিয়ে দেয়, তার বেঁচে থাকাটাকে বেঁচে থাকা বলে না। এই কিসিমের লোক মরার জন্যই জীবন কাঁটায়। এদের জীবনের সুত্র হল, “ধরে নাও, এই খাওয়াটাই তোমার জীবনের শেষ খাওয়া” কিংবা “এই জুম্মাই তোমার জীবনের শেষ জুম্মা”। সুতরাং মরেছে মরেছে। যেখানে যেতে চেয়েছে, গিয়েছে। তোর বাপু অসুবিধাটা কোথায়?
কিন্তু সোহেলের বাবার মুখ দেখেই আমার এসব চিন্তা উড়ে যায়। তার দেহ কাফনে ঢাকা। গোসল করানো হয়েছে। কিন্তু এখনও মুখে হাসি লেগে আছে। চোখ বন্ধ আছে ভাগ্য ভাল। নয়তো মনে হতো, আমার মুখের দিকে তাকিয়েই হাসছেন তিনি।
সোহেলকে বললাম, “হাসি লেগে আছে দেখলি?”
“হাসি না। মুখটা কুঁচকে গেছে, ভাল করে দেখ”। সোহেল বলে। নিজের বাবার ব্যাপারে এতোটা নির্লিপ্ত হতে কাউকেও দেখিনি আমি।
মুখটা একদম সাদা হয়ে গিয়েছে। চোখের নিচের কাঁটা দাগটা লাল হয়ে গেছে অনেকটা। নাকের নিচে নজর যেতেই ফোরফোরটি ভোল্টের ছ্যাকা খেলাম আমি। আমার মনে হচ্ছে নাসারন্ধ্রটা কাঁপছে। নাকের নিচের লোমগুলো দেখতে পাচ্ছি আমি চার্জারের মৃদু আলোতে। নড়ছে, খুব আস্তে আস্তে, অনেকটা মাকড়শার জালের মত। গোঁফ ক্লিন সেভড। আমি আলতো করে আঙুলটা নাকের নিচে নিয়ে গেলাম। আমি বুঝতে পারি আমার আঙুল কাঁপছে। স্বাভাবিক একটা মৃত্যু- বুড়ো হয়েছেন, মরে গেছেন; এতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু ভয় লাগে আমার। নাহ, নিঃশ্বাস নেই। উষ্ণতার বদলে শীতল সে স্থান। নাকটা আঙুলের ডগায় লাগার সাথেসাথেই শিউড়ে উঠলাম, অন্ধকার ঘরে হঠাৎ শব্দ শুনলে যেমন হয় তেমন। জীবনে অনেক মৃতদেহ স্পর্শ করেছি, কিন্তু এমন অনুভূতি কখনোই হয়নি। হাতটা সরিয়ে নিতেই মনে হল নাসারন্ধ্র একটু কাঁপল যেন আবার। চোখ সরিয়ে নিলাম। কে একজন মুখটা ঢেকে দিল।
সোহেল বসে আছে লিচু গাছটার নিচে। মাটিতে বিছানো চাদরে। “ডাক্তার আনছিলি?”
“হুম”।
আমি বাতির আলো থেকে চোখ সরিয়ে চাঁদের শরীরে পাঠিয়ে দেই। চাঁদের শরীরের উচ্ছলতা কমে এসেছে; মেঘের হিজাবে আবৃত করে রেখেছে শরীর, শুধু হাস্কি চোখটা জ্বলছে থেকে থেকে।
সোহেলের বোন আসলে সুপ্ত কান্নার স্রোতটা স্রোতস্বিনী নদীর রুপ ধারণ করে। রাত সাড়ে নটা বাজে। লোকজন খুব একটা নেই, যারা এসেছিল, দেখেই চলে গেছে। আত্মীয় আর পাড়াপ্রতিবেশী মিলে একশজনের বেশি হবে না।
দশটার দিকে লাশ তোলা হল। কবর দেয়া হবে পারিবারিক গোরস্থানে। নদীর তীরে গোরস্থান। আগে নাকি সেখানেই বাড়ি ছিল সোহেলদের। নদী সরতে সরতে বাড়ির কাছাকাছি চলে এলে সোহেলের দাদা বাড়ি সরিয়ে এখানে নিয়ে আসেন। কিন্তু গোরস্থানটা সেখানেই রয়ে গেছে। সোহেলের দাদীর কবরও ওখানে। সোহেলের দাদী যেদিন মারা যায় সেদিন আমাদের ক্লাস এইটের বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছিল, আমার খেয়াল আছে।
কিন্তু লাশ তোলার সাথে সাথেই এমন ঘটনা ঘটলো, যার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। পশ্চিম দিক থেকে বাতাস দেয়া শুরু হয়ে গেল। সে কী বাতাস। কালবৈশাখীর উইন্টার ভার্সন। ওদের রান্নাঘরের পিছনে যে বাঁশবাগানটা আছে সেখান থেকে ঝড়ে পড়া পাতা উড়ে আসতে লাগল। হঠাত একটা মোটা ডাল ভেঙে পড়ল কাঁঠালের। এতো মোটা ডাল এই বাতাসে ভেঙে পড়তে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। অবস্থা বেগতিক দেখে লাশটাকে বারান্দায় নেয়া হল। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। বৃষ্টির ছটা বারান্দাতে আসছে। ভিজে যাবে এক মুহুর্তেই লাশটা। তাই ঘরে নিয়ে যাওয়া হল। তার নিজের ঘরে, যেখানে তিনি থাকতেন।
লাশকে কবরে নেয়ার জন্য উঠিয়ে আবার ঘরে ফিরিয়ে আনা, এটা খুব বিরল একটা ব্যাপার। ঘরে রেখে সবাই বেড়িয়ে এলাম। ঘরটা ছোট, বেশি লোকের জায়গা হবে না। শুধু সোহেল রয়ে গেল ভিতরে। কিন্তু এর পরের ঘটনা দেখে আমার মাথায় রাগ চেপে গেল। সোহেল একটা সিগারেট ধরিয়ে মুসল্লির(খাটিয়া) পাশে বাবার বিছানায় বসে আছে! অনেকেই অবাক হয়ে গেছে ব্যাপারটা দেখে, কিন্তু কেউ কিছু বলছে না, অবশ্য এটা নিয়ে বলার মত পরিস্থিতি নেই এখন। সিগারেটটা শেষ করে বেড়িয়ে এলো সোহেল। আর ও বেড়িয়ে আসার সাথে সাথেই দড়াম করে লেগে গেল দরজাটা ঘরের। হতচকিয়ে গেলাম। সজীব দরজাটায় হালকা ধাক্কা দিল। খুলছে না। এবার একটু জোরে ধাক্কা দিল ও। না খোলার কোন নামগন্ধই নেই। আমার মতই সবাই হতচকিয়ে গেছে। ভেতর থেকে লাগিয়ে দিল নাকি কেউ! এবারে আমিও গিয়ে ধাক্কা দিলাম। না, খুলছেই না। আমার কপালে ঘাম দেখা দিয়েছে ইতোমধ্যে।
আমি বললাম, “ব্যাপারটা কী?”
“বুঝতেছি না”। বলল বজলুল ভাই। তার মুখ দেখে খুব অসহায় মনে হল। ঘরে ঢোকানোর সময় মহিলাদের কান্নার রোলটা রেরেছিল। কিন্তু এখন এই দরজা বন্ধ হওয়ার ঘটনায় সবাই চুপ হয়ে গেছে। শোকের জায়গায় মনে দেখা দিয়েছে ভয়, আর তারই ছাপ পড়েছে মুখে। কেউ কোন শব্দ করছে না। শুধু বৃষ্টি আর বাতাসের মিলনের শীৎকার এই নিঃশব্দতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রাত এগারটার দিকে বৃষ্টির বেগ কমে এলো। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এখনও পড়ছে। বাতাসটা আছেই। আধঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি বাতাস দুটোই বন্ধ হয়ে গেল। আর বাতাস কমে যাওয়ার সাথেসাথেই ক্যাঁচ শব্দ করে খুলে গেল দরজাটা। আমরা একসাথে সবাই ঘরের ভিতরে তাকালাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে আর কীসের যেন গন্ধ আসছে। তীব্র সেই গন্ধ নাকে এসে ঝাপটা দিলে দরজা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেই আমি। অনেকটা মুরগীর চামড়া পোড়ালে যেমন গন্ধ হয়, তেমন। কেউ ভিতরে যাওয়ার সাহস পাই না। এমনকি চার্জারগুলো যে সেই দিকে মুখ করে দেবে সে চিন্তাও কারো এলো না।
প্রথমে ভেতরে ঢোকে সোহেল, ওর পিছনে আমরাও যাই। গন্ধটা ঘরে একটু বেশি। মনে হয়, লাশটা থেকেই আসছে। কারেন্ট চলে আসে সে মুহূর্তে। আমি ঘরের কোন পরিবর্তন দেখতে পাই না। কিন্তু লাশের দিকে তাকাতেই শরীর হিম হয়ে আসে, মনে হয় কেউ পিন ফুটিয়ে দিয়েছে পিঠে। আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত রক্তের স্রোত দ্রুত বয়ে যায়, থ হয়ে যায় সবাই আমার মতই। ঘরের দরজা বন্ধ হওয়ার আগে লাশের মুখ ঢাকা ছিল আর এখন মুখ খোলা! আর এখন মুখে সেই হাসিহাসি ভাবটাও নেই। বরং হাসির বদলে রাগের চিহ্নই দেখা যায় সেখানে। যেটা সবচেয়ে বেশি আমাকে অবাক করল, তা হল নাসারন্ধ্রটা কাঁপছে মাঝেমাঝে, এখনও! আর গন্ধটার উৎস কোথায়?
আরেকবার সবাইকে মুর্দাকে দেখার সুযোগ দেয়া হলে বেরে যায় মেয়েদের কান্না।
আমরা লাশটা কাঁধে নিয়ে হাঁটছি। প্রায় বিশজন হাত দিয়েছে মুসল্লিটায়(খাটিয়া)। গোরস্থান বাড়ি থেকে বেশ দূরে। কয়েকটা বাঁক ঘুরে বাঁশঝাড় আর দীঘি পেড়িয়ে নদীর ধারে। আমাদের পিছনে আরও অনেকে আসছে।
এখন মেঘ ফুঁড়ে আবার চাঁদ হাসছে। চাঁদ প্রায় হেলে পড়েছে পশ্চিমে। আমাদের ছায়া মাটির রাস্তায় হেলেদুলে চলেছে। গোরস্থানের বাঁশঝাড়ের ভিতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আরেকটা ছ্যাকা খেলাম। যা ঘটল, সেটা শুধু শুনেই এসেছি, কিন্তু দেখিনি কোনদিন। এবার চাক্ষুষ প্রমাণ মিলল সে কথার। আমাদের সামনে অর্থাৎ লাশবাহী কাফেলার সামনে একটা বাঁশ হেলে পড়ে রাস্তা বন্ধ করে দিল! থেমে গেলাম আমরা।
সবাই এতটাই বিহ্বল হয়ে পড়েছি যে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেখানেই থাকলাম, নড়লাম না এক পাও। এই প্রথম দেখলাম সোহেল ভয় পেয়েছে। বিড়বিড় করে কী যেন বলছে ও। ওর কাছে যেতেই শুনতে পেলাম, “লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ আলিয়ুল আজিম” বারবার বলছে। মনে মনে বললাম, ‘আজ তবে কি এক নাস্তিকের মৃত্যু হল?”
কিন্তু বাঁশ যেমন ছিল তেমনই থাকল। ছোটবেলায় শুনেছি এরকম অবস্থায় বাঁশে প্রসাব করে দিতে হয়। বাঁশে প্রসাব লাগার সাথেসাথেই তড়াক করে নাকি বাঁশটা লাফিয়ে ওঠে। কিন্তু এতো লোকের সামনে প্রসাব করবে কে? একবার ভাবলাম, প্যান্টের চেন খুলে স্টার্ট করে দেই মেশিন। কিন্তু প্রসাব করলেই চক্ষুলজ্জার খাতিরে হলেও ওজু করতে হবে, সেই ভয়েই করলাম না। ভূততুথের চেয়ে ঠাণ্ডা পানিকে আমি বেশি ভয় পাই।
পিছিয়ে আনা হল কাফেলা। আমরা এবার মাঠ দিয়ে গোরস্থানে পৌঁছলাম।
কবরে পানি জমেছে। সেঁচে ফেলা হল পানি। কবরে লাশ নামানো মাত্রই ভেঙে পড়ল কবরের একটা অংশ। এবার আর কেউ থামল না। মাটি হয়ে গেল।
জানাজার নামাজ পড়ানোর সময় স্পষ্ট দেখতে পেলাম কেউ একজন কবরে পাশে বসে আছে। আরেকজন কী যেন একটা এনে বিছিয়ে দিল কবরের উপর। নামাজে মনোযোগ দিলাম। কোনদিনই আশপাশ না তাকিয়ে নামাজ শেষ করতে পারিনি। আজকের নামাজটা অন্তত ভালভাবে পড়ি!
নামাজ শেষ হলে দুয়া পড়ে আরেকবার কবরের দিকে তাকালাম। কী যেন একটা ভারী জিনিস চাপানো। সজীবকে বললাম, “ওইটা কীরে?”
সজীবও বলতে পারল না। “চল তো দেখে আসি”, বললাম আমি।
“পাগল নাকি? ওখানে গিয়ে মরার ইচ্ছা নেই।”
সোহেলকে বলতেই বলল, “আয় তো”।
কবরের উপরের জিনিসটি দেখে আমরা হা এবং থ দুটোই হয়ে গেলাম। বিশ্বাস করতে পারলাম না নিজের চোখকে। এটা কীভাবে সম্ভব?
সেই কাঁঠাল গাছের মোটা ডালটা কবরের উপর চাপানো! বিশাল সেই ডালের অসংখ্য পাতার আড়ালে কবরটা প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে।
“এটা এখানে কেন?”
সোহেল হেসে বলল, “ছাগু ছিল তো! আই মিন পাকিস্তানের পা’চাটা। তাই হয়তো ফেরেশতারা কাঁঠালপাতা দিয়ে গেছে!”
সোহেলের হো হো হাসি বাতাসে শুনতে পেলাম। আর শুনলাম শিশির পতনের শব্দ।
২৬ নভেম্বর, ২০১৫।
কাল্পনিক ভালবাসার ‘ব্যক্তিগত কিছু আধিভৌতিক ঘটনা- যার ব্যাখ্যা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই-১’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। পিওর হরর লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এমন হয়ে গেল!

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: যে ফ্রেন্ড বছরেও একবার খোঁজ নেয় না, সে যদি আপনার খবর নেয়, ফোন দেয়, টেক্সট করে- তবে বুঝতে হবে তার গার্লফ্রেন্ড ভেগেছে নয়তো নতুন প্রেম শুরু করেছে

কঠিন এক সত্যকথা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এতো তাড়াতাড়ি পড়ে ফেললেন!

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই যে কী কয়!!!
এত তাড়াতাড়ি পইড়া ফেললে তো সেইটাই হরর ব্যাপার হইয়া যাইব।

লেখাটা হাস্যকর। কিন্তু কিছু জায়গায় গিয়ে ধাক্কা খাইছি। আপনি স্যাটায়ার করছেন ঐডা বুঝতে সমস্যা হয় নাই - তারপরও কিরাম জানি লাগলো।

তয় ভাই ভূত কই?
ভূত ছাড়া হরর জমে নাকি? /:)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভূত আছে তো। লিখছি। খুঁজে নেয়া আপনাদের দায়িত্ব। খুঁজে না পেলে লেখক কোন ভাবেই দায়ী থাকবেন না

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: অখন ঘুমাইতে গেলাম। কাইল সকালে পড়ুম নে। শুভ রাত্রী।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রাতে না পড়লে ভূতের গল্পের মজা কৈ?
যাই হোক। কাল পড়বেন জেনে তবু ভাল্লাগছে :) :)

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: অবশেষে শেষ করলাম গল্পটা! আপনার লেখার স্টাইলটা অন্যদের থেকে একটু আলাদা। ঠিক বলে বোঝাতে পারবোনা। গল্প ভালো লেগেছে। তবে হরর হিসেবে তেমন ভয় পাইনি বললেই চলে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

দধীচি বলেছেন: নাহ ভালো না

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ দধীচি। দধীচির মতই সত্য মন্তব্য করেছেন :( :(

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: গল্পটা শেষ পর্যায়ে গিয়ে পুরাই লুলজ.....................

তয় নামকরণের সাথে ঠিক যায় নাই। /:)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার তো মনে হয় মিলেছে, আমি এক নাস্তিকের বিশ্বাস টলার কথা লিখেছি। অবশ্য সেটা বিশেষ সময়ে, সবসময় যে সেটা হবে এমন কোন মানে নেই :) :)
তবে লুলজ খারাপ না :) :)

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ দধীচি। দধীচির মতই সত্য মন্তব্য করেছেন :-& :-&

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) তুই চুপ

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আরেকবার পড়লাম। ভূত খোঁজা মিশনে নামছিলাম।

ভূত পাইলামই না। হয়তো রসিক ভূত আছিল - হাসির তোপে ঝোঁপের আড়ালে গিয়ে পলাইছে... /:)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি ভৌতিক গল্পই লিখতে চাইছি। এমন হইলে আমার কি দোষ

৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: যেসকল দল এর সাথে জড়িত তাদের কে তাওবা করে তা থেকে বিরত থাকার সবিনয়ে অনুরোদ করছি।
রাজনীতি করেন। ইসলামের স্বার্থে করেন। ইসলামকে বিক্রি করে নয়।
অাল্লাহ তা'অালা অামাদেরকে বুঝার ও অামল করার তাওফিক দান করুক।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আচ্ছা ভাই, মানলাম আপনার কথা, যদিও আমার পোস্টের সাথে কী সম্পর্ক বুঝলাম না।
ধন্যবাদ, আমার ব্লগে আসার জন্য :) :) :)

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

ইরাইথ্রোসাইট বলেছেন: “ছাগু ছিল তো! আই মিন পাকিস্তানের পা’চাটা। তাই হয়তো ফেরেশতারা কাঁঠালপাতা দিয়ে গেছে!” এইটা সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: পড়লাম, এক মুহুরতের জন্য মনে হয়েছল সোহেল ভাইয়ের বাবা নেই। কিন্তু কিছুদিন আগে বাবু ভাইয়ের বাবা চলে গেল আর আবার যদি সোহেল ভাইয়ের বাবা চলে যায় তাহলে কেমন যেন এতিম হয়ে যাবে আপনার বন্ধুরা :(
আবার আমার মনে পড়ে গেল সেই দিনের কথা , যে দিন বিল্লাহর ফোন পেয়ে এক দৌড়ে ছুটে গিয়েছিলাম মেডিকেলে, গিয়ে দেখি আপনি অনেক কান্না করতেছেন, যে দিন আপনার বাবা স্টক করেছিল সে দিন থেকে তার ১ মাস অনেক চিন্তা করেছি আপনাদের জন্য, বার বার ফোন করতাম আর খোজ নিতাম, কেমন আছে আপনার বাবা। :( :( সেই দিনের কথা গুলো মনে পড়লে আজও চোখে পানি চলে আসে,আর আপনাদের অনেক জনকেই মন থেকে অনেক miss. করি, সোহেল ভাই, বাবু ভাই, আপনি, আরো দুই এক জন আছে।
-
তবে পরিশেষে এটাই বলব, গল্প টা ভালই হয়েছে তবে কিছু কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিল, :(

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মজা করে ভৌতিক গল্প লিখলাম আর তুমি কিনা নস্টালজিক হয়ে গেছ!
আর এটা শুধুই গল্প। সোহেলের বাবা বেঁচে আছে।
আমি যখন গল্পের মূল চরিত্রের নাম খুঁজছিলাম, ওর নাম ছাড়া আর কারও নাম মনে আসছিল না। বাধ্য হয়েই লিখতে হয়েছে।
ভেবেছি সোহেল এর একটা সিরিজ করব :) :)

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৪

বোকা যুয়ান বলেছেন: ভয় তো পাইলামইনা তয় হাসলাম পেট ভর্তি করে!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমি তাতেই খুশী :) :) :)

১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫১

কিরমানী লিটন বলেছেন: অতল ছুঁয়ে গেলো মুগ্ধ ভালোলাগায়- সত্যিই নান্দনিক , অনেক শুভকামনা প্রিয় আরণ্যক রাখাল ভাইয়ার জন্য...

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ লিটন ভাই

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৩

মুসাফির মানুস বলেছেন: ভাইরে
যা গল্প লিখছেন, পুরা মাথা নস্ট।।
আরে মিয়া, আমার তো হারটবিট কাপতাছে।
ঘরের বাতি বন্ধ ছিল,
এখন
আবার জ্বালিয়ে দিছি।।।
তবে একটা বব্যাপার, মিলাতে পারছি না
আপ্নি কি এই গল্প,
রাজাকারদের উদ্দেস্য করে লিখছেন।।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এইতো এখন একজনকে পেলাম যার ভয় লেগেছে।
নারে ভাই, আমার লেখার কোন উদ্দেশ্য বিধেয় নাই। খালি লেখা লাগে সেজন্যই লেখা। রম্য ভৌতিক গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। একটাও হল না শেষতক
আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতমও জানালাম

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: সব ভয় শেষের কৌতুক দিয়ে উড়িয়ে দিলেন ! :P

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :) :)

১৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাল লিখছেন তবে ভয়ের হয় নাই+++

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই

১৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাঙালির হাতই সম্বল (বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত)! সায়েদ জামিল কি আর গুপ্ত বাবুর জায়গা নিতে পারে?)। - :P :P :P
হোয়াটস এপ তো হ্যারা বন্ধ কইর‍্যা রাখছে!
হরর হয় নাই।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম
ধইন্যা

১৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হুম, এবার বুজেছি এটা শুধুই গল্প আর কিছু নয় :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ :) :) :)

১৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

নেক্সাস বলেছেন: ভাল লেগেছে আমার

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা! ডার্ক জোক। হরর কমেডি। নিষ্ঠুর পরিহাস। চ্রম উপভোগ্য একটা লেখা। ঠেকায়া ঠেকায়া রান নিতে নিতে শেষ বলে ছক্কা। কিছু বানান ভুল আছে। ঠিক কইরা নিয়েন। শুভসন্ধ্যা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই, এই প্রথম কাউকে পেলাম যে লেখাটা উপভোগ করেছে!
বানানগুলো ঠিক করে নেব। অবশ্য এডিট একটা মেলা ঝামেলার ব্যাপার। এডিট করলে পোস্ট ডাবল হয়ে যায়!

২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

জেন রসি বলেছেন: গল্পের শেষে কাঁঠাল পাতার ব্যাপারটা মজার!! তবে গল্পের নামের সাথে কাহিনীর সম্পর্কটা ধরতে পারলাম না! যাইহোক, সব মিলে ভালোই লেগেছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কিছু করার নেই :) :)

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! চমৎকার। আপনি আগের চাইতে এখন বেশ ভালো লিখছেন। প্লীজ কিপ ইট আপ!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার লেখা থেকেই নেয়া!
ধন্যবাদ অনেক কাভা ভাই

২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভূত কোই আরণ্যক?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পান নাই? :) :)

২৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: হাসির ঢেকুর উঠিচ্চে

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :)

২৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১৪

blackant বলেছেন: :||

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :)

২৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ ভাল্লাগসে ||

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :)

২৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: কোই পাইত্তাম। লুকাইছে। :(

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :)

২৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

সুমন কর বলেছেন: প্রথম দিকে গল্পের চেয়ে অন্য কথা একটু বেশী হচ্ছিল। যদি বাস্তব পেক্ষাপটের মধ্যে ছিল।

শেষে এসে দারুণ হয়েছে। প্লাস।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই

২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

পারভেজ রশীদ মঙ্গল বলেছেন: সুমন কোরের সাথে সহমত।তার সাথে গোল্ডেন (এ+)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৩০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: বেসম্ভব ভাল্লাগছে! আপনি একজনকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখছেন। আমার এখন আপনার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে ভিশন। ধন্যবাদ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা হা। আপনি এমনিতেই খুব ভাল লিখেন, নিজেকে হাতুড়ে বললে কী হবে।
আপনাকে আমার ব্লগে দেখে ভাল লাগছে খুব।
ভাল থাবেন।

৩১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

কল্লোল পথিক বলেছেন: অসাধারন

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) ধন্যবাদ

৩২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আহা!! কী চমৎকার এই লেখা।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :) :) ধন্যবাদ বস

৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: চোখে জল চলে এসেছে! এতো বড় গল্প, মনিটরে পড়তে গিয়ে চোখে জল চলে এসেছে! বানিয়ে বানিয়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলতে পারি, আপনাকে দেখে গল্প লেখার শখ হচ্ছে! লিখে ফেলবো নাকি একটা, বলেন তো?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কচ্ছি, লিখে ফেলেন :) :)

৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাবলিগের কাহিনী পড়ে হাসতে হাসতে চোখে পানি এসে গেল!

অফিসে বলে চেপে চুপে হাসতেগিয়ে অবস্থা আরও নাকাল :-B =p~ =p~ =p~

ব্যাখ্যা গুলো তো দিলেন না। কাভা বাই যেমন নিজের মতটা জানিয়েছেন।

তবে ..লিখেছেন দারুন। ++++++++++

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেরীতে প্রতিউত্তর দিচ্ছি বলে দুঃখিত|
কাভা ভাইয়েরটা অভিজ্ঞতা ছিল| আমার কোন ভৌতিক অভিজ্ঞতাই নেই| এত চেষ্টা করেছি কিন্তু ভূত বাবাজি আর দেখা দেয়নি| আর ব্যাখ্যা কী দেব| ব্যাখ্যা দিলেই সব পানসে হয়ে যেত| একেই রম্য তায় ব্যাখ্যা পুরো অপাঠ্য হয়ে যেত!

৩৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার গল্প, তবে ভালগার শব্দ/বাক্য'গুলো অযথা আরোপিত মনে হল। ইদানীং আপনার লেখায় এগুলোর প্রয়োগ বেশী দেখা যাচ্ছে, হয়ত বর্তমানে এগুলো ছাড়া সাহিত্য চর্চা হয় না। তবে আমি মনে করি কিছু শব্দ, বাক্য পরিমার্জন করলে এটা ক্লাসিক একটা ছোটগল্পে রূপ নেবে। কা_ভা'র সুরে বলি, কিপ ইট আপ।

৩৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাই ,তুমি তো গুরুপাক ঘটিয়েছো । বললে নাস্তিক ,মারলে ভৌতিক ভাবে । আমি যতটুকু জানি নাস্তিকরা ভৌতিক ব্যপারগুলো বিশ্বাস করে না ।:-/:-/:-/:-/

৩৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

আরজু পনি বলেছেন:

লেখা পড়তে দারুণ লাগলো...কিন্তু ছাগুদের সাথে কোন আদিভৌতিক ব্যাপার হওয়ার কথা না...তারা মানবতাবরোধী অপরাধের অপরাধী, তাদেরকে সৃষ্টিকর্তারও পছন্দ নয় নিশ্চয়ই ।

৩৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: যে ফ্রেন্ড বছরেও একবার খোঁজ নেয় না, সে যদি আপনার খবর নেয়, ফোন দেয়, টেক্সট করে- তবে বুঝতে হবে তার গার্লফ্রেন্ড ভেগেছে নয়তো নতুন প্রেম শুরু করেছে

হা হা এতো দেখি পুরাই গুরুগম্ভীর কথা।

৩৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সুলতানা রহমান বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে বেশ কিছু প্রশ্ন চলে এসেছে।
ছেলেদের মাথায় কি সবসময় খারাপ কথা ঘোরে? তবে খারাপ কথা গুলো ও লিখার গুণে ভাল লেগেছে।
প্রচন্ড শীত। কিন্তু শীতে তো আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়না।
হরর ঠিক আছে। পাকিস্তানের ব্যাপারটা গল্পের সাথে যায়নি। ছেলেটা যখন ভয়ে শেষ এরপর ই মৃত বাবা নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারলো?
প্রথম অংশটা পড়তে পড়তেই ভাবছিলাম, আপনি তো দারুণ লিখেন।
শুভকামনা।

৪০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

বনমহুয়া বলেছেন: সোহেল হেসে বলল, “ছাগু ছিল তো! আই মিন পাকিস্তানের পা’চাটা। তাই হয়তো ফেরেশতারা কাঁঠালপাতা দিয়ে গেছে!”
সোহেলের হো হো হাসি বাতাসে শুনতে পেলাম। আর শুনলাম শিশির পতনের শব্দ।

এইটা ভালো হইসে আরন্যকভাই।

৪১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেরীতে এলাম।। সেই বয়সের কথা,ভালতো লাগবেই।। একবার ইমামের বদনা ফেলে দিয়েছিলাম সিগারেট এবং জর্দার বিতর্কে।।
আসলেও নজরুল এযুগে বেচে না থেকে চাপাতির অনিবার্য আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন!!
বোদ্ধা নই বলে মাননির্নয়ে যেতে পারলাম না কিন্তু পড়ার ইচ্ছেটুকু মিটলো।।
তবে শেষ অংশটুকু যেন কেমন খাপছাড়া!!

৪২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কাহিনী ভাল্লাগসে । তবে কয়েকটা শব্দ নিয়ে অাপত্তি অাছে । এগুলো পরিহার করলে সর্বজনীন একটা গল্প হতো ।

৪৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: “যে ফ্রেন্ড বছরেও একবার খোঁজ নেয় না, সে যদি আপনার খবর নেয়, ফোন দেয়, টেক্সট করে- তবে বুঝতে হবে তার গার্লফ্রেন্ড ভেগেছে নয়তো নতুন প্রেম শুরু করেছে”

লাফাঙ্গা কেমনে কইলেন ? এ তো দেখি রীতিমত দার্শনিক ! =p~
লিখার প্রথম অংশ পড়ে বেশ মজা নিলাম !

৪৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ বস

৪৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

ফা হিম বলেছেন: হাহা হাহা হিহি হিহি =p~ =p~
লেখাটা বড়ই জটিল, সব রকম স্বাদই আছে।

৪৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৪৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

তান্ত্রীক বলেছেন: “মসজিদ তো আল্লাহর ঘর, নাকি? ঘর মানেই বাড়ি। এখন আপনি ভাবুন তো, আপনি প্রতদিন পাঁচবার করে মসজিদে যান আর আমি বছরে দুবছরে একবার করে মসজিদে যাই, কাকে মূল্য আল্লাহ বেশি দেবেন? বেশি আপ্যায়ন করবেন কাকে? আপনাকে না আমাকে?”


ধরেন আপনে বাড়ীতে দুজন কাজের বুয়া রেখেছেন, ঘর দোর পরিষ্কার করার জন্য। একজন বুয়া ডেইলি আসল, আপনার কথামত কাজ করে দিল, আরেকজন মাসে একদিন আসে তো একদিন আসে না, এভাবে ৩০ দিনে ১০ দিন কাজ করলো, নিজের মনমত। এবার বলেন, বাড়ির মালিক ফুল মাইনে দিবেন কাকে B-))

আপনার লেখার ভংগী ভালো, ভালো জাগায় মেধা লাগালে সমাজে সম্মানের পাত্র হবার সুজোগ আছে।

৪৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক সুন্দর।

৪৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

প্রলয় নীল বলেছেন: ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

৫০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

তুষার কাব্য বলেছেন: আমিও ভয় পাইনি কিন্তু ;)

তবে ভাল লেগেছে । শুভেচ্ছা ।

৫১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থেংকু

৫২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

চ্যাং বলেছেন: নাস্তিকের মরণ হইলো না ক্যা?????????????????????????????????????????

৫৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ভুতের আড্ডা বলেছেন: ভৌতিক ও রম্য উপাদানের যুগলবন্দি, ভিন্ন স্বাদ। ভালো লাগলো।

৫৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ভূত সাহেব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.