নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজাত,বন্ধুসুলভ,বিপদজনক।ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মতই উপকারী এবং সুবিধাবাদী। মধ্যমপনথীর থেকে একটু ওপরে

ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া

ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুদ্রা হতাশা ও সর্বনাশ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

একটি দেশের পরিবেশ,রুপ,সৌন্দর্য, প্রকৃতি,সংস্কৃতি সবকিছু প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম সে দেশের মুদ্রা অথবা টাকা। ছোটকাল থেকেই মুদ্রা সংগ্রহ করা আমার শখগুলোর মধ্যে অন্যতম।এখন পর্যন্ত আমার কাছে বাংলাদেশের এক পয়সা থেকে শুরু করে প্রায় সকল প্রকার মুদ্রা ও টাকা আমার সংগ্রহে আছে।শুধু স্বাধীন বাংলার মুদ্রাই নয়, পরাধীন বাংলা,পূর্ব পাকিস্থান, পশ্চিম পাকিস্থান এমনকি নবাব সিরাজউদ্দৌলার সময়ের কিছু মুদ্রও আমার কাছে আছে।আর আছে কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ও নোট।
এখন কাজের কথায় আসা যাক।আমি যখনই দেশের কোন পয়সা হাতে নেই মনের মধ্যে সেই সময়ের বাংলাদেশ ভেসে ওঠে।মনে করুন আপনার হাতে নব্বই দশকের একটি এক টাকার পয়সা আছে।যার একপিঠে অংকিত আছে একটি সুখী পরিবার।অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে সে সময়ে দেশের সরকার জনসংখ্যা রোধে একটু গনসচেতনতা তৈরীর চেষ্টা করেছেন।এবার পুরাতন দুই টাকার নোটের দিকে তাকান দেখবেন দোয়েল পাখি।এই পাখিটি আজ বিলুপ্তির পথে।বিশশতকে জন্ম নেয়া আনেকেরই আমাদের জাতীয় পাখিটি চিড়িয়াখানা ছাড়া দেখার সৌভাগ্য হয়নি।অথচ আমরা ছোটবেলায় দোয়েল পাখির নীল,ফোটাফোটা ডিম নিয়ে গবেষণা করতাম।দশ পয়সা,পাঁচ পয়সা,পচিশ পয়সার চলন কিন্তু ২০০৪-৫ এও ছিলো।শুক্রবারে ফকিরকে দেওয়ার জন্য রেডি রাখা হত।এই পয়সা গুলোতে অংকিত ছিল পানের পাতা,লাউ,বাঘ,আরো অনেক কিছু।বিশ টাকার নোটে ছিল পাট শিল্পের ছবি।পাঁচ টাকার নোটে ছিল পানি বিদুৎ আর বিভিন্ন দশ টাকার নোটে থাকত মসজিদ।মুদ্রা এমন জিনিস যা মানুষকে ১০০ বছরের ও পুরাতন ঘটনা মনে করিয়ে দিতে পারে।আমাদের দেশে কিছু বছর পূর্বে প্লাস্টিকের নোটও ছিল।যেমন প্রচলন ছিল ভরসা দিয়াশলাই যা ভিজলেও জ্বলে।পাঁচশ,এক হাজার টাকার নোটে কি ছিল প্রায় সবাই জানেন তবে এক টাকার নোটে কয়টি হরিন ছিল অনেকেই জানেন না।
কিন্তু আজ পুরাতন সংগ্রহের সাথে ভালোবাসা করতে গিয়ে হটাত লক্ষ করি মুদ্রাগুলোতে আর শিক্ষার কিছু নেই।শুনতে খারাপ লাগলেও সব মুদ্রাতেই এখন জাতির জনকের দখল।এমনকি নোট গুলোতে বাঘের যায়গা,জলছাপের যায়গা সবখানেই জমি দখল।জাতির জনকের ইতিহাস জানা সকলের অধিকার কিন্তু তাই বলে প্রত্যেক মুদ্রা,টাকায় তার ছবি দেওয়া প্রাচীন রাজাবাদশাহর আমলের প্রতিচ্ছবি। তাকে সন্মান করে তার ছবি আমরা বড় বড় নোটে দিতে পারি তাই বলে সব নোটে কেন? যেখানে প্রত্যেক শ্রেনীর পাঠ্য বইয়ে তাকে নিয়ে কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ দেওয়া আছেই।আমরা কিন্তু দেশের বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি,জাতীয় চার নেতা,ভাষা শহীদ,শেরে বাংলা, ভাষানী এদের ছবিও মুদ্রায় ব্যবহার করতে পারি।কিন্তু এদের ব্যবহার তো তেমন নেই ই অথচ তাদের অবদানটাও মনে করাও হয় বিশেষ বিশেষ দিবসে।বঙ্গবন্ধু ছাড়া দেশের অস্তিত্ত নেই ঠিক আছে। তবে তিনিও কিন্তু এই দেশের প্রকৃতি,সংস্কৃতিতেই বড় হয়েছেন।আর তাই অবশ্যই নতুন প্রজন্মেরও তাকে জানার পাশাপাশি আরো কিছু জানার অধিকার আছে।যেমন ২০০৮ সালের ২ টাকার পয়সা আমাদের মাঝে বার্তা দেয় "সবার জন্য শিক্ষা", আর ২০১০ সালের ২ টাকার পয়সা আমাদের শিক্ষা দেয় " সবার জন্য চেতনা"।
আশা করি এতক্ষন যা বলতে চেয়েছি কিছুটা হলেও বোঝাতে পেরেছি।

বিদ্র: লেখাটি সম্পূর্ন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা।দয়া করে কোন প্রকার মুক্তিযুদ্ধ অবমাননা বা জাতির জনক কে অবমাননা সরূপ দেখবেন না।যখন দেশের সংস্কৃতি ধংস হয়ে যায় তখন কোন চেতনাই কাজে আসে না।হোক সে মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয়বাদ,ইসলাম কিংবা মারকর্সবাদ।
(বানান ভুল থাকতে পারে।ধন্যবাদ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.