নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।সর্বপরি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী।আমার আজকের আলোচনার বিষয় ছাএ সমাজের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাদ্য বস্তু গাঁজা।(এখানে মদ,হিরোইন,ইয়াবা,বাংলা ইত্যাদি আপাতত ধ্রুব রেখেছি আলোচনার সুবিধার্থে।)
সম্প্রতি রোযায় আমি আমার ছুটিতে হটাৎ করে ছাএ সমাজে এই মহান বস্তুর জনপ্রিয়তা নিয়ে হালকা পাতলা কিছু অনুমান মূলক ও প্রমান সূচক প্রতিবেদন ও জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করি তার অংশ বিশেষ নিন্মরূপ:
প্রথমেই আমি একটা বাস্তব উদাহরন দিয়ে শুরু করছি।আমার এক বন্ধু দেশের শীর্ষস্থানীয় ***** বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।যার বর্তমান আনুমানিক শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩০,০০০+। ঘটনা ক্রমে আমি তার সাথে গাঁজা নিয়ে আলোচনা করি এবং জানতে পারি তার হলে গাঁজার প্রচলন।হলের প্রায় ২০-২৫% শিক্ষারর্থী গাঁজাই জীবন এই তত্বে বিশ্বাসী।এর পর আমি আরো তথ্য সংগ্রহ করি।
১. দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা এখন আধুনিকতার ছোয়া।
২.হল কেন্দ্রিক পিনিক গ্রুপ, যেখান থেকে প্রাথমিক সূচনা।
৩.বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের জীর্ণশীর্ন চায়ের,সিগারেটের দোকান যা গাঁজা সরবাহ করে ছাএদের।
৪.ছাএীরাও বন্ধুদের সাথে মিলিত ভাবে পিনিক করে।(ঢাকায় কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই জিনিস বর্তমানে চরম আকারে চলছে)
৫.শহীদ মিনার,ছায়া ঘেরা নির্জন ঘোপ-ঘোপড়া,খেলার মাঠ,চত্তর, নিজের রুম,বন্ধুর ব্যাচেলর বাসা খুবই চাহিদা যুক্ত পজিশন।
৬.অনেকের যুক্তি সিগারেটের চেয়ে এক পুরি গাঁজার দাম কম(ক্ষেএবিশেষে)।
৭.যারা সিট সংকটে হলে উঠতে পারে না অথবা বেসরকারির শিক্ষার্থী তাদের অনেকেই ব্যাচেলার হিসেবে কয়েকজন মিলে বাসা ভাড়া করে থাকে।সেখান থেকে নতুন নতুন গাঁজা খোর তৈরী হয় অনেক ক্ষেএেই।
আরো কিছু স্পর্শকাতর,রাজনৈতিক,স্থানীয় কারন আছে।যা এইভাবে বলা অভদ্রতার শামিল অনেকের মতে।তাই বললাম না।তবে পরবর্তী সময়ে দরকার হলে নাম সহ বলব।তবে তার জন্য শক্তিশালী,স্পস্ট প্রমান ব্যাক আপ হিসেবে দরকার।
এবার আসি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।আধুনিক যুগ।তাই পিনিক সেবনে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব।আমাদেরও তো স্মার্ট থাকাটা জরুরী।তাই অমারাও এর সাথেই আছি।প্রথম বর্ষে থাকা কালীন সময়ে যে সকল বন্ধু ছিল তারা অনেকেই এখন নিয়মিত খোড়। অথচ এই ছেলে গুলোর অনেকে কলেজ জীবনে সিগারেটও খেত না।কিন্তু সঙ্গ দোষে লোহাও ভাসে।পাশের স্মার্ট, মেধাবী বন্ধু যখন গাঁজা খায় আর ভবের স্বপ্ন দেখায় তখন নিজেকে খ্যাঁত খ্যাত লাগে।সময়ের স্রোতে শুরু হয় নবীনদের পথচলা।বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই।দূখিত ভাই-ব্রদার গুলোও অনেক কিউট।অনেক সময় সিনিয়র জুনিয়র মিলে প্রতিযোগিতার আসর করা হয়।কথায় আছে," পিনিক নাকি একা জমে না ".
হতাশ লাগে যখন ক্লাশে যেয়ে গল্প শুনি ক্লাশের সবচেয়ে নিরিহ শান্ত ছেলেটাও নাকি গত রাতে প্রথম গাঁজা খেয়ে আত্মিক সাধনায় অংশ নিয়েছে।
পরিবেশটা বেশির ভাগ শিক্ষাঙ্গনে এমন যে গাঁজা ছাড়া নিজেকে একুশ শতের তরুন ভাবা যায় না।
যাই হোক এবার একটু আশার কথা বলি।কিছুদিন যাবত এই গাঁজার রেভুলেসন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিনিয়রদের নজরে পড়েছে।যা কিছুটা সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ দেখে বোঝা যাচ্ছে।এখন শেষ হাসি কে হাসবে তা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে।আশা করি আমরা আরো সচেতন হব এবং কাছের সবাইকে গাঁজা মুক্ত রাখার চেষ্টা করব।কেউ কোন ভালো পরামর্শ দিলে উপকার হলেও হতে পারে।তবে পরামর্শের চেয়ে উদ্যোগ বেশি দরকার।পরবর্তীতে গাজার আরো কিছু ভয়ানক মজার তথ্য লেখার ইচ্ছা আছে।তবে আজ আর না।
শেষ করব গাঁজা সমাজের জনপ্রিয় গান তামাক পাতা (এ্যসেজ) দিয়ে এই গানটি কিভাবে অনুমোদন পেল আমার মাথায় আসে না।এমন বিকৃত গান যা ছাএদের গাঁজা প্রেম বহুগুনে বৃদ্ধি করে,উৎসাহ দেয়।নতুন নতুন গাঁজা খোড় তৈরী করে।যারা গানটি শোনেননি tamak pata by ashes mp3 লিখে সার্চ দিয়ে ডাউনলোড করতে পারেন তবে যদি আপনি নিজেই খোড় হয়ে থাকেন অথবা গাঁজার প্রতি বিশেষ দূর্বলতা থাকে তবে না শোনাই ভাল।
গানটির কিছু অংশ উল্লেখ করে বিদায়।ভালো থাকবেন গাঁজা খাবেন। (অবশ্যই না)
"" জটিল করলেই জটিল হবে, সহজ করলেই সহজ......।
আগুন জ্বালালে..... উড়ে যাবে পাখি... মনা...আগুন জ্বালালে...
নেশা কেটে গেলে......তুমিও কেটে... যাবে।
মাথার ভেতর গাঁজা ঘোরে, গাজার ভেতর মাথা।
তামাক বৃক্ষের......পাাাতা.....
বিদ্র: এখানে ২০-২৫% বিপথগামী শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা হয়েছে।তার মানে ৭৫-৮০% এখনও ভাল আছে।তবে মনে রাখা ভাল ফুসকুরি থেকেই ফোড়া।আর তা একময় টিউমার হলেও কিছু করার নেই।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:২৯
সোহানী বলেছেন: লিখায় সহমত।
রিজভী সাহেব, পৃথিবীর বহু দেশেই এখনও গাজা সেবনের সরকারি অনুমতি আছে- এটি সত্য তাই বলে কি এটি ভালো কোন জিনিস? না, এটি কোনভাবেই সহজভাবে নেয়া উচিত নয় কারন যেকোন নেশাই খারাপ আর গাজাঁ হলো সব নেশার সূত্রপাত।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬
নামে বইয়ের পোকা বলেছেন: একটা জীবন ধ্বংস করতে গাঁজা আসক্তি যথেষ্ট। আমি এ পর্যন্ত এ নেশাতে ডুবে যেতে দেখেছি অনেককেই কিন্তু নেশাতে ডুবে আর বের হতে দেখিনি। কেউ কেউ মাঝে সাঝে সেবন করে, আর বেশিরভাগই পড়ে নিয়মিততে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ইউনিভার্সিটির ছাত্র থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা সবার মাঝেই একই প্রবণতা। আক্রান্ত হলে বেরিয়ে আসা কঠিন।
সিগ্রেট হল সব নেশার সূত্রপাত। তাই, ছাত্র জীবনে ভুলেও সিগ্রেট এ টান দেয়া উচিত নয়। ছাত্র জীবন শেষে খারাপ সঙ্গটা আর পাশে আসার সুযোগ পায় না, ফলে তখন আর এইসব কুখাদ্য(!) সেবন করে কেউ তার জীবন ধ্বংস করতে পারে না।
তাই ছাত্র জীবন, বিশেষ করে ভার্সিটি লাইফে নেশার ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। এই সময়েই বেশিরভাগ নেশায় আসক্ত হয়।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০১
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: গাঞ্জুট্টি গাঞ্জুট্টি কাজ করেই যাবে।।।আমরা রুখার চেষ্টা করতে হবে যারা এখনো ভালো আছে।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া বলেছেন: সোহানী,বইয়ের পোকা,ফয়েজ ভাই আমিও আপনাদের সাথে একমত।আসলে এখন সচেতনতার খুব দরকার।
রিজভী ভাই গাঁজা সেবন যে একসময় বৈধ ছিল তা আমার জানা ছিল না।আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪১
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি ঠিক কিছু বুঝলাম না! গাজা একসময় বাংলাদেশে সেবন করার সরকারি অনুমতি ছিল।পৃথিবীর বহু দেশেই এখনও গাজা সেবনের সরকারি অনুমতি আছে এমনকি ৫০% পরিবহনেরও অনুমতি আছে কিছু কিছু দেশে।এই মুহুর্তে স্পেন এবং কানাডার কথা মনে পড়ছে।