নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনও কোক (কোকাকোলা) পান করেছিলেন কিনা জানি না। আমার ধারণা করেননি। বাজি ধরতে পারি, এক চুমুক কোক-পানেও বাংলা সাহিত্যে সে বিষয়ের ছাপ থেকে যেতো। রূপক অথবা উপমার ছলে হলেও আমাদের চোখে সেই 'অমিয় সুধা' ধরা দিত নতুন এক রুপে।
অনেক খটমটে ইংরেজি শব্দকে চমৎকার বাংলা পরিভাষায় রূপ দিয়েছেন কবিগুরু। 'বোওগেনভেলিয়া' নামক ফুলটিকে 'বাগানবিলাস' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পেছনে তারই অবদান। তিনি কোকাকোলার স্বাদে মুগ্ধ হলে হয়তো আমরা "কৃষ্ণ-ফেনিল জল" জাতীয় কোন নাম পেতাম।
হূমায়ূন আহমেদের একটা বইয়ে পড়েছি, রবিঠাকুর নিজ হাতে সুলেখা দোয়াত কালির বিজ্ঞাপন লিখে দিয়েছিলেন: "এ কালি কলংকের চেয়েও কালো।" চ্যান্ডলার সাহেবের দুর্ভাগ্য, সময়মতো তিনি ভারতবর্ষে নিজের কোম্পানির প্রসার ঘটাতে পারেননি। বিজ্ঞাপনের ছলে একখানা কবিতা আমরা পেতেই পারতাম:
"বুড়িগঙ্গার জলের চেয়েও
দেখতে অনেক কালো-
সেই জলেতে বুক জুড়িয়ে
লাগছে ভীষণ ভালো... "
আফসোসের এখানেই শেষ নয়। অসংখ্য অব্যক্ত অনুভূতিকে রবিঠাকুর স্বতন্ত্র উপমার সাহায্যে ভাষারূপ দিয়েছেন। প্রথম প্রেমকে আখ্যান দিয়েছেন 'নারীর চোখে নিজের সর্বনাশ' রূপে।' কাচ্চির সাথে এক চুমুক ঠাণ্ডা কোক খেলে হয়তো 'হৃদয়ে সুখের মতো ব্যথার' উপমাটাকে কোক-পানের অনুভূতির সাথেই চালিয়ে দেয়া যেতো!
কে জানে!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬
ওয়াসি আহমেদ বলেছেন: এখানেই তো প্রকৃত সমস্যা। কাতল মাছের মুড়িঘণ্ট অথবা মোরগ পোলাও, এক চুমুক কোক না হলে কি আর স্বাদ খোলে? :/
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবিগুরু বিয়ের দাওয়াতে সঙ্গে দুধ নিয়ে যেতেন।
তবে আপনার কথারও যুক্তি আছে কোক নিয়ে হয়তো দারুন ছড়া অথবা কবিতা লিখে ফেলতেন ।
নারীর অবকাঠামোতে ভরা ভীষণ সুশীতল
একবার পান না করিলে জীবন বিফল......
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখনো বক্তৃতা বিতর্কে নাটকে মুভিতে জীবনে কবিগুরুর উদ্ধৃতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: এটা কেমন লুলামী -
"নানা রাগিনীতে দিয়ে নানা তান
একগান রাখি গোপনে,
সবাপানে আঁখি মেলি চায়
তোমাপানে চাই স্বপনে"
উনার একটা লেখায় মৌরলা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাওয়ার কথা উল্লেখ পাওয়া যায় @শায়মাপি
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
শায়মা বলেছেন: কোন লেখায় মৌরালা মাছের কথা আছে বলো দেখি পন্ডিৎ শকুনীমামা ভাইয়া!!!!!!!
কাজ নাই উনি জমিদার বাবু হয়ে পোলাও বিরিয়ানী রেজালা কালিয়া বাদ দিয়ে মৌরালা মাছ খাবে। আর খেলেও সেটা মন থেকে লেখা না শখ করে লেখা। তবে কোন লেখা এখুনি জানাও দেখি তুমি কেমন বিশ্ব ভারাতীর ছাত্র!
৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: তোমার কি ধারণা জমিদার বাবুরা সবসময় পোলাও বিরিয়ানী রেজালা কালিয়া দিয়াই খাওয়া কার্য সমাধা করে!!!
আর আমি - বিশ্ব ভারাতীর ছাত্র - তোমারে কে বলল?
আমার এতটুকু মনে আছে, ছোটবেলায় তার কোন এক গল্প বা কবিতায় পড়ে জেনেছিলাম এই তথ্য। পেলে তোমাকে জানাব, অবশ্যই।
৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭
শায়মা বলেছেন: শকুনীমামাভাইয়া!!!!!!!!
আই থিংক তোমার কিছু একটা গড়রবড়র হচ্ছে। রবিঠাকুরের সাথে হয়তো কোনো খাদ্যরসিক কবিকে মিলিয়ে ফেলেছো!
৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ তাঁর "ছেলেবেলা" গ্রন্থে বলেছেন -
"জ্বর হওয়ার তিনদিন পর পথ্য ছিল
মৌরলা মাছের ঝোল আর গলা ভাত
তাই অমৃতের মত লাগত।"
আমি এইটার কথাই বলেছি আপুমনি।
৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: আপু এইটা পড়
১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শকুন ভাই ঠিক বলেছেন। ওটা আমাদের পাঠ্য ছিল ওটা রোগীর খাবার।
১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
শায়মা বলেছেন: ধ্যাৎ সে তো অসুখে পড়ে না খাবার কষ্টের পর বলা খাদ্যের কথা।
গরীবের ঘোড়া রোগের মত এক প্রকার ঢং!
এই খাদ্যের কথা চলিবেক না!
১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
সাইন বোর্ড বলেছেন: রবি ঠাকুরকে হঠাৎ কোকাকোলা পান করানোর সখ কেন হলো লেখকের, এটাই বুঝতে পারছি না ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২
শায়মা বলেছেন: হা হা রবিঠাকুর খাদ্যবিলাসী ছিলেন বলে তেমন মনে হয় না।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বা পল্লী কবি জসিমুদ্দিনের মত তপসে মাছ বা বিন্নী ধানের চিড়া মুড়ি খই টাইপ কোনো খাবারের নাম তার কোনো কবিতায় বা গানে মনে পড়ছে না।