নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোটবেলায় অনেক পেসিমিস্টিক ছিলাম। কোন ব্যাপারে সফল হলেও মনে হত সামথিং ওয়েন্ট রং। কুত্তার পেটে ঘি হজম হয় না- টাইপ ব্যাপার। এখন এ নিয়ে একটা গল্প শেয়ার করি।
ছোটবেলায় আমি নানুবাসায় মামাত ভাইয়ের সাথে খেলতাম সকাল থেকে দুপুর। দুপুরে একটা সময় মামাত ভাইদের কাজের মেয়ে তাকে গোসলের জন্য ডেকে নিয়ে যেত। তখন বাধ্যতামূলক খেলা শেষ করতে হত।
একদিন ঠিক করলাম একস্ট্রা টাইম খেলব। কী করা যায়? এক মামা বিদেশ থাকায় তার ঘর খালি থাকত। ঠিক করলাম তার ঘরে লুকাব।
তো, খেলতে খেলতে যখনই শুনলাম কাজের মেয়ে ডাকছে, দৌড়ে ঐ ঘরে ঢুকে পড়লাম। তারপর লুকানোর জায়গা খুঁজতে লাগলাম। কপাল ভাল, ঘরের একটা দরজা খুলে পাল্লাটা পাশের দেয়াল ঘেঁষা আলমিরায় গায়ে লাগিয়ে দেখলাম দেখলে মনে হয়, দরজাটা আর আলমিরার মাঝখানে আর কিছু নেই। আমরা খুশি মনে ঐ আলমিরার চিপায় লুকিয়ে দরজার পাল্লাটা প্ল্যানমত আলমিরার গায়ে লাগিয়ে দিলাম।
চুপচাপ লুকিয়ে আছি। শুনলাম ডাকের আওয়াজের উৎস আস্তে আস্তে কাছে আসছে, ঘরে ঢুকল, খোঁজাখুঁজি করছে। বুক ঢিপঢিপ করছে। দম বন্ধ করে রেখেছি- পাছে শুনে ফেলে। বিছানার তল দেখল, আলমিরা খুলে দেখল, তারপর ব্যর্থমনোরথে চলে গেল। আমি তো অবাক। উই মেইড ইট!
আর ঠিক তখনি যেন আমার পেসিমিস্টিক মাইন্ড কু-ডাকটা ডাকল। অনেক্ষণ দম বন্ধ করে রেখেছি। এবার সুযোগ পেয়ে বুক ভরে শ্বাস নিলাম। কিন্তু একী! তখন গরমকাল। আমরা দু'জনেই খেলে খেলে ঘাম-ভেজা হয়ে গিয়েছিলাম। তাই শ্বাস নিতেই ঘামা জামার গন্ধ ভক্ করে নাকে ঢুকে গেল। তার উপর আবার গরম। আমার পেটের নাড়িভুড়ি পাক দিয়ে উঠল। গলা ভরে ঐ ভাইয়ের গায়েই বমি করে দিলাম। আর ঐ ভাই তো চিৎকার করে দুদ্দাড় ছুটে গেল। তারপর আর যায় কোথায়? হাতে নাতে ধরা...
সবাই সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন আর শত সমস্যার মাঝেও অপটিমিস্টিক থাকুন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২০
দ্যা বান্দর বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২
সোহাগ সকাল বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিকথা।