নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Wasiful Gofur Abir\n\nFacebook ID: Wasif Abir

দ্যা বান্দর

দ্যা বান্দর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারেইডোলিয়া প্র্যাংক

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬

ঘটনা ১:



প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসে এক দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে এক ক্লাসমেটের উদ্দেশ্যে বললাম, “কত্ত বড় তেলাপোকা!” ক্লাসমেট আমার আঙ্গুল অনুসরণ করে দেখতে পেল এক সিনিয়র আপু একটা সেপারেটিং ফানেল পরিষ্কার করছে যেটার ভিতরে এক স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ গুণ বড় একটা তেলাপোকা। শিউরে উঠল সে।



ঘটনা ২:



রাতে আমার ছোটভাই পড়াশোনা করছিল। আমি এসে ফিসফিস করে বললাম, “একটা জিনিস দেখাতাম। ভয় পাবি না তো?” ও বলে, “চল দেখি”। ওকে ছাদে নিয়ে গিয়ে একদিকে আঙ্গুল তুলে বললাম,”একটা বিশাল লম্বা জ্বীন লাল পাঞ্জাবি পড়ে বসে আছে, ঐ দ্যাখ।” সে তাকিয়ে দেখতে পেল সত্যিই একটা লাল পাঞ্জাবি পড়া মানুষের আকৃতি একটা বাড়ির ছাদে আসন গেড়ে আমাদের দিকে পিঠ ফিরিয়ে বসে আছে। “ওরে আল্লাহরে!” বলে লাফিয়ে ছোটভাই পারলে আমার কোলে উঠে যায়।



এখানে প্রথম ঘটনাটা সত্য। পরেরটা বানানো। আমি কোন সম্মোহনের কৌশল জানি না যার মাধ্যমে আমি আজব জিনিস দেখিয়েছি। এই প্র্যাংক-প্লেটা প্রচলিত না আমার আবিষ্কৃত তাও জানি না। এর নাম দিলাম “প্যারেইডোলিয়া প্র্যাংক”।



প্যারেইডোলিয়া হল কোন বস্তুর আকৃতি বা ইমেজের মধ্যে অন্য কোন ইমেজের সাদৃশ্য লক্ষ করা। যেমন, আকাশে মেঘের মধ্যে কোন ধর্মীয় চিহ্ন বা প্রতীক দেখতে পাওয়া। অনেক মিথের পেছনে প্যারেইডোলিয়াকে দায়ী করা হয়। যেমন, লকনেস মনস্টার জাতীয় ব্যাপার-স্যাপার।



আসলে এর জন্য দায়ী আমাদের অবচেতন মন। অবচেতন মনে সব ইমেজই থাকে। নতুন কোন ইমেজ যখন দেখি তখন সে পুরোন ইমেজের সাথে মিল খুঁজে পেলে সাথে সাথে জানান দেয়।



প্রথম ঘটনার ব্যাখ্যা সিম্পল। ঐ আপুটা ফানেলটা একটা লম্বা ডান্ডাযুক্ত ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করছিলেন যেটার ব্রিসলগুলো গাঢ় খয়েরি আর কালো-তেলাপোকার গায়ের মত। আমি যখন ক্লাসমেটের মাথায় তেলাপোকা ঢুকিয়েছি তখন তার মন তেলাপোকা দেখার জন্যই প্রস্তুত হয়েছিল আর দেখেছেও তাই।



দ্বিতীয় ঘটনাটা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট সরঞ্জাম ছিল। একটা বাড়ির ছাদে কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছিল- আরেক তলা বাড়াবে। বালি-সিমেন্ট যেন উড়ে না যায় এ জন্য লাল রংয়ের ক্যানভাসের মত কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। কোন বাঁশ বা কিছুর সাথে সাথে লেগে ওটা উঁচু হয়ে অনেকটা মনুষ্য আকৃতি ধারণ করেছিল। কিন্তু পরে বাতাস এ ওটা নেমে যাওয়ায় প্র্যাংক-প্লেটা আর করা গেল না।



অনেক মজাদার কাজ সন্দেহ নেই। কিন্তু করতে চাইলে পরিস্থিতি বুঝে করতে হবে যেন এ্যাকসিডেন্ট না হয়। আমি এমন একটা ল্যাবে এটা করেছিলাম যেখানে বিভিন্ন কেমিক্যাল থাকে- যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো বেশ বিপদজনক ছিল। তাই ল্যাবে কাজটা করা আমার অনুচিত হয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯

এম ই জাভেদ বলেছেন: বাঁদরামি ছাইড়া দ্যান, এখনো সময় আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

দ্যা বান্দর বলেছেন: আমার ছাড়তে আপত্তি নাই। কিন্তু বাঁদরামি তো আমারে ছাড়ে না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.