নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুকাল আগে আফ্রিকার কোন এক ভূখণ্ডের জঙ্গলে আবেদে বসে বসে উড়োজাহাজ বানাচ্ছিল। তখন উগুলা এসে তাকে জিজ্ঞেস করল,
“মা হাতা লে আবেদে?”
(কী করিস রে আবেদে?)
“হা অ্যারোঙে মাকাতা”
(উড়োজাহাজ বানাই)
“অ্যারোঙে? মা অ্যারোঙে, আবেদে?”
(উড়োজাহাজ? উড়োজাহাজ আবার কী রে, আবেদে?)
“ওয়ালা? কেনা কেনচাক দিকদিক ইয়াংগে লেলে ইয়ালুলু...”
(কেন? কেনচাক বুড়ো যে সেদিন ঐশী বাণীর গল্পে মানুষ ওড়ার গল্প শুনাল...)
“ঊঊঊ! ওলেওলো লোকে ইয়াগুলো বেকবেক? লে, হামা লা ইয়াকইয়াক, গোলে মাতাহা লেকোলে। লোদেকো, ইয়াবে ইয়াকইয়াক জিগি মাগালা বুগোলা গিলেলো উগাবুগা।”
(উফ! তুই এসব আবার বিশ্বাস করিস? শোন, মানুষ উড়তে পারে না, কারণ পৃথিবী তাকে টানে। পাখি, বাদুড় উড়তে পারে কারণ তাদের হাড় ফাঁপা।)
তারপর আবেদে তাকে বিশ্বাস করানোর জন্য নকশাটা দেখাল। উগুলা পাত্তাই দিল না। ব্যাটা গোঁড়া কোথাকার! কী সব রূপকথায় বিশ্বাস করে! সে আরও লোক ডেকে তামাশা শুরু করল। আবেদে হতাশার চরমে পৌঁছে একসময় উড়োজাহাজ বানানো বন্ধ করে দিল।
হয়তবা উদ্ভাবিত হতে পারল না পৃথিবীর প্রথম উড়োজাহাজ। হয়তবা সভ্যতা মিস করল কয়েক হাজার বছরের অগ্রগতি। শুধু উগুলার ভুল মানসিকতার জন্য। তার ভুল ছিল সীমিত জ্ঞান নিয়ে যুক্তির চর্চা করা। যুক্তি জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। যে বিষয়ে সম্যক ধারণা আছে, যুক্তিচর্চা চলে তা নিয়েই। যে বিষয়ে জ্ঞান যথেষ্ট নেই, তা নিয়ে যুক্তিচর্চার সিদ্ধান্ত সঠিক হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর জ্ঞান আহরণের প্রক্রিয়া চিরন্তন। তাই এক যুগে যা রূপকথা, অপর যুগে তাই হয়ত বাস্তবতা।
এর বহু বহু বছর পর উদ্ভাবিত হল উড়োজাহাজ রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের হাত ধরে। এরপর একের পর এক এর বিভিন্ন ভার্সন বের হতেই লাগল।
আবেদের আত্মা আজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে, “কেচে খাগুড়া মাগা খাগুড়া উগুলা”
(শালা নাস্তিকের বাচ্চা নাস্তিক উগুলা)
©somewhere in net ltd.