নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Wasiful Gofur Abir\n\nFacebook ID: Wasif Abir

দ্যা বান্দর

দ্যা বান্দর › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিডারশিপ

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২

একটা সেমিনারে শুনেছিলাম দুনিয়ার মানুষ দুই রকম: doer আর leader. doer কাজটা জানে, আর leader কো-অর্ডিনেশন, কাজ আদায় ইত্যাদি করে সবোর্পরি নেতৃত্ব দেয়। দলবদ্ধ উচ্চতর প্রানীরা জেনেটিক্যালই এই সোশাল সেটিংয়ে অভ্যস্ত। যেভাবেই থাকুক না কেন, একটা সময় ঠিকই কীভাবে কীভাবে যেন এই সেটিংয়ে এসে যায়, হয় নেতৃত্ব দেয়, না হয় নেতৃত্ব অনুসরণ করে।



যেমন, কোন বাড়িতে যখন বেশ কয়েকটা ভাড়াটিয়া পরিবার এসে উঠে তখন প্রথম প্রথম কেউই কাউকে চিনেন না। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় পরস্পরের মধ্যে পরিচয়, কথাবার্তা ইত্যাদি যত বাড়তে থাকে তারাও এই সেটিংয়ে চলে আসে। দেখা যায়, তাদের মধ্যে একজন থাকেন যিনি কিনা বাড়িওয়ালার কাছে সব ভাড়াটিয়ার মুখপাত্র হিসেবে কথাবার্তা বলেন, নেগোশিয়েশন করেন। ব্যাপারটা এমন না যে এই মুখপাত্র ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন, অবচেতনভাবেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এখানে কমিউনিকেশন স্কিল, ইলোকুয়েন্সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।



এরকম আরও উদাহরণ আছে। ধরুন, আপনি কলেজ বা ইউনিভার্সিটি পড়েন। একজন হঠাৎ একদিন বলল, অমুক রিসোর্টে আমার পরিচিত লোক আছে, চল পিকনিকে যাই। তখনই কিন্তু সে এক প্রকার লিডার হয়ে গেল। আয়োজকের ভূমিকাও এক ধরণের লিডারশিপ।



লিডারশিপ মানেই সব কাজ নিজেই করতে হবে- এমনটা না। বরং প্রয়োজনে কোন কাজ করিয়ে নেবার ক্ষমতাও লিডারের বড় গুণ। কোন লিডার ব্যক্তিত্বের প্রভাব খাটিয়ে এটা করেন, কেউবা নিজের কনভিন্স করার ক্ষমতা কাজে লাগান। লিডারকে সর্বজ্ঞানী হতে হবে এমন কথা নেই, তবে আইডিয়া মোটামুটি কমপ্রিহেনসিভ হলেই যথেষ্ট। তার হাই ইন্টেলেক্ট থাকাটা জরুরি না, এমন না যে সব সমস্যার সমাধান তার নিজেরই করতে হবে। সময়ে সময়ে ঘাড়ের উপর ফিসফিসিয়ে পরামর্শ দেবার লোকও আশেপাশেই থাকে। আবার নেতৃত্বাধীনদের দিয়েও সমাধান করানো যায়। ভালো সিদ্ধান্ত বা সমাধানটা চিনে নেবার জাজমেন্ট থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ।



লিডারশিপের সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হল ইগো। এটা নিয়ে দুই শ্রেণীর মানুষের সাথে তার ঝামেলা হতে পারে- যে নিজেকে লিডারশিপের যোগ্য মনে করছে আর যে পূর্বে একবার লিড দিয়েছে, কিন্তু এবার সুযোগ পায় নি বা নিতে পারে নি। এ ধরণের লোকদের আবার সাঙ্গপাঙ্গও জুটে যায়। ইনারা নিপাট ভদ্রলোক হলেও দেখা যায় অবচেতনভাবেই সমস্যা সৃষ্টি করছেন, যেমন, নিজে পিকনিকের আয়োজন করতে পারে নি বলে অন্যজনের আয়োজিত পিকনিকে আগ্রহ কম দেখায়, আনন্দে অংশ নেয় না, ফলে সাঙ্গপাঙ্গরাও তাতে তাল দেয় আর দিনশেষে পুরো পিকনিকেরই চেহারাটা খারাপ হয়ে যায়। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কিনা নিজের ও অন্যদের ইমোশন বুঝতে পারা ও তা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে লিডার এসব পরিস্থিতি সামাল দেন। অপজিট গ্রুপের হোতাদেরও কাজে সংশ্লিষ্ট করা, তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া- মোটামুটি তাদের নিজেদেরকে ইম্পরট্যান্ট ফিল করানোর মধ্য দিয়ে ঝামেলা মেটানো যায়।



শেষমেশ স্বামী বিবেকানন্দের মতো করে বলছি, সবারই অন্তত একবার লিডারশিপের চেষ্টা করা উচিত। সফল হলে তো কন্টিনিউ করা যাবে, আর ব্যর্থ হলে পরবর্তী লিডারকে পরামর্শ দেয়া যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.