নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে ক্যান জানি ছোটবেলার একটা ঘটনা মনে পইড়া গেল।
ঘটনাটা খুব সম্ভব ক্লাস টু এর। তখন আমরা আমাগো মাঠবিহীন স্কুলের কংক্রিটের ফ্লোরে বোতল দিয়া ফুটবল খেলতাম। বোতলটার মুখ খুইলা পাড়ায়া চ্যাপ্টা করা হইত, লাত্থি দিলে ফ্লোরের উপর বোতল ক্যারামের গুটির মত স্লাইড কইরা যাইত।
এই ফুটবল কেউ পাস দিয়া দিয়া খেলত না, পাস কী জিনিস ক্লাস টু-তে কেউই বুঝত না। খালি বোতলটা পাইলেই সবাই এক লগে পা দিয়া কাড়াকাড়ি শুরু করত। যে পাইত, লগে লগে সাইড লাইন ধইরা গোলপোস্টের দিকে দৌড়। আমি মোটকু এসব খেলায় চান্স পাইতাম না- পাইলেও গোলকিপার। তাই রাগ ছিল পোলাপানের উপর।
একদিন হইল কী, স্কুলের ওপেন গ্রাউন্ডে ছুটির পর পোলাপান খেলতেসে। ছুটি হয়া গেসে, তাই গার্জিয়ানরা এদিক-ওদিক ঘোলাঘুরি কইরা বাচ্চা খুঁজতেসে, কখন পাইব আর কানে ধইরা বাড়িতে লয়া যাইব।
এমন সময় এক শাড়ি পড়া মহিলা গার্জিয়ান পোলাপানের খেলার জায়গায় আইসা খাড়ায় আছে- উনার তো জানা নাই কোন পল্টনের গোলাগুলির মধ্যে উনি অবস্থান করতেসেন। পোলাপানের খেলার মধ্যে এক সময় বোতলটা গেল গা ভদ্রমহিলার শাড়ির তলে। উনি তখনও অন্য দিকে চায়া...
পোলাপানের কোন সেন্স নাই, বোতল শাড়ির তলে যাউক আর যেখানেই যাউক, সেই বোতল চাই-ই চাই। তাই লগে লগে দশ দিক থেকা দশটা পা আইসা পড়ল শাড়ির তলে। বোতলের উপর এটা মানুষ না খাম্বা কোন খেয়াল নাই... যে পা দিয়া বোতলের টাচ পাইসে সে বোতল টানতেসে, কেউ কেউ টাচ পাইসে বোতলের, কিন্তু শাড়ির উপর দিয়া, তাই শাড়িটারেই পাড়া দিয়া ছেঁচড়াইতেসে। পারলে ল্যাং মাইরা মহিলারে ফালায়া বোতলটা বাইরা করব।
ভদ্রমহিলা হঠাৎ কইরা চারপাশে বানরের পাছার মত লাল লাল মুখওয়ালা, ঘামে জবজব পোলাপান দেইখা ভয় পায়া গেলেন। দৌড়ায়া যে পালাইবেন ওই উপায়ও নাই। পরে চিল্লাচিল্লি কইরা ঝাড়ি-টাড়ি মাইরা পোলাপানগুলারে তাড়ায়া উদ্ধার পাইলেন।
খেলার মচ্ছবে পোলাপানগুলা এই লজ্জায় পড়সে দেইখা দেইখা আমার আক্রোশ কিছুটা হইলেও ইনডিরেক্টলি চরিতার্থ হইসিল। পোলাপানগুলা এতদিনে বড় হয়া গেসে। আমি শিওর, এই ঘটনাটা মনে পড়লে সবাই বেকায়দায় পইড়া যায়...
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১
দ্যা বান্দর বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন ভ্রাতা
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মজা পেলুম ভ্রাতা ।
ভালো থাকবেন