নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Wasiful Gofur Abir\n\nFacebook ID: Wasif Abir

দ্যা বান্দর

দ্যা বান্দর › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিউকেমিয়া (রক্তের শ্বেতকণিকা সংশ্লিষ্ট ক্যান্সার) প্রতিকারের নতুন দুটি উপায় উদ্ভাবনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৮

উপায় নং ১: কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা
এটি অ্যাকিউট লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়ার চিকিৎসার জন্য। আবিষ্কারটি একদমই সেরেনডিপিটাস। উল্লিখিত লিউকেমিয়াটি বি-সেল নামক শ্বেত-রক্তকণিকা সংশ্লিষ্ট। পদ্ধতিটির উদ্ভাবক স্ট্যাসফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অভ মেডিসিনের গবেষক দল।
অ্যাকিউট লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া দুই রকমের: বি-কোষ আর টি-কোষের লিউকেমিয়া। বি-কোষের অ্যাকিউট লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়ায় অপরিণত বি-কোষগুলো পরিণত হতে পারে না একটি ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরের অভাবে। (ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর হল কোষের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ- এটি নির্দিষ্ট করে দেয় ডিএনএর কোন কোন অংশের সংকেত অনুসরণ করে প্রোটিন উৎপন্ন হবে।)
তাঁরা গবেষণা করছিলেন সেই ক্যান্সারটি নিয়ে। এজন্য সেরকম কিছু ক্যান্সার কোষ বা নিওপ্লাজম সংগ্রহ করেন। কিন্তু সেগুলোকে ল্যাব কালচারে বাঁচিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। তাই গবেষকরা বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে একেএকে ট্রায়াল দিচ্ছিলেন।
অবশেষে অন্য একটি বিশেষ ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর দেওয়ার পর তাঁরা দেখলেন ক্যান্সার কোষগুলো ম্যাক্রোফেজ নামক এক ধরণের শ্বেতকণিকায় পরিণত হয়েছে। ম্যাক্রোফেজের বেশিষ্ট্য হল এরা অস্বাভাবিক বা বহিরাগত কোষ বা উপাদান সনাক্ত করে সেগুলোকে গ্রাস করতে পারে, আর পরবর্তিতে সেগুলোর নমুনা অন্যান্য শ্বেতকণিকার কাছে পাঠিয়ে তাদেরকে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রস্তুত করতে পারে।
কোন অস্বাভাবিক বা বহিরাগত কোষ বা উপাদানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে সেগুলোর সংকেত সংগ্রহ করতে হয় ম্যাকোফেজকে। আলোচ্য ম্যাকোফেজ যেহেতু ক্যান্সার কোষ-উদ্ভূত, সেহেতু তার মধ্যে সেসব প্রয়োজনীয় সংকেত বিল্ট-ইন দেয়া আছে।
http://med.stanford.edu/…/scientists-discover-how-to-change…
উপায় নং ২: ডিএনএ ন্যানোবট
ডিএনএ ন্যানোবট হল ডিএনএ নামক অণু দিয়ে তৈরী অতি ক্ষুদ্র রোবট, যারা ক্যান্সার কোষদের খুঁজে বের করে ধ্বংস করবে। পদ্ধতিটির আবিষ্কারক ইসরায়েলের বার ইলান ইউনিভার্সিটির গবেষকদল। গত বছর পদ্ধতিটি মানুষদের উপর পরীক্ষা করার ঘোষণা করা হয়।
ন্যানোবটটি দেখতে প্রস্থচ্ছেদে ষড়ভূজাকৃতির নলের মত। ক্যান্সার কোষের বাইরের দিকের প্রোটিনগুলোর মাধ্যমে ন্যানোবটটি ক্যান্সার কোষগুলোকে শনাক্ত করতে পারে। ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত হবার পর নলটি লম্বালম্বি দুই টুকরা হয়ে যায়, শুধু মুখের দিকে দরজার কব্জার মত একটি অংশ দিয়ে টুকরা দুইটা যুক্ত থাকে। নলের ভেতরের দিকের তল তখন উন্মুক্ত হয়ে যায়, যাতে ক্যান্সার-রোধি ওষুধ যুক্ত থাকে। সেই ওষুধ তখন ন্যানোটবট শনাক্তকৃত ক্যান্সার কোষে প্রদান করে সেই কোষটিকে ধ্বংস করে ফেলে।
http://singularityhub.com/…/can-dna-nanobots-successfully-…/
* ইলাবোরেশনগুলো লেম্যানদের জন্য, কেউ আহত হলে দুঃখিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.