নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার একটা উদ্ভট হাইপোথিসিস আছে। সেটা হল, সব মানুষের মধ্যেই একটা সাবকন্সিয়াস নেটওয়ার্ক কাজ করে। ব্যাপারটা ইথার ওয়েভ বা সাইকিক কোন কিছু না। এই সাবকন্সিয়াস নেটওয়ার্কে মেসেজ ট্রান্সমিট করা হয় মানুষের বডি ল্যাংগুয়েজ, ওয়ার্ড সিলেকশন, সাবলিমিনাল ল্যাংগুয়েজ দিয়ে। আর সেই ম্যাসেজটা রিসিভ করে আরেকজন মানুষের সাবকনসাইয়েন্স। যে রিসিভ করছে, সে জানতেও পারছে না, তার সাবকনসাইয়েন্স কী রিসিভ করছে; যে পাঠাচ্ছে, সেও জানে না সে কী পাঠাচ্ছে।
এটার অনুসিদ্ধান্ত বের করেছি, যার মনে মনে ভালো চিন্তা, সে আরেকজনের মনে ভাল মেসেজ দিবে, কারণ তার আচার-আচরণ, বডি ল্যাংগুয়েজেই ভাল চিন্তার প্রকাশ ঘটবে। আর যে ব্যাটার মনে খারাপ চিন্তা তার ক্ষেত্রে বিপরীতটা হবে। আর সে জন্যই মনে হয় কোন কারণ ছাড়াই কোন কোন মানুষের সাহচর্য খারাপ লাগে, কারওটা লাগে ভালো।
ওয়ার্ড চয়েসের ব্যাপারে যেটা বলতে পারি সেটা হল, মানুষের সাবকনসাইয়েন্স বিশাল একটা ডিকশনারি নিয়ে বসে আছে। তার মনে বর্তমানে যে চিন্তাটা চলছে, সাবকনসাইয়েন্স সেটাকেই গাইডলাইন ধরে শব্দ খুঁজবে যখন মানুষ একটা বাক্য গঠন করতে যাবে। এটার প্রভাব দেখা যায় মূলত মানুষের সর্বনাম পদ, বিশেষণ পদ, সম্বোধন ইত্যাদিতে।
উদাহরণস্বরূপ বলি, এক বার আমি পড়তাম এমন একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা একটা ইভেন্ট আয়োজন করবে (ধরলাম, ফুটবল টুর্নামেন্ট)। তো, একজনের সাথে আলোচনা করছিলাম গত বছরের একই ইভেন্ট নিয়ে। খেয়াল করলাম, সে গত বছরের টুর্নামেন্টকে "হেগো টুর্নামেন্ট" আর এই বছরের টুর্নামেন্টকে "আমাগো টুর্নামেন্ট" বলছে। যার সাথে কথা বলছিলাম সে একটু লীডার গোছের, কিন্তু এবারের আয়োজনের মূল হতে পারেনি, যদিও সে যুক্ত। সেখান থেকেই বুঝতে পারলাম, নিয়ন্ত্রণ অন্য আরেকজনের হাতে চলে যাওয়ায় সে ইগো ক্ল্যাশের সমস্যায় ভুগেছে।
তাই আমাদেরকে সবসময়ই অপটিমিস্টিক, প্রোঅ্যাকটিভ চিন্তা-ভাবনা ধারণ করা দরকার যেন সবার মনেই ভালো একটা ইম্প্রেশন থাকে।
পুনশ্চ: গরমে মাথা আউলা হয়ে আছে। আমার কথা-বার্তা সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই।
©somewhere in net ltd.