নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দিন আগের একটা মজার ঘটনা মনে পইড়া গেল। ঘটনাটা এতই আজব যে, আমার ধারণা অনেকেই এটা বিশ্বাস করবেন না।
ঘটনাটা ঘটে মিরপুর চিড়িয়াখানায় জলহস্তির খাঁচায়। জলহস্তির খাঁচার ভিতর এক ভাগ পানি, আরেক ভাগ মাটি। যে পাশে মাটি সেই পাশে শুধু সিংগেল বাউন্ডারি দেয়া। মানে, অন্যান্য খাঁচায় যেখানে খাঁচার শিকের বাইরে দেয়াল তুইলা দেয়া, যেন কেউ খাঁচার শিকে হাত না দেয়, সেটা ঐ সাইডে ছিল না।
তো, একটা জলহস্তি কী মনে কইরা পানি ছাইড়া মাটির সাইডে উইঠা আসছে। আমি মনে মনে ভাবতেসিলাম, আহা! ওটা যদি খাঁচার শিকের কাছাকাছি চইলা আসত, হাত দিয়া ছুঁয়া দিতাম...
ও মা! এরপর দেখি সত্যিই শিকের কাছাকাছি চইলা আসছে... আর যায় কই! আশেপাশে যত মানুষ ছিল শলার ঝাড়ুর টিংকা, বাঁশের কঞ্চি, গাছের ডাল, লাঠি- যে যা পারে হাতে লয়া জলহস্তিরে খোঁচানের জন্য দৌড় দিল। (ঐ যুগে মোবাইল ফোন এতটা চলত না, ক্যামেরা মোবাইল দূর কি বাত, নাইলে সবাই সেলফি তুলত।)
আমি মোটা-সোটা বাচ্চা পুলা, আমি আর খাঁচার কাছে যাওনের চান্স পাইলাম না। তো দূর থেকা দেখতেছি, কী হয়... হঠাৎ দেখলাম জলহস্তি বাবাজি মানুষজনের দিকে নিজের পশ্চাৎদেশ ঘুরায় দিল, তারপর যুগপৎভাবে হাগু আর হিসু করা শুরু করল। শুধু তাই না, সেগুলা আবার লেজ নাড়ায়ে নাড়ায়ে দর্শনার্থীদের দিকে ছিটায় দিতেসিল... যারা সবার আগে গিয়া চাম্পিয়ন হইসিল, তারা গোসল হয়া ফেরত আসল...
প্রকৃতি মানব সভ্যতার অহমিকারে ধূলিসাৎ কইরা দিল, চরিতার্থ করল নির্মম প্রতিশোধ।
মোরাল:
কোন কোন চান্স মিস হওয়াটাও অনেক সময় বড় প্রাপ্তি হয়া দেখা দেয়।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অশিক্ষা মানুষকে অমানবিকও করে। পশু হলেও অযথা খোচাখুচি করাটা একটু অমানবিক কামই। ঠিক কাম হইছে। কল্পনা করতেছি ব্যাপারটা
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার অভিজ্ঞতা। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৯
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: দৃশ্যটা কল্পনা করার চেষ্টা করছি। খোচাতে গিয়ে হাগু বৃষ্টির কবলে।