নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামাজিক অন্তর্জাল মাধ্যমে যে পরিমাণে হাস্যরসাত্মক উপাদানের ছড়াছড়ি তাতে দৈনিক পত্রিকার সাপ্তাহিক বিদ্রূপ ম্যাগাজিন তো মামুলি বাত, খোদ উম্মাদ পত্রিকাকেও ম্লান লাগে। দিন যতই যাচ্ছে সামাজিক অন্তর্জাল মাধ্যমের আবেদন মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার তুলনায় বাড়ছে।
এতদিন ফেইসবুক, ব্লগে মূলত মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার খবরগুলোর কমেন্টারি আর সাধারণ মানুষের রিঅ্যাকশন পাওয়া যেত; ফেইসবুক, ইউটিউবে যারা বিনোদন দিতেন তাদের অ্যাম্বিশন থাকত কীভাবে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় ঢোকা যায়। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি এমন হচ্ছে যে, সামাজিক অন্তর্জালের টপ টেন্ডিং টপিকগুলো নিজেরাই মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার খবর হয়ে যাচ্ছে- অর্থাৎ মেইনস্ট্রিম মিডিয়া নিজ তাগিদেই সোশ্যাল মিডিয়াকে অনুসরণ করছে।
আশি-নব্বইয়ের দশকের পরিবারের সবাই একসাথে বসে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখা সেকেলে হয়ে গেছে, এখন একা একা ইউটিউবে ছোট ছোট ভিডিও দেখা অথবা নেটফ্লিক্সের ডিভিডি-রেন্টাল সার্ভিস বা স্ট্রিমিংয়ের যুগ।
আমি অনুমান করি, অদূর ভবিষ্যতে মানুষ নিজেই ফ্রিল্যান্সিং করে সংবাদ উৎপন্ন করবে (ব্লগের চেয়েও বড় পরিসরে) আর এমন অ্যালগরিদম উদ্ভাবন হবে যেটি কিনা কোন অনলাইন কন্টেন্টের শুধু হিটই গুণবে না, পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সেটির গুরুত্বেরও মূল্যায়নও করতে পারবে, আর তার মাধ্যমে লিড নিউজগুলো মানুষ জানতে পারবে- কোন টিভি সেন্টার বা পত্রিকা অফিসের অবকাঠামো ছাড়াই। প্রতিটি কন্টেন্টের নিচেই দর্শক-পাঠকদের মন্তব্য দৃশ্যমান থাকায় পুরো কন্টেন্টটি একধরণে নিরপেক্ষতা আর বস্তুনিষ্ঠতার বাতাবরণে উপস্থাপিত হবে। আর তখনই হয়তবা মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ডিজরাপ্টেড হয়ে যাবে...
©somewhere in net ltd.