নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কিংবা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়া- কোন কারণে কোন কোষ যদি বিভাজন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তবে তাকে বলে সেনেসেন্ট কোষ। সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত কোষ যেন নিওপ্লাস্টিক বা টিউমার কোষে পরিণত হতে না পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা। তরুণ বয়সে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে এসব কোষ সরিয়ে নেয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই প্রক্রিয়া দুর্বল হতে থাকে আর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জমতে থাকে সেনেসেন্ট কোষ- যা কিনা বিভিন্ন অঙ্গে প্রদাহেরও সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি heart failure, arthritis, Alzheimer's এবং cancer এর পিছনেও এ্সব কোষের উপস্থিতিকে কারণ হিসেবে দেখা হয়। আয়ু হ্রাসের পিছনে সেনেসেন্ট কোষের উপস্থিতির একটা সম্পর্ক দেখা গেলেও তা কীভাবে আয়ু হ্রাস করে সেটা জানা যায়নি।
ড্যারেন বেকার ও জ্যান ফন ডুর্সেনের নেতৃত্বে মায়ো ক্লিনিক কলেজ অভ মেডিসিনের একটি গবেষক দল সম্প্রতি জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে ইঁদুরের কোষে ক্যাসপেস নামের এক ধরণের কোষ-বিদ্ধংসী প্রোটিন উৎপাদনের ব্যবস্থা করেন। কোষ এই প্রোটিন উৎপাদন করতে তখনই যখন একই কোষ p16 নামের একটি টিউমার নিরোধী প্রোটিন উৎপাদন করবে এবং ইঁদুরের শরীরে একটি বিশেষ ওষুধ প্রদান করা হবে। সেনেসন্ট হয়ে গেলেই কোষ p16 নামের প্রোটিনটি উৎপাদন করে থাকে।
তাহলে ব্যাপরটা এরকম দাঁড়াল, জিন প্রকৌশলিত ইঁদুরগুলো মধ্যবয়সে (ইঁদুরের ক্ষেত্রে ১২ মাস, মানুষের ক্ষেত্রে যেটা ৪০ বছর) উপণীত হবার পর তাদের পেটে বিশেষ ওষুধটি ইনজেক্ট করা হত। কোষ সেনেসেন্ট হবার পর যখনই p16 উৎপাদন করেছিল, বিশেষ ওষুধটির উপস্থিতিতে ক্যাসপেস উৎপাদন শুরু হয়ে গেল, ক্যাসপেস সঞ্চয় করতে করতে কোষগুলো ধ্বংস হয়ে গেল।
এই প্রক্রিয়ার ইঁদুরের আয়ু কেবল সর্বোচ্চ ৩৫% (গড়ে ২৫%) পর্যন্ত বৃদ্ধিই পায়নি, এই অতিরিক্ত আয়ু ছিল রোগমুক্ত। অবশ্য পুরো ব্যাপরটির মধ্যে একটিই বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, সেটা হল কোন জখম হলে তা সেরে যেতে সময় বেশি লাগছিল। কারণ সেনেসেন্ট কোষগুলো জখম সারানোতে আর স্কার কোষ (শরীরের কোন ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় যেসব কোষ জন্মে) উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে।
view this link
নেচারের মূল গবেষণাপত্র
©somewhere in net ltd.