নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Wasiful Gofur Abir\n\nFacebook ID: Wasif Abir

দ্যা বান্দর

দ্যা বান্দর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিটিক্যাল চিন্তা বনাম ন্যারেটিভ আর রেটরিক

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

একটা সময় চিন্তা করতাম সবাই ক্রিটিক্যালি, র‌্যাশিওনালি চিন্তা-ভাবনা করলে আর টলারেন্ট হলে কতই না ভালো হত! কিন্তু এখন আমার যেটা মনে হয়, সমাজের বেশিরভাগ লোকই ক্রিটিক্যালি চিন্তা-ভাবনা চর্চা করতে পারবে না, পারবে না মানে সমাজ তাকে সে ফুসরতটা দিবে না আর মানুষ নিজেও প্রয়াস পাবে না।

তাই তারা আর্গুমেন্ট করবে বয়ান বা ন্যারেটিভ নিয়ে, রেটরিক নিয়ে। ফেইসবুকে বিভিন্ন পাবলিক গ্রুপ বা পেইজে যেসব তর্ক-বিতর্ক হয় সেসব এক বয়ান বনাম আরেক বয়ানের লড়াই।

একটা উদাহরণ দেই। কয়েকদিন আগে আমি মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে আগ্রহী ছিলাম। ফিজিক্স আমার পড়ার বিষয় না, আমি ফার্মেসিতে গ্র্যাজুয়েট করছি, চর্চার অভাবে ক্যালকুলাস ভুলে গেছি। তাই ম্যাগাজিন, ইউটিউব আর ব্লগের সাহায্যে কনসেপ্টটা জেনে নিলাম, বন্ধুদের সাথেও আলোচনা করলাম। আমরা জানি, বিজ্ঞান প্রকৃতির কোন ঘটনাকে বিশ্লেষণ করার জন্য হাইপোথিসিস বা মডেল দাঁড় করায়। তারপর ডাটা সংগ্রহের (সেটা হতে পারে এক্সপেরিমেন্ট করে) মাধ্যমে ঐ মডেলের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে। সব ডাটা যদি মডেলটাকে সমর্থন না করে তাহলে মডেল বা হাইপোথিসিসটাকে অ্যাডজাস্ট করে নেওয়ার অপশনও খোলা আছে। আবার মডেলটা টিকে গেলেও অনেক সময় সব ঘটনার ব্যাখ্যা হাজির করতে পারে না। আরও ভালো কোন মডেলের অভাবই ঐ মডেলটাকে টিকিয়ে রাখে।

কিন্তু মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে জানার সময় ঐ মডেলের কোন খুঁত আছে কিনা জানার সুযোগ নেই আমার, কারণ মূল রিসার্চ পেপার পড়ে বোঝার যোগ্যতা বা ফুসরত কোনটাই নেই্ আমার। তাই আমি যেটা জানলাম সেটা সায়েন্স না, সায়েন্স নিয়ে মিথোলজি- যেটা বিজ্ঞান সাংবাদিকেরা সব অসামঞ্জস্য ঝেড়ে-পুছে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন। একই বিষয় রাজনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন।

স্কুল-কলেজে তাই বয়ান গেলান হয়, যারা আরেকটু মেধাবী তারা বয়ানকে ডিফেন্ড করা শিখে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বয়ানের সাথে আবেগ যুক্ত হয়, আর আবেগের বশে মানুষজন ভিন্ন বয়ানের লোকদের শত্রুজ্ঞান করে।

সম্ভবত সমাজের চাকা চালু রাখার জন্য এই বয়াননির্ভরতা একটি অতিআবশ্যক উপাদান।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

বেদের ছেলে মফিজ মিয়া বলেছেন: গরমে খাসিতে পরিণত হলো রাজারবাগের তিন কুকুর !
প্রচন্ড গরমে এবার খাসিতে পরিণত হলো একই পরিবারের তিনটি কুকুর। রাজধানীর রাজারবাগে মির্জা আব্বাসের বাড়ির সামনে এই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে। উৎসুক জনতার ভীড় সামল‍াতে খাসি তিনটিকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।



জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কুকুর তিনটি ওই এলাকায়ই বসবাস করছিলো। এরমধ্যে ছিলো একজন ছিলো মহিলা কুকুর। আর দুজন ছিলো তার দুই সন্তান, পুরুষ কুকুর। প্রতিদিনকার মত আজ সকালেও তার‍া রোদ পোহাতে এলাকার একটি কনফেকশনারী দোকানের সামনে গিয়ে বসে। বিশ্রাম নিতে নিতে একসময় তারা ঘুমিয়ে যায়। ঘুমের মধ্যেই তাদের দেহের আবরণ বদলাতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বদলে যায় পুরো দৃশ্য। রোদের উত্তাপে খাসিতে পরিণত হয় কুকুর তিনটি !


খাসির হবার পর পুলিশের হেফাজতে তিন কুকুর


এসময় ভয় পেয়ে আশেপাশের লোকজন চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে খাসি তিনটির ঘুম ভেঙ্গে যায়। এবং একে অপরকে অবাক হয়ে দেখতে থাকে।

শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত বিবিসি, সিএনএন ও রয়টার্স থেকে তিনজন সাংবাদিকসহ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন খাসি তিনটিকে নেড়েচেড়ে দেখার জন্য। - প্রথম আলু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.