নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন আইনের ছাত্র।

ওয়াজি২০১৫

মাহামুদ ওয়াজেদ, এল এল বি, (অনার্স) এল, এল, এম (নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ) অ্যাডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা,হেড অব এমিকাস ল চেম্বার। লেখক-আইনের সহজ পাঠ(জুডিসিয়াল এবং অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষার জন্য), হ্যান্ড বুক অব কোড অব সিভিল প্রসিডিওর এবং পেনাল কোড, সাবেক সাধারন সম্পাদক, ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং বিডি ইয়ুথ ইন অ্যাকশন। ভোলেনটিয়ার কো-ওরডিনেটরঃ হিউম্যান কনসান ইন্টারন্যাশনাল , কানাডা, এবং নিউ লাইফ স্কুল ফর স্ট্রীট চিলড্রেন।

ওয়াজি২০১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাপি-রুবেলের ধর্ষণ মামলা এবং আমাদের আইন

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২২

বেশ কিছু দিন ধরে হ্যাপি-রুবেলের ধর্ষণ মামলা একটা আলোচিত বিষয় হিসেবে সকল পত্রিকার খবের প্রাধান্য পাচ্ছে। ইতিমধ্যে ফরেনসিক রিপোর্ট নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লিখার ইচ্ছে আমার একদমই ছিল না, মনে হয়েছিল সমাজে এমনটা ঘটে, যা নিয়ে এতো অবাক হবার কিছুই নেই। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হ্যাপি কে বেশ খারাপ চরিত্রের মানুষ হিসাবে প্রমান করার জন্য সম্ভাবত রুবেল ভক্তরা উঠে পড়ে লেগেছেন। শুধু কি রুবেল ভক্তরা নাকি তাঁদের সাথে পুরুষতান্ত্রিকে এই সমাজে যারা কিনা নারী কে সবার আগে বলির পাঠা বানাতে পটু তারও আছেন ? যাইহোক বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।বলিকি নিশি রাতে গোপন পথে একটু আটটু হাঁটার অভ্যাসতো আমাদের সকলের কম বেশি আছে, তাই বলিকি কে কি ছিল ঐটা না ভেবে মামলাটাকে চলতে দিন। তবেই না আসল সত্যি বের হয়ে আসবে। আমি কাউকে দোষী করার জন্য লিখতেছিনা, কে দোষী এবং নির্দোষী ঐটা প্রমানের দায়িত্ব আমার না আদালতের।
বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ব্যাখ্যাতে বলা আছে, যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বত্সরের অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া, যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন৷অর্থাৎ বাংলাদেশের নারী নির্যাতন আইনের এই ধারায় প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকেও ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই প্রেম পরবর্তী দুজনের মিউচুয়াল সেক্স হবার পর কোন কারণে যখন সম্পর্ক নষ্ট হয় কিংবা প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করে তখন প্রেমিকার সুযোগ থাকে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার। এখানে প্রতারণার মাধ্যমে সম্মতি আদায়ের ব্যাপারটি আদালতের নিকট প্রাসঙ্গিক হতে পারে। এছাড়াও হ্যাপি-রুবেলের প্রেম পরবর্তী দুজনের শারীরিক সম্পর্কের প্রমানের জন্য সহায়হক হিসেবে ধারণ করে রাখা প্রমানাদিও প্রাসঙ্গিক। কারন কোন একটা চুক্তি প্রমানের জন্য ভবিষ্যতের অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়ানোর জন্য যদি কেউ কোন তথ্য সংরক্ষণ করে সেক্ষেত্রে তা কোন ভাবেই অপরাধ নয়।
এখন আসুন একাধিক যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে যে বিতর্ক চলছে সেই বিষয়ে আলকপাত করি, একাধিক যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ প্রমানের জন্য বাঁধা হতে পারে এমন কোন বিধান বাংলাদেশের আইনে আছে কি? দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা এবং বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ ধারাতে উল্লেখিত বিধানে এমন কোন কথা উল্লেখ না থাকায় বলা যাই, যদি ডি এন এ টেস্টে একাধিক সম্পর্কও ধরা পড়ে তারপরও যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকবে তাঁর বিচারে কোন বাঁধা থাকতে পারে না। হ্যাপির বহুগামিতা কারনে যদি তাঁর মামলাটা কে খাটো করা হয়, ঐটা হবে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। মনে রাখতে হবে একজন পতিতাও ধর্ষণের স্বীকার হতে পারে, এবং এটাই রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব অপরাধের বিচারের বাবস্থা করা। দয়া করে কেউ কারোর ব্যাক্তগত চরিত্র এবং অপরাধ কে এককরে গুলিয়ে খাবেন না।
মাহামুদ ওয়াজেদ
এল এল বি, এল এল এম
শিশু অধিকার কর্মী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.