নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাইফ সামির (Saif Samir), প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্লগার। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। পড়ে দেখুন পুরনো দিনের লেখা! যোগাযোগের ঠিকানা: www.facebook.com/saifsamir

সাইফ সামির

মুভি ক্রিটিক ব্লগ

সাইফ সামির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চোখে বঙ্গবন্ধু: চারটি কঠিন প্রশ্নের উত্তর

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

বঙ্গবন্ধু কেমন মানুষ ছিলেন সেটা বিবেচনায় যাওয়ার আমার দরকার কি? বঙ্গবন্ধুকে বিচার-বিবেচনা করার মত যোগ্যতা কি আমার আছে? বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে নেওয়ার 'অপরাধে' আমাকে আবার আওয়ামী লীগের আদমি বলে বিবেচনা করা হবে না তো? আমি তো আওয়ামী লীগ করি না, ভাল লাগে না। আমি তো হাসিনাকেও পছন্দ করি না। উনি বেশি কথা বলেন। আমি তো কোন দলই করি না। দল ছাড়া কি মানুষ হতে পারে না? কোন একটা রাজনৈতিক দলকে কি আমার সাপোর্ট করতেই হবে? এটা কি মাজহাবের মতো নাকি? মানুষ হয়ে জন্মেছি দেখে কোন একটা ধর্ম থাকতে হবে এমন কিছু? ধর্ম ছাড়াও তো মানুষ আছে। দল ছাড়াও মানুষ থাকতে পারে, আছে না অনেকে? আমি তেমনই একজন। আমি সব দলকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পজিটিভ-নেগেটিভ আলাদা করতে পছন্দ করি। উত্তরাধুনিক যুগে একজন তরুণ কোন একটি দলকে সারা জীবন পছন্দ করার মানসিকতা ধারণ করবে কেন? কেন সে কোন রাজনৈতিক দলের বা নেতার মানসিক দাসত্ব করবে? দলের বা নেতার অপছন্দনীয় বিষয়গুলো কেন সাহস করে মুখ ফুটে বলতে পারবে না? অন্য কেউ বলতে চাইলে কেন তাকে থামিয়ে দেয়ার জন্য হাত-পা নিশপিশ করবে?



কিন্তু আমার মতো দল ছাড়া মানুষের মুখে একজন 'দলীয়' মানুষের নাম কেন? দল ছাড়া মানুষের তো ভয়ে ভয়ে থাকার কথা। তার তো কোন রাজনৈতিক মানুষের নাম মুখে আনার কথা না; পাছে যদি কোন দলের লোক বলে 'ট্যাগ' দিয়ে দেয়া হয়! কিংবা কোন মতামত কারও পক্ষে বা বিপক্ষে যাচ্ছে দেখে পছন্দের তালিকা থেকে নাম কেটে দেয়া হয়? হামলা-মামলা-কুৎসা-রটনার কথাও ভুলে যাচ্ছি কেন! দল ছাড়া মানুষের ভয়টা আমার নেই কেন? নির্বিরোধী মানুষ হিসেবে সেই ভয়টা কি থাকা উচিত না? নাহ। মানি না। দলহীন মানুষদের উচ্চারণ বরঞ্চ আরও সাহসী হওয়া উচিত। দলহীন মানুষরা যেহেতু কারও অন্ধ অনুকরণ করে না তাই তাদের সাহসী হওয়ার পথ বেশি প্রশস্ত। দলহীন মানুষরা যেহেতু কারও দাসত্ব করে না তাই তাদের চিন্তা-চেতনা-মতামত স্বচ্ছ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।



তাই বঙ্গবন্ধু নিয়ে কথা বলতে আমার কোন সঙ্কোচ নেই। এই দেশের মানুষ হিসেবে তাকে মূল্যায়ন করার অধিকার আমারও আছে। ইতিহাস যতটুকু পড়েছি, জেনেছি, বুঝেছি তাতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার কোন বিতৃষ্ণা নেই। উৎসাহের পরিমাণটাই বেশী। কিন্তু তাকে নিয়ে আমি এখানে কোন বিশদ আলোচনায় যাচ্ছি না। শুধু আমার টুকরো কয়েকটি ভাবনা সহজ কিন্তু স্পষ্ট করে তুলে ধরবো। যা অনেকের ভাবনার সাথে মিলে যাবে আবার অনেকের সাথে মিলবে না।



বঙ্গবন্ধু কি অবিসংবাদিত নেতা নাকি দলীয় নেতা?



অবশ্যই বঙ্গবন্ধু একজন অবিসংবাদিত নেতা। যারা তাকে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা মনে করেন তারা ভুল করেন। এই ভুলের দায়ভার তাদের নিজেদের যেমন আছে তেমনি খোদ আওয়ামী লীগের উপর বর্তায়। পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগ, বিশেষত ছিয়ানব্বইয়ের নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার এর জন্য দায়ী। ছিয়ানব্বইয় থেকে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এতো বেশী মাতামাতি করেছে যে লোকজন বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে আছে সেই সময়ে বিটিভিতে এতো বেশী 'বঙ্গবন্ধু চর্চা' করা হতো যে বঙ্গবন্ধুকে ব্যাঙ্গ করে 'বঙ্গবল্টু' ডাকা হতো, 'জাতির পিতা' কথাটিকে বিকৃত করে বলা হতো 'জুতার ফিতা'। এর জন্য কে দায়ী? শুধু কি বিটিভি তথা বঙ্গবন্ধু চর্চা কেন্দ্র, নাকি খোদ বঙ্গবন্ধু কন্যা? যিনি সবকিছুতে পিতার নামের স্বাক্ষর দেখতে চেয়ে পিতাকেই বিতর্কিত করে ফেলেছেন। নাকি আওয়ামী নেতা-কর্মীদের? যারা নেত্রীকে খুশ রাখতে গিয়ে হুশ হারিয়ে ফেলেন।



আওয়ামী লীগ দেশের নেতা বঙ্গবন্ধুকে বানিয়েছে শুধু তাদের দলের নেতা। লেবু বেশি চাপলে যেমন তিতা হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর দশা হয়েছে তেমন। আওয়ামী লীগের বর্তমান আমলেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। গুণকীর্তনেরও যে একটা সীমাবদ্ধতা আছে এবং পরিমিতি বোধের অভাব যে বিপরীত পরিণতি ডেকে আনে সেই সহজ সত্যটা তারা বুঝতে চায় না। তাই যেখানে সেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে নিতে মুখে ফেনা তুলে লোকজনকে বিরক্ত বানিয়ে ফেলে।



এইসব কারণে এখন যদি কেউ একজন অবিসংবাদিত নেতাকে দলের নেতা বলে তাচ্ছিল্য করতে থাকে দোষটা কি সেই দলের ঘাড়েই পরে না?



যুগ পাল্টেছে, মানুষের চিন্তাধারা বদলেছে, এখন প্রচারের ভাষাও বদলেছে, আর বঙ্গবন্ধু কোক বা পেপসি নয় যে তাকে এভাবে প্রচার করতে হবে। আজকাল কোক কম্পানিও যদি কারও কানের কাছে এসে সারাদিন 'কোক খাও' 'কোক খাও' বলে ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ করতে থাকে তবে কোক প্রিয় পানীয় হলেও বিরক্ত হয়ে ছেড়ে দিতে পারে।



বঙ্গবন্ধু শাসক হিসাবে কেমন ছিলেন?



বঙ্গবন্ধু একজন উঁচু দরে মানুষ ছিলেন তাই বলে ফেরেশতা ছিলেন না। ঘোর আওয়ামী লীগ যারা করেন তারা বঙ্গবন্ধুকে ফেরেশতা হিসাবে প্রচার করতে পছন্দ করেন। কিন্তু একজন মানুষকে ফেরেশতার সঙ্গে তুলনা করতে হবে কেন? ফেরেশতা মানুষের চেয়ে বড় হলো কোন দিক থেকে? মানুষকে হাজারটা সমস্যা ও পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, ফেরেশতাদের কি সেই সব ঝামেলা আছে? বঙ্গবন্ধু যেমন একজন মানুষ ছিল তাই মানবীয় দোষ-ত্রুটিও তার ছিল। তাই হয়তো তাজউদ্দীন আহমেদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি, পরিবার ও দলীয় লোকদের লাগাম ছাড়া কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, বাকশালের মতো ভয়ংকর ব্যাপার-স্যাপার মাথায় চেপে বসেছিল। কিন্তু তার আশে-পাশের লোকগুলোকে দায়ী করা ছাড়া শুধু তাকে তো দায়ী করা যাবে না! তাই বলে তো বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় অবদানের কথা অস্বীকার করা যাবে না! একটা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পরিচালনা করা চাট্টিখানি কথা ছিল না।



বঙ্গবন্ধু কি জাতির জনক?



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হয় জাতির পিতা, ফাদার অফ দি ন্যাশন। কোন জাতির পিতা? বাঙালি জাতির? বাঙালি তো পশ্চিম বাংলায়ও আছে। তাদের কাছে তো বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা না। বাংলাদেশে তো অবাঙালিও আছে, তাদের জন্য কি বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হবেন না?



সোজা কথা হল, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনক। তার হাত ধরে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বাধীনতা এসেছিল। এটা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক জাতীয় নেতার ভূমিকা ছিল, কিন্তু শেষ পরিণতিটা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই হয়েছিল। যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানে কারাবন্দী ছিলেন, তিনি নিজে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেননি- এগুলো কোন কাজের কথা না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে- এটাই চরম সত্য। ভৌগলিক বা রাষ্ট্রীয় জাতীয়তার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা-পুরুষ, বাংলাদেশের জাতির পিতা বা জাতির জনক।



বঙ্গবন্ধু কি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি?



আমার কাছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি তিনজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং শেখ মুজিবুর রহমান। রবীন্দ্রনাথ আমাদের মানসলোকের প্রথম সার্থক মুক্তিদাতা, বাঙালি সংস্কৃতির ভাষ্যকার। নজরুল শুধু মনের মুক্তিতে থেমে থাকেননি, তিনি পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে প্রকৃত মুক্তির মন্ত্র শিখিয়েছেন। শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলাকে দিয়েছেন বহু কাঙ্ক্ষিত মুক্তির অমিয় স্বাদ, শত্রু মুক্ত আকাশ-বাতাস।



আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।

চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।




পূর্বপুরুষদের সমালোচনা করার চেয়ে পূর্বপুরুষদের অবদানের কথা আমরা যেন বেশি করে স্মরণ করি; সমস্ত মানসিক দাসত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি। এটাই প্রত্যাশা।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫২

ডানামনি বলেছেন: প্রশ্নের উত্তর গুলোর সাথে সহমত।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২

সাইফ সামির বলেছেন: সঠিক পথে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন!

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সময়ের সত্য কথা
চেতনায় সুদ্ধতা +

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

সাইফ সামির বলেছেন: চেতনা জাগ্রত থাকুক। দাসত্ব মুক্ত হোক।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
আসাধারণ লিখেছেন।
+ + ++++++++++++

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

সাইফ সামির বলেছেন: সত্য যেন বলতে পারি সৎ সাহসে। মিথ্যা যেন দেখাতে পারি আঙুল তুলে।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

েমা খােদমুল ইসলাম বলেছেন: আসাধারণ, ++++++++

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

সরোজ রিক্ত বলেছেন: ১০০০ বছরে উনারা ৩ জন ছাড়া আর কেউ জন্ম নেন নাই?

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

সাইফ সামির বলেছেন: কেন, আপনার দাদা, দাদার দাদা. দাদার দাদার দাদা, দাদার দাদার দাদার দাদা, দাদার দাদার দাদার দাদার দাদা, দাদার দাদার দাদার দাদার দাদার দাদা .... .... ..... জন্ম নিছেন না? :P

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

নতুন বলেছেন: আমার কাছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি তিনজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং শেখ মুজিবুর রহমান।


এদের নাম হাজার বছর পরে বাংলা ভাষায় কথা বলার মানুষেরা মনে রাখবে...

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

সাইফ সামির বলেছেন: এদের নাম হাজার বছর পরে বাংলা ভাষায় কথা বলার মানুষেরা মনে রাখবে...


হ্যাঁ, এটাই চরম সত্য!

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: sohomot apnar sathe.tobe ziur rahmanr nam o thakbe joto din Bangladesh thakbe.Shadhinotar pathok or ghosok jai bolen,unar nam thakbe..
bangladesher itihase tini sobcheye jonopRiyo shasok..
++++

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

সাইফ সামির বলেছেন:

জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে নিয়ে আমার ভাবনা আরেকদিন লিখে জানাবো।

মতপ্রকাশের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

স্বপনবাজ বলেছেন: প্রতিটা বাক্যের সাথে সহমত পোষণ করছি ! অসাধারণ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ! ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই মুহুর্তে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলকেই সমর্থন জানাই না ! কিন্তু যখন দলীয় স্বার্থে এমন একজন কে নিয়ে টানা টানি হয় খারাপ লাগে ! জাতীর পিতা বাকশাল কেন কায়েম করেছিলেন আমি জানিনা , ঐ সময় টা আমরা দেখিনি , তবে ইতিহাসের পরিক্রমা অনুযায়ী বলা যায় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র তখন ও চলছে ! পাশাপাশি দেশের ভিতরে বহিরাগত ষড়যন্ত্রে তৈরী হয়েছে অনেক শক্তি ! একা একটি যুদ্ধ বিধস্ত দেশ পরিচালনা করা কখনোই সহজ না , যদি না আশেপাশের মানুষ জন আন্তরিক বা দেশপ্রেমিক না হয় ! সবাই পায় সোনার খনি , আমি পাইছি চোরের খনি - এই কথাটা তিনি আশেপাশের মানূষদের প্রতি তার অনাস্থার জন্যই বলেছিলেন ! এখন এত অনিয়ম , এত দূর্নিতী কই আমাদের কোন নেত্রীকে তো দেখিনা স্বীকার করতে ! অথচ সবাই সব বুঝে ! দোষ আসলেই প্রতিপক্ষের দোষ দিয়ে নিজের টা আড়াল করার চেষ্টা ! মনে পড়ছে ওনার আরেকটি বানী - "৭ কোটি বাঙ্গালী র নয় কোটি কম্বল , আমার টা কই ???? "
এখন কার কেউ কিছু করতে না পারুক , এমন সাহস দেখাক , তাহলেই দুখী বাঙ্গালী খুশি , আমাদের চাওয়া পাওয়া আসলে খুবই কম ! এই দু;সময়ে দরকার সত্যিকার দেশপ্রেমিক নেতা ! কিন্তু কই ভাইনোকুলার দিয়েও কাউকে দেখিনা , সব ব্যাস্ত দলাদলিতে !

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৩

সাইফ সামির বলেছেন: আত্ম-সমালোচনা বা নিজের দলের সমালোচনা করার সৎ সাহস বঙ্গবন্ধুর ছিল। কিন্তু আজকালকার নেতা-নেত্রীদের কথা বলছেন? সব তো ভণ্ডের দল! নিজ দলের কোন নেতা, নিজ দলের কাউকে খুন করলেও তো টু শব্দটি করে না।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

বোকামন বলেছেন: পূর্বপুরুষদের সমালোচনা করার চেয়ে পূর্বপুরুষদের অবদানের কথা আমরা যেন বেশি করে স্মরণ করি; সমস্ত মানসিক দাসত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৫

সাইফ সামির বলেছেন: এটাই সারমর্ম।

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: "বঙ্গবন্ধু শাসক হিসাবে কেমন ছিলেন?"- এই অংশটা আরো বিস্তারিত আলোচনার দাবী রাখে। বাকিগুলোর সাথে মোটামুটি সহমত।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৯

সাইফ সামির বলেছেন: বঙ্গবন্ধু সংগ্রামী নেতা হিসেবে যতোটা সফল ও জনপ্রিয় ছিলেন, প্রশাসক হিসেবে হয়তো অতোটা সফল ও জনপ্রিয় ছিলেন না। কিন্তু সময়টা ছিল অস্থির আর রাজ্যের দায়ভার রাজার একার না। সভাসদদেরও দায় আছে।

১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

জাতিস্বর বলেছেন: পূর্বপুরুষদের সমালোচনা করার চেয়ে পূর্বপুরুষদের অবদানের কথা আমরা যেন বেশি করে স্মরণ করি; সমস্ত মানসিক দাসত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি। এটাই প্রত্যাশা।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫০

সাইফ সামির বলেছেন: এটাই সারমর্ম।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৯

আমি কবি নই বলেছেন: একজন ভালো ছাত্র সবসময়ই ভালো শিক্ষক হতে পারেনা, উনি ছিলেন এই বিশ্বের সবচেয়ে ইনফ্লুয়েনশিয়াল নেতাদের একজন। কিন্তু উনি অতটা ভালো শাষক ছিলেননা। তাই বলে তার অবদান অস্বীকার করা আর বাংলাদেশ কে অস্বীকার করা একই কথা। শেখ মুজিব বাংলাদেশটির জনক এটা চিরন্তন সত্য। পোস্টে ++

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০৭

সাইফ সামির বলেছেন: এমন না যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম কোন কালেই হতো না কিন্তু তার কারণেই আঁতুড় ঘর থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ঘোষণা ত্বরান্বিত হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের জনক।
তিনি যে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের একজন ছিলেন তা তো বলাই বাহুল্য। আর কিছু না, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি শুনলেই তার প্রভাব-প্রতিপত্তি হাড়েহাড়ে টের পাওয়া যায়।
হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা।

ধন্যবাদ।

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মো কবির বলেছেন: মুজিবুর রহমানের ব্যাপারে আপনার কথার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই।
তবে বর্তমান আওয়ামীলীগ শুধু মুজিবুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়েই রাজনীতি করছে কিন্তু তার কোন নীতিই আজ তারা মেনে চলছেনা ।

বিএনপির একই অবস্থা নামের মাত্র জিয়ার আদর্শে দেশ গড়। তারপর কাছে যাওয়ার পর হাতে ধরিয়ে দিবে অস্ত্র।

শেখ মুজিব যে আসলে অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন তার একটা প্রমান দেখেন --
১৯৭২ সালে যুদ্ধের পর দেশে যখন পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই ওষুধ নেই, নেই জীবিকার চালানোর কোন উপায় কিন্তু তখনিই তিনি দেশে ১১ হাজার সরকারী প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
৪৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেন।
তারপর আবার ১৯৭৩ সালে ৩৭,১৭২ প্রাইমারী স্কুল সরকারী করেন।

কিন্তু লজ্জার বিষয় হচ্ছে, তারপর গত ১৯৭৩-২০১২ পর্যন্ত মাত্র ৫০০ টি স্কুল সরকারী করা হয়েছে।
এবার শেখ মুজিবের সাথে সবার তুলনা করে দেখুন তিনি কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। আর আজ আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি ।

আসুন সত্যিকারের শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদ্রসিত হয়ে এই দেশকে গড়ি। তাই যোগ দিতে পারেন আমাদের একটি গ্রুপে
.
.
.

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

সাইফ সামির বলেছেন: আমাদের উচিত, আমাদের ঐতিহাসিক জাতীয় নেতাদের সঠিক ইতিহাস জেনে, তাদের কর্ম সাফল্যকে স্মরণ করে, তাদের থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়া।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

শিপু ভাই বলেছেন:
সুপার্ব!!!+++++++++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাইফ সামির বলেছেন: শিপু ভাই, এদ্দিনে পড়লেন এটা? :(

যা হোক, বেটার লেট দেন নেভার! :)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!

১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

অভি৯১৭৫ বলেছেন: আপনার সাথে অনেকটাই একমত। দেয়াল উপন্যাসটি পড়লে বঙ্গবন্ধু এবং তার শাসন আমল সম্পর্কে বেশ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়।

৯৬ তে যখন লীগ ক্ষমতায় আসলো তখন বিটিভি কে মোটামুটি বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা বাক্সে পরিণত করে। এত অতি কথনের দরকার ছিল না। সেই সময় ঘরে ঘরে ডিস যায় নাই, ফলে মানুষ আরো বিরক্ত হয়ে পড়ে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাইফ সামির বলেছেন: হুমায়ূনের দেয়াল এখনও পড়িনি। ওয়ান্ট টু রিড লিস্টে আছে, শিগগির পড়ব। তবে 'জোছনা ও জননীর গল্প' পড়েছিলাম। অসাধারণ কাজ ছিল ওটা। আশা করি দেয়ালেও সেই ছাপ পাব।

৯৬ তে বিটিভিকে তো বঙ্গবন্ধু টেলিভিশন বানিয়ে ফেলেছিল! ক্ষণে ক্ষণে শুধু প্রচার করত জাতির জনকের স্বপ্ন, জাতির জনকের বাণী! তৎকালীন সরকার ভেবেছিল এভাবে করে করে জনগণের মন-মগজে বঙ্গবন্ধুকে ঢুকিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু এভাবে তো হয় না। লেবু বেশি চাপলে তিতা হয়ে যায়, পরিমাণ মতো চাপতে হয়।

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

নিমচাঁদ বলেছেন: একজন মানুষের প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ব আছে ।উনি কোন দলের সম্পদ নন , উনি বাঙ্গালী জাতির সম্পদ ।

উনি জাতির জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাইফ সামির বলেছেন: ঠিক।

আমরা তরুণ প্রজন্ম চাই না বঙ্গবন্ধুকে কেউ নিজ বা দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করুক। বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা তার আপন আসনে অক্ষত থাকুক!

১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

নেক্সাস বলেছেন: পূর্বপুরুষদের সমালোচনা করার চেয়ে পূর্বপুরুষদের অবদানের কথা আমরা যেন বেশি করে স্মরণ করি; সমস্ত মানসিক দাসত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি। এটাই প্রত্যাশা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সাইফ সামির বলেছেন: এটাই সারমর্ম।

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাইফ সামির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঘূণপোকা।

১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৭

তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: কোন মানুষ ফেরেস্তা হতে পারে না।বাংলাদেশের বীরদের নিয়ে লেখা পড়তে ভাল লাগে।++++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

সাইফ সামির বলেছেন: মানুষের তো ফেরেশতা হওয়ার দরকার নাই! বরঞ্চ ফেরেশতারা মানুষ হতে পারে নাই দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছিল! :)

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

জহির রায়হানের সময়ের প্রয়োজনে গল্পের মতো আমরা সবাই সময়ের প্রয়োজনেই চলছি, ভাবছি, করছি, লড়ছি...

সময়ের প্রয়োজনে যে যার স্থানে লড়ে গেছেন। ভুল শুদ্ধ কালের কষ্টিতে বিচার হয় হচ্ছে হবে।

আমরা কালের হাতে ছেড়ে দেই। মৌলিক সত্যটা আপনাতেই বেরিয়ে আসবে।



মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু, জিয়াউর রহমান সবাই কালোত্তীর্ন। আমরা সেখান থেকে শিক্ষাটুকু নিয়েই আমরা বরং এগিয়ে যাই। আমাদের দায় নিয়ে। সময়ের প্রয়োজনে।


১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩০

সাইফ সামির বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।

২১| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

গ্যাম্বলার বলেছেন: Darun ++++++

১১ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: সকল নিরপেক্ষ বাংলাদেশীর মনে বঙ্গবন্ধুর যে অবস্থান চমৎকারভাবে সেটা লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

সাইফ সামির বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক।

২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪০

ল্যাটিচুড বলেছেন: হাজার বছরের নয়, সর্ব কালের, শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

সাইফ সামির বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

রুম৭৪ বলেছেন: ++++++

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৫| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

নহে মিথ্যা বলেছেন: চরম... +++

৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৭

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

াহো বলেছেন:
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,

১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

সাইফ সামির বলেছেন:

অনস্বীকার্য। একটা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পরিচালনা করা চাট্টিখানি কথা ছিল না।

২৭| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১

াহো বলেছেন:
গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। এক মাস আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত দেশের ওপর নির্বিচার বলাৎকার চলেছে। যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো (কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল) তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।

শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী USA ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাইফ সামির বলেছেন:

অনস্বীকার্য। একটা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পরিচালনা করা চাট্টিখানি কথা ছিল না।

২৮| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো পোস্টে অনেক অনেক +++++

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাইফ সামির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫৮

জেরিফ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

সাইফ সামির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৫

নবাব চৌধুরী বলেছেন: দল ছাড়াও মানুষ থাকতে পারে, আছে না অনেকে? আমি তেমনই একজন। আমি সব দলকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পজিটিভ-নেগেটিভ আলাদা করতে পছন্দ করি।লেখক আমি আপনার সাথে শতোভাগ সহমত,আমি বিশ্বাস করি প্রাণপনে যদি এদেশের যূবক সম্প্রদায় তথা উদীয়মান তরুনেরা এই গূনটা লালন করতে পারে অর্থাৎ পা চাঠা রাজনৈতীক ধারা থেকে বের হয়ে গুয়ের গন্ধকে ঘ্রাণ না বলে গন্ধই বলতে শিখে তবেই জাতীর নিস্তার মিলবে।

যুগ পাল্টেছে, মানুষের চিন্তাধারা বদলেছে, এখন প্রচারের ভাষাও বদলেছে, আর বঙ্গবন্ধু কোক বা পেপসি নয় যে তাকে এভাবে প্রচার করতে হবে। আজকাল কোক কম্পানিও যদি কারও কানের কাছে এসে সারাদিন 'কোক খাও' 'কোক খাও' বলে ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ করতে থাকে তবে কোক প্রিয় পানীয় হলেও বিরক্ত হয়ে ছেড়ে দিতে পারে।বঙ্গবন্ধু তাই ছিলেন তিনি যেরকম,বঙ্গবাসী যা জানে তিনিও ততোটুকুই,উনাকে ফেরেস্তা বানানোর বৃথা চেষ্টা করে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে আওয়ামিলীগ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

সাইফ সামির বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.