নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাইফ সামির (Saif Samir), প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্লগার। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। পড়ে দেখুন পুরনো দিনের লেখা! যোগাযোগের ঠিকানা: www.facebook.com/saifsamir

সাইফ সামির

মুভি ক্রিটিক ব্লগ

সাইফ সামির › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ আর রহমান কনসার্ট: প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৫৩





আইয়ুব বাচ্চুর বিপক্ষে অন্য ব্যান্ডদলগুলোর একটা অভিযোগ প্রায় শুনি, তিনি খুব অবজ্ঞা করেন তাদেরকে। কাল নিজেই অবজ্ঞার শিকার হলেন। তাঁকে এই অবজ্ঞা কিন্তু কোন বড় ব্যান্ড, এ আর রহমান বা একন করেননি। করেছেন আয়োজক বিসিবি ও ধনীর দুলাল-দুলালীরা। তাই উদর পিণ্ডি বুঁদর ঘাড়ে মানে রহমান বা একনের ঘাড়ে ফেলাটা হবে চরম মুর্খামির পরিচয়। যদিও হুজুগে দেশ প্রেমের বুলি আওড়ে বাহবা পেতে এটাই করছেন অনেকে। এটা নেটিজেনদের পুরনো রোগ। দেশ প্রেম, বাংলা প্রেম, সংস্কৃতি প্রেম কাজে প্রমাণের চেয়ে ঝটিকা স্ট্যাটাসে দেখাতেই তারা বেশি উৎসাহী।



৭৫ হাজার টাকা দামের টিকেট কিনলেই যে ভালো দর্শক হওয়া যায় না এটা প্রমাণিত হলো। কনসার্ট সফল হয় দর্শকদের গুণে। সাদামাঠা পারফরমেন্সকে দর্শকরা চাইলে হৈ-হুল্লোড় করে মাতিয়ে তুলতে পারে। আবার অসাধারণ পারফরমেন্সের শো-কে নীরস-নিথর-অপদার্থ হয়ে পানসে করে ফেলতে পারে।



কালকের প্রোগ্রামে টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধন ঘোষণা করা হলেও এটি ছিল স্রেফ একটি কনসার্ট। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কি তা আমরা ২০১১ সালেই দেখেছি। রহমান ও একনই শোয়ের মধ্যমণি বাকিরা দুধভাত এটা জেনেও কেন অন্যরা গেলেন পারফর্ম করার আশায়? তাঁরা ঠিকই জানতেন আয়োজকদের ইচ্ছা আর উপস্থিত দর্শকদের চাহিদার কথা, তবুও রহমান/একনের সাথে একই মঞ্চে শো করার লোভ সামলাতে পারেননি। জানি, এভাবে বললে একটু কঠিন শোনায়, কিন্তু যে কনসার্টের প্রচারণা থেকেই তাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি সেখানে কনসার্টের মঞ্চে তারা কিভাবে গুরুত্ব আশা করেন?



এ আর রহমান একজন ব্যয়বহুল মিউজিশিয়ান। রহমানকে যারা হায়ার করেন এটা মেনেই করেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে রহমান ও তার মিউজিক বাংলাদেশিদের সামনে সরাসরি উপস্থাপনের প্রচেষ্টা খারাপ না। কলম্বিয়ার শাকিরা যদি ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপের আসরে গান গাইতে পারেন তেমনি আন্তর্জাতিক তারকা এ আর রহমান টিটুয়েন্টি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করতেই পারেন। কিন্তু গোল বাঁধাল আয়োজকরা, তাদের অনুষ্ঠান পরিকল্পনার চরম অদূরদর্শিতা গতকালের সেলিব্রেশনকে বিতর্কিত করেছে। এটা শুধু আমাদের জন্য না, খোদ রহমানের জন্য ছিল অস্বস্তিকর।



কনসার্টটির প্রোডাকশন ভ্যালু হাই হলেও অনুষ্ঠানটির টিভি প্রোডাকশন ভালো ছিল না, এর জন্য দায়ী চ্যানেল নাইন। অদ্ভুত দর্শকদের কথা তো আগেই বলেছি, চড়া দামে টিকেট কিনতে পারলেই সাপোর্টিভ দর্শক হওয়া যায় না। তেমন মানসিকতা ও রুচিও প্রয়োজন।



আর চ্যানেল নাইন লাইভ সম্প্রচারের নামে কি করেছে তা সবাই জানে। তারা একনের পারফর্মেন্সের আগে দর্শকদের কোন ইনভলবমেন্ট দেখায়নি। ভেন্যু দর্শকদের রিঅ্যাকশন দেখানো ছাড়া টিভিতে লাইভ প্রোগ্রাম কখনোই মজা পাবেন না। তাদের ক্যামেরা ওয়ার্ক ছিল শুধু মঞ্চকেন্দ্রিক, সেই ক্যামেরা মুভমেন্টও যথেষ্ট লাইভ-বান্ধব ছিল না। সাউন্ড টেলিকাস্টের সমস্যা, বিজ্ঞাপনের দৌরাত্য তো ছিলই। মনে রাখতে হবে, এই এ আর রহমানই বিশ্বজুড়ে অসংখ্য কনসার্ট মাতিয়েছেন একই সহজাত স্টাইলে।



একটা শ্রেণী এখানে রহমানের ভারতীয় হওয়াকে দোষ ধরে দেশপ্রেমের ছোঁয়া লাগিয়ে ভারত-বিদ্বেষী হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে। দেশপ্রেমের কারণেই সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই আছে কিন্তু তার মানে এই না যে কেউ ইন্ডিয়ান হলেই তাঁকে বিতর্কিত করার জন্য পায়তারা করতে হবে। আপনারা তো গুণীর সম্মানের কথা বলেন, গুণী বিদেশী-ইন্ডিয়ান হলেই তাঁকে অসম্মান করে কথা বলবেন নাকি? তাহলে আজ থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, অমর্ত্য সেন, এপিজে আবুল কালাম, মকবুল ফিদা হুসেন এদের নিয়ে খিস্তি-খেউর শুরু করে দিন, মূর্খতা-ভণ্ডামির মহোৎসব হোক। যাকে মারার তাকে না মেরে নিরীহ-নির্দোষ অন্য কাউকে মেরে কাকে কি শেখাতে চাচ্ছেন? আগে ঘরের মশাগুলো মারুন মশায়রা।



দোষ কি, দোষ কার, কেন হলো, আসল শত্রু কে, কিভাবে এড়ানো যেত এসব আগে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে-চিন্তে চিহ্নিত করুন। তা না হলে ঘটনা ঘটবার অব্যবহিত পর হাতুড়ে ডাক্তারের মতো এসে ভয়ঙ্করী বিদ্যার প্রমাণ-ছাপ অনলাইন দুনিয়ার বড় রাস্তা, অলি-গলি, ঝোপ-ঝাড়ে রাখতেই থাকবেন।



নিজেকে বড় করে দেখানোর জন্য, নিজের দেশপ্রেম প্রমাণের জন্য অন্যকে ছোট করে দেখানোর মানসিকতা অসুস্থ নয় কি? যে কোন কিছু নিয়ে আদ্যোপান্ত না ভেবেই মুহূর্তেই খেচাখেচি করাটা কতিপয় লোকের দেশপ্রেম শো অফ করার রোগে পরিণত হয়েছে। এসব অসুস্থ কপট দেশপ্রেম থেকে মুক্তি চাই।



_______



প্রথম প্রকাশ: বাংলা অনলাইন ম্যাগাজিন, ১৪/০৩/১৪

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:১০

এম এ কাশেম বলেছেন: ভুল তো এ আর রহমান করেনি , করেছে আমাদের কিছু দালাল মানসিকতা সম্পন্ন পরজীবি চেতনধারী, ধিক তাদের।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

সাইফ সামির বলেছেন:

এ আর রহমানকে কোথাও কনসার্ট করতে নিয়ে যাওয়া এতো সহজ না। এ আর রহমান এমনই এক মহাশিল্পী যিনি অন্য তারকাদের মতো মোটা অংকের টাকা পেলেই যে কোনখানেই কাজ করতে ছুটে যান তেমন সস্তা কমার্শিয়াল মানুষ না।


তার মতো একজন লিজেন্ডারি মিউজিক ম্যাজিশিয়ান আমাদের দেশে পারফর্মেন্স করতে এসেছেন এটা আমাদের জন্য গর্বেরই।


কিন্তু এখানে আসাটা সম্ভবত এ আর রহমানের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:০৯

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: ভাল লেখা। প্রায় সব পয়েন্টেই একমত।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

সাইফ সামির বলেছেন:

সহমত পোষণের জন্য সাধুবাদ।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১৪

এস বাসার বলেছেন: ভুল অবশ্যই আমাদের! এমন এক দেশে জন্ম নিলাম যেখানে পাকিপ্রেমী আর ভারতপ্রেমী ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নাই! হয় এ ধার না হয় ওধার!!

মাঝখানে বাংলাপ্রম সেই কবেই মরে ভূত!!!

এ আর রহমানের কনসার্ট কিংবা পাকিস্তানের পতাকা হৃদয়ে ধারন করেই যেন আমাদের সব চলে......... শেষমেষ বাংলা ভাষাটাও কবে বিলীন হয়ে যায়, সেই আশংকাটা মোটেও অমূলক নয়।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

সাইফ সামির বলেছেন:

ভুল এখানে যে বিদেশীদের অনুষ্ঠানে শুধু বিদেশীদেরই পারফর্ম করা উচিত আর দেশীদের অনুষ্ঠানে শুধু দেশীরাই পারফর্ম করবে। যৌথ কিছু করতে গেলে এদেশে ঝামেলা হবেই।

আরে দেশি শিল্পীদের নিয়ে এক মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে গেলেই কতো সমস্যার উদ্ভব হয়, তার ওপর সেই প্রোগ্রামে বিদেশি থাকলে তো দালালি ও আবেগী আচরণ সমান তালে চলে!!

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

করিম মিয়া বলেছেন: 'সাহারা বাংলাদেশের' জনগণের জন্য শুধুই আফসুস

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত।

চ্যানেল ৯ এর ইভেন্ট ক্যামেরা ওয়ার্ক এবং সাউনডের কোন অভিজ্ঞতা নেই ।

গতকাল সংসদের সামনে একটি অনুষ্ঠানে এক অপরিচিত পণ্ডিত আমায় বলছিলেন দেশের শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান করানো উচিৎ ছিল । তাকে বললাম কাকে দিয়ে করাতেন? লোকটি ধাক্কা খেলো । এটি তো টি ২০ র একটি অনুষ্ঠান , তারা যেভাবে চাইবে সেভাবেই হবে । লোকটি মাথা দোলাতে শুরু করল । আপনি কি বাকগ্রাউন্দ এনিমেশন আর লেজার ওয়ার্ক দেখেছেন । দেশে কোন ব্যান্ডের এই কোটি টাকার যন্ত্র পাতি আর দক্ষ লোকবল আছে ? এবার উনি পুরো উল্টে গিয়ে আমার সাথে কোরাস গাইতে শুরু করলেন ।
১৩০ জন কেন আসছে এটা নিয়ে বেশ খেদ দেখেছি কিছু তরুন ব্লগার দের মধ্যে । অনুষ্ঠান হওয়ার পর তাদের আর টিকিটির খবর পাইনি । যার যে বিষয়ে ধারনা নেই তারাও বাচ্চা মুরগার মতো লাফাতে থাকে সেসব বিষয় নিয়ে। বাচ্চু তার পুরানা এক খানি কম্বল আর লোটা নিয়ে তো ওসব বলবেই । রাহমান নিয়মিত নতুন গান বানাচ্ছেন এবং এখন পৃথিবীর প্রথম সারির একজন শিল্পী যার নিজের একটি ইভেন্ট সম্পন্ন করার প্রতিটি যন্ত্রপাতি আছে ।
আমার প্রিয় শিল্পির পারফরমেন্স ভালো লেগেছে ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

সাইফ সামির বলেছেন:

প্রয়োজনীয় মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


বাচ্চা/টিনএজার ব্লগার/ফেসবুকারদের কথা আর কতো বলবো? সবই বয়সের স্বভাব। ফ্রিতে মিডিয়া পেয়েছে, তাই সবকিছু নিয়েই লাফাতে থাকে উত্তেজনার আনন্দে। যা বলছে তা সঠিক বলছে কিনা, বুঝে বলছে কিনা তা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। ভুল করতে করতে একদিন হয়তো তারা সঠিকটা বোঝা শিখবে, বলা শিখবে- কিন্তু যে ভুলটা তারা এখন করছে, যে ক্ষতিটা তারা এখন করছে- তার কি হবে, এসবের ক্ষতিপূরণ কে দিবে?


এশিয়া মহাদেশের অন্যতম সেরা সমৃদ্ধ, হাই-টেক স্টুডিওয়ের মালিক এ আর রহমান। যিনি কোয়ালিটির সাথে অন্য কিছু কম্প্রোমাইজ করেন না। রহমানের লাইভ কনসার্ট মানে সত্যিকারে লাইভ কনসার্ট। মঞ্চেই বাজানো হয় সব ধরণের বাদ্যযন্ত্র। তিনি হাবীব, ফুয়াদ বা হৃদয় খান না যে ল্যাপটপে মিউজিক ভরে নিয়ে আসবেন আর সেটা ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজিয়ে গান গাইবেন। সব কিছু অন স্টেজে করার জন্য লোকবল ও প্রযুক্তি আবশ্যক। যা রহমানের আছে। তিনি পৃথিবীর যেখানেই কনসার্ট করেন না কেন- সিঙ্গার থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ড স্ক্রিন সবকিছু নিয়ে গিয়েই করেন।


বাংলাদেশিরা সস্তা সাদামাঠা কনসার্টে অভ্যস্ত, তাই এতো মানুষ কেন, এতো টাকা দেয়া হচ্ছে কেন এসবের কোন হিসাব মেলাতে পারি না। তবে খুব দ্রুত ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট করতে পারি।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬

রাখালছেলে বলেছেন: শাহ আজিজ কে বলছি চ্যানেল নাইন এই ইভেন্ট একা করেনি । তারা রিয়েল ইমপ‌্যাক্ট কে হায়ার করেছিল যারা কিনা সব ধরনের ইভেন্ট করার অভিজ্ঞ । পূর্বেও তারা বহু ইভেন্ট করেছে আর পরেও করবে । এইদেশে খেলা চালানোর মত কোন টিম এখন তৈরি হয়নি কারন এই দুনিয়ায় আমরা নতুন । আমাদের সময় লাগবে ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

সাইফ সামির বলেছেন:

এটা খেলা না, কনসার্ট ছিল।


আপনারা যদি এই দুনিয়ায় নতুন হয়ে থাকেন তবে সব ধরনের ইভেন্ট করায় কিভাবে অভিজ্ঞ হলেন??


দায়ী তাহলে চ্যানেল নাইন একা না, রিয়েল ইমপ্যাক্টও দায়ী।


আপনাদের তৈরি হতে আরও সময় লাগবে বলছেন তা হলে তৈরি না হয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট করতে গেলেন কেন?? আপনারা পরে আরও ইভেন্ট করবেন বলছেন, দয়া করে সেই ইভেন্টগুলোই করবেন আশা করি যেগুলো সফলভাবে করতে পারবেন। ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: অলমোস্ট একমত।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

কাফের বলেছেন: ভালো বলছেন

একমত

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

শামীম সুজায়েত বলেছেন:
৭৫ হাজার টাকা নয়, স্রেফ ২ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এই শো দেখা শেষে আমার ভেতরে এক ধরণের অপরাধবোধ কাজ করেছে। কেনো করেছে, তা তুলে ধরলাম:

"তাদের একজন চলে গেছেন না ফেরার দেশে। অপরজন ফাকা করেলন পকেটের দুহাজার টাকা। তারা দুইজনই প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী। সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব । তারা দুইজনই দেশের বাইরে সমাদ্ধৃত হয়েছেন বহুবার। তাদের দুইজনের নামের শেষে আছে "রহমান।"

আমাদের বাউল সঙ্গীতের ধারক-বাহক, বাংলা ভাষা ও বাঙালী জাতির পরিচয়কে গানে গানে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়ে প্রশংসীত হওয়া বাউল সম্রাট আব্দুর রহমান বয়াতির জীবনের শেষ সাত বছর কেটেছে চরম অর্থকষ্টে।
জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হসপিটালে তাঁর চিকিৎসা চললেও তা দীর্ঘস্থায়ী করানো যায়নি। তাঁর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি আমাদের সরকার। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, গান পছন্দ করি, তারা কেউ এগিয়ে যাইনি।

আমার অপরাধবোধ হলো, দুই হাজার টাকা নয়, ২শ করে টাকাও যদি বয়াতির চিকিৎসার জন্য আমরা দিতাম, তাঁর চিকিৎসা কার্যক্রম আরও দীর্ঘস্থায়ী করা যেতো। হয়তো বা তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসতেন আমাদের মাঝে।

-----------------------------------------

জনাব সাইফ সামির, আপনার লেখার বিষয়বস্তু ভাল। বাস্তবতা হলো আমরা অনেকেই যেকোন কিছুর বিপক্ষে কথা বলতে বা অবস্থান নিতে পছন্দ করি। বরং পক্ষ নিতে পারিনা। এই কাজটি চমৎকার ভাবে করেছেন আপনি।

হয়ে যাওয়া এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রশ্ন এবং নিজস্ব মতামত তুলে ধরলাম:

প্রশ্ন :

অনুষ্ঠান কি স্রেফ এ আর রহমানের কনসার্ট, নাকি "টি ২০ বিশ্বকাপ উদ্ধোধনের আয়োজন?"

অনুষ্ঠান কি আই সি সি'র দিক নির্দেশনা এবং তাদের বাজেট অনুযায়ী হয়েছে, নাকি বিসিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের টাকা খরচ করে হয়েছে?

উত্তর :
যদি এটি টি টয়েন্টি ওপেনিং হয় এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সম্পূর্ণ বাজেট দেশের টাকায় হয়, তবে অবশ্যই উচিৎ ছিল দেশীয় শিল্পীদের প্রাধান্য দেয়া।

আমি নিজে স্টেডিয়ামে ছিলাম। দর্শক তাদের প্রিয় শিল্পি এ আর রহমানের গানে বিরক্ত হয়েছেন। কেনোনা তিন ঘন্টা ধরে তাঁর গান শুনতে বিরক্তিকর লেগেছে। রহমানকে দীর্ঘ সময় গান গাওয়ার সুযোগ না দিয়ে আমাদের দেশের শিল্পীদের বেশি বেশি পারফর্ম করার সুযোগ দেয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করি।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

সাইফ সামির বলেছেন:

এই অপরাধবোধ এতোদিন কোথায় ছিল? এতোদিন পর অসময়ে কেন জাগ্রত হলো? খুব জানতে ইচ্ছে করছে।


বয়াতির দুরবস্থার জন্য দায়ী সরকার। বাউল সম্রাটের মতো দেশের কৃতী সন্তানের প্রয়োজন মেটানোর প্রধান দায়িত্ব ছিল সরকারের।


অনুষ্ঠানটি 'বিশ্বকাপ উদ্বোধনের আয়োজন' বলে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বিসিবির/আইসিসির/কোথাও ছিল কি?? এটি ছিল স্রেফ 'বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্ট'।


এশিয়ায় রেকর্ডিং মিউজিকের স্বাদ লাইভ কনসার্টে এ আর রহমানের চেয়ে কেউ ভালো দিতে পারেন না। তিন ঘণ্টা ধরে যার গান শুনতে কারও বিরক্ত লাগে তিনি কখনও তার প্রিয় শিল্পী হতে পারেন না। প্রিয় শিল্পীর গান সারাদিন শুনতেও কারও বিরক্ত লাগে না বলেই তিনি হন কারও প্রিয় শিল্পী। রহমান যদি তিন ঘণ্টা না গেয়ে এক ঘণ্টা গেয়ে চলে যেতেন তবে এই আপনারাই বলতেন, '৭৫ হাজার/২ হাজার টাকা মাইর গেল'। আপনারাই বলতেন, 'রহমান সাহেব মাত্র এক ঘণ্টায় পনের কোটি টাকা নিয়ে চলে গেল!'!! আপনাদের কিছুতেই শান্তি নেই।


দেশের শিল্পীরা যেটুকু পারফর্ম করেছে সেটুকুতেই আপনারা/দর্শকরা সহায়তা করেননি। তাদের পারফর্মমেন্সের সময় দর্শকরা হয়তো খোশগল্পে মত্ত ছিল নয়তো পথ ধরেছিল বাড়ীর।


আপনার কথা দিয়েই শেষ করি, "বাস্তবতা হলো আমরা অনেকেই যেকোন কিছুর বিপক্ষে কথা বলতে বা অবস্থান নিতে পছন্দ করি। বরং পক্ষ নিতে পারিনা।"


ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভারত বিরোধিতা করার মধ্যে সংস্ক্রিতি থাকতে হবে। কারন ভারতে বাংলাদেশে একটা ভয়ানক সংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর এটা সামরিক আগ্রাসনের থেকেও মারাত্মক। আর তাদের এ আর রহমান এর মত দামি শিল্পি কে নিয়া আমাদের মত গরিব দেশের এত মাতামাতি করার কোন মানে হয় না। এটা বর্তমান সরকারের ভারত গোলামির একটা পরিচয়কা মাত্র।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

সাইফ সামির বলেছেন:

ভারত বিরোধিতা করার জন্য এ আর রহমানের মতো খাঁটি মিউজিশিয়ানকে কলুর বলদ বানানোর তো দরকার নেই! এমন সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেখানে আঘাত করার প্রয়োজন সেখানে আঘাত করতে হবে। কিন্তু তা কোনভাবেই কোন নিরীহ-নির্দোষ গুণী শিল্পীকে ছোট করে নয়।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৩

তাসজিদ বলেছেন: বাস্তবতা খুব কঠিন।
এখন কেও যদি বলে বাচ্চুর যে গান আমরা concert এ গায় তা বিগত ১০ কি ১৫ বছর আগের। এ এসব গান এত বেশি শোনা হয়েছে যে তাতে তালি আশা না করাই ভাল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

সাইফ সামির বলেছেন:

আমি তেমনটা মনে করি না। আইয়ুব বাচ্চুর পুরনো গানগুলো এখনও আমাকে সমান নাড়া দেয়। 'সেই তুমি কেন অচেনা হলে' ছোটবেলা থেকে হাজার বার শোনা সেই গানটি যদি লাইভে শতবার শুনি আমার হাত শতবারই তালি দিতে প্রস্তুত।


ব্যক্তি হিসেবে ওনার কিছু সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় না রেখে বলছি, আইয়ুব বাচ্চুর মতো লিজেন্ড ব্যান্ডশিল্পী উপমহাদেশে দ্বিতীয়টি নেই।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৫

তাসজিদ বলেছেন: আর ব্লগে বসে বসে আয়োজন বাজে হয়েছে বলা খুব সহজ।

এটা নেটিজেনদের পুরনো রোগ। দেশ প্রেম, বাংলা প্রেম, সংস্কৃতি প্রেম কাজে প্রমাণের চেয়ে ঝটিকা স্ট্যাটাসে দেখাতেই তারা বেশি উৎসাহী।


১০০ + এ কমেন্ট এ

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

সাইফ সামির বলেছেন:

ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনারা তো গুণীর সম্মানের কথা বলেন, গুণী বিদেশী-ইন্ডিয়ান হলেই তাঁকে অসম্মান করে কথা বলবেন নাকি? তাহলে আজ থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, অমর্ত্য সেন, এপিজে আবুল কালাম, মকবুল ফিদা হুসেন এদের নিয়ে খিস্তি-খেউর শুরু করে দিন, মূর্খতা-ভণ্ডামির মহোৎসব হোক।

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভালো বলেছেন। বিষয়টির একটি পরিচ্ছন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া গেলো।

এ আর রহমান এমনিতেই লিভিং লেজেন্ড হন নি।

তবে বিসিবি’র অবহেলা আর অপেশাদারিত্ব ক্ষমার অযোগ্য।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

সাইফ সামির বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে।


হ্যাঁ, বিসিবির দোষ ক্ষমার অযোগ্য। কারণ নাটের গুরু তারাই। রহমান/একন স্রেফ আমন্ত্রিত শিল্পী। মূল দোষ আয়োজকদের। সমালোচনা যা করার করা উচিত আয়োজন সংশ্লিষ্টদের।

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০০

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: এস বাসার বলেছেন: ভুল অবশ্যই আমাদের! এমন এক দেশে জন্ম নিলাম যেখানে পাকিপ্রেমী আর ভারতপ্রেমী ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নাই! হয় এ ধার না হয় ওধার!!

মাঝখানে বাংলাপ্রম সেই কবেই মরে ভূত!!!

এ আর রহমানের কনসার্ট কিংবা পাকিস্তানের পতাকা হৃদয়ে ধারন করেই যেন আমাদের সব চলে......... শেষমেষ বাংলা ভাষাটাও কবে বিলীন হয়ে যায়, সেই আশংকাটা মোটেও অমূলক নয়।

সহমত

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: রাখালছেলে বলেছেন#

সহমত । তারপরেও বলব ল্যাকিং আছে । দর্শক এরিয়ায় মাইক্রো ফোন ছিলোনা যা টি ভি দর্শক কে জানান দ্যায় গান শেষের প্রতিক্রিয়া । এখন খুব দ্রুততার সাথে গড়তে হবে কিছু দক্ষ কারিগর ।

@বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভারত বিরোধিতা #

আগ্রাসন সেখানেই হয় যেখানে নিজস্বতার অভাব আছে । আমাদের ভালো প্রডাকশন নেই তাই ওরা দাপাচ্ছে । এবার ১লা বৈশাখ খেয়াল করে দেখবেন যে বঙ্গ সংস্কৃতি কনক্রিট শেপ নিয়েছে , বিনাশের কোন সম্ভাবনা নেই । বিশ্বায়নের এই যুগে এক সংস্কৃতির লোক অন্যদের টা দেখতে চাইবে , শঙ্কর সংস্কৃতি জন্ম নেবে । কৈ আরবদের কথা তো বললেন না । ওদের আগ্রাসন তো ভ্যানিস করে দেবে আমাদের চাল চলন কে । আরব্রা সবচে বেশী দেখে ভারতীয় ছবি আর চ্যানেল । আর পাকিদের সাথে নিয়ে আমাদের বলে তাহজিব তমুদ্দুন ধারন করো ।

@মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভালো বলেছেন। বিষয়টির একটি পরিচ্ছন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া গেলো।

এ আর রহমান এমনিতেই লিভিং লেজেন্ড হন নি।

আমারও একই কথা । বাচ্চু গাঁজা একটু বেশী টেনেছিল বলে ইমোশনও ধেই ধেই করে উঠেছিল । পারলে সিন্ডিকেটের শিকার জেমস কি করে ভারতে মাথাচাড়া দ্যায় । ওকে ভাগানোর জন্য বাচ্চুরাই দায়ি ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

সাইফ সামির বলেছেন:

গান শেষে উপস্থিত দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখাটা টিভি দর্শকদের জন্য খুব প্রয়োজন। দর্শক এরিয়ায় মাইক্রোফোন না থাকাটা চরম পর্যায়ের বাজে কাজ হয়েছে।

আইয়ুব বাচ্চুর ইগো সমস্যার কথা সর্বজনজ্ঞাত। ও বিষয়ে আর না বলি।

মূলত কনসার্টটি শুরুতেই শেষ করে দিয়েছে বাচ্চুর আবেগী বক্তব্য। বাচ্চুর অভিমানী কথা আগত আগ্রহী দর্শকদেরকে প্রাণহীন নিষ্ক্রিয় করে তোলে। তাদের মধ্যে একটা অপরাধবোধ জাগে। এই অপরাধবোধ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট কেনার সময় জাগেনি। এরা এমনই উচ্চবিত্ত দর্শক যে করতালি দিয়ে দেশীয় শিল্পীদের উৎসাহ দিতে তাদের ব্যক্তিত্বে বাধে।

দুলাল-দুলালীদের অপরাধবোধ সাময়িক। রহমানের হিন্দিতে অপরাধবোধ জিইয়ে থাকলেও একনের ইংরেজিতে তা উবে যায়। তারপর একনের কণ্ঠে আবার শাহরুখের হিন্দি মুভির "Chammak Challo" -তে ফিরে আসে হারানো জোশ। এরা আসলে সেই দর্শক যারা শাহরুখ খান নাইট ইন বাংলাদেশ শোতে ছিল।

তাই আমাদের অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা উচিত বিসিবি/চ্যানেল নাইন/গ্রে ও অদ্ভুত চরিত্রের দর্শকরা।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বিসিবি সেলিব্রেশন কনসার্টে দেশীয় শিল্পীদের অবজ্ঞা করার বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ভার্চুয়াল জগতে মোটামুটি একটা সুনামি বয়ে গেছে গত দুই দিন যাবত। রেশটা এখনো কাটে নাই। আমি কারো কোন পোস্টে এই পর্যন্ত মন্তব্য করি নাই। তবে আপনার পোষ্টটা অনেক ভালো লাগায় মন্তব্য করতে এলাম। কারণ যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন। আমি এক শ্রেণীর ঠুনকো দেশপ্রেম নিয়ে কিছু কথা বলছি।
কেউ কেউ এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু করে দিয়েছেন ভারত বিরোধী স্লোগান কিংবা বিসিবিকে এবং সরকারকে ভারতের দালাল বলছেন। অনেক ভালো লাগলো তাদের এই দেশপ্রেম দেখে!
কিন্তু অবাক লাগে এদেরই কেউ কেউ এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তানের খেলার সময় ভারত পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে, গায়ে পতাকা জড়িয়ে, গালে মুখে পতাকা এঁকে কেউ পাকিস্তানের সাপোর্ট করেছে আবার কেউ ভারতের সাপোর্ট করেছে। তাদের ধারণা খেলার সাথে রাজনীতি না মেশানোই ভালো। তারমানে গানের সাথে রাজনীতি মেশানো যাবে। ভালো লাগলো তাদের এই ঠুনকো আবেগও!
দেশে রাজাকারদের বিচার চলছে। বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও ওপরের দেশপ্রেমিকরা সন্তুষ্ট না। সুষ্ঠু বিচার নাকি হচ্ছে না। যারা রাজাকারের বিচার চায়, তারা অন্তত বিচারের প্রক্রিয়া নিয়া কথা বলার কথা না। যারা চায় না, তারাই “রাজাকারের বিচার চাই না” সরাসরি না বলে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে এটা সেটা বলে বেড়াচ্ছে।
আমিও চাই সবার মধ্যে দেশপ্রেম জেগে উঠুক কিন্তু তার মধ্যে কোন ধরণের খুঁত, পক্ষপাতিত্ব কিংবা ব্যক্তিস্বার্থ বা দলীয় স্বার্থ জড়িত থাকা উচিৎ না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

সাইফ সামির বলেছেন:

প্রয়োজনীয় মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


ভার্চুয়াল জগতের কতিপয় মহান দেশপ্রেমিক সবকিছুতেই পাণ্ডিত্য ফলাতে চান, উদর পিণ্ডি বুঁদর ঘাড়ে ফেলে দেশপ্রেম শো অফ না করলে তাদের হয় না। যে কোন কিছুকে স্বীয় স্বার্থে ব্যবহারে তাদের জুড়ি মেলা ভার। পরিস্থিতি কর্দমাক্ত না করা পর্যন্ত অথবা আরেকটি ইস্যু না আসা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে নিস্তার নেই। কপট দেশপ্রেমের কবলে দেশ। এ থেকে মুক্তি মিলবে কি?

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

সোহানী বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত হতে পারছিনা। আমাদের দেশে যেহেতু ওপেনিং হচ্ছে তাহলে আমাদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে বাধাঁ কোথায়???? কে বলেছে কোটি টাকা দিয়ে ভারতীয় লিজেন্ড আনতে হবে??? এটা আমাদের জি বাংলার তোষনের মানসিকতারই বহি:প্রকাশ !!!!!!!!!!!!

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

সাইফ সামির বলেছেন:

আপনি ভুল করছেন। আমি আমাদের সংস্কৃতি তুলে না ধরার কথা একবারও বলিনি। আমি বরং বলেছি, 'দেশীদের অনুষ্ঠানে শুধু দেশীরাই পারফর্ম করবে'। আমি আরও বলেছি, 'উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কি তা আমরা ২০১১ সালেই দেখেছি'। সেবার আমাদের দেশে বিশ্বকাপের ওপেনিংয়ে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ভালোভাবে তুলে ধরেছিলাম।


বুঝে পড়লে এই ভুলটা করতেন না।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: তাঁরা ঠিকই জানতেন আয়োজকদের ইচ্ছা আর উপস্থিত দর্শকদের চাহিদার কথা, তবুও রহমান/একনের সাথে একই মঞ্চে শো করার লোভ সামলাতে পারেননি। জানি, এভাবে বললে একটু কঠিন শোনায়, কিন্তু যে কনসার্টের প্রচারণা থেকেই তাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি সেখানে কনসার্টের মঞ্চে তারা কিভাবে গুরুত্ব আশা করেন?

১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

সাইফ সামির বলেছেন: তারা জেনে শুনেই 'বিষ' পান করেছিলেন- যদিও তাদের কাছে এটি 'দিল্লিকা লাড্ডু' মনে হয়েছিল ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.