নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাইফ সামির (Saif Samir), প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্লগার। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। পড়ে দেখুন পুরনো দিনের লেখা! যোগাযোগের ঠিকানা: www.facebook.com/saifsamir

সাইফ সামির

মুভি ক্রিটিক ব্লগ

সাইফ সামির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদেরও একজন মাহাথির ছিলেন... জিয়া তার নাম

৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮





জিয়ার প্রকৃত খুনি এরশাদ। জিয়া কোন 'ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে' নিহত হয়নি। জিয়াকে গভীর ষড়যন্ত্র করে খুন করিয়েছিলেন জেনারেল এরশাদ। তারপর সিনেমার গডফাদারদের মতো খুনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদেরও খুন করান তিনি। ধূর্ত এরশাদ জিয়া হত্যার মাস্টার প্ল্যান যে তার- সে কথা ধামাচাপা দিতে যা যা করার সব করেছিলেন। এই খুনি এতোই ধূর্ত যে আপাত 'অসহায়' জিয়া পরিবারকে রাষ্ট্রীয় বাড়ি-গাড়ী-নিরাপত্তা-ভরণ-পোষণ দিয়ে দুর্বল করে চোখে ধুলো মেখে চুপ করিয়ে দিয়েছিল।



জিয়াসহ আরও বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে খুন করে এরশাদ তার ক্ষমতার লালসা-ই শুধু পূরণ করেনি, জিয়া দেশকে যে উন্নতি-সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা থেকে বিচ্যুত করে ফেলে। জনগণের শান্তি আগত সময়ের জন্য বিলীন করে দেয়।



অথচ ঘটনাক্রমে এরশাদকে আজ আমরা শুধু হাসির পাত্র বানিয়েছি- ঘৃণার পাত্র না বানিয়ে।



বঙ্গবন্ধু যদি আরও অনেকদিন বেঁচে থাকতেন তবে কী হতো জানি না, তবে জিয়া যদি আর মাত্র দশ বছর বেঁচে থাকতেন তাকেই আমরা সবাই ডাকতাম বাংলাদেশের মাহাথির মোহাম্মদ বলে। আমার যে প্রায় আফসোস করি একজন মাহাথির মোহাম্মদের জন্য, মাহাথির মোহাম্মদ কিন্তু একজন আমাদের ছিলেন। হয়ত মাহাথিরকে দিয়ে জিয়াকে নয়, জিয়াকে দিয়ে আমরা মাহাথিরকে তুলনা করতাম।



হ্যাঁ, জিয়া ক্যান্টনমেন্টের লোক ছিলেন; কিন্তু তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। জিয়া জনগণের লোক হতে পেরেছিলেন সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য বিষয়।



জিয়া কোন 'বিপ্লবী' তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলায়নি; আজ যে তাহের ঠাকুরকে কেউ কেউ হিরো বানাচ্ছে- স্রেফ জিয়াকে খুনি বানানোর জন্য- সেই তাহেরের হাতে লেগে ছিল বিপ্লবের নামে খালেদ মোশারফসহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা খুনের রক্তের দাগ।



আমি বঙ্গবন্ধুকে যেমন ভালবাসি তেমনি জিয়াকেও শ্রদ্ধা করি, মূল্যায়ন করি। কিন্তু তাদের মাঝে সস্তা তুলনা করি না। আপনি যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতো বাংলাদেশকে ভালবেসে থাকেন আপনারও তাই করা উচিত। ভুলে যান তাদের নিয়ে খালেদা কি বলেছে, হাসিনা কি বলেছে, তারেক কি বলছে, জয় কি বলছে, পোষা বুদ্ধিজীবীরা কি বলছেন। এরা সবাই আত্মস্বার্থে biased judgement-এ ব্যস্ত। আপনার-আমার তেমন কোন স্বার্থ নেই। আমরা তাঁদের ফাঁদে পা দিব না। কেন দিব?



১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ আমরা বাংলাদেশের স্থপতিকে হারিয়েছি আর ৩০ মে, ১৯৮১ হারিয়েছি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট ও ৩০ মে দুদিনই রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করা উচিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমাদের শাসকগোষ্ঠী কি পারবে এতোটা উদার হতে?



আমরা যদি শাসকগোষ্ঠীর উদার হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি, নিশ্চয় আমরা পারব অনন্ত নিজেদের পুরাতন ধ্যান-ধারণাগুলো উদার করতে।



_______

আমার চোখে বঙ্গবন্ধু: চারটি কঠিন প্রশ্নের উত্তর

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

সুমাইয়া আলো বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট।

২| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: সত্য কথা।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: আমি বঙ্গবন্ধুকে যেমন ভালবাসি তেমনি জিয়াকেও শ্রদ্ধা করি, মূল্যায়ন করি। ...... একমত। তবে ,

কর্নেল তাহেরের ফাসির বিষয়টি গোজামিল দেয়ার চেষ্টা ঠিক হয়নি।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

াহো বলেছেন: সবাই এক জিনিস আজ ভুলে গেছে বলতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক



জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক

,১৯৭৫-এর ২৪শে অক্টোবরে সেনাপ্রধানকে পদচ্যুত করে উপসেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান।

বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র ৪ মাস পর ,৭২এর ঘাতক দালাল আইন বাতিল।
১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক

,১৯৭৭এর ২১ শে এপ্রিলে আবার সায়েমকে সম্পূর্ণ কিকআউট করে রাষ্ট্রপ্রধান

,৩০শে আগস্ট সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ ,

৭৭ এ অবৈধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুমতি।

১৯৭৭-এর ২২ এপ্রিলে ১৯৭২ এর শাসনতন্ত্রের ৩৮ অনচ্ছেদের মূল পরিবর্তন এনে সংবিধানে সন্ত্রাস ,১৯৭৭-এর ৭ই মে তে খুনিদের ক'জনকে পদোন্নতি এবং পুনর্বহাল ,
১৯৭৮-এর ৫ই এপ্রিলে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ১৯৭১-এর ঘাতক দালালদের নাগরিকত্ব দানের জন্য মন্ত্রনালয়কে আদেশ , ৭৭-এর হ্যা না ভোট ,

১৯৭৯-এর ৫ই এপ্রিল ৫ম সংশোধনীকে আইনে প্রণীত করে জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দ্বার রুদ্ধ করতে বিষাক্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইন এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট হাতে রাজাকার গোলাম কে দেশে ঢুকিয়ে এবং ইয়াহিয়ার মন্ত্রী গণহত্যার মাস্টার মাইন্ডার ,আব্বাসকে ৭৯তে জামাতের আমীর হতে দিয়ে ,দেশে মৌলবাদ এবং জামাতের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কার্যকলাপকে সাংবিধানীক বৈধতা ,৭৫এর ৩১শে ডিসেম্বর ঘাতক দালাল আইন বাতিল করে ১১ হাজার যুদ্ধ অপরাধীর মুক্তি ,যাদের মধ্যে ৭৫২জন দন্ডপ্রাপ্ত।জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার সব তদন্ত বন্ধ করে দিয়ে রাস্ট্রদ্রোহিতা মুলক কর্মকান্ড।ক্ষমতার এত জঘন্য দৃষ্টান্ত আর কার ?১৯৭২এর সংবিধানকে কেটে ছিরে নিজের ইচ্ছে মত সব
কিছুকে জায়েজ করার নগ্ন প্রচেষ্টা।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: "জিয়া যদি আর মাত্র দশ বছর বেঁচে থাকতেন তাকেই আমরা সবাই ডাকতাম বাংলাদেশের মাহাথির মোহাম্মদ বলে।"

ঘটনা সত্য... ১৯৭১ সালে পাকিস্থানের কারাগারে জন্ম নেওয়া তথ্যবাবা সহমত পোষন করেছেন B-))

৬| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

নহে মিথ্যা বলেছেন: াহো ঐ ব্যাটা সব পোষ্টের কমেন্টে মধ্যে একই লেখা দিছেন কেন??
আপনার লেখা কেউ পড়ে না দেখে কি এই ব্যাবস্থা...?? #:-S #:-S
ভাল ভাল চালায় যান... তারপরেও মিথ্যাবাদীর লেখা কেউ পড়ব না... :-P :-P

৭| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

পংবাড়ী বলেছেন: জিয়াকে হত্যা করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা; এবং সঠিক কারণেই।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:১২

সকাল হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের শোক দিবসঃ

যখন আঃলীঃ ক্ষমতায় তখন তা ১৫ আগস্ট।

আর বিএনপি ক্ষমতায় তখন তা ৩০ মে।

এইটাই বাংলাদেশের নিয়ম। এর কোন পরিবর্তন হবে না।

৯| ৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

পাগলা ভাই বলেছেন: মাননীয় পংবাড়ী সেই সঠিক কারনটা কি ? একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.