নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাইফ সামির (Saif Samir), প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্লগার। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। পড়ে দেখুন পুরনো দিনের লেখা! যোগাযোগের ঠিকানা: www.facebook.com/saifsamir

সাইফ সামির

মুভি ক্রিটিক ব্লগ

সাইফ সামির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান ও ধর্মের সহাবস্থান: সম্ভব নাকি অসম্ভব?

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

বিজ্ঞান দিয়ে কোরআন প্রমাণের দরকার নেই। কোরআন দিয়ে বিজ্ঞান যাচাইয়েরও প্রয়োজন নেই। দুটো ভিন্ন বিষয়। দুটোকে আলাদা থাকতে দিন।

আপনি যদি বিশ্বাসী হয়ে থাকেন, কোরআনের সঙ্গে যদি বিজ্ঞানের সংঘর্ষ দেখেন তবে কোরআনই আঁকড়ে থাকুন। ঠকবেন না।

কিন্তু শুধু কোরআন দিয়ে আপনি যদি কোরআন বুঝতে চান, তাহলে আপনি ভুল বুঝতে পারেন। কারণ কোরআনে অনেক কিছু আছে যা কোরআনের সাথেই সাংঘর্ষিক বা বিভ্রান্তিকর। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই হাদিসের শরণাপন্ন হতে হবে। ইজমা ও কিয়াসের দ্বারপ্রান্তেও যেতে হবে।

আপনার বিশ্বাসকে সময়ে সময়ে অবিশ্বাসীরা অন্ধবিশ্বাস বলে আপনাকে কোণঠাসা করতে চাইবে। আপনার বিশ্বাস তখনই অন্ধবিশ্বাসে পরিণত হবে যখন আপনি যাচাই না করেই বিশ্বাস করবেন। তাই যা জানেন আগে তার সত্যমিথ্যা যাচাই করে নিজের বিশ্বাসে আত্মবিশ্বাস আনুন।

তবে কি আপনি বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম যাচাই করবেন? মোটেও না। আপনি ধর্মকে ধর্মের ভিতর থেকেই যাচাই করবেন।

সেটা কিভাবে?

আপনি যা পড়বেন, যা শুনবেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। মাওলানা একটা কিছু বললেন, আপনার সন্দেহ হলো, আপনি ওনার কাছে রেফারেন্স চাইবেন। কোরআন-হাদিসের কোথায় এটা বলা আছে, কোন ঈমাম কোন গ্রন্থে এটা বলেছেন জানতে চাইবেন। চ্যালেঞ্জ করতে পিছপা হবেন না।

একই বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলছে তাও আপনি জানতে চাইতে পারেন। তবে সব বিষয়ে বিজ্ঞানের বিশ্বাস নেই। বিজ্ঞান আজ এক কথা বলবে তো কাল আরেক কথা বলবে। বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল।

কিন্তু আপনি নিশ্চয় বিজ্ঞানের কাছে জানতে চাইবেন না নামাজে ফরজ কি কি! অথবা নামাজ পড়ার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিও নিশ্চয় জানতে চাইবেন না! তাই 'বিজ্ঞানের আলোকে নামাযের সুফল' জানতে চাওয়াটাও একটা হাস্যকর কাজ হবে।

বুঝতে পারছেন? বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম বা ধর্মের বিধিবিধানের বৈধতা বা সাড়তা বা উপযোগিতা প্রমাণ করতে চাওয়া একটি বোকামিপূর্ণ কাজ। একটি দিয়ে অন্যটিকে প্রমাণের বা সাপোর্টের কোন প্রয়োজন নেই। এমনটি যদি করতে যান তো ধারণা করতে হয় আপনার ধর্ম বিশ্বাসে দুর্বলতা আছে। এবং/অথবা আপনি অবিশ্বাসীদেরকে কনভিন্স করতে চাইছেন।

একটা কথা আপনাকে বুঝতে হবে, বিজ্ঞান কিন্তু ধর্মের দিকে তেড়ে আসে না। ধর্মের দিকে তেড়ে আসে অবিশ্বাসীরা, বিজ্ঞানের পতাকা তুলে। তখন আপনার ভ্রম হয়, বিজ্ঞানই বুঝি তেড়ে এলো! কিন্তু অবিশ্বাসীরা বিজ্ঞানী না। স্রেফ কিছু অবিশ্বাসী মাত্র। তাদের নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এমনকি বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীদেরকে নিয়েও বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

বিজ্ঞান আপনার বন্ধু, হয়তো ধর্মের ক্ষেত্রে না। তাই বলে ধর্মের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আপনার শত্রুও না। বিজ্ঞান ধর্মকে অবিশ্বাস বা সন্দেহের চোখে দেখে - এই যা! এটাই বিজ্ঞানের চরিত্র। এটা মেনে নিন। অনেককিছু সহজ হয়ে যাবে।

আপনি বিজ্ঞানকে বিরূপ দৃষ্টিতে না দেখে বরঞ্চ বুদ্ধিমত্তার সাথে বিজ্ঞানের অবদানকে ধর্মের উন্নয়ন ও প্রচার-প্রসারে কাজে লাগান। ব্যস হয়ে গেল ধর্ম ও বিজ্ঞানকে আলাদা আলাদা অবস্থানে রেখেও সহাবস্থান!

অবিশ্বাসী "বিজ্ঞানবিদরা" (এরা বিজ্ঞানী না) আমার এই আইডিয়া হয়তো মেনে নিতে চাইবে না (যদিও আইডিয়াটা তাদের জন্য নয়)। কারণ বিশ্বাসীরা যদি স্বধর্ম বজায় রেখেও বিজ্ঞানকে সাদরে বরণ করে নেয় এতে তাদের মার্কেট খারাপ হয়ে যাবে। কার দিকে তারা বিজ্ঞানের ঝাণ্ডা নিয়ে তেড়ে যাবে যদি আপনি আগে থেকেই বিজ্ঞানকে ড্রইং রুমে বসিয়ে রাখেন!

তবুও এরা আসবে। কারণ বিজ্ঞান প্রচার তাদের লক্ষ্য নয়, বিজ্ঞানের মোড়কে অধর্ম/অবিশ্বাস প্রচারই তাদের উদ্দেশ্য। এদেশের তথাকথিত নাস্তিকরা বেশিরভাগই মূলত ধর্মবিদ্বেষী। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ইসলাম বিদ্বেষী। নাস্তিক্যবাদ তাদের কাছে একটি রাজনীতি। অন্যসব রাজনীতির মতো এই রাজনীতির লোকেরাও দল ভারী করতে চায়।

মুসলিমদের কোরআন আছে, ঐতিহ্য আছে, কৃশ্চিয়ানদের বাইবেল আছে, হিন্দুদের সংস্কৃতি আছে, বৌদ্ধদের দর্শন আছে, নাস্তিকদের কাছে তেমন কিছু নেই। যেহেতু চারিদিকে বিজ্ঞানের জয়জয়কার তাই জনমনে সহজে প্রভাব বিস্তার করার জন্য তারা বিজ্ঞানকে বানিয়েছে তাদের আরাধ্য "গ্রন্থ", হাতিয়ার। এরা বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে মোকাবেলা করতে চায়।

এরা একেকজন নিজেদেরকে মহাজ্ঞানী মনে করে। নিজেদেরকে দাবি করে বিজ্ঞানবিদ, প্রগতিশীল, মুক্তমনা ইত্যাদি।

শুধু নিজেরা অধার্মিক হয়ে, নাস্তিক হয়ে বসে থাকলে একটা কথা ছিল। কিন্তু তাদের মিশন বিজ্ঞানই হতে হবে একমাত্র ধর্ম, সব ধর্মকে বিজ্ঞানের আওতায় চলে আসতে হবে।

তাই বিজ্ঞান ও ধর্মের যে সহাবস্থানের কথা বললাম, আমার মনে হয় না তাতে এরা রাজি হবে। যারা হবে তারাই প্রকৃত (শান্তিকামী) নাস্তিক, যারা হবে না তারা স্পষ্টতই নাস্তিকের মোড়কে ধর্মবিদ্বেষী। অন্যদিকে, বিশ্বাসীদের মনে হয় না বিজ্ঞানের অবদান মেনে নিতে কোন আপত্তি আছে, বেশিরভাগই নিয়েছেন। যাদের আপত্তি আছে তারা গোঁড়ামি করছেন।

বিজ্ঞান সবার জন্য। বিশ্বাসী, নাস্তিক, ধার্মিক, অধার্মিক সবার। কিন্তু কতিপয় উগ্র নাস্তিকের ধারণা বিজ্ঞান তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি, তারা মহাবিজ্ঞানবিদ, বিজ্ঞান তারাই সবচেয়ে ভালো বোঝেন, একেকজন বিজ্ঞানাচার্য, বিজ্ঞানযাজক, হেন-তেন। তাদের ধারণা, যে ধর্ম করে সে বিজ্ঞান বোঝে না, বুঝতে পারে না, বোঝা অসম্ভব। কারণ বুঝলে সে ধর্ম-কর্ম আর করতো না। ধর্ম যে কতো বড় অবৈজ্ঞানিক একটা ব্যাপার এটা বুঝলে সে ধর্ম ছেড়ে দিয়ে নাস্তিক হয়ে যেত! সুড়সুড় করে তাদের দলে চলে আসতো!

হাহা মাথায় এই পরিমাণ জৈব সার নিয়ে এরা হয়েছেন নাস্তিক বিজ্ঞানবিদ! এরাই আবার গল্প-কবিতা-উপন্যাস পড়েন, নাটক-সিনেমা দেখেন, চিত্রকলা উপভোগ করেন। এদের কাছে কখনও মনে হয় না, এই সব শিল্পকর্ম চর্চা কতোটা অবৈজ্ঞানিক-অর্থহীন ব্যাপার-স্যাপার! তা মনে হবে কোত্থেকে, এরা যে "বিজ্ঞানবিদ" হয়েছেন এসব করে করে!

এই সব উগ্র নাস্তিকদেরকে বুঝতে হবে, এই পৃথিবীতে সবকিছু বিজ্ঞানের জন্য আসেনি, বিজ্ঞান সবকিছুর জন্য আসেনি। বিজ্ঞানের কাছে আমার ভালবাসার কোন মানবিক মূল্য নেই, তার কাছে এটা কেবলই কেমিকেল রিএকশন। বিজ্ঞান আমার আধ্যাত্মিক প্রয়োজন বোঝে না, এটা তার কাছে অবোধগম্য। মানুষের প্রয়োজনে বিজ্ঞান। মানুষের প্রয়োজনে ধর্ম।

বিজ্ঞানবিদ হতে হলে নাস্তিক হতে হয় না। কেউ ধার্মিক হলে সে বিজ্ঞানবিরোধী হয়ে যায় না।

বিজ্ঞানকে যারা ধর্মের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করাতে চায় তারা আসলে শান্তি চায় না। এই উৎকট তাত্ত্বিক ঝামেলা তৈরি করে সুবিধা লুটতে চায় স্বার্থান্বেষীরা।

কিন্তু আমি দুটি ভিন্ন ধর্মের সহাবস্থান যেমন সম্ভব মনে করি, তেমনি ধর্ম ও বিজ্ঞানকে নিজ নিজ অবস্থানে রেখেও তাদের সহাবস্থান সম্ভব মনে করি।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। যুক্তিপূর্ণ লেখা দেখে ভালো লাগলো। গোঁড়ামিকে পশ্রয় না দিয়ে যুক্তির মাধ্যমে।
প্লাস!

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

নির্ভীক সত্যান্নেষী বলেছেন: "কারণ কোরআনে অনেক কিছু আছে যা কোরআনের সাথেই সাংঘর্ষিক বা বিভ্রান্তিকর।" আপনার এই কথাগুলো বুঝলাম না। বিস্তারিত জানা দরকার যে কোন কোন আয়াত কোরআনের সাথেই সাংঘর্ষিক???

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

সাইফ সামির বলেছেন: এই লিংকটি দেখুন: http://bit.ly/2mI4m1i

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

সাইফ সামির বলেছেন: যা বলতে চেয়েছি তা হলো, তাফসির ছাড়া কোরআন বুঝতে পারবেন না।
আবার হাদিস ছাড়া তাফসির সম্ভব না।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

নতুন বলেছেন: বিশ্বাস এবং যৌক্তিক ভাবনা এক সাথে থাকা সম্ভব??

ধম` বিশ্বাস করতে বলবে প্রশ্ন না করে.. আর বিজ্ঞান বলবে যৌক্তিক ভাবে ভেবে দেখতে....

আপনি কোনটা করবেন?

ধম` বলবে আঙ্গুলের ইসারাতে চাদ দুই টুকরা হয়েছিলো তা বিশ্বাস করতে... কিন্তু বিজ্ঞান বলবে এটা অসম্ভব....

আপনি কিভাবে ধম`আর বিজ্ঞানকে নিয়ে চলবেন?

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

সাইফ সামির বলেছেন: পোস্টে বলেছি কিভাবে চলবে। আরেকবার পড়ে দেখুন। আর আপনি যদি বিশ্বাসী না হয়ে থাকেন তবে ইগনোর করুন।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্যাপারটা হাস্যকর। বিজ্ঞান আর ধর্ম মেলানো। বিজ্ঞানের দিক থেকে ভাবলে ইসলাম থেকে শুরু করে সব ধর্মকে নাকোচ করা যায়। ধর্ম এক অলীক কল্পনা ছাড়া কিছু না।
দুটোর সহাবস্থান জাস্ট অসম্ভব।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

সাইফ সামির বলেছেন: আপনি যদি অবিশ্বাসী হয়ে থাকেন তবে মেলাতে না চাইলে মিলবে না।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: তবে সব বিষয়ে বিজ্ঞানের বিশ্বাস নেই।

বিজ্ঞান কি বিশ্বাসের বস্তু? বিজ্ঞান আর মতবাদের মধ্যে পার্থক্য না বুঝলে যা হয় আর কি!!

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

সাইফ সামির বলেছেন: কনটেক্সট দেখে লেখা বুঝুন জনাব হাতুড়ে। "সব বিষয়ে বিজ্ঞানের বিশ্বাস নেই" মানে হলো সব বিষয়ে বিজ্ঞানে ভরসা করা যায় না। বিজ্ঞান আজ এক কথা বলবে তো কাল আরেক কথা বলবে। বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:

//কিন্তু শুধু কোরআন দিয়ে আপনি যদি কোরআন বুঝতে চান, তাহলে আপনি ভুল বুঝতে পারেন। কারণ কোরআনে অনেক কিছু আছে যা কোরআনের সাথেই সাংঘর্ষিক বা বিভ্রান্তিকর।//

আপনার এই কথার সাথে আমি শুধু একমতই হতে পারছিনা। আমি এর প্রতিবাদও করছি। আপনি এ কথা কোথায় পেলেন যে, কোরআনের এক আয়াত অন্য আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক?

আমাদের মাঝে এমন কিছু মানুষ আছে যারা মনে করেন বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে ধর্ম হচ্ছে প্রধান অন্তরায়।তারা বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে যাচাই করার মধ্য দিয়ে ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়।কিন্তু ধর্মের এমন কিছু বিষয় আছে যা কখনো বিজ্ঞান দিয়ে তার সত্য মিথ্যা যাচাই করা সম্ভব নয়। সেগুলো দর্শনের বিষয়।অনুভবের বিষয়।

আমি যতটুকু জানি বা বুঝি ধর্ম কখনো বিজ্ঞান চর্চায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না যদি সে বিজ্ঞান চর্চা মানব কল্যানের জন্য হয়।

আপনার লেখার মূল ভাবটা ঠিক আছে। ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

সাইফ সামির বলেছেন: এই লিংকটি দেখুন: http://bit.ly/2mI4m1i

যা বলতে চেয়েছি তা হলো, তাফসির ছাড়া কোরআন বুঝতে পারবেন না।
আবার হাদিস ছাড়া তাফসির সম্ভব না।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

বাকরখানি বলেছেন: নির্ভর করে আপনে কত হিট চান আপনের ব্লগে তার উপ্রে :-0

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

সাইফ সামির বলেছেন: সাইফ সামির একমাত্র ব্লগার যে হিট চায় না। কিন্তু মানসম্পন্ন পাঠক চায়।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কারণ কোরআনে অনেক কিছু আছে যা কোরআনের সাথেই সাংঘর্ষিক বা বিভ্রান্তিকর। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই হাদিসের শরণাপন্ন হতে হবে। ইজমা ও কিয়াসের দ্বারপ্রান্তেও যেতে হবে। "

-বাক্যটি প্রমাণ করছে, হযরত মোহাম্মদ ( স: ) নবী হয়ে, আল্লাহ'র থেকে বেশী বুঝতেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

সাইফ সামির বলেছেন: বাক্যটি নয়, বাক্য তিনটি সেটা প্রমাণ করে নাই। কিন্তু আপনার মন্তব্যটি প্রমাণ করেছে আপনি লেখাটি বুঝেন নাই, এবং ঐ তিনটি বাক্যের ভেতর আপনার চিন্তা আটকে গেছে।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গাতেই থাউক , ধর্ম ধর্মের জায়গায়। একটা দিয়া আরেকটারে সাপোর্ট দেওয়ার কোনো প্রয়োজন দেখি না। যে পাঁঠাগুলো ধর্মের গন্ধ পাইলেই গোল টেবিল বৈঠক বসায় তাহারা বিজ্ঞান ধর্মযজ্ঞেই বলি হউক আপত্তি নাই , কথা হইলো ধর্মের আকাশে তাহাদের বিচি বিস্ফোরিত হইয়া যেন পরিবেশ নষ্ট না করে !

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

সাইফ সামির বলেছেন: হা হা হা
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

ইউনিয়ন বলেছেন: :-B বিজ্ঞান আর ধর্মের ভিতর কোন বাধা/বিরোধ নেই। কিছু মুত্রমণা বিজ্ঞান আর ধর্ম কে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাড় করানোর জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা আছে এবং থাকবে। এতে ধর্মকারীদের অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। যারা এই দুটি বিষয় কে একে অপরের বিরুদ্ধে দাড় করাতে চাচ্ছে তাদের না আছে কোন নতুন আবিষ্কার না আছে বিজ্ঞানে কোন অবদান। তারা কয়েকটি ফাও কথা বলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। যা কয়েক দিন পর মানুষ ভুলে যায়।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

সাইফ সামির বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
জি, আপনার দেয়া লিংকটা দেখেছি। আপনি মরিস বুকাইলির দ্য বাইবেল, দ্য কোরান এন্ড দ্য সায়েন্স গ্রন্থটি পড়ে নিয়েন। আশা করি, ঐ ওয়েব সাইটটা দেখার পরে আপনার যে ভুল ধারণার সৃস্টি হয়েছে তা কেটে যাবে ইনশাল্লাহ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

সাইফ সামির বলেছেন: আপনি ভুল বুঝে বসে আছেন। আমার কোন ভুল ধারণা হয়নি। ভুল ধারণা হলে আপনাকে যে লিংকটি দিয়েছি সেটি দিতাম না। অন্য আরেকটি লিংক দিতাম যেখানে কোরআনের পক্ষে রেসপন্স দেওয়া হয়নি। ভুল তারাই বুঝবে যারা শানে নযুল/তাফসির/হাদিস ছাড়া শুধু শাব্দিক অর্থ ধরে কোরআন বোঝার চেষ্টা করবে। এবং সেটা করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবে। আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন আমি সেই কথাগুলো দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছি। ধন্যবাদ।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

নির্ভীক সত্যান্নেষী বলেছেন: দু:খিত আপনার প্রতিউত্তর যথেষ্ট নয় বলে আর একবার কমেন্ট লিখতে হলো-
আপনার এই কথাটা পরিষ্কার ভাবে কোরআনের বিরুদ্ধেই যায় "কারণ কোরআনে অনেক কিছু আছে যা কোরআনের সাথেই সাংঘর্ষিক বা বিভ্রান্তিকর"
"এ সেই কিতাব, এতে কোন সন্দেহ নেই। সাবধানিদের জন্য এ পথপ্রদর্শক" ০২:০২
আপনি যে লিংক দিয়েছেন ঐটা ইংরেজীতে তাই ভালো ভাবে বুঝতে পারি নাই। শুধু প্রথমের অংশটা পড়ে যেটা বুঝেছি যে মানব সৃষ্টির আয়াত সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আপনার লিংকে ঢুকে দেখলাম সিমেন, স্পামর্র, ডাস্ট, কাদামাটি, পানি কই কোনটা ত কোনটার সাথে সাংঘর্ষিক নয়।
আল্লাহর কথার মধ্যে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না সেটা আল্লাহ ০২:০২ আয়াতে উল্লেখ করেছেন।

কোরআন বলে আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। অন্য আয়াতে মৃত্তিকা থেকে। আবার বলা হয়েছে কর্দমাক্ত মৃত্তিকা হতে, মৃত্তিকার নির্জাস হতে। আবার বলা হয়েছে অভিন্ন প্রান বা অভিন্ন সত্তা বা একক জীবকোষ বা একক ব্যাক্তি হতে অনেকে অনেক ভাবে অনুবাদ করেছেন।
যাহোক কোন মাটিতে যদি পানি না থাকে তাহলে তাকে কি বলে? সিমেন কি? সিমেন একটা জীবকোষ, সিমেন এর ৯০শতাংশ পানি। আপনার শরীরে কতভাগ পানি আপনিই ভালো জানেন। কোরআন বলে যেই সত্তা হতে আদমকে (আ:) সৃষ্টি করেছেন সেই সত্তা হতেই হাওয়া (আ) কে সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ বলেন যারা এই সব সংশয় এর কথা বলেন তারা আন্দাজে বলেন কোন তথ্য প্রমান ছাড়া।
মানব সৃষ্টি সহ অন্যান্য আয়াত নিয়ে ড মরিস বুকাইলি গবেষনা করেছেন কিন্তু ডারইউন যেমন আন্দাজে থিওরি দিয়েছেন আর থিওরি এবং বাস্তবতা এক নয়।
মরিস বলেন "কোরআনের বানীসমূহ স্ববিরোধীতা ও বৈপরিত্য থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত"
মরিসের উদাহরনটা দিলাম কোরআন কে কাঠগরায় রেখে নয়, এটা বাস্তবতা। আসল কথা হচ্ছে ০২:০২ নিয়ে।
আমার অনুরোধ ভাই আপনি খুব ভালো লিকেন কিন্তু আপনার ঐ বাক্যগুলো নিয়ে আর একটু পড়াশুনা করার অনুরোধ করছি।
মানুষের নিজের অজ্ঞতার কারনে কোরআনের মধ্যে সন্দেহ পোষন করলে সেটা অবশ্য সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কথা এবং সে জন্য এই কিতাব অবশ্যই দায়ী নয়।
ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

সাইফ সামির বলেছেন: আপনি ভুল বুঝে বসে আছেন। আমার কোন ভুল ধারণা হয়নি। ভুল ধারণা হলে আপনাকে যে লিংকটি দিয়েছি সেটি দিতাম না। অন্য আরেকটি লিংক দিতাম যেখানে কোরআনের পক্ষে রেসপন্স দেওয়া হয়নি। ভুল তারাই বুঝবে যারা শানে নযুল/তাফসির/হাদিস ছাড়া শুধু শাব্দিক অর্থ ধরে কোরআন বোঝার চেষ্টা করবে। এবং সেটা করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবে। আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন আমি সেই কথাগুলো দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছি। ধন্যবাদ।

১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: গরু অক্সিজেন ত্যাগ করে: দাবি রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রীর
প্রমাণ নিন

এখন বলুন এই সমস্ত ধর্মকানাদের ভিতরে বিজ্ঞানের জ্ঞান ঢুকাবেন কি করে!

১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

সাইফ সামির বলেছেন: হা হা উনি যেটা করছেন সেটা ওনার দাবি, ওনার ধর্মের (হিন্দু) দাবি না।

ধর্মকে বিতর্কিত করে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা মানুষগুলো। এই বিতর্কের দায় সেই মানুষগুলোকেই নিতে হবে।

ইসলামে কিন্তু বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা আছে।

১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫০

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আর কত বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে বিবাদ করবেন আপনারা? কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করা না হলে কোনওদিনও বিজ্ঞানের সাথে তার সংঘাত হতোনা।
যারা মুসলমান আছেন দয়াকরে কুরআন , সুন্নাহ , হাদীস মেনে কথা বলুন। অন্যধর্মের প্রতি সম্মান করুন, টিটকারী মারা শরিয়তবিরুদ্ধ।
কারও কুরআনের সত্যিকার সৌন্দর্য্য জানার ইচ্ছা থাকলে এটা দেখুন
https://www.alislam.org/

২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

সাইফ সামির বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.