নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শারমিন আকতার

শারমিন আক্‌তার

জ্ঞান অর্জনের জন্য ছুটে চলা অবিরাম .....

শারমিন আক্‌তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার আমিঃ বাবার পুরোনো সাইকেল ও আমরা

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১০

শারমিন আকতারঃ
আমি আর আমার ছোট ভাই ( আমার তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট তাই ছোট ভাই বলে ডাকি আসলে আমার চেয়ে ও প্রায় আড়াই বছরের বড়)একসাথে পড়তাম । আমারা যখন ইনটারমেডিয়েটে কলেজে পড়ি তখন আমরা প্রতিদিন প্রায় ৩.৫-৪ কিলোমিটার রাস্তা হেটে আমাদের গ্রাম থেকে দুরের কলেজে যেতাম; আবার হেটে কলেজ থেকে বাসায় ফিরে আসতাম (গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার হাঁটতাম) ।
আব্বার একটা অনেক দিনের পুরোনো সাইকেল ছিল । সেটা চালিয়ে কলেজে ঠিকই গেছে আমার মেজো ভাই। কিন্তু ছোট ভাই কিছুতেই সেই পুরাতন ভাঙ্গা সাইকেল চালিয়ে কলেজে যাবে না, বন্ধুরা সাইকেল নিয়ে টিটকারি করবে বলে । তার এই টিনএজ বয়সের অতিরিক্ত আত্মসম্মানের জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো দুজনকে। ছোট ভাই ছেলে হওয়ায় সম্ভবত ওর গায়ের চামড়া বেশ শক্ত ছিল । প্রতিদিন ৮ কিলোমিটার হেটে ওর তেমন কিছু হত না । কিন্তু দুই বছর প্রতিদিন (শুক্রবার ও ছুটির দিন ছাড়া) ৭-৮ কিলোমিটার পায়ে হাটার কারণে ঠিকই বেশ কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে । আমার পায়ের পাতায় কয়েকবার ফোসকা পড়ে গিয়েছিল ।
হাঁটতে হাঁটতে যেই আমার পায়ের পাতায় ফোসকা পড়ে গিয়েছিল, সেই আমি আজ যখন পাঁচ মিনিটের রাস্তা চলার জন্য রিক্সায় উঠি তখন খুব মনে হয় সেই দিনের কথা । হাটার কারণে পায়ে ফোসকা পড়া এই আমি মাত্র কয়েক বছরে এমন পরিবর্তিত হয়ে গেছি কিভাবে ? যে আমি প্রতিদিন ২-২.৫ ঘণ্টা পায়ে হেটে ক্লাস করেছি সেই আমি পাঁচ মিনিট হাঁটতে পারি না !!!!!!

লেখকঃ সম্পাদক, মহীয়সী (http://www.mohioshi.com ; নারী ও প্যারেন্টিং বিষয়ক নিউজ পোর্টাল)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আবার হাঁটেন

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৩

শারমিন আক্‌তার বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পোষ্ট পড়ে আমার সেই স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। আমাকেও প্রতিদিন ৪ মাইল রাস্তা হেঁটে স্কুলে যেতে হতো। এতে যেমন কষ্ট ছিল তেমন আনন্দও ছিল। বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই কিছু ছাত্র সঙ্গী হতো এরপর যত স্কুলের কাছে পৌঁছতাম তত সঙ্গী বাড়তো। ঝড়, বৃষ্টি, রোদেও স্কুল কামাই করতাম না। বিকাল বেলা যখন বাড়ি ফিরতাম তখন ক্ষিদেয় মুখ শুকিয়ে যেত। তারপরেও স্কূল জীবনে আলাদা একটা আনন্দ ছিল। হায়রে স্কূল জীবন- - - -

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.