নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পজেটিভ কিছু ভাবনা সব সময় থেকেই যাই মনে । ভাবনা গুলোর যেন ডানা মেলা শেষ হয় না ।
শীত এলেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কম্বোল বিতরনের একটা হালকা ভারি ঝড় বয়ে যায় ।
নিঃসন্দেহে একটা ভালো কাজ করে । বরাবরি প্রমান হয় যে বাঙালি কতটা হেল্পফুল । এখন বাংলাদেশের প্রতিটা শহরেই অনেক তরুন / প্রবিন সংঘটন আছে ।যারা নিজেদের উদ্দেগে নিঃর্সার্থ ভাবে মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছে ।
কিন্তু কিছু দিক দিয়ে আমি এর অনেকটা বিপরিতে আছি ।
প্রথমতঃ শীর্তার্থদের কম্বল বিতরনের উদ্দেশ্য হলো , যাদের একেবারেই সার্মথ নেই শীতের পোষাক আষাক কেনার, ঐ ধরনের মানুষকে সাহায্য করা ।
কিন্তু প্রায় সময় দেখা যায় কিছুটা বিপরিত । কেন বলছি ?
কম্বল বিতরনের সময় দেখবেন যার সার্মথ আছে সেও সাহায্য নিতে এসেছে , যার নাই সেও এসেছে । এক সাথে ১০০-৫০০ মানুষকে সাহায্য করতে গেলে দেখবেন ৪০% লোকজন সুবিধা ভোগ করছে , যাদের সার্মথ আছে ।
পরে দেখবেন বিতরণ শেষে কিছু মানুষ এখনো দাঁড়িয়ে আছে কিছু সাহায্য পাবার আশায় ।
দ্বিতিয়তঃ কেউ কেউ আজ কাল নিজের পরিচিতির আশায় শির্তাথদের সাহায্য করে । ধরুন কোন রাজনিতিবিদই এই শ্রেণিভূক্ত ।
আবার দেখবেন একদল লোক ফেসবুক ওয়ালের লাইক বা ফেমাসের আশাই বিতরণের নাটক । সত্যি বলতে গতকাল এক ফ্রেন্ড বলতেছিলো দোস্ত কম্বল বিতরণ করবো তুই থাকিস আমদের সাথে । সেইরাম সেইরাম পিক তুলুম , একখান ফোটগ্রাফার কেও ঠিক করছি পিক তুলোনের লাইগা । বস্তুত যেখানে সাহায্য করতে DSLR এর দরকার পড়ে না।
র্সবশেষঃ এখন কিছু বাংলাদেশি সেলিব্রেটি গন কনর্সাট ফর কম্বল , আশা করছি বুঝতে পারছেন । সবাই না কিন্তু !! আমি বলছি কিছু কিছু । এগুলো নিজেদের পপুলারিটি বাড়ানোর ধান্দা ।
ভাবুন একটু বিষয়টা !!
আর একটা দল বা শ্রেণি আছে, যারা সত্যি মানুষের জন্য কিছু করতে চায় ।এরা কিভাবে সাহায্য করবে এটা ভাবতে ভাবতেই রাতের ঘুম হারাম করে দেয় । এটা ভেবে ঘুম আসে না যে , পারবো তো কিছুটা মানুষের কষ্ট লাঘব করতে ? এরা নিজের ভাবে না নিজেদের পপুলারিটি , এরা শুধু চায় আমি যেন দঃখী মানুষ গুলোকে সাহায্য করতে পারি যেভাবেই হোক ।
কিছু অভিজ্ঞতাঃ মার্ক করুন কে কে আসলেই অসহায় ।কে সত্যি কষ্ট করে শীতে ।
যারা সাহায্যের লাইনে দাড়াই এরা সবাই কিন্তু অসহায় না , কেউকেউ ব্যাহাইয়াপানার জন্যও লাইনে দাড়াই। অবশেষে কছু অসহায় মানুষ গুলো কিন্তু ঠিকই দাঁড়িয়ে থাকে সত্যিকারের কিছু পাবার আশায়।
হাস্য কর লাগতে পারে আপনার কাছে কিন্তু আমার কাছে না । কাউকে চিনেন না যানেন না কিভাবে সাহায্য করবেন ? ৪০০-৫০০ জনকে সাহায্য না করে গটা ২০-৩০ জনকে সাহায্য করেন । দেখবেন তার কষ্টটাও কমবে আপনার সাহায্য টাও র্সাথক হবে। সুন্নত আদায় করতে গিয়ে ফরজটা নষ্ট না করাই ভালো ।
ফেবুতে সাহায্যের পোজে পিক আপলোড করলেই আপনি মাদার তেরেসা বা হাজি মুহাম্মদ মুহাসিন হবেন না । দিল থেকে সাহায্য করলে এমনিতেই এর সুফল আসবে ।
অসহায়ের পাশে দাড়ান , কাছ থেকে তার সমস্যা গুলো শুনুন।পারলে কিছু সমাধান করুন । কাছে থেকে না চিনলে কিভাবে তাকে সাহায্য করবেন আপনি ? অনেক সময় শীতে শুধু গরম কাপড়ের অভাব থাকে না , কিছু মানুষের খাবারের অভাবও থাকে ।
একটা র্টাগেট নিন , খুজে বের করুন কে কে আপনার মহল্লায় কষ্ট করছে এই তিব্র শিতে! অনেক সময় একটা সাধারন সাহায্য কিন্তু কিছু মানুষের অসাধারন উপকারে আস্তে পারে ।
ভাবছেন , যার দরকার সে এমনিতেই এসে সাহায্য নিয়ে যাবে । ভাই ধান্দা বাজেরও সাহায্যের দরকার হয় । ভাত ছিটালে যেমন কাকের অভাব হয় না , তেমনি কম্বল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও চিটার অসহায়ের অভাব হয় না ।
মনোভাব টা এমন করুন আমি যাকে সাহায্য করবো, আমি সত্যিকারের সেই অসহায় মানুষ গুলোকে খুজে বের করবো এবং দরকার হলে তার ঘরে গিয়া সাহায্য পোঁছাই দিব ।
শত শত না ভাই ভালো করে একজনের ভর টা আপনি নিন । দেখবেন শত শত জনের চেয়ে একটা মুখের হাসিই আপনাকে শত হাসির র্সাথকতা এনে দিবে that I promise
সন্মান জানাই সেই সমস্ত মানুষকে, যারা মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজে ঝুঁকি নেন বিভিন্ন কারণে ।
মানুষ মানুষের জন্যে !!
কারো মনে এই লেখায় কষ্ট লাগলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, ক্ষমা চোখে দেখবেন। ধন্যবাদ
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অন্তত একজনের তো ভালো লাগছে অথবা আমার সাথে সহমত। ভালো থাকবেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
মহাকাল333 বলেছেন: ভা্ই,লেখাটি পড়ে ভাল লাগলো।