নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারতেই হবে !

সুপ্ত আহমেদ

পজেটিভ কিছু ভাবনা সব সময় থেকেই যাই মনে । ভাবনা গুলোর যেন ডানা মেলা শেষ হয় না ।

সুপ্ত আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘হিথ ল্যাজার’ এর জন্য আমি আজ খুবিই শোকহত !! Love you boss !! /:)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১



চিনতে পেরেছেন এই মানুষটাকে ?
মনে আছে?

তাহলে আর একটি ছবি দেখুন। এবার দেখুন চিনতে পারেন কিনা । B-)



"Heath Ledger" (4 April 1779 - 22 January 2008)
চলচ্চিত্র জগতের অকালেই ঝরে যাওয়া এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম ‘হিথ ল্যাজার’, যে কিনা বিখ্যাত সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সুপার হিরো মুভি ‘দ্য ডার্ক নাইট’ এ তাঁর করা সর্ব কালের সব থেকে ভয়ংকর ভিলেন ‘জোকার’ চরিত্রের জন্য... আর এই চরিত্রটিই তাকে তিলে তিলে ঠেলে দিয়েছে মৃত্যুর দুয়ারে... আজ এই মহান অভিনেতার ৬ষ্ঠ তম মৃত্যু বার্ষিকী... ২০০৮ সালে ঠিক এই দিনেই ‘হিথ ল্যাজার’ কে তাঁর বাড়ীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়... সেই সময়টায় সে ব্যস্ত ছিল এই ‘জোকার’ চরিত্রটিকে নিয়ে আর এই চরিত্রটি করতে গিয়ে নিজের প্রতি অমানুষিক পরিশ্রম ও অত্যাধিক ঔষধ সেবনেই তাঁর এই অকাল মৃত্যু... কিন্তু তাঁর মৃত্যু বৃথা যায়নি... তাঁর ‘জোকার’ চরিত্রটি মানুষের হৃদয়ে যে পরিমাণ বিভীষীকার সৃষ্টি করেছে এবং মানুষ তাকে ভালবাসে যে পরিমাণ সম্মান দিয়েছে তা অনেক জীবিত অভিনেতার ভাগ্যেও জোটে না... তাকে সম্মানিত করা হয় সর্ব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরষ্কার ‘অস্কার’ দ্বারা... কিন্তু আফসোস, এত সম্মান, এত ভালবাসা সে নিজের চোখে দেখে যেতে পারলো না...
মাঝে মাঝে একটি কাজই মানুষকে যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট... ‘হিথ ল্যাজার’ এখন আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর অমর সৃষ্টি ‘দ্য ডার্ক নাইট’ এর ‘জোকার’ তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে সকল চলচ্চিত্র প্রেমীদের হৃদয়ে... ‘হিথ ল্যাজার’ মৃত্যুর পরেও আমাদেরকে তাঁর ‘জোকার’ চরিত্রের সেই বিখ্যাত ডায়লগের দ্বারা জীবনের সব থেকে অনুপ্রেরনাদায়ক শিক্ষা দিয়ে গেছে…



“Why So Serious ? Let’s Put A Smile On That Face… !!!”



যদিও আমি মুসলিম ওনি খৃষ্টান ! তবুও আল্লাহের কাছে এই দোয়া, ওনাকে যেন কোন একটা ভালো কাজের জন্য তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।


এবার আসি তাঁর পরিচিতিতে। যারা এখনো জানেন না তাঁর সর্ম্পকে।



১৯৪০ সালের এপ্রিল মাসে কমিক বুক ‘ব্যাটম্যান’ এর মাধ্যমে ‘ডি.সি কমিকস’, কমিক বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেয় এক সাইকোপ্যাথ সুপার ভিলেনের সাথে যার নাম ‘দ্য জোকার’। বলা হয় ‘জেরি রবিনসন’, ‘বিল ফিঙ্গার’ এবং ‘বব কেইন’ এর দ্বারা জোকার চরিত্রটি নির্মিত হয়েছিল, যদিও জোকার চরিত্র নির্মাণের কৃতিত্ব আসলে বিতর্কিত, বব এবং রবিনসন দুজনেই জোকারের ডিজাইন নিয়ে নিজ নিজ কৃতিত্ব দাবি করেন তবে দুজনেই লেখার পিছনে ফিঙ্গারের অবদানের কথা স্বীকার করেন। বব কেইনের ভাষ্যে,


“জোকারকে তৈরি করেছিলাম আমি আর ‘বিল ফিঙ্গার’, বিল ছিল এর রচয়িতা এবং ‘জেরী রবিনসন’ জোকারের জন্য প্লেয়িং কার্ডের আইডিয়া নিয়ে আসে। ‘বিল ফিঙ্গার’ কনরেড ভেইদ্ট ফটো সমৃদ্ধ একটি বই দেখিয়ে বললো ‘এই হল জোকার’, তা থেকেই মূলত আমি জোকারকে দাঁড় করাই যে, জোকার দেখতে অনেকটা কনরেড ভেইদ্ট (‘লর্ড ক্লেনচার্লি’) এর মত, যার পরিচিতি ‘ভিক্টর হুগো’ রচিত গ্রন্থের এর উপর ভিত্তি করে ১৯২৮ সালে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য ম্যান হু লাফস’ এর অভিনেতা হিসেবে। সত্যিকার অর্থে, ‘জেরী রবিন্সন’ এর কোনও কৃতিত্ব ছিলনা, তবুও তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সে বলবে সেই জোকারের উদ্ভাবক। অথচ সে শুধুমাত্র ওই প্লেয়িং কার্ড আইডিয়াই নিয়ে আসে যা আমরা জোকারের জন্য শুধুমাত্র কয়েকটা ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিলাম।”



‘জোকার’ হচ্ছে এক নরঘাতী উন্মাদ এবং ‘ব্যাটম্যান’ এর চিরশত্রু। যদিও ধারণা করা হয় তার নাম ‘জ্যাক ন্যাপিয়ার’ তবে তার আসল নাম এখনও অজানা। তার ছদ্দনাম গুলো হচ্ছেঃ ‘ক্লাউন প্রিন্স অফ ক্রাইম’, ‘জে. রেকো’, ‘জ্যাকো দ্য মেগ্নিফিসেন্ট’ এবং ‘ডমিনো কিলার’ প্রভৃতি। তার পরিচিতি দেয়া হয় ‘স্যাডিস্টিক সেন্স অফ হিউমার’ বিশিষ্ট এক মানসিক অস্থিরতারূপ ব্যাধিগ্রস্থ ব্যক্তি (‘সাইকোপ্যাথ’) হিসেবে। ব্যাটম্যানের চিরশত্রু ছাড়াও তাকে বলা হয় গোথামের জীবিত সন্ত্রাসী যদিও তার অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ‘আরখাম এসাইলাম’ এ, এবং প্রত্যেকটি কমিকেই তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এক নির্মম ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে। জোকার এমন এক বিপজ্জনক সাইকোপ্যাথ যার মানুষের জীবনের উপর কোন বিবেচনা নেই, হত্যা এবং হানাহানিতে যে খুঁজে পায় পৈশাচিক আনন্দ। তার উৎপত্তি এবং মুখের স্কার্স সম্পর্কে যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে। সে নিজে তার উৎপত্তির অনেকগুলো গল্প বলে বেড়ায়। এক এক সময় এক ধরণের গল্প বলে সে। ‘দ্য ডার্ক নাইট’ (২০০৮) মুভিতে তাকে দুইটি গল্প বলতে দেখা যায়,


01. “You wanna know how I got these scars ? My father, was a drinker, and a fiend. And one night, he goes off crazier than usual. Mommy gets the kitchen knife to defend herself. He doesn’t like that. Not. One. Bit. So, me watching, he takes the knife to her, laughing while he does it. He turns to me and says, “Why so serious ?” Comes at me with the knife. “Why So Serious ?” He sticks the blade in my mouth… “Let’s put a smile on that face.” And… Why so Serious ?”


02. “So I had a wife. She was beautiful, like you. Who tells me I worry too much. Who tells me I ought to smile more. Who gambles and gets in deep with the sharks. One day, they carve her face. And we have no money for surgeries. She can’t take it. I just want to see her smile again. I just want her to know that I don’t care about the scars. So… I stick a razor in my mouth and do this… to myself. And you know what ? She can’t stand the sight of me! She leaves. Now I see the funny side. Now I’m always smiling !”



মুলত বলা হয় রাসায়নিক কারখানায় একটি ইনসিডেন্টের সময় দুর্ঘটনাক্রমে মারাত্মক কিছু রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রিত এক ড্রামে পড়ে যাওয়ার কারনে তার গায়ের চামড়া ফ্যাঁকাসে সাদা আর চুলের রং সবুজ হয়ে যায় এবং তার মুখ স্থায়ীভাবে বিদ্রূপহাস্য (দেখে মনে হয় ভেংচি কাটছে) ভঙ্গিতে রুপান্তরিত হয়ে যায় তবে সেটা প্লাস্টিক সার্জারি বলেও ধারণা করা হয়। উল্লেখ্য যে, ড্রামের রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়া তার স্বাভাবিক মানুষিক অবস্থার অসংগতি ঘটায় এবং অক্সিজেন বঞ্চনা ছাড়াও মারাত্মক কিছু রাসায়নিক পদার্থের উন্মুক্ত সমন্বয় তার স্নায়বিক ক্রিয়াতে বিরূপ প্রভাব ফেলে যার দরুন সে তার মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। অজ্ঞাত কারণে জোকার তার এই অবস্থার কারণে ব্যাটম্যানকে দায়ী করে বলে যে ব্যাটম্যানের কারণেই সে রাসায়নিক ড্রামে ছিটকে পড়ে।


১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টিম বার্টন’ পরিচালিত ‘ব্যাটম্যান’ মুভিতে দেখানো হয় দুর্ঘটনাক্রমে ব্যাটম্যানের হাত ফসকে সে রাসায়নিক পদার্থে পূর্ণ ড্রামের ভেতর পড়ে যায়। এবং মুভিতে দেখানো হয় ‘ব্যাটম্যান’/’ব্রুস ওয়েইন’ এর পিতামাতার মৃত্যুর জন্য দায়ী এই জোকাররুপী ‘জ্যাক ন্যাপিয়ার’। জোকারের সকল অপরাধের লিস্ট করা দুস্কর। তবে তার ব্যক্তিগত বিরোধ মুলত ব্যাটম্যানের সাথে এবং তার প্রায়শ সামঞ্জস্যপূর্ণ থিম ছিল ব্যাটম্যানের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করা। এক সময় জোকারকে বলতে শোনা যায়, “I have given a name to my pain, and it is Batman.”। তবে তার যেকোন শিকারের প্রতিই সে ছিল খুবই নির্মম। সে তার খেয়াল খুশিমত অপরাধ করে বেড়াতো এবং সেগুলো ছিল পরিকল্পিত এবং নিশংস। ২০০৬ সালে ‘Wizard Magazine’ তাকে সর্বকালের সেরা ভিলেন বলে আখ্যায়িত করে।


জোকারকে প্রথমে কমিক বুকে দেখা গেলেও পরবর্তীতে তাকে নিয়ে এনিমেশন, টিভি সিরিজ, মুভি নির্মাণ হয়। ‘টিম বার্টন’ এর ‘ব্যাটম্যান’ (১৯৮৯) মুভিতে ‘জ্যাক নিকলসন’ জোকার চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে এই চরিত্রটিকে যিনি পূর্ণতা দান করেছেন তিনি হলেন ‘ক্রিস্টোফার নোলান’ পরিচালিত ‘দ্য ডার্ক নাইট’ (২০০৮) এর ‘হিথ ল্যাজার’।



‘হিথ আন্ড্রিউ ল্যাজার’, একজন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা এবং চিত্রপরিচালক। তার জন্ম ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। ‘ব্যাটম্যান বিগিন্স’ (২০০৫) এ, ‘ব্যাটম্যান/ব্রুস ওয়েইন’ রোলের জন্য কম বয়সী অভিনেতার খোজে থাকা পরিচালক ‘ক্রিস্টোফার নোলান’ শরণাপন্ন হয়েছিলেন ‘হিথ ল্যাজার’ এর কাছে। কিন্তু মিটিঙের সময় ল্যাজার অনুৎসাহ দেখিয়ে মানা করে দেন এবং বলেন “আমি কখনও কোন সুপারহিরো ফিল্মে অভিনয় করবোনা”। কিন্তু পরবর্তীতে ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’ দেখে তিনি এতোটাই মুগ্ধ হন যে তিনি তার মত পরিবর্তন করে নিজেই পরিচালক নোলানকে ছবিটির পরবর্তী পর্ব ‘দ্য ডার্ক নাইট’ এর ভিলেন ‘জোকার’ চরিত্রে তাকে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এই চরিত্রটা সার্থকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এতোটাই উঠে পড়ে লেগেছিলেন যে ছবিটির চিত্রনাট্য লেখার আগেই জোকার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। নোলানকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় কেন হিথকে নেওয়া হল, তখন তার উত্তর ছিল, “He’s Fearless”। আসলেই তাই। হিথ তার অভিনয়ের প্রতি যে কত Devoted ছিলেন তা হয়তো বলে বোঝানো যাবে না। রোল প্রস্থুতির জন্য ল্যাজার এক মাসের জন্য একটি হোটেল রুম ভাড়া করে সেখানে বাস করা শুরু করেন যাতে তিনি চরিত্রটির বৈশিষ্ট, অঙ্গবিন্যাস এবং কণ্ঠ স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন এবং তার তৈরি এই জোকারের চিন্তাধারা ও অনুভূতি তিনি একটি ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখেন। জোকার চরিত্রটিকে তিনি নিজে অনেক ডেভেলপ করেছিলেন। জোকারের কথা বলার ধরন, তার Sadistic হাসি, জোকারের আচার আচরণ সব কিছু সময়ের সাথে খুব ভালো ভাবেই আয়ত্ত করছিলেন হিথ। তিনি চাননি তার অভিনয় জ্যাকের অভিনয়ের ছায়ায় মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠুক।তিনি এই চরিত্রের অনেক গভীরে চলে গিয়েছিলেন, তার চিন্তা-ভাবনা, সবকিছুই গ্রাস করে নিয়েছিল জোকার চরিত্রটি। হয়তো জোকারই এমন প্রথম চরিত্র যা একজন মানুষের সত্তাকে গ্রাস করে নেয় যদিও সে কাল্পনিক !


জোকার চরিত্রটির মেক-আপ হিথ নিজে ডিজাইন করেছিলেন। জোকারের জিহবার ভঙ্গিমা (Tongue Flip), হিথের নিজস্ব অভ্যাসে পরিণত হয়। নোলান নিজেই হিথকে কিছু ভিডিও শুট এবং তা পরিচালনার অনুমতি দেন এবং তার কর্মদক্ষতা নোলানকে ভালই প্রভাবিত করে। মুভিতে জোকারের যেসব নিজস্ব ভিডিও ছিল, যেগুলো নিউজ চ্যানেলে প্রচার করা হয়, সেই ভিডিওগুলো হিথ নিজে পরিচালনা করেছিলেন। হিথের কারণেই প্রথম একটি কমিক বুক চরিত্র অস্কার পায়। এবং এই অভিনয়ের জন্য তিনি ৩২টি পুরষ্কার পান। হিথের ফেভারিট রোল ছিল জোকার, তাই হয়ত তিনি এত Devoted ছিলেন।


অনেকেই হয়ত জানেন ‘দ্য ডার্ক নাইট’ মুভির কিছু দৃশ্যে হিথের ইমপ্রোভাইজেশন ছিল। বাংলায় বলা হলে ‘তাৎক্ষণিক উদ্ভাবন’। যেমন গর্ডনের কমিশনার হওয়ার সময় জোকার তালি দেয়, এটা স্ক্রিপ্টে ছিল না। তারপর হাসপাতাল ধ্বংস হওয়ার ডেটোনেটর কাজ হচ্ছিল না, সেখানেও হিথ চমৎকার অভিনয় করেন। আসলে জোকার চরিত্রটিকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান যা আর কারও পক্ষে হয়তো সম্ভব ছিল না।


হিথের নিষ্ঠাই যেন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। জোকার চরিত্রটিতে অভিনয় করার সময়ই সে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হিথের শারিরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকে জোকারের অভিনয় করার সময়। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,


“Last week I probably slept an average of two hours a night… I couldn’t stop thinking. My body was exhausted, and my mind was still going.”




ল্যাজার নিজে রিপোর্টারদের জানান যে, তার বর্ণায়িত এই সাইকপ্যাথিক ম্যাস-মার্ডারিং স্কিজোফ্রেনিক ক্লাউন রোল সহানুভূতিশূন্যভাবে প্লে করার জন্য তিনি দৈনিক মাত্র দুঘণ্টা ঘুমাতেন, প্রেস্ক্রাইপড করা ওষুধও কাজে আসেনি বলে তিনি বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শে একসাথে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করতেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে তিনি ঠিকমত ঘুমাতে পারছিলেন না। ঔষধ খেয়েও তার অনিদ্রা দূর হচ্ছিল না, তিনি সবসময় শুধু জোকারের কথা চিন্তা করতেন। এভাবে চলতে থাকায়, একদিন তাকে মৃত অবস্থায় তার রুমে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় তিনি যে বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শে একসাথে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করতেন, তার ফলে ড্রাগ ওভারডোজে ২৯ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই অভিনেতার অকালমৃত্যু ঘটে। হিথের মৃত্যু হয় ‘দ্য ডার্ক নাইট’ মুভি রিলিজ পাওয়ার প্রায় ৬ মাস পূর্বে। ২২ জানুয়ারী তার হাউসকিপার তার লাশ আবিষ্কার করে।



এই চলচ্চিত্রে ল্যাজারের নিজস্ব চিন্তাভাবনায় সৃষ্ট এই জোকারের অভিনয় ছিল একটি অপূর্ণ স্বপ্ন সফল হওয়ার মত, তবে এখন অনেকেই মনে করেন এটি একটি দুঃস্বপ্ন যা ল্যাজারকে বিয়োগান্তক মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। জোকার চরিত্রের ব্যপারে তার সাথে কোন যোগাযোগ করা হয়নি বলে নব্বই দশকের জোকার ‘জ্যাক নিকলসন’ কিছুটা বিচলিত ছিলেন এবং ল্যাজারের মৃত্যুর পর তিনি এক রহস্যময় এক মন্তব্য করে বলেন, “আমি তাকে সাবধান করেছিলাম”। ‘দ্য ডার্ক নাইট’ মুভির জন্য সেরা সাপোর্টিং রোলে অস্কার পান ‘হিথ লেজার’। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে তা তিনি নিজ হাতে গ্রহণ করতে পারেন নি। যে খ্যাতি, যে ভক্তদের জন্য মানুষ আজীবন পরিশ্রম করে, তাই তিনি পেয়েছেন, কিন্তু তিনি তা জেনে যেতে পারেননি। তিনি জানতে পারলেন না যে তিনি বিশ্বের অন্যতম এক সেরা অভিনেতা হিসেবে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে স্থান দখল করেছেন।


তথ্যঃ বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রিহিত।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টে ২য় ভাল লাগা। সময় নিয়ে পড়তে হবে।

উনির অভিনয় ভাল লাগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.