নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারতেই হবে !

সুপ্ত আহমেদ

পজেটিভ কিছু ভাবনা সব সময় থেকেই যাই মনে । ভাবনা গুলোর যেন ডানা মেলা শেষ হয় না ।

সুপ্ত আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরাপদ সড়ক নিজেরাই গড়ি !! জাষ্ট একটু সাবধনতা মেনে চলি অন্য কেউ উৎসাহ করি !!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৫





আমার অনেক দিনের ইচ্ছা সড়ক র্দুঘটনা নিয়ে কিছু বিষয় তুলে ধরবো। ব্লগে আগে শুধু মাত্র একজন পাঠক ছিলাম, এখন লিখতে শুরু করেছি , তাই আজ সড়ক র্দুঘটনা নিয়ে কিছু লিখবো।



বাংলাদেশে সড়ক র্দুঘটনা খুব মারমান্তিক একটা বিষয়। একটু নিজেরা সর্তক থাকলে কিন্তু কিছুটা হলেও এই সড়ক র্দুঘটনা থেকে রেহায় পেতে পারি + অন্য একটা জিবণও বাঁচাতে পারি। সড়ক র্দুঘটনার জন্য আমরা নিজেরাই কিন্তু সরাসরি অথবা পত্যক্ষ ভাবে জড়িত আছি। অথবা কখনো সরকারের গাফোলতি থাকে। আজ নিজেদের কিছু বিষয় তুলে ধরবো। অন্য একসময় সরকারের ত্রুটি গুলো তুলে ধরবো।



ঘটনা -১ঃ



গত বছর, জুন মাসে কুষ্টিয়া থকে ট্রেনে বাসায় ফিরবো বলে রওনা দিয়েছিলা। কুষ্টিয়া থকে ট্রেন মিস করাই বাধ্য হয়ে সেদিন সি,এন,জি যোগে পোড়াদহ রেল ষ্টেশনে আসেছিলাম। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি আর ফেসবুকে চ্যাট করছি বন্ধুর সাথে। ওয়েট করা বড়ই কষ্টের কাজ তাই সময় পার করছিলাম, আর সময় গুঞ্ছিলাম যে কখন ট্রেন আসবে।



খুলনা থকে ঢাকা গামি ট্রেন চিত্রা ঢাকার উদ্দেশ্যে আসছিলো। দেখলাম ট্রেন আসছে, ট্রেন যখন বাই রোডের গেট পার হবে ঠিক তখনি খেয়াল করলাম- কেউ একজন ট্রেনের সামনে চলে আসলো আর সজোরে বাড়ি খেয়ে ছেচড়িয়ে ট্রেনের নিচে চলে গেলো । তখন ঐ মুর্হুতে আমি দুনিয়াতে ছিলাম কিনা যানি না। রক্ত বা কাটাকুটু দেখলে আমি সহ্য করতে পারি না। একবার ভাবছিলা দেখবো ঐ ছেলে কে কিন্তু সাহস হচ্ছিলো না। পরে অনেক লোকজন ভিড় যখন করলো আমিও গেলাম।



ঠেলাঠেলি করে যখন লাশটা দেখলাম । দেখলাম - হাত পা সব ভেঙ্গে জড় হয়ে গেছে আর মুখের মাড়িটা ভেঙ্গে অন্য দিকে চলে গেছে।



সবচেয়ে অবাক হলাম যে জিনিষটা দেখে সেটা হলো- ছেলেটার হেডফোন আর ফোন পড়ে ছিলো লাশ থেকে ২০ হাত মত দূরে। অনেকে বলছিলো হেডফোন কানে লাগিয়ে রাস্তা ওভারটেক করতে গিয়ে এই এক্সসিডেন্টটা হলো। গেট দেওয়া র্সতেও কেন খেয়াল করেনি সে উত্তরটা হয়তো নেই কারো কাছে। আবার সাইডে তাকিয়েও তো লাইন পার হোতে পারতো। কিন্তু কথায় আছে মৃত্যু যার যেখানে আছে।



একটু খেয়াল করুনঃ আমদের অনেকেরই এই অভ্যাসটা আছে, কানে হেডফোনে গান শোনা আর রাস্তায় চলা চল করা। হেডফোনে গান শোনা আর রাস্তা চলা কি ভয়াবহ তা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন?



ঘটনা-২ঃ



২০১২ রোজার ঈদে- আমি আর আমার ফ্রেন্ড রেজভি বিকালে বাইকে করে বের হয়েছিলা। ওর ফিজার আর আমার পালসার, দুজন দুই বাইকে র্দশনা থকে চুয়াডাঙ্গা উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। দুইজন বাইকে রোডে ভালোই শয়তানি করি। টায়ার র্বান, হেড সো, স্পাল্টিং, সান্ট, রোলিং স্টপি ইত্যাদি হাইওয়ে তে উঠলেই করি। তো ওই দিন রেজভি টায়ার র্বান করতেছিলো। ঈদের দিন সো রোডে বাইকের তো অভাব নেই। রেজভি যখন টায়ার র্বান করে শান্ট এর জন্য এগোচ্ছে তখন পিছোন থেকে অন্য একটা বাইক এসে ওর সামনে ব্রেক মেরে বললো ভাব মারাও রোডে? রজভি রেগে গিয়ে কি যেনো বললো আমি বুঝতে পারিনি যেহুতু ওর থেকে আমি দূরে ছিলাম। রেজভি দেখলাম ঐ ছেলের বাইকে পিছু নিচ্ছিলো আর আমকে ইসারা দিলো জোরে চালা। আমিও স্পিড তুললাম বাইকে। ৩ টা বাইকেই তখন স্পিড নন্যুতম ৭০ ছিলো। তার উপর বাকা রাস্তা। পরে আমি রেজভির সমার স্পিডে নিয়ে বললান ফাজলামি দরকার নাই চ তন্নিদের বাসায় যাই এই পথে। তাই কিছু দূর যাওয়ার পরেই আমি আর রেজভি বাইক থেকে নেমে মোড়ে সিগেরেট খাবো বলে টোঙ দোকানে দাড়ালাম। তার একটু পরেই ঐ বাইক যেই ছেলের সাথে পাল্লা চলছিলো দেখলাম পিছনে আরো ২ জনকে নিয়ে ব্যাক আসছে। রোডে আর একটা ছোট রোদের জয়েন্ট ছিলো। ঐ ছেলে আমাদের দেখে ভাব নিয়ে বাইকের স্পিড আরো বাড়িয়ে জোরে চলে আসছে। ঐ রাস্তার জয়েন্টে ছোট রাস্তা থেকে একটা করিমন ( স্যালো মেসিনে চালিত গাড়ি) হুট করেই বেরিয়ে আসলো। ঐ ছেলে চেষ্টা করেছে ব্রেক করে স্পিড কমানোর কিন্তু র্হাড ব্রেক করাই পিছনের চাকা স্লিপ কেটে বাইক গড়িয়ে যাই। ঐ ছেলে রোডের বাইরে ছিটকে পড়ে গাছের সাথে বাড়ি খায়। আর পিছনে থাকা ঐ দুই জন সরাসরি করমনের সাথে বাড়ি খায়। একজন ওখানেই সাথে সাথে মারা যায়। অন্য জন হস্পিটালে নেওয়ার পথে।



ওই র্দুঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছিলো।



একটা কমন ব্যাপারঃ আমাদের এই জেনারশনে বাইক পেলে কারো মাথা ঠিক থাকে না। রাস্তাই উঠলে ভুলে যাই কে আমি কি পরিচয়। ভাব নিয়ে গাড়ি চালানোটা আমাদের ফ্যশ্যান এখন। ঐ দিন ঐ ছেলেটা যদি বাইকের স্পিড না বাড়িয়ে যদি সাভাবিক ভাবে আসতো , তাহলে হয়তো ঐ দুজন মারা যেতো না। আরো দুজন আহত হত না।





ঘটনা-৩ঃ



নিউজ পেপারে পড়া ঘটনা। এক মহিলা বাবার বাসা থেকে শশুর বাড়ি যাচ্ছেন করিমনে করে। যতে যেতে মহিলার ওড়না বাতাসে উড়ে চাকার স্যপ্টের সাথে জড়িয়ে যায়। ফলায় ফাঁস লেগে ছিটকে পড়ে মাটিতে সাথে সাথেই ওখানে মারা যায়।



এবার বলি আমার র্গালফ্রেন্ড্রের কথা।

আমার র্গাল ফ্রেন্ডকে ধানমন্ডি আড়ং এর সামনে থকে ওকে ছেড়ে দিয়ে আমি উত্তরা ফিরছি। ও অকান থকে লালমাটিয়া তে যাবে সো রিক্সাতে করে যাচ্ছিলো নাকি। হঠাত ওড়না পেঁচিয়ে যাউ রিক্সার চাকার সাথে , কি আর হবে ঠাস করে মাটিতে। পরের দিন বাসায় দেখতে গেলাম - দেখে হাত পাইয়ের চামড়া উঠে গেছে,



আরেকটা সেম কাহিনি- চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্রি। মেসে থাকে , বান্ধবির বিয়ের দাওয়াতে বান্ধবির বাসায় যাওয়ার পথে হরতালে বাস না থাকায়, আলোমসাধুতে করে যাচ্ছিলো ( আলোমসাধু করিমনের মতই কিন্তু বড় ) ঐ মেয়েও যাওয়ার পথে ওর শাড়ীর আচল আলোমসাধুর চাকার সাথে জড়িয়ে যায়। যার ফলে পড়ে গিয়ে অন্তত্য ২০ হাত রোডে ছেচঁড়িয়েছিলো। ঐ মেয়েও সেদিন বাঁচেনি।





সবার উদ্দেশ্যেঃ ৩টা ঘটনা তেই কিন্তু আমাদের নিজেদের ত্রুটি। রাস্তায় হেড ফোন ইউজ না করাটাই ভালো। একটু ভাবুন, ঐ ছেলেটা যদি ট্রেনে কাটা না পড়ে যদি বাস বা কোন বাইকের সামনে পড়তো ? হয়তো নিজে মরতো প্লাস বাস ড্রাইভার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বড় কোন র্দুঘটনা ঘটতে পারতো। বাইকের সাথে হলে তো দুজনি যেত মারা।



গান মানুষ বিনোদনের জন্য শুনে। বিনোদনটা কিন্তু মানুষের ফ্রি টাইমেই উপভোগ্য। সো কেনো আপনি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে গান শুনবেন ? নিজে তো মরবেন সাথে অন্য জনকেউ মারবেন। অন্য জনের বাঁচার অধিকার তো আপনি কেড়ে নিতে পারেন না তাই না ???



বাইক চালান কিন্তু নিয়ম মাফিক স্পিডে। আপনি ড্রাইভার ভালো না স্পিডে গাড়ি নিয়ে কসারোত দেখানোর প্রশ্নেই আসে না। অনেক সময় ভালো চালোক হলেও এক্সসিডেন্ট হয় যেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

আপনি বাইক চালানোর সময় এইটুকু মনে রাখবেন, আপনি যখন বাইকে চালান আপনার উপর অনেক জনের প্রান ডিপেন্ড করে আপনার চালানোর উপর। আপনি খারাপ চালালে এক্সসিডেন্ট করবেন সাথে অন্য জন কেউ নিয়ে মরবেন। নিঃস্বচয় আপনি বাংলাদেশের একজন র্কতব্য বান নাগরিক।



মেয়েদের মেক্সিমাম সময় যে প্রব্লেমটা হয়, সেটা হলো ওড়না সামলানো। একটু ভেবে দেখবেন এই বিষয়টা।



এই ছোট খাটো বিষয় কিন্তু একটা অনেক বড় সড়ক র্দুঘটনা ঘটাতে পারে। একটু ভাবুন বিষয় গুলো নিয়ে। অন্য জন কেউ এসব বিষয় গুলো বুঝিয়ে বলুন। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা র্পযন্ত শ্রম দেই যেন আগামি দিনটাতে সূর্য্যের আলো দেখবো বলে। কিন্তু এই সামান্য বিষয় গুলো যদি এড়িয়ে চলি তো জিবণের অর্থ আর কি বাকি থাকলো ???



নিরাপদ সড়ক কখনই সরকার আপনাকে দিতে পারবে না যতক্ষন না আপনি আগে সচেতন হবেন। নিজে সর্তক থাকুন অন্যকেউ থাকতে সাহায্য করুণ।



নিরাপদ সড়ক নিজেরাই গড়ি !!





ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন !! ধন্যবাদ অসংখ্য !!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

নিলু বলেছেন: দেখে শুনে পথ চলতে হবে , এইজন্যই লোকে বলে সময়য়ের চেয়ে , জীবনের মূল্য অনেক বেশী , লিখে যান

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ নি্লু :)

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

ডি মুন বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন। আমরা একটু সচেতন হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যেতে পারি।

সকলের সচেতনতায় আমাদের চলাচলকে নিরাপদ করতে পারে।
+++


অটঃ লেখায় অনেক বানান ভুল আছে। যদি আরেকটু বেশী যত্নশীল হন তাহলে পোস্টটা আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।

লিখতে শুরু করেছেন বলে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ মুন ভাইয়া। ভাইয়া আমি একটু বাংলা টাইপিং এ র্দুবল সো এজন্য ভুল হচ্ছে চেষ্টা করবো বানান গুলো ঠিক করার :) ভালো থাকবেন ভাইয়া ।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নিরাপদ সড়ক কখনই সরকার আপনাকে দিতে পারবে না যতক্ষন না আপনি আগে সচেতন হবেন। নিজে সর্তক থাকুন অন্যকেউ থাকতে সাহায্য করুণ।

আপনার এই কথার পর আর কোন কথার সংযুক্তি দরকার নাই মনে হয়। যথার্থই বলেছেন। নিজেরা সতর্ক হলে আর ট্র্যাফিক আইন মেনে চললে দুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। সরকারের দোষ ফিটনেস বিহীন গাড়ি রাস্তা চলতে দেখা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে জালিয়াতি হবার ফলে অদক্ষ ড্রাইভার গাড়ি চালাতে যেয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়, ঠিক মতো ইনস্যুরেন্স কভার করা থাকে না, ফুটপাথ দখলে ব্যর্থতা, কখনো সিগন্যাল লাইট ঠিক ভাবে কাজ করে না ইত্যাদি। সরকার যদি এই সব ব্যাপারে কড়াকড়ি হয় এবং সাথে যদি আমরা সতর্ক হতে পারি, তবে দুর্ঘটনা ন্যূনতম পর্যায়ে চলে আসবে, যা সব উন্নত দেশেও দেখা যায়।
আপনার সচেতনামুলক পোস্ট ভালো লাগলো সুপ্ত।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে !! ভালো থাকবেন !!

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৪

জুপিটার মুহাইমিন বলেছেন: সাবধানে চলাফেরা করমু, ভাই আমার এত ঠেকা পরে নাই

আমাদের থিওরীটা এরকম

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: মনোভাব টা এখন থেকে চেঞ্জ করতে হবে !

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

নাজমুল অাহসান বলেছেন: হৃদিব্যামো এ কি কুৎসিত নাদ
ফেনিল সাপিনী রচে মৃত্যুফাঁদ
চলার পথে বেঘোর অশনি সংকেত
খ্যাকো ব্যঘ্রগর্জন আজ উটচ্চে রণিত

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১২

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: পুরোটা বুঝিনি ভাইয়া । বাট একটু একটু বুঝেছি :-B :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.