নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পজেটিভ কিছু ভাবনা সব সময় থেকেই যাই মনে । ভাবনা গুলোর যেন ডানা মেলা শেষ হয় না ।
মন খারাপ থাকলে কুষ্টীয়া সদর হসপিটালের পাশে পুকুর পাড়ে বসে থাকতাম।
মাঝে মাঝে এমনিতেও যেতাম, বসে থকতাম পুকুর পাড়ে।
১৩ই র্মাচ ২০১১ বিকালে একটু মন খারপ ছিলো পুরোনো দিনের মত সেই পুকুর পাড়ে বসেছিলাম।
সন্ধ্যার কিছু আগে এক মহিলা এসে বলছিলো বাবা আমাকে কেউ রক্ত দিতে পারবা? ওহ সেদিন পাশে আমার এক বড় ভাই ছিলেন। তো আমরা জিগেস করলাম কি হয়েছে আপনার?
মহিলাঃ আমার মেয়ের অপেরেশন হচ্ছে , এখনো রক্ত লাগবে ২ ব্যাগ । ম্যনেজ করছিলাম ডক্টর বলছে এখনো রক্ত লাগবে, আমি গরিব মানুষ মেয়ে ছাড়া আমার কেউ নেই।
বললাম আর কেউ নেই আপনার সাথে?
মহিলাঃ আমি আমার মেয়ে ছাড়া কেউ নেই। কিছু দিন আগে আমার সামি এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
সাথে থাকা বড় ভাই বললো চলে আমি রক্ত দিবো। কি রক্ত?
বললো এ পজেটিভ। বড় ভাইয়েরও ও পজেটিভ ছিলো
সো আমরা গেলাম ওনার সাথে হস্পিটালের ভিতর। বাট অপেরেশন তখন শেষ। শুনলাম পেসেন্ট মারা গেছে বাঁচাতে পারেনি।
জানি না সেদিন সেই ঘটনার পর আমার ভিতর কি লাইটমেন্ট হয়েছিলো ! অনেক কিছু ভাবছিলা তারপর। ২ দিন পর সিধান্ত নিলাম যে একটা ব্লাড ডোনার গ্রুপ করবো আশে পাশের মানুষ গুলো কে নিয়ে। বড় ভাইয়ের সাথে আলোচনা করে সিধান্তে গেলাম যে আমরা আগামিকালই একটা ব্যবস্থা করবো।
নতুন একটা গ্রুপ করলাম। নাম দিয়েছিলা বি,ডি,পি - ব্লাড ডোনার র্পাটি। গ্রুপের জন্য তারপরের দিনই মেম্বার শিপের ফরম তৈরি করেছিলাম। শুরুতে ১০ জন হয়েছিলো। পরে মোট ৮৪ জনের একটা টিম হয়েছিলো।
খুব ভালো ভাবেই কার্যক্রম চলছিলো। কিন্তু গ্রুপ চলতেও তো কিছু টাকা পয়সার দরকার ছিলো। যার জন্য ৮ মাস পরেই সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছিলো। কজ টিমের প্রায় সব টাকা আমিই বেয়ার করতাম। খরচ টা একটু বেশি ছিলো কারন - যাকে রক্ত দেওয়া হত মেক্সিমাম সবাই গরিব। আর এমনিতেও অবস্থা ভালো এমন কাওকে রক্ত দেওয়া নিয়ম ছিলো না। শুধু মাত্র অসহায়ের জন্য।
যাই হোক আর আর তারপরেও সবাই প্রায় কুষ্টীয়া ত্যাগ করছিলাম। আমরা ওখানে পড়াশুনার জন্য ছিলাম।
এখনো সেই ফরম গুলো পড়ে আছে। রেজিট্রেশনের সেই ফাইল গুলো আজ দেখলাম যখন রুম পরিষ্কার করছিলাম।
যাই হোক ইচ্ছা আছে এ বছরের শুরুতে একটা আবার টিম করবো। জুন মাসে লন্ডন চলে যাবো ইনশাআল্লাহ । প্লান করেছি র্পাট টাইম যা কাজ করবো নিজের খরচ বাদে যা টাকা থকবে পুরোটা এর পিছনে খরচ করবো।
যে টিমে কাজ হবে -
* ব্লাড ডোনেট !
*পথ শিশুদের কে পড়ার জন্য স্কুল !
* ক্যম্পেইন করে মানুষকে সচেতন করা !
* সাময়িক দূর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো !
এটা কিছুদিন আগের একটা ছবি। উত্তরাতে একটা স্কুল ছিলো যেখনে পথ শিশুদেরকে পড়ানো হতো। সন্মানিত ব্লগার বাকের ভাই ঐ স্কুলের ভলেন্টিয়ার ছিলেন। র্দুভাগ্য বসত স্কুলটা এখন আর নেই। ভলেন্টিয়ার + ডোনেটেশন।
ইচ্ছা আছে আমি এদের কে নিয়ে কিছু করবো। ইনশাআল্লাহ এই বছরের শুরুতে এমন দু একটা স্কুল করবো। দোয়া করবেন যেন মনে ইচ্চা গুলো সফল করতে পারি। বড় একটা ফান্ড নিয়ে স্টার্ট করবো এবার , যেন কার্যক্রম সফল হয়। ভলেন্টিয়ারের জন্য কিছু কিছু র্ভাসিটিতে ক্যম্পেইন করবো যদি ইচ্ছুক কিছু মানুষ পাই।
আজ অনেকের সাথে বিষয় গুলো নিয়া আলোচনা করলাম। ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের ভিতর আস্তে আস্তে এগোবো !
দোয়া করবেন !! যেন মানুষের পাশে দাড়াতে পারি আবার !
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ মবিন ভাইয়া !
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০১
আরমান আহমেদ বলেছেন: শুভকামনা রইলো
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: জনসেবার মানসিকতা নিঃসন্দেহে অভিনন্দনযোগ্য।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।