নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারতেই হবে !

সুপ্ত আহমেদ

পজেটিভ কিছু ভাবনা সব সময় থেকেই যাই মনে । ভাবনা গুলোর যেন ডানা মেলা শেষ হয় না ।

সুপ্ত আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোজা কথা আমি, আপনি , আমরা মানুষ। বাচাঁর অধিকার সবার আছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৭





গত দুদিন ধরে সামজিক সাইট গুলোতে অভিজিৎ দা কে নিয়ে লেখা নানান রকমের লেখা পড়ে মাথার মগজে কেমন জানি একটা বিষ্ফরণ হয়ে গেছে যার জন্য না লিখে পারলাম না।



কেউ যুক্তি ধরছে - অভিজিৎ রয় নাস্তিক ছিলেন।



আমার মনে হয় তার বেমালুম ভুলে গেছেন - সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। এই বাণিটা কি বোঝায় ?

র্ধম আমাদের প্রথম পরিচয় না। মানুষ জাতি আমরা সেটাই বড় পরিচয় । তার পর আমরা কে কোন র্ধম সেটাই বড় পরিচয়।



র্ধমটা কি ? সেটাই ভুলে যায় আমরা। র্ধম তো আমাদের নিজেদের বিশ্বাস । বিশ্বাস হলো র্ধমের মুল ভিত্তি। ছোট বেলা থেকে বাবা-মা ইসলাম র্ধম কে চিনিয়েছেন , জানিয়েছেন, আল্লাহর প্রতি কিভাবে অনুগত্য হতে হয় সেটা শিখিয়েছেন। সেজন্য এখনো মনে প্রানে বিশ্বাস করি আল্লাহ এক অদ্বিতিয়।



অভিজিৎ দা জন্ম্এ ছিলেন হিন্দু পরিবারে। সুতরাং তিনি পারিবারিক সুত্র একজন হিন্দু র্ধমিয়। তিনি যদি মুসলিম পরিবারে জন্মাতেন তো তিনিও আজ মুসলিম হতেন। মুল কথা হলো র্ধম একান্তই নিজের বিশ্বাসের উপর র্নিভর করে। কিন্তু কেউ যদি বলেন না সৃষ্টীর্কতা বলে কেউ নেই সেটা তার ব্যক্তি গত বিষয়, তার বিশ্বাসের উপর তো অন্য কেউ র্ফোস করতে পারেন না।

অভিজিৎ রয় হিন্দু না মুসলিম না বোদ্ধ সেটা যায় আসে না। যায় আসে সে একজন মানুষ, সে একজন লেখক। আপনি মানুষ হতে পারেন কিন্তু ওনার মত লেখন তো আর না।



কেউ বলে- নাস্তিকের মরাই ভালো।



ভাইয়া- দুনিয়াতে কি আল্লাহ আপনাদের কে র্ধম রক্ষার জন্য পাঠাইছেন ?

বোমা মেরে , কুপিয়ে , মানুষ হত্যা করে র্ধম রক্ষা করবেন ?



"পিকে ছবিতে আমির খান বলেছিলো যে- তোমার মহাশূন্যের লক্ষ লক্ষ গ্রহের একটা গ্রহের একটা দেশের একটা জেলার একটা গলিতে বসে ভগবান কে রক্ষা করবা?"



যদি তাই হয় , মানুষ খুন করেই যদি র্ধম কে রক্ষা করতে হয় তবে- সেটা মহানবি (সঃ) অনেক আগেই করে যেতেন। পৃথীবিতে কোন বির্ধমী রাখতেন না।



কেউ বলছে- রাজনৈতিক চাল এটা।



রাজনৈতিক চাল হতেও পারে। এবিষয় আর কি বলবো?

আজ ব্লগার অভিজিৎ রয় হলেন , আগামিকাল আমি, আরপর আপনি । তারপর তারপর চলতেই থাকবে।



প্রতিটা বিষয়ে দ্বি মত থাকে থাকবে চিরকাল। সবার ভাবনা এক না । আমরা ব্লগার , একেক জনের ভাবনা একেক রকম । অভিজিৎ দা কি সেটা বিষয় না। মুল কথা তিনি একজন মানুষ। আমার মতই লাল রক্ত তার শরীরে। তিনি বাংলায় কথা বলেন লিখেন , আমিও বা আমরাও বাংলায় কথা বলি লিখি। আমরা বাঙ্গালী ।



তবে কেনো আজ আস্তিক নাস্তিক নিয়ে টানা টানি?



যেই আপনি আজ অভিজিৎ কে বলছেন নাস্তিক । যদি আপনিও আগামিকাল ওভাবেই পথএ পড়ে থাকেন সেদিন আপনাকেউ কেউ বলবে না যে আপনি নাস্তিক সেটার কি প্রমান আছে??

যেখানে মানবতা নেই সেখানে র্ধম বলে কিছুই থাকে না। সব র্ধমেই মানবতার কথা বলা আছে। আর ইসলামে তো স্পষ্ট ভাবে দেওয়াই আছে। যদি না যেনে থাকেন তবে নিকটস্থ ইমামের সাথে যোগাযোগ করুণ ।



'মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি' গানের রচয়িতা গীতিকার গোবিন্দ হালদারের গানটি ভুলে গেছেন ?



"মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি

মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা

যার নদী জল, ফুলে ফলে মোর স্বপ্নআঁকা

যে দেশের নীল অম্বরে মন মেলছে পাখা

সারাটা জনম সে মাটির দানে বক্ষ ভরি

মোরা একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি

মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধকরি

মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি

মোরা সারা বিশ্বে শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি

যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্তদোলে

যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্বভোলে

যে গৃহকপাট সুখ স্বর্গের দুয়ার খোলে

সেই শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি"



তবে আজ কেনো আমরা নাস্তিক আস্তিক নিয়ে খুনো খুনি করছি?

মানুষ মানুষের জন্য স্লগান টাও কি ভুলে গেছি ?



সব হিংসা বিদ্বেষ ছেড়া আমরা পারিনা সাজাতে সোনার বাংলাকে নতুন করে গড়তে?



অনেক আগে একটা পোষ্ট পড়েছিলাম সামুতেই। ব্লগারের নামটা মনে পড়ছে না এই মুর্হতে বাট কথাটা আজও মনে আছে। ব্লগারের নাম যত সম্ভব ধ্রুব হবে, ওনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়য়ে পড়াশুনা করেন এটুকু মনে আছে।

ওনি একটা শ্লোগান দিয়েছিলেন , আসুন সেই স্লোগান নিয়ে একটা দিন চলার চেষ্টা করি । দেখবেন সব পালটে গেছে।



"নিশ্চয়ই একটা মানুষের সবটুকুই খারাপ নয়। একজন মানুষ পুরোপুরি খারাপ হতে পারে না। অবশ্যই তার মধ্যে ভালো কিছু আছে। সেই ভালো কিছুকে খুঁজে বের করুন। দেখবেন, পৃথিবীটাকে অনেক ভালো লাগতে শুরু করবে, জীবনটাকে সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত লাগবে, বাঁচতে ইচ্ছে করবে।



আপনি হয়তো কোন কারণে কাউকে অপছন্দ করেন। হয়তো ঈর্ষাও করেন। এজন্য সেই লোকটি নি:শ্বাস নিলেও হয়তো আপনার সহ্য হয়না। মোটকথা, আপনি তাকে দেখতেই পারেন না। এভাবে কতদিন চালাবেন? একটিবার মানুষটির কাছে গিয়ে বসুন, ভিন্নভাবে তাকে দেখার ও বোঝার চেষ্টা করুন। কেন করবেন? ভালো থাকার জন্য করবেন, ভালো রাখার জন্য করবেন। করেই দেখুন, জীবন পাল্টে যাবে।



আসুন, এক কাজ করি। জীবনে চলার পথে কোন না কোন কারণে যাদের সাথে বিরূপ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, আসুন তাদের সাথে আবার দেখা করি। ভেঙ্গে যাওয়া বন্ধুত্ব জোড়া লাগানোর চেষ্টা করি। আসুন, মিলেমিশে বাঁচি। জীবনটা কিন্তু অনেক অনেক ছোট। কি লাভ এত হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানি করে?"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনার লেখায় আমার মতাদর্শ দেখতে পেলাম। আসলেই মানুষের জন্য যে ধর্ম এটা কেউ মানতে চায় না। অভিজিৎ রায়ও সাম্প্রদায়িকতার বলি হলেন। এটি মানবতার পরাজয়।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

সুফিয়া বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র এর সাথে একমত। অভিজিৎ রায়ও সাম্প্রদায়িকতার বলি হলেন। এটি মানবতার পরাজয়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: আমার প্রিয় লেখক আপনাকেও ধন্যবাদ !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.