নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারতেই হবে !

সুপ্ত আহমেদ

পজেটিভ কিছু ভাবনা সব সময় থেকেই যাই মনে । ভাবনা গুলোর যেন ডানা মেলা শেষ হয় না ।

সুপ্ত আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু ভেবে দেখুন !

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

বিষয়টা নিয়ে কিছু দিন ধরে ভাবচ্ছি বা মাথায় ঘুরতেছে।
কাউকে যদি ফোন দিয়ে বলি ভাই – রক্ত লাগবে এক ব্যাগ দিতে পারবেন?(যদি গ্রুপ ম্যাচ করে)
না ভাই আমার শরির র্দুবল,হ্যান তেন বলে কেটে যায়। আবার তার পরিচিত কারো কাছ থেকে যদি রক্ত চাওয়া হয় তবে চোখ টিপে বলে- নিজের ফ্যমিলি মেম্বারের যখন লাগবে তখন রক্ত দিবি। আজাইরা কাউরে রক্ত দিয়া লাভ নাই। ইভেন এই টাইপের কিছি মানুষ আমার ফ্রেন্ড লিষ্টে আছেন। তাঁরা অন্ত্যত একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

জেনে নিন মেডিক্যাল-সাইন্স আসলে কি বলে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন পড়ে । যার মধ্যে ২৪% আসে স্বেচ্ছা রক্তদানকারীদের কাছে থেকে ।
নিকটাত্মীয়কে রক্ত দান করে ৬২% ; আর বাকিটা আসে পেশাদার ডোনারদের কাছ থেকে ।
আমাদের দেশে সাধারণতঃ কারো রক্তের প্রয়োজন হলে পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয়রা রক্ত দান করে থাকেন। কিন্তু এর ফলে রক্ত গ্রহনকারীর নুন্যতম হলেও 'ট্রান্সফিউশন এ্যাসোসিয়েট গ্রাফ্‌ট ভার্সাস হোস্ট ডিজিজ' নামে এক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হবার ঝুকি থেকে যায়!
১৯৬৫ সালে 'ট্রান্সফিউশন এ্যাসোসিয়েট গ্রাফ্‌ট ভার্সাস হোস্ট ডিজিজ' রোগটি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসে। রক্ত দাতার রক্তের লিম্ফোসাইট গ্রহীতা এ রোগে আক্রান্ত হন। ফলে রক্ত গ্রহীতার দেহের চামড়া, লিভার, গ্যাস্ট্রোইনন্টেস্টিনাল ট্রাক্ট এবং বোনম্যারো'র স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ব্যহত হয়।
যদিও সচারাচর পরিবারের সদস্যরা রক্ত দিলেই রক্ত গ্রহীতা 'ট্রান্সফিউশন এ্যাসোসিয়েট গ্রাফ্‌ট ভার্সাস হোস্ট ডিজিজ' এ আক্রান্ত হন না। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রক্ত দাতার 'লিম্ফোসাইট' গুলো রক্ত গ্রহনকারীর 'ইমিউনো সিস্টেম' দ্বারা ধ্বংস হয়ে যায়। তবে নিন্মোক্ত দুটি ক্ষেত্রে এটি ধ্বংস করতে পারেনা।
১. যদি রক্ত গ্রহীতার 'ইমিউনো সিস্টেম' ঠিকমত কাজ না করে।
২. যদি একটি নির্দিষ্ট প্রকার অংশ বিশেষ এইচ এল এ রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে মিলে যায়।
পরামর্শঃ
যেহেতু 'গ্রাফ্‌ট ভার্সাস হোস্ট ডিজিজ' এ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার শতকরা ৮০-৯০ ভাগ, তাই রক্তের সর্ম্পকের কারো রক্ত দান না করাই ভাল।
তার চেয়ে ভালো, অন্যকে রক্ত দিয়ে তার সাথে সুসম্পর্ক রাখি; যেন আমার আত্মীয়ের প্রয়োজনে তাকে পাওয়া যায়!


আমার ছোট ভাই মিতুল , ওর সাথে বাবার দোকানে ছিলাম কোন একদিন। একজন কে কিছু ২ টাকার নোট দিচ্ছিলো ও। তো লোকটা বললো যে ২ টাকার নোট চলে না , নিবনা।
তো মিতুল বললো- আপনি বলেন যে আমি নিবো না, অযথা কেনো অন্যের দোষ দিচ্ছেন। আপনি আমাকে ১০০ টা দেন আমি ১০ মিনিটে চালিয়ে আসবো সব নোট।
লোকটি বললো- আসলে কেউ নিতে চায় না তাই আমিও নিতে চাই না।
মিতুল; তাহলে আজ থেকে আপনিও নেওয়া শুরু করেন , দেখবেন অন্য জনও নিচ্ছে। আপনি নেন না বলেই অন্য জন নেয় না। যেমনটা আপনি নিতে চাচ্ছেন না সো আমি তো আর অন্য কারো কাছ থেকে নিবো না। নিজের মনটা আগে ভালো করুন ।
লোকটা তখন মাথা নিচু করে গোটু হোম।

এনিওয়ে কাহিনিটা বলার পিছনে কারণ হলো- আপনি রক্ত দিতে চান না আবার অন্য জনকেও রক্ত দিতে দেন না। চুপি চুপি সবার্থ খুজেন। আপনি যেহুতু দিতে চান না অন্যের জন্য – তেমনি অন্য জন ও কিন্তু চাইবে না আপনার জন্য। এজন্যই রক্ত পাওয়াটা অনেক টাফ হয়ে যায়। একদিন চেষ্টা করেই দেখুন না কারো উপকার কারার ভিতরের অনুভূতি টুকু কত বড় শান্তির।

Anyway- happy blood doneting

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: গিভ এন্ড টেক!

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৮

লিংকন১১৫ বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.