নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু লেখার নাই।

মোঃ জাকির আলম

মোঃ জাকির আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম্পিউটারে কাজ করার সময় যে ভুলগুলো আমরা সচরাচর করে থাকি।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

কম্পিউটার এখন আমাদের প্রতিদিনের কাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র। বলা যায় কম্পিউটার ছাড়া এখন আমাদের আর কোন কাজই করা সম্ভব হয় না। কম্পিউটার এখন আর অপরিচিত কোন জিনিস নয়। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সবাই এখন কম্পিউটার ব্যবহার করে। ব্যাক্তিগত কাজের পাশাপাশি অফিসের কাজের জন্য অপরিহার্জ হলো কম্পিউটার। বর্তমানে আমরা আমদের প্রয়োজন অনুযায়ী কম বেশী কম্পিউটার ব্যাবহার শিখে ফেলেছি। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে আমরা প্রায়ই কিছু ভুল করে ফেলি। আর আজকে আমি আপনাদের জানাবো যে সাধারণত আমরা কি ধরনের ভুল করে থাকি কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে।

গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ না রাখাঃ আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে কম্পিউটার অনেক ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি, যারা এই কাজ গুলোর কোন ব্যাকআপ রাখি না। ফলে কম্পিউটারে যদি কোন বড় ধরণের সমস্যা হয় বা অন্যকোন কারণে যদি এই কাজ গুলো নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ন কাজ গুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অবশ্যই নিজের কাজের ব্যাকআপ রাখা।

না পড়ে নেক্সট , ওকে, ইয়েস, নো ইত্যাদিতে ক্লিক করাঃ কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে আমাদের সামনে অনেক মেসেজ বক্স বা ডায়ালগ বক্স আসে। আমরা অনেক সময় এই বক্সগুলোর মধ্যে যে টেক্সট থাকে সেগুলো না পড়েই ইয়েস, নো, ওকে এই জাতীয় বাটনে ক্লিক করে ফেলি। ফলে দেখা যায় আমরা যেটা চাচ্ছিলাম সে কাজটা হচ্ছে না। বিশেষ করে যখন আমরা নেট ব্যবহার করি বা কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করি তখন এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া বিশেষ প্রয়োজন।

কাজ সেভ না করাঃ আমরা যখন অনলাইন বা অফলাইনে কোন ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করি তখন আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত যেন অটো সেভ অপশন চালু থাকে। যদি অটো সেভ চালু না থাকে তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রতি ৮-১০ মিনিট পরপর কাজ সেভ করা উচিত। এটা না করলে পাওয়ার ফেইল, নেট কানেকশন লস বা প্রোগ্রাম ক্র্যাশ ইত্যাদি কারণে আপনার কাজ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সঠিকভাবে কম্পিউটার অফ না করাঃ কম্পিউটার অফ করার পূর্বে আমাদের সকল কাজ সেভ করতে হবে। যদি কোন প্রোগ্রাম চালু থাকে তা ক্লোজ করতে হবে। তারপর যথা নিয়মে কম্পিউটার অফ করতে হবে।

অপরিচিত ইমেইলের এটাসমেন্ট ওপেন করাঃ কোন ইমেইলের এটাসমেন্ট ওপেন করার পূর্বে আমার অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে ইমেইলটি পরিচিত কেউ পাঠিয়েছে কিনা। যদি অপরিচিত হয় তাহলে তাহলে তার আইডেন্টিটি জানার চেষ্টা করুন বা ইমেইলের এটাসমেন্ট আপনার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা নির্ণয় করুন। কারুন ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ইমেইল এটাসমেন্ট। তাই অপরিচিত ইমেইলের এটাসমেন্ট ওপেন করার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।

আজেবাজে সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনষ্টল করাঃ ইন্টারনেট হতে সফটওয়্যার ডাউনলোড ও ইনষ্টল করার মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড ও ইনষ্টল করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়াও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ট্রাস্টেড জোন থেকে ডাউনলোড করা উচিত।

অপারেটিং সিষ্টেম এবং সফটওয়্যার আপডেট না রাখাঃ প্রতিনিয়তই অপারেটিং সিষ্টেম এবং অন্যান্য সফটওয়্যার আপডেট হচ্ছে। তাই আমাদের উচিত এগুলো আপডেট রাখা, যেন এগুলো সঠিকভাবে রান করে এবং সিকিউরিটি নিশ্চিত থাকে।

লেখাটি প্রথম আমার ব্লগ অল ইন বাংলা তে প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল উপদেশ, কাজে লাগবে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

মোঃ জাকির আলম বলেছেন: কারো যদি কাজে লাগে তাহলেই লেখাটা সার্থক মনে হয়, ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

আরজু পনি বলেছেন: Valo share. Thanks.

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

মোঃ জাকির আলম বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকেউ ধন্যবাদ। কেউ কমেন্ট লাইক না করলে মনে হয় যে লেখাটা কারো ভাল লাগেনি।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

রিকি বলেছেন: অনেক কাজের পোস্ট। আসলে আমরা এসব ছোটখাট জিনিস গায়ে লাগায় না, সর্বনাশ হয়ে গেলে 'কি হল, কি হল' করি !!! ধন্যবাদ শেয়ারে :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

মোঃ জাকির আলম বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকেউ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.