নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু লেখার নাই।

মোঃ জাকির আলম

মোঃ জাকির আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির বিষয়ে অভিজ্ঞজনের মতামত প্রয়োজন।

০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০২

একটি গাড়ি কেনার শখ অনেক দিনের। তবে সেটা নতুন গাড়ি নয়। কারণ নতুন গাড়ী কেনার মত টাকা পয়সা এখনো হয়নি। তাই আশে পাশে সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরাতন গাড়ির যেগুলো বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখেছি। গত ২ সাপ্তাহ যাবত ড্রাইভিং শিখতেছি। কারণ নিজের গাড়ি নিজে চালাবো বলে।
এবার আসি কাজের কথায়, অফিসের পাশেই একজন মহিলা তার পুরাতন গাড়ি বিক্রি করবে। গাড়িটি বিষয়ে যতটুকু তথ্য সংগ্রহ করেছিঃ

১। টয়োটা স্টারলেট ইপি ৭১ মডেল
২। রেজিস্ট্রেশন নাম্বারঃ ঢাকা মেট্রো- খ ১১-****
৩। ডিজিটাল নাম্বার প্লেট
৪। গাড়িটি ফ্যামিলি ইউজড। অফিস থেকে গাড়ি পাওয়ার কারনে এটি বিক্রি করবেন।
৫। ইন্টেরিয়রঃ বেশি ভালো বা খারাপ না। সীট কভার গুলো ভালো আছে। ফ্লোর ম্যাটে ময়লা ও ছেড়া আছে।
৬। ড্যাস বোর্ডের মিটার গুলো ভালো আছে।
৭। মাইলেজ দেখাচছে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার কিলোমিটার।
৮। ম্যানুয়্যাল গিয়ার, স্টিয়ারং পাওয়ার, বাকি সব ম্যানুয়্যাল।
৯। ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়নি। কার্বুরেটর ইঞ্জিন।
১০।পুরাতন গাড়ী হিসেবে এখনি পেইন্টিং এর প্রয়োজন নেই।
১১। টায়ার গুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
১২। ইঞ্জিন কন্ডিশন মনে হয়েছে ভালো আছে। (একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভারকে দিয়ে ফাকা রাস্তায় ৮০-৯০ স্পিডে চালায়ে দেখছি। সমস্যা মনে হয় নাই)। পুরাতন ইঞ্জিন হিসেবে হয়তো কিছু মাইনর কাজ করানো লাগতে পারে।
১৩। শক এব্জরাভার ভাল আছে বলেই মনে হলো। কারন পুরাতন গাড়ী হিসেবে তেমন ঝাকি লাগেনা।
১৪। তেল ও গ্যাস উভয়েই চলে। ৪০ লিটারের সিএনজি সিলিন্ডার লাগানো আছে।
১৫। স্পেয়ার চাকা আছে। অবসথা ভালো না।
১৬। পেপার গত মাসে ফেইল হয়েছে।
১৭। দাম চেয়েছে ২লাখ। কোন কম নাই।
গাড়িটির দুয়ে্কটি ছবি দিলাম।



গাড়ি কিনলে নিজে ড্রাইভ করবো। খুব বেশি চালানো হবে না। সপ্তাহে হয়তো দুয়েক দিন চালানো হবে, (সব মিলিয়ে ২০- ৫০ কিলোর বেশি হবেনা) ছুটির দিনে ওয়াইফকে সাথে নিয়ে ঘোরাঘুরি। মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে যাবো ১২০ কিলো দূরে। আমার কাছে গাড়ির প্রয়োজনীয়তা আপাতত এতটুকুই। আসলে এটা প্রয়োজনীয়তা নয়, এটা শখ।
এখন অভিজ্ঞজনের মতামত চাই গাড়িটির বিষয়ে।
১। কেমন হবে এই গাড়িট?
২। আমার চাহিদা অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা?
৩। দাম কি বেশি চেয়েছে নাকি?
৪। কেনার পর (যদি কেনা হয়) এটার পেছনে আরো কত টাকা খরচ করা লাগতে পারে?
৫। কাগজ গত মাসে ফেইল হইছে। রিনিউ করতে কত খরচ হবে। এছাড়া প্রতি বছর এটার কাগজ আপডেট করতে খরচ কত?

আরো যদি পরামর্শ থাকে অবশ্যই দিবেন। সবাইকে অগ্রিম ধন্যবাদ


মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই গাড়ি থেকে ২০০ হাত দূরে থাকুন । কত মডেলের গাড়ী? ১৯৮৯/৯০?

০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

মোঃ জাকির আলম বলেছেন: মডেল ইয়ারঃ ১৯৯০
রেজিস্ট্রেশনঃ ১৯৯৫
কিন্তু ২০০ হাত দূরে থাকার কারনটা কি?

২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা কিনলে চালাতে পারবেন না, ঠেলতে ঠেলতে আর গ্যারেজে ডিউটি করতে করতে জীবন যাবে ।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: এইটা নেয়ার চেয়ে প্রতিদিন ১২ ঘন্টার কন্য রেন্ট এ কার থেকে কিছু নিয়েন। খরচ কম পড়বে।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

শোভন১ বলেছেন: এই গাড়ি ২ লাখ! খুব বেশি হলে ৬০/৭০ হাজার টাকা দেয়া যেতে পারে, তাও আসলে লস। এটাকে মানুষ করতে গেলে অন্তত ৩ লাখ টাকা খরচ করতে হবে, তারপরও মানুষের মতো মানুষ হবেনা। ১৫০০ সিসি পর্যন্ত গাড়িতে আপনার বছরে খরচ ১৫ হাজার টাকা ফিটনেস আপডেটের জন্য, এটা এ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স। এছাড়া ৫,৮০০ টাকা দিয়ে প্রতি বছর "ট্যাক্স টোকেন" রিনিউ করতে হবে। ইন্স্যুরেন্সে যাবে ৫০০ টাকা। অর্থাৎ এই গাড়ি পালতে আপনার বছরে প্রায় ২২ হাজার টাকা ডকুমেন্টস্‌ এর পেছনে যাবে।

১৫০০ সিসি থেকে ২০০০সিসি পর্যন্ত গাড়িতে ডাবল অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। আরো বেশি সিসির গাড়িতে আরো বেশি। তাই কখনো ১৫০০ সিসির বেশি গাড়ি কিনবেননা। আপনি যদি প্রতি বছর ইনকাম ট্যাক্স দেন, তাহলে গাড়ি আপনার নামে থাকলে এই ফিটনেসের জন্য দেয়া টাকাটা ইনকাম ট্যাক্স হিসেবে দেখাতে পারবেন, অর্থাৎ এক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম ট্যাক্স আপনাকে আর আলাদা করে দিতে হবেনা, গাড়ির জন্য দেয়া এই টাকার ডকুমেন্টস দেখালেই হবে। কিন্তু উল্টোটা হবেনা, অর্থাৎ আপনার ইনকাম ট্যাক্স দেখিয়ে গাড়ির ফিটনেস আপডেটের টাকা মাফ পাবেননা।

আমি ১৯৯২ মডেলের একটা ক্যারিনা ইডি গাড়ি প্রায় ২ বছর পেলেছি, ম্যানুয়াল গিয়ার। পরে বহু কস্টে ঐ গাড়ি বেঁচে দিয়ে একটা ২০০৩ মডেলের এক্স করোল্লা কিনেছি, এখন অনেক শান্তিতে আছি, তেল ঢালি আর গাড়ি চলে, কোন প্রবলেম হয়না। আগের গাড়ির পেছনে যতোই খরচ করি, গাড়ি দেখি ঐরকমই থাকে। এতো পুরানো গাড়ি আসলে তলাবিহীন ঝুড়ির মতো। আপনার এটাতো আরো পুরানো। না পাবেন চড়ে মজা, না পাবেন চালিয়ে মজা, মাঝখান থেকে টাকা খরচ। এসি কাজ করে বলে মনে হয়না, ঢাকার রাস্তায় এসি ছাড়া গাড়ি আর ওভেন একই জিনিস।

গাড়ি কিনলে অটোগিয়ার কিনবেন, যদিও যারা ম্যানুয়াল গিয়ারের গাড়ি চালাতে পারেনা, আমি তাদেরকে ড্রাইভার বলে মনে করিনা। ঢাকার মতো জায়গায় ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ি চালানো একটা বিরাট পেইন। তাছাড়া ক্লাচ প্লেট বেশিদিন টিকেনা। অনেকে বলবে অটোগিয়ার কনভার্ট করে নিতে, কিন্তু সেটা অনেক খরচের ব্যাপার। তাছাড়া এতো পুরানো গাড়িতে সেটা ঠিকমতো কাজও করবেনা। খরচের এস্টিমেট দেয়ার সময় সবাই শুধু পার্টস্‌ এর দামটাই বলবে, কিন্তু কাজ করাতে গেলে দেখবেন আনুসাঙ্গিক আরো অনেক কিছুই লাগবে যা আপনাকে বলেনি।

৪টা টায়ার চেন্জ করতে গেলেও আপনার খরচ হবে ২০ হাজার টাকার উপরে, চাইনিজ টায়ার।

ইন্জিনের মাইনর কাজ বলে কিছু নেই, ওটা পুরোপুরি ঠিক করা খুবই টাফ। ঐ রিক্স না নেয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় ইন্জিন ফেলে দিয়ে নতুন ইন্জিন লাগিয়ে নেয়া, রিকন্ডিশন। এই গাড়ির ইন্জিন আপনি এখন পাবেন কিনা সন্দেহ।

এতো পুরানো গাড়ি যদি কিনতেই হয়, EE 90 কিনতে পারেন। তবে দুই থেকে আড়াই লাখের বেশি যাবেননা। কেনার আগে খোঁজ নেবেন ঐ গাড়ি প্রতিদিন ইউজ হয় কিনা। নতুন গাড়ি কেনার সময় দেখতে হয় গাড়ি কম ইউজ হয় কিনা, যতো কম চলে ততো ভালো। পুরানো গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টা। ফেলে রাখা গাড়ি মানে ওটায় ঝামেলা আছে, রাস্তায় প্রায়ই নস্ট হয়, ঠেলে বাসায় আনা লাগে। এতো পুরানোর গাড়ির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটা, আপনি নিশ্চিন্তে রাস্তায় বের হতে পারবেননা, কখন রাস্তায় নস্ট হবে সেই টেনশনে থাকবেন। যে গাড়ি প্রতিদিন চলে সেটা রাস্তায় বন্ধ হবার সম্ভাবনা কম।

ঝাঁকি কম লাগে মানে যে সাসপেনশনের কাজ নেই এমন মনে করার কোন কারন নেই। কাজ আছে কি নেই সেটা বলতে পারবে মেকানিক। কোন গাড়ি যদি পছন্দ হয়, অবশ্যই মেকানিককে সাথে নিয়ে গাড়িটা দেখে আসবেন, মেকানিক মানে যারা ইন্জিন, সাসপেনশন এগুলো ঠিক করে ঐ টাইপের মেকানিক। ড্রাইভারের মতামত কমোডে ফেলে দিবেন, ড্রাইভার কিছুই বোঝেনা, ওরা শুধু চালাতে পারে। আপনার আসে-পাশে যারা গাড়ি বিষয়ক উপদেশ দেয়, তাদের থেকে সাবধান থাকবেন। এটা মোবাইল ফোন সেট না, সবাই গাড়ি বোঝেনা। যে এলিয়ন-প্রিমিও গাড়ি চালায়, তারে নিয়ে পুরানো গাড়ি কিনতে গেলে বিপদে পড়বেন, সে আসলে গাড়ির কিছুই বুঝবেনা। পুরানো গাড়ি যে পুষেছে সে জানে ঐটার কোথায় কি লাগবে, আর জানবে মেকানিক।

পুরানো গাড়ির ক্ষেত্রে দেখবেন গাড়িটা যার নামে আছে তার সাথে যোগাযোগ আছে কিনা। অবশ্যই গাড়ি যার নামে তার সাথে দেখা না করে এতো পুরানো গাড়ি কিনবেননা। গাড়ি "খালার নামে", "চাচার নামে" এমন কথায় ভুলবেননা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.