নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের\'

যাযাবর জোনাকি

‘আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের’

যাযাবর জোনাকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

#নোট: কফি হাউজ

২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৮


গৌরী প্রসন্ন মজুমদার। কে? জানিনা অথবা নামটা শোনা শোনা লাগছে। অথচ কফি হাউস বললেই মান্না দে, মান্না দের কফি হাউজ। বিখ্যাত কফি হাউজ গানটা গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের লেখা। কফি হাউজ আদতে কলকাতায় হলেও, এই কফি হাউজ গানটি শোনার পর জীবনের একটি নির্দিষ্ট ধাপে পা রেখে , সকলের জীবনেই একটা কফি হাউজের স্মৃতি জীবন্ত হয়। হতে পারে সেটা আদৌ কোন কফি হাউজ না, হয়তো সেটা সাধারণ একটা বাংলা চায়ের দোকান। যেখানে কোন টেবিল চেয়ার নেই, হয়তো আছে একটা মরিচাধরা লোহার টুল, একটা পায়া ভাঙা কাঠের বেঞ্চি,যেটাতে পায়ার proxy দিচ্ছে থান ইট। বাকিতে লাল চা,কখনো আদা মেলে তো কখনো মেলেনা, পকেটে পয়সা থাকলে কদাচিৎ শখ করে দুধ চা। ঠিক কফি না হলেও ধূমায়িত স্মৃতিগুলি এখনো কড়া। গানের কথা ছ'টি সুনির্দিষ্ট চরিত্রের ছবি আঁকলেও, সবাই নিজেকে, নিজের বন্ধুদের ওই ছবিগুলির সাথে মিলিয়ে নেয়। রঙ দেয় নিজের ইচ্ছে মত। আহা পুরো ৬ মিনিট ২০ সেকেন্ড স্মৃতিবেদনায় কাটে। কার ঠোঁটে কখন কি জ্বলত, আর কি নিয়েই বা তর্কটা চলতো সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু রোদ, ঝড়,বৃষ্টি, শীত সব আড্ডার কথাই মনে আছে সবার। গানে মোট চরিত্র ছ'জন, গীতিকারকে ধরে সাত জন। “অমলটা ধুঁকছে দুরন্ত ক্যান্সারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়।” এই লাইনের শেষের যে “হায়!” শব্দটা গীতিকার লিখেছেন, এই একটি “ হায়!”র মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজার হাজার অমলের অসহায়তা,অক্ষমতা এবং নিরব আত্মসমর্পণ। যাঁরা আজ ধুঁকছে , জীবন যাঁদেরকে সত্যিই ক্ষমা করেনি। একজন অমল অসহায়,একজন ডিসুজা কবরে । কিন্তু বাকি পাঁচ জনের জীবন তো থেমে নেই, লড়াই চলছে। এই চলার পথে যখন সাত জনের একজনও দেখতে পায়, সাতটা পেয়ালা আজও খালি নেই, তখন ভারি বুকটার কোথাও যেন একটু ঈর্ষা জমা হয়, মুছে যাওয়া দিনগুলি ফিরে না পেয়ে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২২

মাআইপা বলেছেন: কথাঃ শমীন্দ্র রায় চৌধুরী,
সুরঃ সুপর্ণকান্তি ঘোষ,
কন্ঠঃ মান্না দে (২০০১)

কফি হাউজের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে পরবর্তী সময়ে 'স্বপ্নের কফি হাউস' নামে একটি গান রেকর্ড করেছিলেন মান্না দে। নিখিলেশ, মঈদুলদের নিয়ে দ্বিতীয় গানটি লিখেছিলেন শমীন্দ্র রায় চৌধুরী। প্রথম গানের স্কেলেই গানটা করেছিলেন মান্না দে। দ্বিতীয় গানটি প্রথমটির থেকেও সুরের বৈচিত্র্যের বিচারে অনেক ভাল হয়েছিল। কিন্তু কোথায় গেল সেই স্বপ্নের কফি হাউস কেউ জানে না। মান্না দে-ও হতাশ। তিনি শুধু বলেছেন, ''বাঙালি তো জানতেই পারল না সেই গানের কথা।''
তারপরও বাঙ্গালী জেনে গেলো গানটির কথা,২৪শে অক্টোবর ২০১৩,পুরো সঙ্গীত জগতকে কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন মহান শিল্পী মান্না দে,আর একই দিন প্রায় একই সময়ে অনলাইনে ইউটিউবের দুইটি লিংকে আপলোড হলো "স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,আজ আর নেই" গানটি ।শিল্পী দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন বুক ভরা কষ্ট নিয়ে,তার প্রিয় বাংগালীরা পেয়ে গেল তাদের আরাধ্য দ্বিতীয় কফি হাউসের গান-

স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে
কী এক জরুরি কাজে ঢাকার অফিস থেকে
মঈদুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতা
আসবেনা অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে
ওদের কখনো কি ভোলা যায়?

ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা
শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে তবু
কিসের অভাব যেন সুজাতার
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা
অভিমান ছিল খুব অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেই সব কবিতাই
মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের...

নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরস্কার
নিখিলেশ হ্যাপি থেকে গিয়েছে
একটা মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার
দুহাত উজার করে দিয়েছে
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতে
নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্ক স্ট্রীটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়
ইচ্ছে বা তার কোন শখে নয়

কার দোষে ভাঙলো যে মইদুল বলেনি
জানি ওরা একসাথে থাকেনা
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে
কেউ আর কারো খোঁজ রাখেনা
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়
রমা রয় পারেনি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন
হারালো সে চেনা মুখ খুঁজতে

দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা পোস্টার
বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই,
যে আসে বন্ধু সেই
আড্ডা তর্ক চলে সমানে
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো
হয়ত আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে
ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গীটার...


::নেট থেকে সংগ্রহ::

২৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৮

যাযাবর জোনাকি বলেছেন: হয়তো এটা স্বপ্নের কফি হাউজ, তাই সবাই নিজেদের চির চেনা বাস্তবের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেনি।

২| ২৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর লেখা।

৩| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

অলিভিয়া আভা বলেছেন: গৌরী প্রসন্ন মজুমদার নামটা দেখেই পোষ্টটা পড়তে এলাম। আমার ব্লগেও একটা বাণী লেখা আছে ওনার।

পোষ্ট ভালো লাগলো :)

৪| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: কয়েকদিন আগে সব চ্যানেলে মইদুল এর ইন্টারভিউ দেখানো হয়েছিলো, যেটা ছিল সম্পূর্ণ জালিয়াতি।

কারন সুপর্ণকান্তি ঘোষ স্বয়ং জানিয়েছন, এই গানের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক।

৫| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার।

৬| ২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: বেশ লেখা।ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২০

অক্পটে বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি জাগানিয়া লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.