নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের\'

যাযাবর জোনাকি

‘আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের’

যাযাবর জোনাকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্য পুরাণ (গল্প)

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৭


[শুরুতে কিছু কথা :আমার লেখা গুলি কোন সাহিত্য কর্ম নয়, আমি মোটেই সাহিত্যের লোক নই। হওয়ার চেষ্টাও করি না। আমি একজন সাধারণ গল্পবলিয়ে, যার সমার্থক শব্দ: মিথ্যাবাদী, আখ্যায়ক, গল্প-কথক। গাঁজাখুরি বড় বড় গল্প লিখি। কাউকে আনন্দ দেয়ার জন্য গল্প লেখি না। কিন্তু আমার গল্প লেখার প্রধান কারন, আমার গল্প পায়। মানুষের যেমন খুধা, তৃষ্ণা, পায়খানা পায়। আমারও গল্প পায়। আমি চোখের সামনে গল্পগুলি ঘটে যেতে দেখতে পাই। তাই লিখে রাখি। ব্লগে লেখার পিছনে একটা বিশেষ এবং ব্যাক্তিগত কারন আছে। আমি একজন সেফ বা নিরাপদ ব্লগার, আমার লেখা প্রকাশ করতে এই ব্লগের কোন সমস্যা নেই। আপনি পড়লে পড়বেন না পড়লে নাই। লেখা ভালো লাগলে ভালো, না ভালো লাগলে নাই। ]
প্রেক্ষাপট
এই গল্পের প্রেক্ষাপট, চরিত্র, ঘটনা কাল্পনিক।এটি সম্পূর্ণভাবে একটি অন্য পৃথিবীর গল্প।যে পৃথিবীতে দুইটি চাঁদ রয়েছে।আমাদের এই পৃথিবীর সাথে ঐ পৃথিবীর প্রাকৃতিক, ভৌগলিক, সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক কোন মিল নেই। কিঞ্চিৎ মিল যদি থেকেও থাকে তবে তা কাকতালীয়।অন্য পৃথিবী হলেও, যেহেতু মানুষেরই গল্প,তাই কিছু কিছু সাধারণ ব্যাপার যেমন লোভ, কামনা, বাসনা, উপাসনা, কল্পনা, ঈর্ষা, যুদ্ধ, খুন ইত্যাদি আমাদের পৃথিবীরই মত। এটি একটি ধারাবাহিক মেগা গল্প। চেষ্টা করা হবে সপ্তাহে একটি করে অধ্যায় ক্রমশ প্রকাশ করে যাওয়ার।

ভূমিকা
ইসাদ্ধায়াংকারা সম্রাজ্যটি অন্য পৃথিবীর কোন এক জায়গায় অবস্থিত। এর চারিদিকে সাগর এবং দক্ষিণপশ্চিমে পান্না দ্বীপ রয়েছে। ইসাদ্ধায়াংকারার উত্তরে রয়েছে বিশাল পর্বতমালা ‘সংকল্পারূঢ়’। সংকল্পারূঢ়র পুরো সম্রাজ্যটাকে উত্তর দিকে দেয়ালের মত ঘিরে রেখেছে। ইসাদ্ধায়াংকারা তিনটি প্রধান রাজ্যে বিভক্ত, মাহাভানা, স্বর্ণাভ, স্বাপ্রাসাভা। স্বর্ণাভ ইসাদ্ধায়াংকারার কেন্দ্রীয় রাজ্য। স্বর্ণাভ প্রাকৃতিকভাবে প্রাচুর্যপূর্ণ। এখানে স্বর্নকুপ নামে একটি সোনার খনি আছে। এই রাজ্যে দুইটি নদী। অভানী এবং ভারবাতী। দুইটি নদী এই রাজ্যেই এক হয়েছে অর্না নামের একাটি মোহনায়। অভানী এবং ভারবতী নদীর পানি নিয়ে এই রাজ্যের প্রধান শহর এবং রাজধানী স্বর্ণাভর চারপাশে কৃত্রিম পরিখা খনন করা হয়েছে। এখানকার মাটি উর্বর। এর কাছেই একটি কৃত্রিম বনও রয়েছে, অনাময়ার জংগল। এই রাজ্যে আরেকটি পর্বত রয়েছে যার নাম অনাময়া পর্বত। রাজ্যটি ফসলের দিক থেকে স্বনির্ভর। পাথরের তৈরি দুইটি কৃত্রিম দেয়াল দিয়ে মাহাভানা এবং স্বাপ্রাসাভা কে স্বর্ণাভ থেকে আলাদা করা হয়েছে।স্বর্ণাভর পশ্চিমে রয়েছে ঘন বন সমৃদ্ধা মাহাভানা। এখানকার প্রধান নদী স্বারীত নদী রাজ্যটিকে তিনভাগে ভাগ করেছে।এর মধ্যখানের ভাগে ভালো ফসল হয়। এছাড়াও এই রাজ্যে রান্টু নামে আরেকটি ছোট নদী আছে। এই রাজ্য প্রধানত শিকারের জন্য বিখ্যাত। এখানকার শিকারিরা নামকরা, এই রাজ্য থেকে নানান রকমের কাঠ,বন্যপ্রাণী, নোনা মাংস এবং চামড়া সারা ইসাদ্ধায়াংকারাতে সরবরাহ করা হয়। স্বর্নাভর পূর্বে রয়েছে স্বাপ্রাসাভা, এই রাজ্যে প্রধান নদী ভারবাতী দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। স্বাপ্রাসাভা প্রধানত কৃষি নির্ভর রাজ্য, এই রাজ্য নানান রকম ফসলের জন্য বিখ্যাত। স্বাপ্রাসাভা একেবারে পূর্বে সংকল্পারূঢ়র ওপারে রয়েছে আদি ঋষিদের দেশ। এই জায়গা পূন্যস্থান। সাজানো গাছপালা দিয়ে ভরা দেশটি ইসাদ্ধায়াংকারার শাসনের বাহিরে। এই সম্রাজ্যের লোকেরা ঈশ্বর, দেবতা মানে না। তারা মনে করে ১২০০বছর আগে এইখানে নানান দেবতাদের শাসন ছিলো। দেবতাদের মধ্যে যুদ্ধ লেগেই থাকত সব সময়। তাদের নেতৃত্বাধীন হয়ে তাদের ভক্ত মানুষরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করতো। এক বার যুদ্ধ ভীষণ আকার ধারণ করে, সব মানুষের প্রান যায় যায় অবস্থা। এমন সময় তিন জন আদি ঋষি, তাঁদের ধ্যান ভঙ্গ করে এলেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে। তাঁরা সব মানুষের মস্তিস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ থামালেন। এতে করে সব দেবতারা দুর্বল হয়ে গেল। তিন আদি ঋষি সব দেবতাদের বধ করলেন , অনাময়ার ধারালো শক্ত পাথর দিয়ে। তারপর থেকে এই তিন আদি ঋষি সকলের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন তাদের দেশে বসে। তাঁরা যাকে পছন্দ করেন তাকে সম্রাট বানান, যাকে পছন্দ করেন তাকে ঋষি বানান। ঋষিরা সবাই আদি ঋষিদের দেশে থাকেন।তাদের থাকা, খাওয়া রাজকোষ থেকে দেয়া হয়। যারা একবার আদি ঋষি দেশে ঋষি হয়ে যায়, তাঁরা আর ফেরে না। তাদের পরিবারের ভরণপোষণের দায়ীত্ব সম্রাটের। সকলের ধারনা আদি ঋষি তিনজনই অমর। তাঁরা অবশ্য সবাইকে দেখা দেয় না। মাঝে মধ্যে জনসাধারণের স্বপ্নে আসেন। ১২০২ স্বর্ণাভ সালে এক রাতের বেলা পুরা সাম্রাজ্যের সকলে একসাথে স্বপ্নে দেখল, আদি ঋষিরা এসে বীভুলার নাম সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করছে। ইসাদ্ধায়াংকারা সম্রাট ‘বীভুলা’ দৈব্য বাণীতে সম্রাট হলেন। ১২০০ বছর ধরে এইভাবেই সম্রাট ঘোষিত হয়ে আসছে। ইসাদ্ধায়াংকারবাসীরা সবাই এই তিন আদি ঋষিরই আরাধনা করে। তাদের মস্তিষ্ক, সুখ, দুঃখ্য, ভাগ্য,অসুখবিসুখ সবই এই তিন ঋষি নিয়ন্ত্রণ করেন। ইসাদ্ধায়াংকারার দক্ষিণ পূর্ব দিকে একটি বিষাক্ত খনিজ এলাকা রয়েছে। এখানে জীবন নেই,তাই একে অঘা বলা হয়। আদি ঋষিদের নিষেধ থাকায় ইসাদ্ধায়াংকারাবাসী কেউ এখানে যান না। এটি নিষিদ্ধ এলাকা। ইসাদ্ধায়াংকারার দক্ষিনে রয়েছে পান্না দ্বীপ। এই দ্বীপের অধিবাসীরা পান্না পূজারী। এই দ্বীপে বড় পান্নার খনি আছে। এই ছোট্ট দ্বীপের আদিবাসীদের আদি ঋষিরা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসার বহু চেষ্টা করেছেন কিন্তু লাভ হয়নি।বহু বছর ধরে যুদ্ধ চলেছে এই আদিবাসীদের সাথে, কিন্তু এদের হাতে পান্নার অস্ত্র আছে, যা অনাময়ার ধারালো পাথরের থেকেও শক্তিশালী।তাই প্রতিবার যুদ্ধে ইসাদ্ধায়াংকারার যোদ্ধারা সমুদ্র পার হয়ে যায়, আর যুদ্ধে হেরে নিজ সম্রাজ্যে ফীরে আসে।এই দ্বীপের মাঝখানে আছে একটি হ্রদ। এর নামও পান্না হ্রদ। এই হ্রদ আদিবাসীদের মিঠাপানির চাহিদা পূরন করে।দ্বীপে প্রচুর ফলমূল পাওয়া যায়।এছাড়া আদিবাসীদের অধিকাংশই জেলে, সামুদ্রিক মাছ এদের প্রধান খাদ্য। ইসাদ্ধায়াংকারার সাথে এদের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই।
(চলবে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৫

অক্পটে বলেছেন: পড়লাম। একটু অন্যরকম। ইন্টারেস্টিং! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.