নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের\'

যাযাবর জোনাকি

‘আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের’

যাযাবর জোনাকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

#নোট : অঞ্জন দত্ত এবং অঞ্জন যাত্রা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫


ছোট্ট শহর আমার। অনেক অনেক বছর আগে সেখানে একটা চল ছিল, বাড়িতে বাড়িতে বেলা ১১টায় গান বাজতো। কোন কোন বাড়িতে ফুল ভলিউমে গান বাজতো। আমাদের (নানার)উঁচু পাঁচিল ঘেরা বাগান বাড়িটার ঠিক সামনে রাস্তার উল্টা পাশে একটা হলুদ দোতালা বাড়ি। সেই বাড়িতেও নিয়ম করে প্রতিদিন বেলা ১১টায় গান বাজতো ফুল ভলিউমে। বেশির ভাগ দিন ‘সাজন’ সিনেমার হিন্দি গান নয়তো brother louie’ র বিখ্যাত সব গান। আমাদের বাসাটার সামনে রাস্তার দিকে পাঁচিলের এপাশে একটা বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল, একেবারে ওই হলুদ দোতালা বাড়িটার সামনে। আমরা ভাইবোনরা সবাই মিলে ঐ কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে গিয়ে নাচতাম গানের তালে তালে হাত-পা ছুঁড়ে , তা যে গানই হোক না কেন। বেলা ১১টায় একটা পরম আনন্দ।

এর বেশকিছু বছর পর আমার চলে এলাম আমাদের নতুন বাড়িতে৷ তখন ক্লাস ফাইভ। বড় বাগান বাড়িটা, নিজের চিরচেনা অলিগলিওয়ালা বহুবছরের পুরানো পাড়াটা ছেড়ে,সরাসরি অচেনা সাজানো গোছানো এক্কেবারে ছকে কাটা আবাসিক এলাকার একটা ডুপ্লেক্স বাড়িতে বন্দী।সেখানে পাড়া নেই। ব্লক আছে। তবে সেখানেও বেলা ১১টায় গান শোনা হয়। খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের বাড়িটার ঠিক দক্ষিণ -পশ্চিম বরাবর একটা বাড়ির নিচতলার জানালা দিয়ে ফুল ভলিউমে গানা ভেসে আসছে। গান গুলি চিরচেনা হিন্দি গান না। বাংলা গান,ব্যান্ডের গান। ওয়ারফেজ, আর্ক, ফিলিংস, সোলসের মাধ্যমে বাংলা ব্যান্ডের গানের সাথে পরিচয় হল। পাশের বাড়িতে এক বড় ভাই পেলাম যার ক্যাসেট প্লেয়ারে সাইড বাই সাইড ক্যাসেট কপি করা যায়। ব্যাস শুরু হল এক এক করে বাড়ির পুরানো ছায়াছবির গান রেকর্ড করা ক্যাসেটের ওপর বাংলা ব্যান্ডের গান রেকর্ড করা৷ আর পুরানো ব্রোঞ্জ রঙের ন্যাশনাল প্যানাসনিক ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনা। আবার বেলা ১১টায় পরম আনন্দ।
আমাদের নতুন বাসাটা থেকে একেবারে কাছেই ফুপুর বাড়ি। প্রায়ই বাসায় ভালো না লাগলে বেড়াতে যাই। একদিন গেলাম, তখন বেলা ১১টা। পাশের বাড়ির নিচতলায় একটা ঘর থেকে গান শুনতে পেলাম। বাংলা গান, কোন ব্যান্ডের না। বেশ অদ্ভুত গানের কথা গুলি। এই বলছে “ পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোড়া করে দেব..” আবার বলছে “ পারবোনা হতে আমি রোমিও, দুপুরবেলাতে তুমি ঘুমিও…”। এই ধরনের কথাবার্তা কেবল বাংলা ব্যান্ডের গানেই নয়, বরং হিন্দি-ইংরেজি-বাংলা কোন গানেই বাপ জন্মে শুনিনি। খুব আগ্রহ বোধ হল গান শোনার। খোঁজ খোঁজ খোঁজ খোঁজ, স্কুলে বন্ধুবান্ধব, পাড়ার বড় ভাইয়েরা, এইভাবে খুঁজে তাকে পাওয়া গেল। লোকটার নাম অঞ্জন দত্ত, থাকে কোলকাতায় এবং নিরাশ হওয়ার বিষয় হল যে বড় ভাই আমাকে ক্যাসেট ডুপ্লিকেট করে দেয়, তিনি এর গান শোনেন না। কি আর করা, অগত্যা মধুসূদন ঘুরে ঘুরে ঘুরে নিউমার্কেট! পাওয়া গেল। ক্যাসেটের দাম ৩৫ টাকা, হবেনা। হ্যা তবে যদি পুরানো ক্যাসেট দেই সেটাতে রেকর্ডিং করে দিবে, তাও ১৫ টাকা। টিফিনের টাকা, বাড়ি ফেরার রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে হেটে বাড়ি ফিরে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হয়ে গেল ১৫ টাকা। এবার চল রেকর্ডিং। দোকানদার খুব কম কথা বলেন। তার বড় বড় ভোমড়ার মত চোখ। সবসময় খালিদের গান শুনছে। আমার দিকে এক টুকরো কাগজ আর একটা ইকোন ডিক্স বলপেন এগিয়ে দিয়ে কাগজে টোকা মেরে গানের নাম লিখতে ইশারা করল। আমিতো অত গানের নাম জানিনা। একটু লজ্জা আর ভয়ে বললাম, ভাল দেখে দিয়ে দেন। দোকানদার আমার দিকে গম্ভীরমুখে তাকালো। তারপর কয়েকটা নতুন ক্যাসেট সামনে রেখে, সেগুলোতে টোকা দিয়ে দিয়ে ইশারা করল, কোনটা? তার দোকানে তখন ফুল ভলিউমে বাজছে “ কোন কারনে ফেরানো গেল না তাকে…”। সে একজন মনমুগ্ধ শ্রোতা।আমি দেখি ওমা অঞ্জন দত্ত তো ঐ লোকটা, যে চোখে কালো সানগ্লাস পরে ডিডি৭ এ “ Sunshine” গানটা গায়! আমি দেরি না করে দিলাম বেষ্ট অব অঞ্জন দত্ত ক্যাসেট টা তার দিকে এগিয়ে। এরপর একে একে “ ভালোবাসি তোমায়”, “ পুরানো গিটার”, “ শুনতে কি চাও”, “ কলকাতা ১৬”, “ রংপেন্সিল”, “অসময়”।

এইভাবে একদিন ইস্কুলের টিফিনের পয়সা দিয়ে.. সিগারেট। বয়েসটা তখন অনেক কিছু জানার, অনেক কিছু শেখার, অনেক নিয়ম ভাঙার। একটা গুটি কেটে বেড়িয়ে শুঁয়ো পোকার মত চারপাশের রঙিন দুনিয়া দেখা। যে সময়টা হয়তো একটা ছেলের সবচেয়ে বেশি দরকার হয় তার বাবার। সেটা তার আদর্শ নীতি হতে পারে, স্নেহ ভালোবাসা কিংবা মারধরও হতে পারে। আমার বাবা তখন ট্রান্সফার হয়ে চলে গেলেন অনেক দূরে। ১৫ দিনপর ২ দিনের ছুটি পেয়ে আসেন।আবার সেই দুইদিন যদি কোন মাসে আল্লাহর রাস্তায় দেন তো দেড় মাস পর দেখা হয়। কেন জানিনা এই সময়টায় রিচার্ড মার্ক্স, বঞ্জোভি, ব্যাক স্ট্রিট বয়েজ এর ভীড় ঠেলে আমি আবার অঞ্জন দত্তের শরনাপন্ন হই। সবগুলি গান বার বার শোনা, কথা গুলি মন দিয়ে শোনা, বুঝতে চেষ্টা করা,ভাবতে চেষ্টা করা। স্কুল না ইস্কুল, বয়স না বয়েস। নিজের ছোট শহরটাকে ভালোভাবে চেনা, আকাশের রঙ ভিন্ন হলেও একই আকাশের নিচে যে কেরেলা আর আমার ছোট্ট শহর এটা ভাবতে শেখা। আমি যে ক্রমশ বড় হচ্ছি, আমার ছোটখাট উলেন মোজাটার মত জগৎটা যে ছোটখাট নয়, আমার জানারও বাইরে রোজ কত যে কিছু হয় এটা অনুভব করা। এখনো যে অনেক দেখার বাকি আছে, জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির ছাদটা,একটা ভাঙাচোরা রিক্সা,হাটু জলে একটা রাস্তা,একটা পাহাড়,সেই যে জেল গেটের দারোয়ানটা, লোনা দেয়ালে ঝোলা যিশুর ক্যালেন্ডার, সেই হারিয়ে যাও খেলনাওয়ালাটা, বুকে বোমা বাধা তামিল মেয়েটা,আমারই বয়সের ছেলেটা যে গ্যারেজে কাজ করে, রোজ বাইকের ব্রেক টেস্ট করাই যার কাজ অথবা সেই ভিক্ষুকটা যে একমুঠো চাল ভিক্ষা করে একটা ইশকুল চালায়।বুঝতে শেখা খাতার ভেতর চেপ্টা গোলাপ ফুল এবং দুইটি বালিশ আসলে কতটা যে ভালোবাসা বোঝায়, বন্ধুত্বের যে কোন পদবী হয়না, ঈশ্বর আর আল্লাহ যে একই ভালোবাসার নাম,চোখের জল কিংবা পানি যে নোনতাই থেকে যায়, এইসব নতুন করে ভাবতে ভাবতে একসময় আবিষ্কার করলাম আমার বাবার শূন্যস্থানে একজন শিক্ষক, একজন বন্ধু এসে বসেছে, সে গানে গানে অনেককিছু শিখিয়ে যাচ্ছে, বলে যাচ্ছে অনেক না শোনা কথা। যেগুলো ইস্কুলে, বইয়ে, গুরুজনে এতটা অকপটে বলছে না বা বলতে চাইছেন না। সেই শিক্ষক, সেই বন্ধু অঞ্জন দত্ত।

এরপর হঠাৎ করেই সুখের মানে একদিন পালটে যায়। কলেজ থেকে পালিয়ে বান্ধবীর সাথে কাটলেট। নদীর ধারের আমার ছেলেবেলার রাস্তায় প্রথম প্রেমিকা খুঁজে পাওয়া, তার হাতটা ধরা,ভালোবাসা খুঁজে নেয়া। তারপর আবার সেই রাস্তায় প্রেমিকাকে আবারও খুঁজে পাওয়া,কিন্তু এবার তার হাত ধরে হাঁটছে অন্যকেউ।এরপর টেলিফোনের ওপাশ থেকে আর কোন উত্তর আসেনা,আস্তে আস্তে যন্ত্রণাটা ভুলতে শেখা, কান্নাটা গিলতে শেখা। তারপরও ঘুরে ফিরে ঐ রাস্তায় আবার, এক বুক সাহস নিয়ে সদ্য বিবাহিত প্রেমিকাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া যে, রে ব্যান দিয়ে যতই দুচোখ ঢেকে রাখো তুমি লুকোতে পারবেনা। এভাবেই হঠাৎ বড় হয়ে যাওয়া, রাজনীতি, মিছিল, হাতবোমা, মারামারির মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। বার বার হারিয়েও নিজেকে খুঁজে পাওয়া আবার। আবার অঞ্জন দত্ত। তার হাত ধরে সুমনের অন্য ছবি, বব ডিলানের অভিমান, জন লেননের সোচ্চার ভালোবাসা, জন ডেনভারের সাথে পরিচয়। নিজেকে ভালোবাসতে শেখা শুরু হল। সবার কাছ থেকে পালিয়ে নিজের জন্যে বাঁচা, আগুন থেকে ঠেঁকে শেখা, নিজের মনের ভেতরের আকাশ কুসুম স্বপ্নটা কে জিয়িয়ে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়া এইসবই অঞ্জন দত্তের গান থেকে শেখা। স্বপ্নের পিছু নিয়ে হঠাৎ একদিন সব ছেড়েছুড়ে একটা বিশাল শহরে চলে আসা, সেখানে নিজেকে মানিয়ে নেয়া আর হতাশ হয়ে বৃষ্টি দেখা। এরপর, সেই নটা পাঁচটার এক রুটের বাসটা আসে।বিক্ষিপ্ত, অগোছালো জীবন একটা ভালোবাসার ঠিকানা খুঁজে পায় একসময়। আর সবার মত করে টোপর পরে বিয়ে করতে হয়। কিন্তু অঞ্জন দত্ত হারিয়ে যায়না। সে এই একঘেয়েমির জীবনটাকেও ভালবাসতে শেখায়৷ একজন আগন্তুক হয়েও মেনে নিতে শেখায় এই বিশাল শহরটাকে। অনুভব করতে শেখায় আমার ছোট্ট শহরের বড় নদীটার অনুপস্থিতিটাকে।পাওয়া না পাওয়ার হিসেবটা কে অভিমানে বদলে ফেলতে। এক এক করে মেনে নিতে শেখায় চুলে পাক ধরা, চালশেটাকেও। শেখায় বয়েসের সাথে সাথে চোখের জল কিভাবে শুকিয়ে যায়। আজও স্বপ্ন দেখায় সুদিন আসবে বলে।

কিছুদিন আগে এক বৃষ্টি ভেজা সকালে , নাশতা,ঔষধ শেষ করে ফেসবুকে নিউজ ফীড দেখছি। হঠাৎ করে দেখি কালো সানগ্লাস পড়া খিটখিটে বুড়ো অঞ্জন দত্তর একটা ভিডিও। সে তার নিজের ভঙ্গিমায় কি যেন বলছে।যেটা একটা দূর্লভ ব্যাপার। ভিডিওটা চালু করলাম। দেখি সে বলছে, তার ওপর নাকি একটা বই লেখা হয়েছে। বইটি লিখেছেন সাজ্জাদ হুসাইন নামের বাংলাদেশী একজন। বইটি তার অটোগ্রাফ সহ পাওয়া যাচ্ছে। বইটির নাম অঞ্জন যাত্রা। আমরা যারা অঞ্জন ভক্ত তারা তাকে গান, টিভি, সিনেমায়, পেপার পত্রিকায় যতটুকই চিনি, তাদের এই খবরটা শুনে একটু অবাক হওয়া স্বাভাবিক। তাড়াতাড়ি বইটা অর্ডার করলাম। অর্ডার করতে গিয়ে লেখকের সাথেও কথা হল খানিকটা৷ কথা দিলাম বইটি পড়ে, অনেক কথা হবে তার সাথে। পরেরদিন বইটি পেলাম না। তারপর দিন রাতের বেলা বইটি হাতে পেলাম।খুবই সুন্দর কাভারে মোড়া একটা বড় বই। কাভারের ওপরে অঞ্জন দত্তের একটা ছবি। মাথায় একটা বোল্ড হ্যাটের মত, গলায় মাফলার, পরনে খয়েরি ওভার কোট। ছবিতে অঞ্জন দত্তকে অনেকটা পাবলো নেরুদার মত দেখাচ্ছে। কাভার উলটে বইয়ের ভেতরে ঢুকতেই, মসৃন ক্যালেন্ডারের মত চকচকে পাতায় আরেকটা ছবি, অঞ্জন দত্ত হাটছে অনেকটা সার্ত্রের সেই ওয়াক আউটের মত পোজে। পাতায় পাতায় নতুন বইয়ের গন্ধটা অতি পরিচিত, আগে ১০০৳য় আনন্দ পাব্লিশার্সের টিনটিন পাওয়া যেত। সেই টিনটিনের বইয়ের পাতায় পাতায় ছিল টানটান উত্তেজনা আর এই গন্ধ। বইটা বেশ ভারী, বেশ ভারী। বুকের অপর চেপে বসার মত ভারী। তবুও আগ্রহ নিয়ে প্রথমেই অঞ্জন দত্তের লেখা চিঠি আকারের ভুমিকাটা পড়ে ফেললাম। তারপর শুরু হল অঞ্জন যাত্রা৷ লেখক নবীন। খানিকটা পড়েই বুঝতে পারলাম এটা আর দশটা জীবনির মত গত বাধা জীবনি না। আসলে এটা একটা এডভেঞ্চারের গপ্প। যেখানে অঞ্জন দত্তর সঙ্গী হয়েছেন লেখক। লেখা খুবই সুন্দর, হালকা অগোছালো লেখা যেন ইচ্ছে করেই লেখা হয়েছে।মাঝে মাঝে সাংবাদিক মার্কা কিছু প্রশ্ন। কিন্তু যখন পড়তে আরম্ভ করেছি তখন মনেহয়েছে যেন একেবারে পাশে অঞ্জন দত্ত এবং সাজ্জাদ হুসাইন বসে গপ্প করছে। সরল ছন্দিত সাগরের স্রোতের মতই ফেনিল লেখা। পড়ছি আর বুঝতে পারছি কেন অঞ্জন দত্ত নিজের অপর একটা বই লিখতে দিলেন একজন বাংলাদেশী নবীন লেখক কে এবং তিনি যে আর কাউকে এই অধিকারটা দিবেন না এটাও মোটামুটি নিশ্চিত বোঝা যায়।

এরপর দেশে গেঞ্জাম লাগলো। মন মানসিকতা এক্কেবারে ডাউন হয়ে গেল। বইটা আর পড়া হল না। অনেকদিনের বিরতি। তারপর আবার গোল্ড ফিশের মত সব ভুলে গিয়ে, বইটা হাতে তুলে নিলাম। আসলে কি, অঞ্জন দত্ত সম্পর্কে যা জানাছিল, সেগুলো সবই তার গান, পত্র-পত্রিকা, টিভি সাক্ষাৎকার, সিনেমা থেকে, অনেকগুলি বিন্দুর মত করে জানা। কিন্তু বই পড়তে পড়তে সেই বিন্দুগুলোকে এঁকে, এক এক করে দাগ টেনে যোগ করে, কিছু নতুন বিন্দু এঁকে সেগুলো আবার দাগ টেনে যোগ করে একটা ছবি দাঁড়ালো। স্পস্ট একটা ছবি। যেটা একটু হলেও নতুন। আরেকটু ভালোলাগার একটা ছবি। যে ছবিতে একটু মনযোগ দিয়ে দেখলে কোথাও যেন বহু পুরানো আরেকটি মানুষকে দেখা যায়, যে অনেক আপন কেউ। তার ঝাপসা একটা অবয়ব ভেসে আসে এই অঞ্জন দত্তের ছবিতে৷ তবে হ্যা শেষের ৩০টা পাতা অনেক একঘেয়েমি মনে হয়েছে। জয়তু সাজ্জাদ হুসাইন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: যাযাবর জোনাকি ,




সবার বাড়ীতে বাড়ীতে বেলা ১১টায় গান বাজতো । নতুন বাড়ীতে আসার পরেও সেই বেলা ১১টা ।
কেন যে বেলা ১১টা তার শানে নযূল বোধগম্য হলোনা ।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

অগ্নিবেশ বলেছেন: সুন্দর ঝর ঝরে লেখা।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

চতুরঙ্গ বলেছেন: অতন্ত সুন্দর একটি লেখা। অনেক অনেক দিন পর এত ঝর ঝরে লেখা পরলাম। পুরনো দিনে ফিরে গেলাম বার বার। ধন্যবাদ লেখক কে, দিনের অগ্রভাগে একটা সুন্দর সূচনা এনে দেবার জন্য। শুভকামনা অনেক।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: অঞ্জন এর পরিচালিত মুভি গুলো খুব সুন্দর। বিশেষ করে বোমকেশ সিরিজ গুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.