নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিকেত সৈনিক

নাজিম-উদ-দৌলা

আমি আর দশজন সাধারণ বাঙালি যুবকদের মতো একজন। তবে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু একটা লুকিয়ে আছে। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের ভেতরের সেই অসাধারন সত্ত্বাটিকে খুঁজে বের করে আনার।

নাজিম-উদ-দৌলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জননী

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

বদি তার ওস্তাদকে খুব সম্মান করে। কিন্তু ওস্তাদের এই নতুন ধান্দাটা তার ভাল লাগছে না। আগে টুক-টাক ছিনতাই আর চুরি চামারি করত তারা, সেটাই ভাল ছিল। কিন্তু কিডন্যাপিং এর মত বিপদজনক একটা কাজের সাথে সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছে না। ওপরে যতই সাহস দেখাক না কেন, বদি আসলে অনেকটা ভীতু প্রকৃতির মানুষ।



তার ওস্তাদের নাম পাগলা মজিদ। নামের আগে “পাগলা” শব্দটা অবশ্য কিছুদিন আগে যোগ হয়েছে। আজকাল এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে, সন্ত্রাসীদের নামের আগে একটা ভয়ংকর বিশেষণ না থাকলে মানুষ ভয় পায়না। তাই ছিনতাই থেকে একলাফে কিডন্যাপিংএর ধান্দা শুরু করায় মজিদ এখন নিজেকে “পাগলা মজিদ” হিসেবে পরিচয় দেয়। তাছাড়া ইদানিং দুই চারজন রাজনৈতিক নেতার সাথে মজিদের খাতির হয়েছে। তাদের হয়ে টুক টাক কাজ করায় মজিদের নামটা চারিদিকে ভালই ছড়িয়েছে। পাগলা মজিদ নামটা শুনলেই এখন অনেকে ভয় পায়!

বদি আর আলামিন ছোটবেলায় টোকাই ছিল। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষের ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র, কাগজ আর প্লাস্টিকের বোতল টুকিয়ে বস্তায় ভরে বিক্রি করে যা পেত তা দিয়ে কোন মতে পেট চলে যেত। মজিদ তাদেরকে সেই অবস্থা থেকে তুলে এনেছে। আশ্রয় দিয়েছে, দুবেলা পেট ভরে খাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তাই ওস্তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হয়না তার। এর কারন কি? শুধু সম্মান নাকি ভয়? এই প্রশ্নের উত্তর বদির জানা নেই।



আজ সকাল থেকে বদি লক্ষ করছে তার ওস্তাদ একটা টুলের ওপর চুপ চাপ বসে আছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত। অন্যান্য সময় এতক্ষনে সে বলে উঠত, “বদি একটা গান ধরতো! ঐ যে আমার গায়ে যত দুঃখ সয়- ঐ গানটা একটু গাইয়া শুনা”। অথবা আলামিনকে বলত, “আলামিন, একটা জোকস বল দেখি। ঐযে মাস্টার আর ছাত্রের একটা জোকস আছে না? ঐটা বল”! কিন্তু আজ তার ওস্তাদ একদম চুপ, মুখে কোন কথা নেই।

বদি একটু সাহস সঞ্চয় করে প্রশ্ন করে বসল, “বড়ভাই। আপনের কি মন খারাপ?”

মজিল কোন জবাব দেয়না।

“ও বড়ভাই! কিছু কন না ক্যান?”

মজিদ এবারও কোন জবাব দিলনা। উলটো গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করল, “তোরে যে একটা কাম দিছিলাম, ঐটা ঠিকঠাক মত করসস তো?”

“জী ওস্তাদ। কালকে সারাদিন ঐ মহিলার ওপর নজর রাখছি”।

“কি মনে হয়? পুলিশের লগে যোগাযোগ করব?”

“না মনে হয়। মহিলা মারাত্মক ভয় পাইছে। একটাই পোলা তার, পুলিশের লগে যোগাযোগ করার রিস্ক লইব না”।

“হুম, না করলেই ভাল। আর করলেও সমস্যা নাই, নেতার লগে কথা বইলা রাখমু”। মজিদ একমুহূর্ত চুপ করে থাকে, তারপর আবার বলে, “এখন একটা কাজ কর। দোকান থেইকা আমার নাম কইয়া কলা আর পাউরুটি লইয়া আয়। পোলাটারে খাইতে দে, সকাল থেইকা খাওন দেওয়া হয় নাই”।

বদি সাথে সাথে গেলনা। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকল।

“কি হইল? কিছু কবি নাকি?”

বদি ভয়ে ভয়ে বলল, “একটা আবদার ছিল, বড়ভাই”।

“কি?”

“মহিলা প্রাইমারি স্কুলের মাষ্টার। স্বামী মারা গেছে অনেক বছর আগে। দুইটা পোলা মাইয়া লইয়া অনেক কষ্ট কইরা চলে। ৫০ লাখ টাকা সে কই থেইকা জোগাড় করব?”

“সেইটা আমাগো মাথা ব্যাথা না। আমরা আমাগো টাকা পাইলেই খুশি। কই থেইকা টেকা আইব সেইটা ঐ মহিলার মাথা ব্যাথা। তোর এইটা নিয়া চিন্তা করনের কাম নাই”।

“বড়ভাই, মুক্তিপনের টাকাটা ৫০ লাখ থেইকা কমাইয়া ১০ লাখ করন যায়না?”

মজিদ ব্যাঙ্গ করার ঢঙয়ে বলল, “তোর এত দরদ উথলায় উঠল কেন মহিলার লেইগা?”

“বড়ভাই, কিডন্যাপ করলে বড়লোকের পোলাপাইন কিডন্যাপ করন দরকার। হেরা যত টেকা চাই, তাই দিতে পারব। খামাখা গরীব মানুষের দুঃখ বাড়াইয়া লাভ কি?”

মজিদ কয়েক সেকেন্ড ভাবল, তারপর শান্ত গলায় বলল, “বড়লোকের নিজের পোলা মাইয়ার প্রতি মায়া কম থাকে, ওগো পোলাপাইন ধইরা আনলে ওরা পুলিশে যোগাযোগ করব, সন্তান বাঁচল কি মরল সেই খবর নাই। কিন্তু গরীবের তো সন্তান ছাড়া কিছুই নাই, ওরা নিজের সন্তানরে বাঁচানের জন্য জান দিতেও রাজি থাকে। শুন, এই লাইনে দুই চার পয়সা ধান্দা করার জন্য শুধু শক্তি থাকলে চলেনা, লগে বুদ্ধিও থাকা লাগে, বুঝছস?”

বদি হয়ত আরও কিছু বলত, কিন্তু মজিদ তাকে থামিয়ে দিল, “শুন বদি। তোরে আমি আগেও কইছি এই লাইনে কাজ করতে চাইলে এইসব চিন্তা বাদ দেওয়া লাগব। মনের ভিতরে মায়া দয়া থাকলে এই লাইনে উপরে উঠতে পারবি না। আজকে যা কওয়ার কইছস। সামনে যদি আর কোনদিন এই সব মায়া দয়ার কথা তুলস, তোরে বাইর কইরা দেওয়া ছাড়া আমার কোন গতি থাকব না বদি। কথাটা মাথায় রাখিস”।

বদি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকল।

মজিদ এবার গলার স্বর একটু নরম করে বলল, “শুন বদি। এই দুনিয়াতে বাচতে গেলে আর একজনরে মাইরা তোর বাঁচন লাগব। তুই যদি পেট ভইরা খাইতে চাস তাইলে আর একজনরে অভুক্ত রাখতে হইব”।



বদির ইচ্ছে হল বলে যে, “একজনরে অভুক্ত রাইখা পেট ভইরা খাওয়ার কি দরকার? একজনের খাবার দুই জনে ভাগ কইরা নিলে তো দু জনের পেটেই কিছু যায়!” কিন্তু কথাটা বলার সাহস তার হলনা! মাথা নিচু করে ওস্তাদের সামনে থেকে সরে গেল।



***



শাহিন গত তিনদিন যাবত যে ঘরটাতে অবস্থান করছে সেটা মাঝারি আকৃতির। ঘরের ভেতর আসবাব বলতে ছোট্ট লোহার খাট আর একটা আলমারি। শাহিনের একটা পা খাটের পায়ের সাথে শিকল দিয়ে বাঁধা। অনেক চেষ্টা করে দেখেছে শাহিন, তার পক্ষে নিজ চেষ্টায় এই শিকল থেকে মুক্তি পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। ঘরটায় একটা জানালা আছে, সব সময় বন্ধ করে রাখা হয়। জানালার একটা কাঁচ ভাঙা, দিনের বেলা সেই ফাক গলে খুব সামান্য একটু আলো আসে। ঘরের ভেতর অল্প পাওয়ারের একটা বাল্ব আছে। রাতের বেলা সেই বাল্বের আলোতে ঘরের ভেতরে এক আধিভৌতিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দেয়ালগুলোকে দেখলে মনে হয় যেন দগদগে পচন ধরা ঘা হয়েছে! যায়গায় যায়গায় প্লাস্টার খসে পড়েছে আর অসংখ্য ময়লা দাগ। মেঝেটা ভীষণ নোংরা, কতদিন পরিষ্কার করা হয়নি কে জানে! পুরোটা মেঝে জুড়ে ময়লা কাগজ, খাবারের উচ্ছিদ্দ অংশ আর ধুলবালি জমে আছে।



এখানে আনার পর প্রথম দুই দিন শাহিন খুব কেঁদেছে। ১৫ বছর বয়স হয়েছে, এখনও সে মাকে ছেড়ে একটা রাত কোথাও থাকেনি। তবে গতকাল থেকে নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করছে শাহিন। “বিপদে ধৈর্য ধরতে হয়”- এই শিক্ষা সে তার মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছে।



শাহিন শুয়ে ছিল, দরজা খোলার আওয়াজ শুনে উঠে বসল। কেউ একজন ভেতরে ঢুকছে। দরজা খুলতেই বদির মুখটা শাহিনের নজরে এল। বদির হাতে দুইটা কলা আর একটা পাউরুটির প্যাকেট। তার মুখে হাসি। ভেতরে ঢুকেই প্রশ্ন করল, “কেমন আছ শাহিন?”

শাহিন কোন জবাব দেয়না।

“সকাল থেইকা কিছু খাও নাই। এই যে তোমার লেইগা কলা-পাউরুটি আনছি”।

“খাবনা”। সংক্ষেপে জবাব দিল শাহিন।

“ক্যান খাবানা?”

“খিদে পায়নি”।

“সেই রাইতে খাইছ আর এখন বাজে বেলা ১২টা। কইতাছ খিদা পায় নাই!” বদি লক্ষ করল গতকার রাতে বিরিয়ানির প্যাকেটটা সে যেখানটায় রেখে গিয়েছিল সেটা ঠিক সেখানেই আছে। বদি বিরিয়ানির প্যাকেট খুলে দেখল শাহিন সেটা ছুয়েও দেখেনি। “ইয়া খোদা! তুমি দেখি রাইতেও খাও নাই। ঐ পোলা এমনে না খাইয়া থাকলে তো মইরা যাইবা”।

শাহিন নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলল, “এমনিতেই যখন মরতে হবে, তখন খেয়ে আর লাভ কি?”

“ধুর পাগল! তুমি মরবা কেন? আর তিন চার দিন বাদেই তোমারে ছাইড়া দিমু আমরা। তোমার মায় টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করতেছে”।

হঠাৎ করেই শাহিনের চোখে পানি চলে এল। সে অতি কষ্টে কান্না চেপে রেখে বলল, “ভাই, আপনারা আমার মাকে এত কষ্ট দিয়েন না। ৫০ লাখ টাকা আমার মা কিছুতেই জোগাড় করতে পারবেন না। আমাদের সহায় সম্বল কিছুই নাই। আমরা খুব গরীব, কোনমতে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি”।

বদি কি বলবে ভেবে পায়না।

শাহিন বলে চলেছে, “আমাদের আত্মীয় স্বজন কেউ নাই যে এতগুলা টাকা দিতে পারে। ভাই আপনাদের আল্লাহর দোহাই লাগে, এত নিষ্ঠুর হবেন না”।

বদি একটু আমতা আমতা করে বলল, “দেখ.. তোমার কষ্ট আমি বুঝি। তোমার মার লগে আমি কথা কইছি... ধার দেনা করে কিছু টাকা ম্যানেজ কইরা ফালাইছে... তিনি বলছেন বাকি টাকাও ম্যানেজ কইরা ফালাইবেন তিন চার দিনের মধ্যে, মারে নিয়া টেনশন কইর না তুমি”।

শাহিন আর কান্না চেপে রাখতে পারেনা। তার দুচোখের কোন বেয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় অশ্রু ঝরতে থাকে। সে বলে, “আপনি আমার কষ্ট কি বুঝবেন? আপনি কেমন করে বুঝবেন আমার মা আমার কাছে কি!”

কথাটা বদিকে একটু নাড়া দিয়ে যায়। সে বলে, “হ তুমি ঠিকই কইছ। মা কি জিনিস সেইটা আমি ক্যামনে বুঝমু? বুঝ ক্ষমতা হওয়ার পর থেইকা আমি তো আমার মারে দেখি নাই”।

শাহিন একটু শান্ত হল। জিজ্ঞেস করল, “আপনার মার কি হয়েছিল?”

“শুনছি আমার মায় পানিতে ডুইবা মরছে। আমার মার আত্মা ঐ পানিতে মিশশা আছে। আমি যখন পানিতে ডুব দেই সারা শরীরে কেমন জানি একটা আরাম লাগে, মনে হয় মায় আমারে আদর করতাছে! তাই মাঝে মাঝে এই বাড়ির পিছনের পুস্কুনিটাতে গিয়া ইচ্ছা মত ডুব দেই আর মা মা কইয়া চিক্কুর পাইড়া কান্দি। মারে খুঁজি পানির তলে, কিন্তু খুইজা তো পাইনা...” বলতে বলতে বদিও কেঁদে ফেলে।



শাহিন অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকল। কিছুক্ষন নীরবে কাঁদল বদি, তারপর সামলে নিয়ে নরম গলায় বলে, “কিন্তু তোমার মা তো বাইচা আছেন। তিনি যদি টাকা জোগাড় করে এসে দেখে তুমি না খাইতে খাইতে মইরা গেছ তাইলে ক্যামনে হবে? তোমার মা তো টাকা জোগাড় করতাছে তোমারে বাঁচানোর জন্য তাইনা? অহন টাকা আর পোলা দুইটাই হারাইলে উনি বাঁচব কি নিয়া?”

শাহিন দুহাত দিয়ে চোখের পানি মুছে নিল।

বদি তার দিকে কলা পাউরুটি এগিয়ে দিতে দিতে বলল, “লও লও খাইয়া লও। খাইয়া নিজেরে সুস্থ রাখ”।

“একটা কথা জিজ্ঞেস করব আপনাকে, সত্যি জবাব দিবেন?”

“কি কথা?”

শাহিন একটা কলা ছিলতে ছিলতে প্রশ্ন করল, “টাকা নেওয়ার পর আমাকে কি আসলেও জীবিত অবস্থায় আমার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেবেন?”

“কেন দিমুনা?”

“না, আমি শুনেছি এই রকম কিডন্যাপ করার পর, কিডন্যাপাররা টাকা নিয়ে যাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে তাকে মেরে রেখে পালিয়ে যায়”।

“কে বলছে এই বোগাস কথা?”

“পেপারে পড়েছি”।

“এই সব ভুয়া খবর। আমাগো ওস্তাদ অনেক ভালা মানুষ। কথা দিলে কথার বরখেলাপ করেন না। তোমার মায় টাকা নিয়া আসলে তোমারে সুস্থ অবস্থায় তার কাছে ফিরায় দেওয়া হইব”।



শাহিন আর কথা না বলে খেতে থাকল। কিন্তু বদি তখন চিন্তায় পড়ে গেছে। অনেক গুলো প্রশ্ন জমেছে তার মনে। সে কি তার ওস্তাদকে আসলেও চেনে? ওস্তাদ কি আসলেও ছেলেটাকে জীবিত অবস্থায় মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেবে? শাহিন তাদের সবাইকে চিনে রেখেছে, এই বাড়িটি কোথায় সেটাও তার জানা, ছাড়া পেয়ে যদি পুলিশের কাছে গিয়ে সব তথ্য বলে দেয় তাহলে তাদের সবাইকে জেলের ভাত খাওয়া লাগবে। এই রিস্ক কি পাগলা মজিদ নেবে?

মনে মনে ঠিক করে নিল বদি। যা হয় হবে, পাগলা মজিদ যদি এই ছেলেটাকে মের ফেলে তাহলে সে নিজ হাতে নিজের ওস্তাদকে খুন করবে!



***



“মহিলা টাকা জোগাড় কইরা ফেলছে?”

“হ বড়ভাই”। আলামিন উত্তর দিল।

মজিদ বলল, “ঠিক আছে। তুই মহিলারে কইয়া দে টাকা নিয়া রেললাইনের পাশের বস্তির ভিতরে আমাগো যে আস্তানা আছে সেইখানে আইতে। তুই লুকাইয়া লুকাইয়া সারা পথে নজর রাখবি মহিলার লগে আর কেউ আছে কিনা। বুঝতে পারসস?”

“জী, বড়ভাই”।

“ঠিক আছে যা”।

আলামিন চলে যেতেই বদির দিকে ফিরল মজিদ, “বদি তুই আস্তানায় গিয়া সব ঠিক ঠাক কইরা রাখ। আমি আইতাছি পোলাটারে নিয়া”।

বদি সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায় তার ওস্তাদের দিকে।

“কি? কিছু কবি?”

“ওস্তাদ আপনি আস্তানায় জান না। আমি পোলাটারে নিয়া আসতেছি”।

মজিদ একটু বিরক্ত হয়ে বলল, “আবার আমার মুখের ওপর কথা কইতাছস? যেইটা কইলাম সেইটা কর। যা, আস্তানা ম্যানেজ কর। আমি আইতাছি”।

ভয়ের একটা স্রোত বদির মেরুদণ্ড বেয়ে নামে। ওস্তাদের কথা তার বিশ্বাস হয়না। তার ওস্তাদ হিসেবি মানুষ। সম্ভবত ছেলেটাকে জীবিত অবস্থায় মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়না।

“কিরে খাঁড়ায় আসস কেন খাম্বার মত? কথা কানে যায় নাই?”

“জী বড়ভাই”।

“দৌড় লাগা হারামজাদা”।

“বড়ভাই একটা কথা...”

“যা কইসি জলদি কর বদি। মেজাজ বিলা করিস না”।

“ভাই, পোলাটা মায়ের খুব আদরের... পোলাটারে না পাইলে মা টা বাঁচব না...”



পাগলা মজিদ গরম চোখে তাকিয়ে থাকল বদির দিকে। বদি ঐ চাউনির সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলার সাহস পেলনা। চুপ চাপ চলে এল আর মনে মনে বলতে থাকল, “আল্লাহ। আমার ওস্তাদের মনে একটু দয়া দিও। সে যেন পোলাটারে মাইরা না ফালায়!”



***



দড়াম করে ঘরের দরজা খোলার আওয়াজ হল। শাহিন দেখল ঘরে ঢুকছে পাগলা মজিদ। মজিদের হাতে ধরা জিনিসটা যে একটা পিস্তল সেটা বুঝতে কোন সমস্যা হলনা শাহিনের।

“ঐ পোলা। তোর মা তো টাকা নিয়া আইতাছে”।

কথাটা শুনে শাহিন খুশি হতে পারছে না। তার সমস্ত মনোযোগ মজিদের হাতে ধরা পিস্তলের দিকে।

“অহন তোর লগে দুইটা কথা কওন দরকার”।

“কি কথা?” ভয়ে ভয়ে প্রশ্ন করল শাহিন।

“তুই এই এলাকা চিনে রখাছস। আমারা যারা যারা তোরে ধরছি তাগোরেও তুই চিনস। তুই ছাড়া পাওনের পর কি পুলিশের কাছে সব খবর ফাস কইরা দিবি?”

“না। আমি কাউকে কিচ্ছু বলব না”।

“কথাটা কেন জানি বিশ্বাস হইতাছে না”।

“বিশ্বাস করেন ভাইজান। আমি কাউকে কিচ্ছু বলব না”। শাহিনের কণ্ঠে বাঁচার আকুতি।

“তুই পোলাটা তেজি স্বভাবের। এমন পোলাদের দিয়া ভরসা নাই। কেন জানি লাগতাছে তুই বাইর হইয়া আমগোরে ধরা খাওয়াইয়া দিবি”।

শাহিন বুঝতে পারলনা কি বলা উচিত।

“আমাগো টাকা পাওয়া নিয়া হইছে কথা। তোর মায় টাকা নিয়া আইতাছে। তোরে বাঁচায় রাখি আর মাইরা ফেলি তাতে কিচ্ছু হইব না। টাকা আমরা ঠিকই পামু। বাঁচায় রাখাটা তো আমাগোর জন্য রিস্ক”।



এবার ব্যাপারটা পরিষ্কার হল শাহিনের কাছে। মজিদ আসলে একটা কারন খুজছে তাকে মেরে ফেলার জন্য। মায়ের সাথে আর দেখা করার সুযোগ হয়ত সে পাবেনা। হঠাৎ করে শাহিন নিজের নিয়তিটা মেনে নিল। বলল, “ভাইজান একটা অনুরোধ রাখবেন?”

“কি? জলদি বল”।

“আমাকে মেরে ফেলেন, আপত্তি নাই। শুধু আমার মায়ের কাছ থেকে টাকাটা নিয়েন না। জীবনে আপনারা টাকা অনেক কামাতে পারবেন। শুধু আমার মাকে একটু মুক্তি দিন। ঐ টাকা তিনি ঋণ করে আনছেন। বাকিটা জীবন তাকে সেই ঋণের বোঝা বইতে হবে। আমি মরে যেতে রাজি আছি কিন্তু আমার মায়ের একটু কষ্টও দেখতে রাজিনা”।

মজিদ ঝাড়া দুই মিনিট কিছু একটা চিন্তা করল। সম্ভবত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কি করবে। তারপর মনঃস্থির করে নিল, “ঠিক আছে। তোরে মারলাম না। কিন্তু মনে রাখিস, ভুলেও এই এলাকার ধারে কাছে আর আসবি না। পুলিশে যাওয়ার কথা ভাবলেই তোদের মা ছেলেরে এক্কেবারে উপরে পাঠায় দিমু। মনে থাকব?”

শাহিন আর কিছু বলল না। ছলছল চোখে উপরে নিচে মাথা ঝাকাল শুধু।



***



বস্তির ভেতরে এই ঘুপচির মত বেড়ার ঘরটা পাগলা মজিদের অস্থায়ী ডেরা। ভেতরে একটা টেবিল আর কিছু চেয়ার পাতা আছে। মাঝে মাঝে মদ আর জুয়ার আসর বসে এখানে। বহুগামি রমণীদের নিয়ে এসে দুই চার ঘণ্টা নিভৃতে সময় কাটানোর জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু হয়না। মজিদ অবশ্য মাঝে মধ্যে সুযোগ বুঝে যায়গাটাকে ধান্দার কাজে লাগায়। এই যেমন আজ কাজে লেগে গেল!

একটা চেয়ারে বসে আছে মজিদ। পাশে বসিয়ে রেখেছে শাহিনকে। বদি দাঁড়িয়ে আছে একটু দূরে। বদির চোখে মুখে এক ধরনের চাপা আনন্দ। তার কেবল মনে হচ্ছে সে আসলে যতটা খারাপ ভাবে, তার ওস্তাদ ততটা খারাপ না। শাহিনকে সুস্থ অবস্থায় তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার যে কথা দিয়েছিল সেটা সে রাখতে পারবে ভাবতেই ভাল লাগছে।



আলামিন ঘরে ঢুকে খবর দিল, “রাহেলা বেগম আসছে”।

“রাহেলা বেগমটা আবার কেডা?” বিরক্ত হল মজিদ।

“রাহেলা বেগম... ঐযে স্কুলের মাষ্টারনি। এই পোলার মা”।

“ওহ! ওনারে ভেতরে নিয়া আয়”।



রাহেলা বেগম ভেতরে এসে ঢুকলেন। মহিলার বয়স পঞ্চাশের মত। এই মুহূর্তে তাকে আরও বেশি বয়স্ক মনে হচ্ছে। গত কয়েকদিনের ধকলে একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ভেতরে ঢুকে শাহিনের ওপর চোখ পড়তেই তার চোখে মুখে এক অপার্থিব আনন্দ ফুটে উঠল। সাতদিন হয়েছে ছেলেকে দেখেননি, এখন মনে হচ্ছে কত্ত বছর পরে দেখছেন! শাহিনও তার মাকে দেখতে পেয়ে কেঁদে ফেলল। কিন্তু এইসব দৃশ্য মজিদের চোখে পড়ছে না। সে একদৃষ্টিতে রাহেলা বেগমের দিকে তাকিয়ে থাকল। তার মাথায় রাহেলা বেগম নামটা ক্রমাগত ঘুরপাক খাচ্ছে। সে প্রশ্ন করে বসল, “আপনার নাম রাহেলা বেগম?”

রাহেলা বেগমের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। তিনি কঠিন গলায় বললেন, “হ্যা, কোন সন্দেহ আছে? আর নাম দিয়ে আপনার দরকার কি? আপনি টাকা চেয়েছেন আমি এনেছি, চাইলে গুনে নিতে পারেন। একটা টাকাও কম হবেনা বরং বেশি হতে পারে”।

মজিদ যেন তখন চলে গেছে অন্য কোন জগতে। সে তখন আর কোন কথা বলার পর্যায়ে নেই। তার চোখে উদভ্রান্ত দৃষ্টি। তাকিয়ে আছে রাহেলা বেগমের মুখের দিকে। এক মুহূর্তের জন্য চোখ সরাচ্ছে না।

“এই যে টাকা নিন। ব্যাগটা ছুড়ে দিলেন রাহেলা বেগম মজিদের দিকে। ছেড়ে দিন আমার ছেলেকে”।

মজিদ ব্যাগটা ধরল না। শুধু মুখে বলল, “আমি আপানার ছেলেরে ছাইড়া দিতাছি। আপনি টাকাও নিয়ে যান। আমি টাকা চাইনা, অন্য একটা জিনিস চাই আপনার কাছে”।

“অন্য জিনিস?” রাহেলা বেগমের চোখে মুখে ঘৃণার অভিব্যাক্তি। সম্বোধন আপনি থেকে তুইতে নামিয়ে আনলেন, “আর কি চাস তুই? আমার গায়ের রক্ত চাস?”

“একবার শুধু আপনারে...”

“আমাকে কি? আমাকে কি করতে চাস? কথা শেষ কর জানোয়ার!”

“মা কইয়া ডাকতে চাই!”



প্রথমে একটু অবাক হলেন রাহেলা বেগম। এমন কিছু শুনবেন সেটা আশা করেন নি। কয়েক সেকেন্ড সময় লাগল তার নিজেকে সামলে নিতে। তারপর গর্জে উঠলেন, “খবরদার! আমি মরে যেতে রাজি আছি কিন্তু তোর মত একটা বেজন্মা কুকুরের মুখে মা ডাক শুনতে পারব না”।

মজিদের চোখে তখন জল টলমল করছে। গত পাঁচ বছরে বদি আর আলামিন তাদের ওস্তাদকে কখনো কাঁদতে দেখেনি। নিজের চোখকে তারা বিশ্বাস করতে পারছে না। মজিদ অনুনয় করল, “একবার... শুধু একবার আপনেরে মা কইয়া ডাক দিতে চাই। আমার আর কিচ্ছু চাইনা”।

“নাহ! তোকে ৫০ লাখ দিয়েছি, লাগলে আরও দেব। কিন্তু তোকে মা বলে ডাকার অনুমতি দিয়ে আমি মা শব্দটাকে কলঙ্কিত করতে পারব না”। রাহেলা বেগমের কণ্ঠে একই সাথে রাগ, ঘৃণা ও বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ।

“শুধু একবার ডাকমু... আর কোনোদিন ডাকমু না”! মজিদ কণ্ঠে প্রবল আকুতি।

কিন্তু সেই আকুতিতে রাহেলা বেগমের মন গলল না। তিনি শাহিনের দিকে তাকিয়ে বললেন, “চলে আয় শাহিন”। এই সব তামাশা দেখতে আর ভাল লাগছে না”।



শাহিন উঠে এল। তাকে একবার বুকে জড়িয়ে নিয়ে কপালে চুমু খেলেন রাহেলা বেগম। সংক্ষিপ্ত পুনর্মিলনী শেষে মা ছেলে বেরিয়ে গেল মজিদের আস্তানা ছেড়ে।

বদি আর আলামিনকে হতবাক করে দিয়ে হঠাৎ তাদের ওস্তাদ পাগলা মজিদ শব্দ করে কেঁদে উঠল। তার চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরছে। ওস্তাদের এই অন্যরকম রুপ দেখতে প্রস্তুত ছিলনা তারা। এমন শক্ত আর পাথর প্রকৃতির একটা মানুষ কাউকে মা ডাকার সুযোগের না পেয়ে এভাবে ভেঙে পড়তে পারে, এই চিন্তা তাদের কল্পনায়ও কখনো আসার অবকাশ পায়নি।



বদি এগিয়ে এল, বলল, “কি হইল বড়ভাই? কান্দেন কেন?”

মজিদ কিছু বলছে না দেখে সে আবার প্রশ্ন করল, “ঐ মহিলারে একবার মা ডাকার বিনিময়ে আপনে ৫০ লাখ টাকা ফিরায় দিতে চাইছিলেন বড়ভাই! ক্যান?”

মজিদ কান্না জড়ানো গলায় বলল, “আরে! তোরা বুঝবি না রে! আমার মায়ের নাম ছিল রাহেলা বেগম”।

“কি কন বড়ভাই!"

“ আমার বাপ আমার জন্মের আগে মইরা গেছিল। আমাগো অভাবের সংসার ছিল। আমার যখন ২ বছর বয়স, আমার নানী আমার মারে না জানাইয়া আমারে রাইখা আসছিল এতিম খানায়। আর আমার মাও সুখের আশায় অন্য এক লোকরে বিয়া কইরা পালায় গেছিল। আর কোনদিন বাড়ি ফিরে নাই। এতিম খানা থেইকা বাইর হওয়ার পর ১০ বছর ধইরা আমি মারে খুঁজতাছি। আইজ ও তার দেখা পাইলাম না!”

“বড়ভাই! এমনও তো হইতে পারে এই মহিলা আপনার মা! আপনি কেন পরিচয় দিলেন না বড়ভাই?”

"ভয় পাইছিরে বদি। বড় ভয় পাইছি! উনি সত্যি সত্যি আমার মা হইলেও আমি ক্যামনে কমু যে আমি তার পোলা? কোন মুখ নিয়া কমু? আমার মায় যখন জানব তার পোলা বড় সন্ত্রাসী হইছে সেইটা কি সে সহ্য করতে পারব?”

বদির একবার মনে হল বলে যে, “আপনের মায় হেইদিন ভাইগা গেছিল দেইখাই তো আপনে আজকে সন্ত্রাসী হইছেন। মায়ের আদর ভালবাসা পাইলে তো এমন হইত না”! কিন্তু ওস্তাদের মা সম্পর্কে খারাপ কিছু বলার সাহস তার হলনা। শুধু বলল, “বড়ভাই, একটা কথা শুনবেন?”

মজিদ নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করল, “কি?”

“আপনের মায় আপনেরে ফালাইয়া গেছে কিন্তু আমার মায় তো আছে। চলেন আমার মায়ের কাছে যাই। আমার মায় কাউরে কম আদর করেনা”।



মজিদ উঠে দাঁড়ায়। বদির সাথে বেরিয়ে যায় ঘর ছেড়ে। আলামিন কিছুক্ষণ কি করবে ভেবে না পেয়ে শেষে সেও বদি আর মজিদের পিছু নেয়। এদিকে ঘুপচির মত ঘরটাতে যে ৫০ লাখ টাকা ভর্তি একটা ব্যাগ পড়ে রয়েছে, সেটা কারো খেয়াল থাকেনা।



কিছুক্ষন পর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া লোকজন হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকল, ভর-দুপুরে তিনটা মানুষ পুকুরে ক্রমাগত ডুব দিচ্ছে আর আর অনবরত “মা” “মা” বলে চিৎকার করে কাঁদছে...



(সমাপ্ত)



***************************

গল্প প্রসঙ্গেঃ



কিছুদিন আগে ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি তার একটা পোস্টে সবাইকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন মা কে নিয়ে ভাল ভাল আর্টিকেল, গল্প, কবিতা ইত্যাদি লেখার জন্য। কারন গুগলে সার্চ করলে প্রথমে বেশ কিছু বাজে সাইটের লিংক আসে। অনেকেই সেই আহবানে সাড়া দিয়েছেন। জননী গল্পের মাধ্যমে আমিও এই মিছিলে শামিল হলাম। আর সঙ্গত কারনেই গল্পটা স্বপ্নবাজ অভিকে উৎসর্গ করছি।



আর একটি কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। গুগলে সার্চ করলে সেই লিংকগুলো আগে চলে আসে যেগুলোতে বেশি বেশি হিট পড়ে। তাই মাকে নিয়ে ভাল ভাল লেখা লিখলেই চলবে না। সেগুলো যথেষ্ট পরিমান মানুষ পড়তে হবে এবং বেশি হিট থাকতে হবে। নইলে আমাদের উদ্দেশ্য অপূর্ণ থেকে যাবে। আপনাদের প্রতি অনুরোধ করব, মাকে নিয়ে লেখাগুলো আপনারা পড়বেন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করবেন। তাহলেই আমরা বাজে সাইটগুলোকে হারিয়ে ভাল লেখাগুলো সামনে নিয়ে আসতে পারব।

মন্তব্য ১০১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তাই? :)

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

কালোপরী বলেছেন: মা

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
একশব্দের মাঝে মিশে আছে কত স্নেহ, কত ভালবাসা!!

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আপনে সহজ কইরা লেখতে পারেন। পড়া যায় সহজে। এই গল্পটা মোটামোটি ভাল লাগছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

আমি সহজ করে লিখার চেষ্টা করি সবসময়।
ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: গল্পের শুরু আর মাঝের অংশটুকু খুবই ভালো লেগেছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আমার তো মনে হয়েছিল শেষের অংশটাই মুল আকর্ষণ হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: maaa

Click This Link

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
রাতে পড়ব :)

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা ভাল। তবে ফিনিশিংটা বাস্তবসম্মত হয় নাই। রাহেলা বেগম কি আসলেই মজিদের মা? যে মা মাত্র সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে নিজের এক ছেলেকে বাচানোর জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা যোগাড় করতে পারেন তিনি কি নিজের সুখের আশায় আরেক ছেলেকে ফেলে চলে যাবেন??? এই জায়গাটায় একটা বর খটকা লাগল।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপনি মনে হচ্ছে ফিনিশিংটা ধরতে পারেন নাই। রাহেলা বেগম আসলে কে সেটা আমি সরাসরি একবারও বলিনি। পাঠকের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। খটকা লাগার কারন দেখছি না। আর একটু এডিট করে দিয়েছি ঐ জায়গাটা। আশা করি এবার ক্লিয়ারলি বুঝবেন। :)

ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য :)
ভাল থাকুন।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

নাসরীন খান বলেছেন: অনেক শুভেচছা ।অামরা সত্যি মাকে ভালবাসব।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
একদম ঠিক বলেছেন।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২১

অ্যানোনিমাস বলেছেন: ভাল লাগলো। তবে গল্পের গাথুনী শক্ত মনে হল না। প্রথম দিকে কিছুটা হুমায়ুনীয় স্বাদ পেয়েছি কিন্তু মাঝের দিকটা মনোযোগ ধরে রাখতে পারেনি। শেষটা টিপিকাল ছোটগল্পের মত লাগলেও বেশ বড় ধরণের খটকা থেকে যায়। শুভকামনা রইলো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হুমায়ুনি, গাথুনি, টিপিকাল- এসব নিয়ে চিন্তা করিনি ভাই। গল্পটা মায়ের প্রতি ভালবাসা থেকে লিখেছি।

কোথায় খটকা লেগেছে একটু বুঝিয়ে বললে খুশি হব।

ধন্যবাদ নিবিষ্ট পাঠ। :)

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: নাজিম ভাই, আপনি আমি সবাই জানি, এমনটা কখনই হবে না।হওয়াটা সম্ভব না।তবু,আপনি এত সুন্দর করে লিখেছেন যেন মনে হচ্ছে- এমন তো হতেই পারে!মানুষের অন্তর তো বহুরূপী!কখন কার মন কি চায় তা আমরা কিভাবে জানবো?
মায়ের প্রতি কি ভীষন আকুতি!চমৎকার লিখেছেন!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
এমনটা যে হয়েছেই তা কিন্তু আমি বলিনি। তবে ভেবে নিতে পারি যে হবে। এই ভেবে নেওয়াটা হয়ত আমাদের কিছু স্বপ্ন দেখাবে! বেঁচে থাকার আশা জাগাবে!
ভাল থাকুন শুটকি মাছ এবং মাকে ভালবাসুন :)

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

গোর্কি বলেছেন:
রাহেলা বেগম নামটিই গল্পের চমক এবং মোড় ঘোরানোর জন্য যথেষ্ট এবং একমাত্র উপাদান বলে মনে হয়েছে। গল্পের প্লট গতানুগতিক হলেও আপনার সাবলীল উপস্থাপনায় পাঠে তৃপ্তি পেলাম। শুভ-কামনা রইল।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পের আড়ালে মায়ের প্রতি ভালবাসার কিছু অনুভূতি তুলে আনার চেষ্টা করেছি। আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভাল থাকুন সব সময় :)

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

rudlefuz বলেছেন: আবেগে মাখামাখি গল্প।। ভালো খারাপ বিচার করার উপায় নাই, আবেগি হইয়া গেসি

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আবেগি হইয়া গেছ!! তাইলে কান্দ এইবার :P :P :P :P

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

অনাহূত বলেছেন: ৬ নং মন্তব্যের মতো আমারও একটু খটকা লেগেছে। আর, রাহেলা বেগম যে মজিদের মা সেটা মজিদের নানুর নামের সাথে রাহেলা বেগমের মায়ের নাম মিলে যাওয়ায় মোটামোটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

আপনি রাহেলা বেগমের পালিয়া যাওয়ার সিক্যুয়েন্সটায় কিছু মডিফিকেশন আনতে পারেন।

অভি'র উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে। আপনার গল্প খুব ভালো লেগেছে। স্পেশালী পানিতে ডুবে ডুবে 'মা' 'মা' বলে চিৎকার করার দৃশ্যটা খুব করুণ। মায়ের অভাব ভেতরে তীব্রভাবে নাড়া দিয়ে যায়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
নানির ব্যাপারটা ঠিক করেছি। আসলে প্রথমে লেখার পর আমি ওটা মুছে দিয়েছিলাম। সেভ করা হয়নি মে বি। আপনি বলায় আবার খেয়াল হয়েছে।

আপনাকে ধন্যবাদ অর্ণব ভাই।
ভাল থাকুন :)

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। শুভ কামনা রইল। ভালো থাকুন :)



স্বপ্নবাজ অভির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা।
ভাল থাকুন আর মাকে ভালবাসুন :)

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: একটু ঝামেলায় আছি নাজিম ভাই , আপাতত দেখে গেলাম , আবার আসবো !
মা কে নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ !

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
কোন সমস্যা নেইরে ভাই।
সময় করেই আসুন।
মা কে নিয়ে আপনি সেই আহবান না করলে হয়ত এই লেখাটি আসত না আমার।
ধন্যবাদ আপনাকে সেই পোস্টটির জন্য :)

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪১

আমিনুর রহমান বলেছেন:




গল্পে +++

তবে ঠিক তোমার লিখার মত হয়নি। কেমন যেন অগোছালো :(

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

আমিনুর ভাই, আগোছাল মনে হওয়ার একটা কারন হচ্ছে অধিকাংশ সংলাপ কথ্য ভাষায় লিখতে হয়েছে, যার সাথে আমি খুব একটা অভ্যস্ত না।

ভাল থাকুন ভাইয়া। :)

১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার !

এই থিমে এখন পর্যন্ত পড়া এটাই বেস্ট গল্প । যদিও শেষের দিকটা একটু দুর্বল মনে হয়েছে । চাইলে আরেকটু জমাতে পারতেন ।

থাক !
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আমি প্রাথমিক অবস্থায় ভেবেছিলাম মজিদকে ছেলেই দেখাব। তাতে অবশ্য জমে যেত গল্পটা কিন্তু খুব বেশি কাকতালীয় হয়ে যেত। চেয়েধিলাম বাস্তবের একটু ছোঁয়া রাখতে।

ভাল থাকুন আপনি।

১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: দুর্দান্ত গল্পটা ম্যাজিকের মত টার্ন নিল । হ্যাঁ ম্যাজিকই তো! মা তো মায়াময়ী, মমতাময়ী । এর সংস্পর্শে এলে যাবতীয় কাঠিন্য তরলে রুপান্তরিত হয় । মা হলো পৃথিবীর চুড়ান্ত যাদু বাস্তবতা ।

মায়ের ভালোবাসা অমলিন, অকৃত্রিম । মা নিয়ে লেখা সব কিছুই মহৎ ।

দুর্দান্ত গল্পে ভালোলাগা জানবেন নাজিম ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। শান্তির দেবদূত ভাইয়ের কৃত্রিম মা ও অকৃত্রিম মাতৃত্ব গল্পটি পড়ার পড় থেকে এমি গল্প নিয়ে ভাবছিলাম। দুদিন আগে আপনার অন্তযাত্রা গল্পটি পড়ার পর মনে হল লিখে ফেলি গল্পটা। লিখেও ফেললাম তাই। চেয়েছিলাম একটু থ্রিলার ধর্মী ভাব আনতে কিন্তু মা কে নিয়ে লেখা তো! এখানে আবেগ ধরে রাখা যায়না।

ভাল থাকুন আপনি।

১৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সুপ্রভাত নাজিম।

গল্পের ভালো মন্দ বিচার করার চেয়ে " মা " অনুভব নিয়ে লিখেছ এ জন্য শুভেচ্ছা।

এই গল্পের বদি চরিত্র টা ভালো লেগেছে সবচেয়ে বেশি। আমার কাছে মনে হয়েছে এই গল্পের স্বতঃস্ফূর্ত একটা চরিত্র এই বদি। এই চরিত্রের স্বাধীনতা বেশি যে কারণে শাহিন, পাগলা মজিদ সবার কাছেই সে মন খুলে কথা বলতে পারে। পুকুরের পানিতে ডুব দিয়ে দিয়ে সে যে মায়ের আদর খোঁজে এটা খুব ভালো লেগেছে। সে হিসেবে

অন্য চরিত্র গুলো অনেকটা ম্লান।

ভালো থেকো নাজিম

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বদি চরিত্রের মাঝে মা হারা সন্তানের মায়ের ভালবাসা পাওয়ার আকুতি তুলে আনতে চ্যেছিলাম। বলতে পারেন বদিই আসলে গল্পের মুল চরিত্র। বাকি ক্যারেক্টার গুলোর ওপর ফোকাস ওভাবে আসেনি জানি, আসলে খুব একটা আনতেও চাইনি। মজিদের চরিত্রে আরও একটু কাঠিন্য আনা গেল বোধ হয় ভাল হত। আর রাহেলা বেগমকে খুব বেশি কঠিন দেখান হয়ে গেছে।

ধন্যবাদ আপু। :)

১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

গেন্দু মিয়া বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শেষের দিকে একটা টুইস্ট থাকলে গল্পটা অনেকদিন মনে থাকতো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
টুইস্ট দিয়েছিলাম ভাই। ফেলে দিয়েছি আবার। আসলে টুইস্ট দিলে বাস্তবসম্মত হতোনা। তবে একেবারেই যে টুইস্ট নেই তা কিন্তু নয়।

২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নাজিম-উদ-দৌলা প্রতিটা মানুষের থাকে তার নিজস্ব একটা স্টাইল সেটা লেখায় হোক অথবা জীবনে সেখান থেকে বের হয়ে একটু ভিন্ন ধারায় এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলে কিছুটা হোঁচট খেতেই হয়। তবে হোঁচট খেয়ে উতরে যাওয়াতেই সার্থকতা। আপনার স্ট্যান্ডার্ডে এই গল্পটি হয়নি। আপনার কাছে পাঠক হিসেবে ব্রিজরক্ষক, সত্যের বীজ, সময়ক্রম এই ধরনের গল্প প্রত্যাশা করি। দরকার হলে আরও সময় নিন তবু এমন কিছু দুর্দান্ত গল্প উপহার দিন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপনি যে গল্পগুলোর কথা বলেছেন সেগুলো আমার নিজেরও ফেভাবিট। প্রত্যেকটি গল্প লিখতে আমার ১ মাসের বেশি সময় দিতে হয়েছে। সময় দিতে আমার সমস্যা নেই। গল্প লেখা আমার প্যাসন। এর পিছনে সময় দিতে আমার ভাল লাগে। কিন্তু সমসময় এমন অভিনব থিম মাথায় আসেনা। অবশ্য এই মুহূর্তে সাইকোলজিক্যাল ট্রামা নিয়ে চমৎকার একটা থিম পেয়েছি। গল্পটা দাঁড় করাতে অনেক অনেক সময় লাগবে। এই সময়টা বসে না থেকে একটু এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা করলাম। একটা রম্য গল্প, একটা রোম্যান্টিক আর একটা আবেগধর্মী গল্প লেখার চেষ্টা করলাম। একটা ফ্যান্টাসি বেইজড গল্প লেখার চিন্তাও আছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি আবার আগের রুপে আমাকে দেখবেন ইনশাল্লাহ! :)

২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

সুমন কর বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে। কথ্য ভাষাগুলোও ঠিক আছে। গল্পে কিছু বাস্তবতাও আছে, যা গল্পকে আরো সুন্দর করে তুলেছে।

বড়লোকের নিজের পোলা মাইয়ার প্রতি মায়া কম থাকে, ওগো পোলাপাইন ধইরা আনলে ওরা পুলিশে যোগাযোগ করব, সন্তান বাঁচল কি মরল সেই খবর নাই। কিন্তু গরীবের তো সন্তান ছাড়া কিছুই নাই, ওরা নিজের সন্তানরে বাঁচানের জন্য জান দিতেও রাজি থাকে

ভালো হয়েছে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

আসলে বলতে চেয়েছিলাম, বড়লোকের টাকার প্রতি মায়া বেশি কিন্তু গরীবের কাছে তো টাকা নেই, তাদের কাছে সন্তানই সব কিছু।

ভাল থাকুন ভাই।
ভাল লাগল আপনার মন্তব্য।

২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

ভিয়েনাস বলেছেন: মাকে নিয়ে লেখা চমৎকার গল্প। গল্পের খাতিরেই যদি বলি তাহলে শাহিনের মা হিসেবে রাহেলা বেগম কে যতটুকু মমতাময়ী দেখানো হয়েছে মজিদের আকুতির কাছে ততটুকু মমতাময়ী দেখালে হয়তো গল্পটা আরো প্রানবন্ত হতো। মা জিনিসটা আরো গভীরতা পেত। এটা আমার নিজেস্ব ভাবনা :)

গল্পের উপস্থানা অনেক সাবলিল সুন্দর হয়েছে ব্রো।মাকে নিয়ে এমন গল্প আরো আসুক।

শুভ কামনা রইলো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
মজিদকে মহিলার ঘৃণা করার কারন সে তার পুত্রকে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে সাতদিন আটকে রেখেছে। মজিদকে ঘৃণা করার মাধ্যমে আসলে তিনি নিজের পুত্রের প্রতি মমতাই প্রকাশ করেছেন।

চিন্তা ছিল মাকে নিয়ে লিখব। লিখেছি। এখন বাকিদের এগিয়ে আসার পালা :)

২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

আমি ইহতিব বলেছেন: এডভেঞ্চার ভয় আর আবেগ মিশ্রিত একটা গল্প। সকালে এই গল্পের লিংক দেখেই ওপেন করে বসে আছি, আর এতক্ষণে পড়ার সুযোগ হল।

ভালো লিখেছেন, তবে শেষের অংশটুকু পড়ে মনে হল যেন হুট করেই শেষ হয়ে গেলো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
চাইলে আরও কিছুটা টেনে নিয়ে যেতে পারতাম। প্লানও ছিল তেমন। কিন্তু মনে হল বুঝি এখানেই শেষ করে দিলে ভাল হবে। :)

ভাল থাকবেন আপু :)

২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটার বর্ণনা, বিশেষ করে বদিকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, সেটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কথোপকথন সাবলীল ছিল। একটা বিষয়ে বলতে চাই-

তুই যদি পেট ভইরা খাইতে চাস তাইলে আর একজনরে অভুক্ত রাখতে হইব”।

বদির ইচ্ছে হল বলে যে, “একজনরে অভুক্ত রাইখা পেট ভইরা খাওয়ার কি দরকার?


এখানে 'অভুক্ত' শব্দটা মজিদ-বদির পক্ষে বেশি কঠিন হয়ে যায় কি? তাঁরচেয়ে যদি বলত, তুই যদি পেট ভইরা খাইতে চাস তাইলে আর একজনেরডা কাইড়া খাওন লাগব বা এরকম কিছু, তাহলে হয়তো যুক্তিযুক্ত হত।

গল্প পড়ে আনন্দ পেয়েছি, নাজিম। শুভেচ্ছা।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

অনেকটা একই। তারপরও বলব আপনি যেভাবে বলেছেন সেটা বলাই আসলে আপ্রপ্রিয়েট হয়েছে। আমি এডিট করব। থ্যাংকস :)

থ্যাংকস প্রোফেসর।
ভাল থাকুন :)

২৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মা নিয়ে লিখেছেন, আর কি চাই! আবেগ উথলে উঠছে, চমৎকার লিখেছেন।

গল্পের প্লট একটু বেশি ড্রামাটিক হয়ে গেছে, তবে পড়তে খারাপ লাগেনি।

শেষে এসে রাহেলা বেগমের আচরন ঠিক মায়ের মত ফুটে উঠেনি, কেমন যে অদ্ভুত লেগেছে। এখানে আমি নিজেকে কল্পনা করে ভাবছিলাম, আমি হলে কি করতাম? স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই অবস্থায় যে কোন মা মজিদ যা বলত তাই শুনে শুনে কোনভাবে সন্তানকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করত।

প্রথম দিকে দুর্দান্ত হয়েছে, বড় লোকদের টাকার প্রতি যে মায়া, সেটা পড়ে কিছুক্ষণ ভাবলাম; কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঠিকই আছে। এই মজিদের এই দার্শনিক কথা বার্তা বেশ উপভোগ করেছি।

সবশেষে বেশ ভাল লেগেছে, মা নিয়ে আরও লেখা চাই। মাত্র তো শুরু। শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

রাহেলা বেগম চরিত্রটি আমি যেভাবে দেখাতে চেয়েছিলাম চরিত্র চিত্রনে তেমনটা আসেনি। এই কারনেই হয়ত একটু খটকা লেগেছে আপনার।
আমি তাকে একজন শক্ত, নিষ্ঠাবান, ধৈর্যশীল মানুষ হিসেবে দেখাতে চেয়েছি। তিনি প্রয়োজনের সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে মজিদের মুখে মা ডাক শোনাটা ওনার জন্য অপমান জনক, ওনার মাতৃত্ববোধের ওপর আঘাতসরুপ, তাই কঠোর হয়েছেন।

সুন্দর একটা দিক তুলে এনেছেন দেখে ভাল লাগল ভাইয়া।
ভাল থাকুন :)

২৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

তাসজিদ বলেছেন: বেশ ভাল লাগল। তবে লাস্ট অংশটুকু একটু দ্রুতই শেষ হয়ে গেল।
তবে শাহিনের মা কিভাবে ৫০ লাখ টাকা মেনেজ করলেন তার ব্যাখ্যা থাকলে ভাল হত। আর যে শাহিন কে হত্যা করতে যাচ্ছিল, তার মত কেও শুধু নামের কারণে এত বদল হয়ে যাওয়া একটু অড মনে হয়েছে।
আর খুনির সামনে একজন শিক্ষিকার এত সাহস কি দেখানো সম্ভব?
এক্সপেরিমেন্টাল লেখাই কিন্তু একজন লেখনকে ভিন্নতা দান করে। চালিয়ে যান

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপনার কমেন্টের উত্তর ২৩ নং আর ২৫ নং কমেন্টের উতুরে দিয়েছি।
মাকে নিয়আপনারাও লিখুন তাসজিদ ভাই। এটা জরুরী।

ভাল থাকুন :)

২৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

toysarwar বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। থ্যাংকু।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগল। মা এর প্রতি আবেগ বেশ চমৎকার ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তবে আমার মনে হয় মেলোড্রামাটিক ব্যাপারটিকে আরো কিছুটা নিয়ন্ত্রন করা গেলে আরো ভালো হতো। :) যারা বিশেষ করে এক বসায় গল্প লিখেন তাদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক দীর্ঘ গল্প লেখার সময় অনেক ক্ষেত্রেই ডায়লগ এবং দৃশ্যায়নকে নিখুঁত করা প্রচেষ্টাটি বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমি জানি না আপনি এক বসায় লিখেছেন কি না, যদি এই গল্পটি এক বসায় লিখে থাকেন তাহলে নিঃসন্দেহে কঠিন এক কাজ করেছেন। আপনাকে অভিনন্দন। :)

আরো ভালো লিখুন প্রিয় লেখক, শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
একবসায় লিখলে আমি দেখেছি সংলাপের ব্যাপারটা ঠিক আথাকে। কয়েকবারে লিখলে সমস্যা থেকে যায়। এটা ই আমার একমাত্র গল্প যা একবসায় লিখেছি। :)

মেলোড্রামাটিক ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া গেলনা । আসলে মা কে নিয়ে লেখা তো ! আবেগ এসেই যায়।

ভাল থাকুন কাভা ভাই :)

২৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মা নিয়ে লেখার জন্য অভিনন্দন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ জুলিয়ানদা গল্পটা পড়ার জন্য। :)

৩০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

ইলুসন বলেছেন: কিছুক্ষন পর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া লোকজন হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকল, ভর-দুপুরে তিনটা মানুষ পুকুরে ক্রমাগত ডুব দিচ্ছে আর আর অনবরত “মা” “মা” বলে চিৎকার করে কাঁদছে...


চমৎকার লাগল গল্পটা। আমি ভেবেছিলাম বদির হাতে মজিদ খুন হবে। অবশ্য গল্পটা সে দিকে যায় নি, আরো সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ওভাবে শেষ করার কথা একেবারেই চিন্তা করিনি এমনটি কিন্তু নয়। :)

ধন্যবাদ পড়ার জন্য :)

৩১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা নাজিম। শেষ দৃশ্যে এসে চোখ ভিজে উঠল। অনেক অনেক ভাল লাগা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ধন্যবাদ তিথি আপু। চেষ্টা করেছি ভাল করার। :)
ভাল থাকুন আপনি।

৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: গল্প পড়তে পড়তে শাহিনের মায়ের একটা ছবি আঁকা হয়ে গিয়েছিল মনে ভেতর, শেষে এসে রাহেলা বেগমের সাথে একদমই মেলাতে পারিনি। পুরো লেখাই অনেক টাচি, শেষের চেয়েও মাঝখানে বেশি টাচ করেছে যখন বদি শাহিনের কাছে নিজের মায়ের কথা বলে। স্পেশাল থ্যাংকস মা’কে নিয়ে লেখার জন্য!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

ধন্যবাদ মারুফ। রাহেলা বেগমকে না আমি আসলে যেভাবে আনতে চেয়েছিলাম সেভাবে আসেনি।

ভাল থাক তুমি ভাইয়া। :)

৩৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: মহৎ উদ্দেশ্যে লেখা ফরমায়েশী গল্প, সুতরাং তোমার স্ট্যান্ডার্ডে ফেলে কোন সমালোচনা করলাম না। শুভকামনা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ধন্যবাদ হামা ভাই, একটু ফরমায়েশী গল্প টাইপের হয়েছে জানি। আবেগ আনতে চেয়েছিলাম লেখায়। ভাল থাকুন ভাইয়া।

৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৪

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: চমৎকার!!

অনেক দেরীতে পরলাম!!
শুভেচ্ছা!!
সবাই মাকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে!!
আমি এখনো কিছু লিখএ পারলামনা!! :(: :( :(

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন টিঙ্কুর মা! :)

৩৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: তোর মাথাটা একটু দিবি?সাহিত্যচর্চা করতাম :(

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আমার মাথা নিয়া সাহিত্য চর্চা করবি!! কস্কি মমিন!! B:-) B:-) B:-) /:) /:)

ভালা থাক! ;) ;)

৩৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

শায়মা বলেছেন: শাহিনের মা টাকা নিয়ে আসার আগেই যদি মজিদ ছেড়ে দিত শাহিনকে তাহলে কান্নাটা থামতোনা।

ভাগ্যিস তার পরে আর একটু ঘটনা আছে সেটা পড়ে কান্না থেমেছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ওমা! আমি ভেবেছিলাম কান্নাটা বরং পরের ঘটনার জন্য আরও বেগ পাবে!

ধন্যবাদ আপু। :)

৩৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: অনেক অনেক শুভকামনা রইল লেখালেখিতে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ধন্যবাদ , ভবঘুরে ভাই।

৩৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২

বোকামন বলেছেন:
প্রিয় গল্পকার,

কেমন আছেন আপনি ?
বেশ কয়েকটি পোস্ট মিস হয়ে গেছে :-( ব্যস্ততা ....
সময় করে অবশ্যই পড়বো :-)

মাকে নিয়ে লেখা গল্প-কবিতা-পোস্টে বেশী কিছু লেখার থাকেনা
নির্বাক হয়ে যাই ......

এতটুকোই বলে যাই বরাবরের মতই চমৎকার লিখেছেন ।
শুভকামনা রইলো ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

অনেক পোস্ট মিস করেছেন, মাইন্ড খাইছি। জলদি পড়েন :(

ফান করলাম :)
ভাল থাকুন প্রিয় ব্লগার :)

৩৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: ব্লগার অ্যানোনিমাস ও কাণ্ডারী অর্থবের সাথে একমত।
তবে মাকে নিয়ে লেখার জন্য +

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
:( :(

ধন্যবাদ ভাই :)

৪০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

অদৃশ্য বলেছেন:





প্রিয় নাজিম

চমৎকার গল্প... খুব ভালো লেগেছে আমার...




শুভকামনা...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ কবি :)

৪১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

শাহেদ খান বলেছেন: একটানে পড়লাম। গল্পে ভাল লাগা অবশ্যই!

লেখায় অনেক শুভেচ্ছা। 8-|

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৪২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহাহা ভালো লাগল। তবে আরো ভালো লাগত আরেকটু একশনের দিকে যেতো। মানে বদিকে দিয়ে শাহিনকে উদ্ধার করে বদির হাতে মজিদের পিটুনি দেখাতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগত। কারণ মজিদেরা কখনো ভালো হয় না! কিন্তু বদিরা ভালো হয়!

শুভকামনা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

ধন্যবাদ টুম্পা। হাসলেন কোন দৃশ্য দেখে কে জানে!
ভাল থাকুন :)

৪৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মোটামুটি হইছে , আপনার মান অনুযায়ি কিছুই হয় নাই , আমি হতাশ ।
ফরমায়েসি হলেও এ মাসে লিখতে হবে এমন ত কথা নাই , আপনি পরেও সময় করে লিখতে পারতেন ।
এভাবে বলায় দুঃখিত নাজিম ভাই । আসলে আপনার কাছে প্রত্যাশাটা বেশি ই থাকে ।
ভাল থাকবেন ভাই ।
শুভকামনা রইল অনেক :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
না আমি কিছু মনে করিনি। আসলে সল্প সময়ে লেখা বলে হয়ত এমনটা মনে হয়েছে। তাই একটা বড় বিরতি নিয়েছি এবার। অনেকদিন লেখা বন্ধ রাখলে যদি একটু হাত ফেরে!
ভাল থাকুন ভ্রাতা।

৪৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমি নতুন তাই কষ্ট করে হলেও আমার ব্লগে একটু ঢুঁ মাইরেন। ভুলবেন না কিন্তু! সেই সংগে মন্তব্য অবশ্যই।


ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অবশ্যই যাব :)

ভাল থাকুন। শুভ হোক এই পথ চলা। :)

৪৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

অনাহূত বলেছেন: নতুন লেখা কই?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গ্যাপ নিয়েছি! পরীক্ষা চলছে ভাই! :(

৪৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

কালীদাস বলেছেন: এই গল্প মিস করলাম কেমনে?!
যথারীতি সাবলীল, সুন্দর :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস ভাই, ভাল থাকবেন।

৪৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সম্ভবত প্রথমবার আপনার গল্প পড়লাম।
দারুন লাগলো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: প্রথমবার পড়লেন? স্ট্রেঞ্জ! আগেও আমার ব্লগে এসেছেন বলেই মনে হয়। যাই হোক, ধন্যবাদ রইল।

৪৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

টেস্টিং সল্ট বলেছেন: অনলাইন দেখলাম। কি করস??

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কি আর করমু? বেকার মানুষ! বইয়া বইয়া ভেরেন্ডা ভাজি!

৪৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: গল্প অনেক সুন্দর হইসে, কিন্তু খুব বেশি ড্রামাটিক। শাহীনের কাছে বদির মায়ের গল্প শোনানো, মজিদের মত লোকের এতো আবেগ, পুকুরে চিৎকার করে কাঁদা, পঞ্চাশ লাখ টাকা।
কিছুটা মার্জিন টানলে সম্ভবত আরো বেশি লাগতো।

মায়েদের প্রতি ভালোবাসা, ভালোবাসা বিজয় দিবসের প্রতি :)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মার্জিন টানতে চাই নি। ছেড়ে দিয়েছিলাম আবেগের সবটুকু। মা কে নিয়ে লেখা তো, সামলাতে পারিনি।

ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকদিন পর আমার ব্লগে দেখছি আপনাকে। ভাল থাকুন।

৫০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ভয় লাগে অপহরন!
গল্পের ভেতরটা বেশ লাগছিল। অনেকক্ষন অবদি রেশ রইলো। আসুক এমন সব গল্প।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অল্প কথায় চমৎকার মন্তব্য। ভাল লাগল আপনার কথা। ভাল থাকুন।

৫১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লেগেছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.