নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগে বড় আপু-ভাইয়াদের দেখতাম চিঠি লিখে প্রেম করতো। সেই সময়, হোয়াটসঅ্যাপ তো দূরে থাকুক কথা বলার জন্য বাসার ল্যান্ডফোন টাও ম্যানেজ করা মুশকিল ছিল। এক চিঠির জবাব পেতে মাসের পর মাস পার হয়ে যেতো। প্রেমিকার গলার আওয়াজ শোনার জন্য খুব ভয়ে ভয়ে তার বাড়িতে কল করা লাগতো, যদি তার মা শুনে ফেলেন...! দেখা সাক্ষাৎ করতে হলেও, আগের দিন ঠিক করা নির্দিষ্ট সময়ে দেখা হবে কিনা তাও বলা যেতো না। কিন্তু ৯০ এর দশকের প্রেমগুলো এইভাবেই চিঠি লিখে না হয় একটুআধটু ফোনে কথা বলেই বেশ ভালোই শক্ত-পোক্ত হতো।
কম্পিউটার যুগের প্রেমগুলো আবার আরেক প্রকারের ছিল। ২০০০ সালের আশেপাশে, যারা প্রেম করেছেন তাদের যোগাযোগ করতে খুব একটা কাঠখড়ি পোড়াতে হয়নি। সেসময় ইউনিভারসিটি পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা দিব্যি কার্জনে লেকের পাড়ে প্রেমিকার দেখা পেয়েই গেছেন।
এইবার আসি, মোবাইল নামক পোকা আবিষ্কারের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে। এরপর বাসায় মোবাইল এলো, সিম এলো। ৭টাকা মিনিট এর ৩ মিনিট প্রেম। অ্যাকটেল, গ্রামীণ, এয়ারটেল-সিম কোম্পানিগুলোর রমরমা ব্যবসা। আর টকটাইম সস্তা দেখে সবার বাসাতেই একটা না হয় দুটা মোবাইল ছিলই। যদিও উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল তখনো দেয়া হয়নি। মোবাইল পেলে বাচ্চাকাচ্চা পড়ালেখা করবে না। এজন্য শর্ত থাকতো। যেমনঃ এস.এস.সি তে ভালো রেজাল্ট করলে তবেই একটা মোবাইল দেয়া হবে। কিন্তু, যারা প্রেম করতো তারা এতদিন অপেক্ষা করার চেয়ে, আম্মু-আব্বু, বড় আপু-ভাইয়াদের মোবাইল দিয়ে প্রেম চালিয়ে যেতো। রাত ১২টার পরে, ১০ সেকেন্ড পালস্ এ কথা বলা যেতো। এই, ১ ঘন্টা কথা বললে, ২০টাকা মতো খরচ।
মোবাইলযুগীয় প্রেমও ঠিকঠাক চলছিলো। এর ভিতর ফেসবুক সাড়া পায়। কথা বলা না গেলেও চ্যাটিং আর ছবি আদানপ্রদান সাথে অপরিচিত মানুষের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ। বাস্তবে, হয়তো একজন স্ট্রেঞ্জার এইভাবে কথা বলতে আসলে মাইর একটাও মাটিতে পড়তো না! রাতদিন চ্যাটিং করে মোবাইল নাম্বারও আদানপ্রদান তারপর দেখা সাক্ষাৎ। আমার অনেক বন্ধু ফেসবুক প্রেম করে বেশ বিয়েই করে ফেলেছেন। আজকাল পাত্র-পাত্রী.কম এ বিয়ে না হলেও এক সময়ে, ফেসবুকের মাধ্যমেও বিয়ে হয়েছে।
আমরা এখন আছি,টিন্ডার-ইন্সটাগ্রাম যুগে। এই বর্তমান সময়ে, যোগাযোগব্যবস্থার কোনো সমস্যা নেই। শুধু মোবাইল একটা ট্যাপ করার দেরি। কথা বলা, টেক্সট করা, ভিডিও কলিং করা এখন খুবই ইজি। প্রেমালাপ করতে এখন গোলাপি নোটপ্যাডে চিঠি লিখতে হয়না। প্রেমিকার চেহেরা দেখতে, সাত-সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে হয়না। মুখ বাকিয়ে, মোবাইল এর ফ্রন্ট ক্যাম দিয়ে ইজিলি, ১০০টা ছবি তুলে প্রিয় মানুষকে পাঠানো যায়। মনের কথাগুলো সেকেন্ডের ভিতরে স্ট্যাটাস হিসেবে শেয়ার হয়ে যায়। কথা বলা অথবা দেখা করা আজকাল কোনো ব্যাপারই না। সবকিছুই খুব অ্যাভেইলঅ্যাবেল। কিন্তু, সরবরাহ বেশী হলে, তা সস্তা হয়ে যায়। বর্তমান প্রেম-টাও ঠিক তেমনি হয়ে যাচ্ছে...অনেকটা বাতাসের মতোই ঠুনকো, অনেকটা বাতাসের মতোই সহজলভ্য।
ছবিঃ polcacafe.com
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
Zinat Imam বলেছেন: পিয়নগিরি করতে গিয়ে কখনো ধরা খেয়েছিলেন?
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৫
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: প্রথম প্রথম দুই পক্ষ থেকে বকশিস পেতাম। পরে তাদের চিঠি পড়ের দায়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়
ছবিটি কি দিপিকার??
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১২
Zinat Imam বলেছেন: হ্যাঁ, ছবিটি দীপিকা পাডুকোন এর...
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৪
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনার পাথস্ এর রহস্য কী????
১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:১২
Zinat Imam বলেছেন: রহস্য তেমন কিছুই না, করুণ রস আর কি!
৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার ভাল লাগার একটি পোস্ট। শুভ কামনা আপনার জন্য।
০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৯
Zinat Imam বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কি ব্যাপার আপনার কোন আওয়াজ নাই?? ব্লগে চুপচাপ থাকলে মডুরা সেফ করবে না।
লেখা সুন্দর, সহজ, সাবলীল, প্রেমময় প্রকাশভঙ্গি
আমিও এককালে বড় আপুদের পিয়নগিরি করতাম