নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেঁড়া ছেঁড়া অগোছালো স্বপ্ন

জুবায়ের বিন লিয়াকত

জীবন হোক ছন্দময়, স্বপ্নগুলো রঙিন, ভালোবাসায় ভরে উঠুক, জীবনের প্রতিটি দিন।

জুবায়ের বিন লিয়াকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে আসুন “সান ডং”

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

বলা হয়ে থাকে সৃষ্টির শুরুতে মানুষের আদি বাসস্থান ছিল গুহা। প্রাকিতিক এই জিনিসটির সাথে কম বেশী আমরা সবাই পরিচিত। গুহা শব্দটির সাথে একটু বেশীই অ্যাডভেঞ্চার কাজ করে। আমাদের দেশে অবশ্য তেমন কোন বড় গুহা নেই যেগুলো আছে খুবই ছোট। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহা হচ্ছে “সান ডং” ভিয়েতনামের শেষ সীমানায় লাওস সীমান্ত ঘেঁষে এর অবস্থান। স্থানীয়ভাবে ভিয়েতনাম কেভ নামেও এর পরিচিতি পাওয়া যায়। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলেও সত্য যে মাত্র ২২ বছর পূর্বে ১৯৯১ সালে হু-খান নামের একজন স্থানীয় লোক এর আবিষ্কারক। তার পরও এটা একটা রহস্য সহজে কারো নজরে পড়েনি কেন এই গুহাটি এতোদিন ?? এতো দেরীতে এর আবিষ্কার হওয়ার অন্যতম কারন হিসেবে ধরা হচ্ছে গুহাটির মুখটি অনেক অত্যন্ত জঙ্গলাকীর্ণ ও দুর্গম।





এই গুহাটিকে সর্ব প্রথম প্রচার মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন বিজ্ঞানী হারবার্ড ও দেভ লিমবারট এর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী যারা সবাই ব্রিটিশ কেভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশান এর সদস্য। ব্রিটিশ কেভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশান এর সদস্যরা ২০০৯ এর ১০ থেকে ১৪ই এপ্রিল এই গুহাটির উপর সমীক্ষা চালায়। অনেক দুর্গম পথ পেরিয়ে জঙ্গলাকীর্ণ ১০ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৬ ঘণ্টা হেঁটে অভিযাত্রী দলটি গুহার ভিতরের প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হেটে হেটে যেতে পেরেছিল, ভিতরে পানির উচ্চতা অনেক বেশী থাকার কারনে তারা আর এগুতে পারেনি।

দেভ লিমবারট এর তথ্য অনুযায়ী আয়তনের দিক থেকে এটি “ফুং না কেভ”(প্রাক্তন সর্ববৃহৎ গুহা যার অবস্থান ও ভিয়েতনামে) থেকেও পাঁচ গুন বড় !!! একটা বড় নদী বয়ে চলছে এই গুহার মধ্য দিয়ে। প্রায় ৬.৫ কিলোমিটার দৈঘ্যের এই গুহাটির প্রশস্ততা প্রায় ২০০ মিটার আর উচ্চতা ১৫০ মিটার এর ও বেশী । গুহাটির বেশিরভাগ অংশের দৈঘ্যে ও প্রস্থ ৮০ বাই ৮০ মিটার কিছু জায়গার আয়তন অবশ্য তারা ৯১ বাই ৯১ মিটার ও পেয়েছেন । মাটি থেকে সোজা ছাদ পর্যন্ত ৭০ মিটারের ও বেশী লম্বা কিছু থামের সন্ধানও পেয়েছেন।

















যখন হিমালয় জয় করাটা একটা সহজসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে “সান ডং” ত কিছুই নয় অনেক অ্যাডভেঞ্চার প্রেমিই হয়ত ঘুরতে যাবেন। যাদের জন্য এটাও অনেক কষ্টসাধ্য তাদের জন্য ছবি গুলো রইল।

তথ্য সুত্রঃ

তথ্য সুত্রঃ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

মোঃ কবির হোসেন বলেছেন: ভাই অনেক সুন্দর এবং তথ্যবহুল একটি লেখা পড়লাম-শুভ কামনা সতত। ধন্যবাদ-আবার দেখা হবে।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.