নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেঁড়া ছেঁড়া অগোছালো স্বপ্ন

জুবায়ের বিন লিয়াকত

জীবন হোক ছন্দময়, স্বপ্নগুলো রঙিন, ভালোবাসায় ভরে উঠুক, জীবনের প্রতিটি দিন।

জুবায়ের বিন লিয়াকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের নিজের দোষে ব্যান্ডউইথ থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

স্বাধীনতার ২১ বছর পর ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যাবহার শুরু হলেও সর্বসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত ছিলনা। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মূলত ১৯৯৬ সালের জুন মাসে। ভি স্যাটের মাধ্যমে যুক্ত প্রতি এম বি পি এস ব্যান্ডউইথের মূল্য ছিল তখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাত্র ।

আজকের দিনে ১ মেগাবাইটের নিচের গতিকে ব্রডব্যান্ড বলা হয়না। যেখানে ৫ মেগাবাইটকে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা করার দাবি উঠেছে, সেখানে বাংলাদেশের টেলি আইনে বি টি আর সির প্রঞ্জাপন অনুযায়ী প্রতি সেকেন্ডে ২৫৬ কিলোবাইটের বেশি ১ মেগাবাইটের নিচের গতিকে ব্রডব্যান্ড বলা হয়।

সরকারী তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের হিসেব (২০১৩) অনুযায়ী বিগত ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিন বছরে মোট ৩০ লাখ টেরা বাইট কনট্যান্ট অব্যাবহিত ছিল !!!! বর্তমানের ২০১৩ সালের মূল্য অনুযায়ী ১ মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের মূল্য এখন ৪ হাজার ৮ শত টাকা মাত্র। সরকারী হিসেব অনুযায়ী এ ক্ষতির আর্থিক পরিমান প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ইন্টারনেটের উপর বছরের পর বছর ১৫% ভ্যাট রাখারও কোণ যুক্তি দেখি না। দফায় দফায় ব্যান্ডউইথের মূল্য কমলেও মোবাইল অপারেটররা নিজেদের ইচ্ছে মত প্যাকেজ তৈরি করে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ব্যান্ডউইথ সংরক্ষণ করার কোণ বস্তু না, এটা টাকা নয় যে ব্যাঙ্কে জমিয়ে রাখবেন অথবা আলু, পটল, পেঁয়াজ ও নয় যে ফ্রিজে বা কোথাও সংরক্ষণ করবেন, এর অব্যবহার মানে হচ্ছে এর অপচয় করা

বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সিমিউই৪ – এর কক্সবাজার সংযোগে ১৬৪ জি বি পি এসের মধ্যে থেকে সারা দেশে মাত্র ২২ জি বি পি এস ব্যাবহার হচ্ছে, বাকি ১৪৪ জি বি পি এস মূর্খের মত জমিয়ে রাখা হচ্ছে। সরকার যদি সম্পূর্ণ ১৬৪ জি বি পি এস ব্যান্ডউইথ ব্যাবহারকারীদের জন্য ছেড়ে দেয় তাহলে দেশের ইন্টারনেটের স্পীড প্রায় ৬ থেকে ৭ গুন বেড়ে যাবে।

আমরা ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, সিটি সেল বা টেলি টক যেই লাইনই ব্যবহার করি না কেন যে কোণ প্যাকেজ নিয়ে আপনি ব্যবহার না করলে মাস শেষে যেমন ব্যান্ডউইথ জমা থাকে না ঠিক তেমনই ব্যান্ডউইথ ও জমা থাকে না। ।

এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যাবহারকারিরা সর্বনিম্ন গতিতে কাজ করার মধ্যে অন্যতম। ব্যান্ডউইথের দামের দিক দিয়ে যেমন বাংলাদেশ শীর্ষে ঠিক গতির দিক থেকেও সবার নীচে। প্রচুর পরিমান ব্যান্ডউইথ অব্যাবহিত থাকার পরও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাবহারে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখ করার মত।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

দি সুফি বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন থাকলেও এই সেক্টরে উপযুক্ত লোকের অভাবে ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্তই হয়ে আসছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্ত্যবর জন্য, আসলেই কি এই সেক্টরে উপযুক্ত লোকের অভাব? না সরকার ও মন্ত্রী পরিষদের অদূরদর্শিতা আছে।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

মুগ্ধ মাহি বলেছেন: ডিজিটাইল সব ডিজিটাইল ...।


ডিজিটাল এর কলা খাওয়ায় , আর সব এলালগ কাজ কারবার ।
ডিজিটাল স্লোগানের সরকারের আমলে এই ব্যাপারটার সমাধান হয় না কেন ?

তাহলে যারা ডিজিটাল স্লোগান দেয় না তারা আসলে যে কি হবে ??


এই অনিয়ম দূর করা সরকারের একদিনের ব্যাপার মাত্র । কিন্তু সরকার ইচ্ছা করেই এটা করে না । সমাধান করলে যে বড় অংকের উৎকোচ হাত ছাড়া হয়ে যাবে :-B :-B :-B

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো বলেছেন "এই অনিয়ম দূর করা সরকারের একদিনের ব্যাপার মাত্র । কিন্তু সরকার ইচ্ছা করেই এটা করে না । সমাধান করলে যে বড় অংকের উৎকোচ হাত ছাড়া হয়ে যাবে"

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দাদাদের রফাতানি করচেতো!!!

আপনি এসব হিসাব মেলান কেন বলুন তো!!!

তাদের সমস্যা হবে না? তারা দেকাচ্ছে কত উদ্বৃত্ত ব্যন্ড উ্থ.. তাই রফতানি করতে চাইছে!!

মায় নব্য কম্পু বিজ্ঞানী জয সাহেবতো ২০০ টাকায় ব্যস্ডউইথের... এক কথায় সবারে কাইত করে ফেলেছেন- ;)

সত্যিই দারুন ডিজিটাইজেশন!!!!!!!!!!!!!!!!!!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য, কম্পিউটার বিজ্ঞানী জয় সাহেব ২০০ টাকায় ব্যান্ডউইথ দিতে চাইছেন আগামিতে ক্ষমতায় গেলে।

সত্যিই দারুন ডিজিটাইজেশন!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

পরের তরে বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা যে মন্ত্রী হচ্ছে সে এই সব বিষয়ে অবগত কি না। না হলে আপনি আমি সারাদিন মিছিল করলে ও এই বধির গুলা শুনতে পাবে না। যারা এই সেক্টরের মন্ত্রী হবেন তাদের অবশ্যই এই বিষয়ের উপর উচ্চতর ডিগ্রী থাকতে হবে। আমার তো মনে হয় মন্ত্রী মহোদয় ৪ এম.বি এর সাথে ৪ জি এর পার্থক্যই বুঝে না। তাইলে উনি এইগুলো কেমনে বুঝবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: খুবই ভালো বলেছেন :D মন্ত্রী মহোদয় ৪ এম.বি এর সাথে ৪ জি এর পার্থক্য বুঝেন তো ??

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৯

রাখালছেলে বলেছেন: কিছু লোক বসে বসে ব্যন্ডউইথ অব্যবহৃত রেখে অপ্রতুলতাকে কাজে লাগিয়ে টাকা খাচ্ছে । এর চেয়ে মজার ব্যবসা আর হয় না। গালি দিতে ইচ্ছা হয় । কিন্তু যাকে দেব সে তো কানেই শুনে না । কোথায় ১৬৪ জি বি পি এস আর কোথায় ২২ । শালার মূর্খরাও তো এর থেকে ভাল বোঝে ।

আন্দোলন শুরু করা দরকার । X(( X((

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্ত্যবের জন্য, আন্দোলন শুরুর অপেক্ষায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.