নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা,উপন্যাস,দর্শন,সিনেমা ও অন্যান্য

জহিরুলহকবাপি

আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।

জহিরুলহকবাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাদের কিছুই হয় না ৮০০ কোটি টাকা চুরিতে- বস্ত্রবালিকারা ২ টাকা বাচানোর আশায় ১৬ ঘন্টার কাজের শেষে হেটে আসে তিন মাইল

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

হলমার্ক, শেয়ার বাজার, কুইক রেন্টাল, শেয়ার বাজার হাজার হাজার কোটি টাকা চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেল। হরহামেশাই সিধেল চোর, ছোট চান্দাবাজ চোর, পকেটা চোর, মন চোরদের যখন তখন জনগন পিডাই হোতাই ফালাইতেছে-জেল জরিমানা হচ্ছে। কিন্তু বড় চোরদের কিছু হয় না বলে এখন ঘরে ঢুকে চুরি করা শুরু করেছে। বড় চোর কোনটারে নিয়ে যদি র্যাব টাকা উদ্ধারে যেত, জনগন পিডাই হোতাই হালানের সুযোগ পেত, কঠিন সাজা পেত, টেকাগুলান উদ্ধার করা যেত তাহলে এ ঘটনা বার বার ঘটা বন্ধ হতো। টাকা উদ্ধারে গেলে স্বাভাবিক ভাবে টাকার পাহারায় থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি করতো তখন স্বাভাবিক ভাবে আগে গুল্লি খাইতো বড় চুরা। কারণ হেই মিয়ার হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো থাকতো সেই জন্য হঠাৎ গুলিতে সেইফ সাইডে যেতে পারতো না।

কিছু হলে আমরা সবাই মিল্লা অর্থমন্ত্রীরে গাল দেই। কেন?? মিয়ারা নিজের মাসের হিসাব চালাইতে জীবন শেষ, বুঝেন দেশ চালাতে কি হয়? এই যে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু, নতুন নতুন ইকোনমীক জোন, ফোর লেন, এক্সপ্রেসওয়ে, কমিনিউটি হেলথ, নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রেল উন্নয়ন, চিকিৎসা সেবা, উপচে পড়া রির্জাভ এই গুলাতে বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রীর অবদান একটু ভাববেন। তিনি হয়তো অপ্রিয় উক্তি করে ফেলেন কখনও কখনও , কিন্তু তার কথার তুলনায় তার অবদানতো ভাববেন!! মানুষ রোবট না!! ভাবতে হবে।
পদ্মা সেতুতে চুরি হাজার হাজার কোটি টাকা – আমরা সবাই স্বাভাবিক ভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এখনতো বুঝছেন চুরি হয় নাই। কি কঠিন ষড়যন্ত্র। এমন ষড়যন্ত্র হয়ে ছিল ৭৪ সালে । খাদ্যের টাকা নিয়েও আমেরিকা আমাদের খাদ্য দেয়নি। ফলস্বরূপ দুর্ভিক্ষে প্রাণহানী । পদ্মা সেতু না হলে সূক্ষ ক্ষতি হতো অনেক বড় কিন্তু সাধারণ চোখে দেখা ক্ষতি হতো- কয়েক কোটি জনগোষ্ঠী আরও বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে পড়তো অর্থে, মননে, শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে। এমনিতেও আমরা পিছিয়ে আছি অনেক অনেক বছর। আমাদের নাম করা জাতীয় দৈনিকগুলোতে পানি পড়া, জ্বীণ বোতল বন্দীর বিজ্ঞাপন এখনও মহাসমারেহে চলছে। টিভি চ্যানেলে চলছে আলোকিত পাথ্থরে সব বালা-মুসিবত বাতাসের মালা হয়ে আমাজান নদীতে পড়ার প্ররোচনা। যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি। এরপর ভাবেন পেট্রোল বোমার বছরগুলোতে কি অবস্থা ছিল? চারপাশ এতই অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল যে ক্ষত এখনও শুকায় নি। ঐ সময়ে জম্ম হওয়া ব্যাবসা বাণিজ্যোর স্থবিরতা এখন কাটে নি । জেএসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া যে আমেরিকাকে অনুরোধ করেছিলেন তা আজ প্রমাণিত। এত সকল সমস্যার ভিতরও আমরা দুর্ভিক্ষে পড়িনি, গুড়ো গুড়ো হয়ে যাইনি, আমেরিকা-ইউরোপের থাবার ভেতর যাই নি বরং বিশ্বের দরবারে রয়েল বেঙ্গল টাইগার যে আমাদের মামু তার প্রমাণ দিচ্ছি এত বছর পর। অর্থনিতী সবল বলে এত কিছু সম্ভব হয়েছে। না হলে ইউনুস মিয়া সাবের মেইলের খেইলে আর জামাতি টাকার খালে বাংলাদেশ এখন আই.এস এর শক্তিশালী ঘাটি হতো। এদেশে পত পত করে উড়তো জেহাদী, যৌন জেহাদী, শরীয়া আইন এর বান্না, মওদুদীদের উগ্র ইসলাম । কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লারা গোল্লা গোল্লা চোখে আবার গনিমতে মাল খুজতো। না পেলে যারে তারে নাস্তিক বানিয়ে গনিমতের মাল বানিয়ে ফেলতো।

প্রথম আলোর কথা ভাবেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে আলোকসজ্জা করা হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর লাইটিং প্রতিকৃতি ছিল। প্রথম অালো এডিট করে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়ে সেই আলোকসজ্জা প্রকাশ করে। সেই প্রথম আলোর মানুষ কি ভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আই.টির মতো একটা সেনসেটিভ জায়গায় উচ্চপদস্থ পদে চাকরী করে দেশের উপর কঠিন কালো ষড়যন্ত্রের কালে? বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্ণর কিংবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন এ দিকে নজর দিল না?? বলছি না তিনি অপরাধী। কিন্তু অতি ঘরের মানুষও যখন বিপরীত চেহারা দেখাচ্ছে কোন এক যাদুতে তখন এ স্পর্শ কাতর বিষয়গুলোতে নজর না দেওয়া অপরাধ নয় কি?? বহু মুক্তিযুদ্ধা রাজাকার হয়েছে কিন্তু একজন রাজাকারও মুক্তিযুদ্ধা হয়নি। বহু জ্ঞানী, মান্য, বরেণ্য প্রথম আলো, সুশীল হয়ে গেছে-যাচ্ছে কিন্তু কোন প্রথম আলো বা সূশীল বাঙালি হয়নি। সেই বিবেচনায়ও দেশ বিরোধী প্রথম আলোর মানুষ এমন স্পর্শকাতর জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত?! সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধা পরিবার হলে এ চুরি বহু আগেতো ফাঁস হতোই হয়ত ঐ পদেই যেতে পারতো না। সচিবের লাথি এবং ঘাড় ধাক্কার কারণে অপমানিত মুক্তিযুদ্ধা আত্নহত্যা করার পর ঐ সচিবের কোন শাস্তি হয়েছে? সম্ভবত শাস্তি নামের এক এসি রুম থেকে আরেক এসি রুমে বদলি।

৮০০ কোটি টাকা ৮০ হাজার কোটি টাকা হতে পারতো বা হয়ে যেত। ফিলিপাইনের পত্রিকায় এ খবর ছাপা না হলে হয়তো বাংলাদেশ ব্যাংকের গোপন তদন্ত আজীবন চলতো মরু নদীর মতো।
এর আগে যে সব চুরি হয়েছে সেগুলোর তুলনায় টাকার অংকে এটা ছোট। কিন্তু আশংকার অংকে এটা সবগুলোর যোগ ফলের চেয়ে কয়েকগুন বেশি বিপদ বার্তা । এক্কেবারে ঘরের ভিতর ঢুকে চুরি। খুবই সিস্টেমিটেক চুরি। সিসি ক্যাম অফ, কম্পিউটার এমন কি প্রিন্টার পর্যন্ত কয়েক ঘন্টার জন্য অকেজো। অদ্ভুদ। বড় চুরি গুলো হলে চোরদের তেমন একটা অসুবিধা হয় না। চুরির সাথে যে কর্মকর্তারা জড়িত তাদের নিয়ে টানা হেছড়া হলেও তা মোলায়েম। হলমার্ক এর তানভীর আর তার স্ত্রী কি সব টাকা একা নিয়েছে? বড় বড় কর্মকর্তা, বোয়াল, রুই, কালাবাউসেরা কি নেয়নি? হয়ত ৫০০০ এর মধ্যে তানভীরের পকেটে এসেছে ২৫০০ কোটি। বাকী ২৫০০ কোটি যারা ভাগ নিয়েছে তারা তানভীরের চেয়ে অনেক বড় চোর। তানভীরদের ধরার জন্যই ঐ রাঘব, বোয়াল, রুইদের জনগনের টাকায় বেতন দেওয়া হয়। তাহলে তাদের শাস্তিতো তানভীরের চারগুন হওয়া উচিত। কিন্তু মধ্যম মানের কিছু কর্মকর্তাকে নিয়ে টানাটানি হয় এরা সিলভারকাপ, বড় তেলাপিয়া।
রুইরা টাকার উপ্রে শুই শুই চাইর দিকে চায় আর ভাবে- এমন টেকা কই কই পামু আর মুই?
এমন করেই এরা বছরের পর বছর বাপের জমিদারিতে সোনা ফলাচ্ছে। তানভীররা চুরি করে এক সিজনে কিন্তু এরা চুরি করে অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।

সরকার পরিবর্তন হয় এ রুই-বোয়ালদের রাজনৈতিক অংশ কিছুটা পরিবর্তন হয় কিন্তু আমলাতান্ত্রিক অংশে তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। রুই-বোয়ালদের পুকুর পরিবর্তন হয় খাবার এবং পানির স্বাদ একই থাকে। সরকার পরিবর্তন হলে-
একটা কিনলে তিনটা ফিরী
দামে রাজনৈতিক নেতাদের নামে দুর্নিতী, ক্ষমতা অপব্যাবহারের মামলা হয়। মামলা করে প্রতিপক্ষ সদ্য ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু কখনও শুনেছেন সরকারি সাবদের বেলায় এমন ঘটেছে। ক্ষমতার বেলায় সব সমতল ভূমী এই সাবদের কাছে। অথবা তারা বেবাকতেই অবতার। তাদের দামী দামী ফ্ল্যাট, খরুচে ইস্কুলে পোলা পাইনের পালন এগুলা কোহেকাপ নগরের জ্বীনেরা দিয়া যায় মহব্বত থেকে। কোহেকাফ নগরের জ্বীনদের বাংলাদেশের সরকারি অফিসে কোন কাজ নাই তাই এগুলো সাদ ধন-সম্পদ। মহব্বত, ইশক থেইকা দেওন। তাদের নামে মামলা হয় না। হলেও সেই গুলা লাল দোপাট্টা হয়ে উড়তে থাকে সুন্দর বিকেলে স্বল্প দিন পরেই। যুগের পর যুগ চলছে এমন বৃটিশ কেরানি শিক্ষার বিষ ফল। এর পরিবর্তন না করতে পারলে আদৌ “উন্নয়ন” সম্ভব? উন্নয়ন বলতে শুধূ অবকাঠামো গত উন্নয়ন না মূল উন্নয়ন আত্নিক উন্নয়ন। হলমার্ক চুরি, কুইক রেন্টাল বা সদ্য আই.টি চুরির কথা মনেও না আসাটাই আত্নিক উন্নয়ন। আত্নিকতো দূরে থাক এখনও সরকারি কর্মকতারা ভাবেন তারা জনগনের প্রভূ। এ ভাবনা একজন দুইজনের না। সকল সরকারে চাকুরের। তাই সহজেই বোঝা যায় গলদটা প্রশিক্ষণ এবং প্রদক্ষিনে। জুনিয়ার সিনিয়ারকে দেখেই শিখতে থাকে তার সাথে আছে একাডেমীক শিক্ষা।
সরকার জনগনের সেবক- এটা আমাদের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী সম্ভবত ভাবেন। কিন্তু সিউর যে পুলিশের সব চেয়ে নিরীহ হাবিলদারটা নিজের জনগনের প্রভু ভাবে। লাগবা বাজি?

সরকারি আমলা, সচিবদের বড় একটা অংশের সন্তানেরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে!!! এর চেয়ে হাস্যকর আর কিই হতে পারে। যারা এ দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা চালায় তারাই সন্তানদের ভীণ দেশী শিক্ষায় শিক্ষিত করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যাবস্থায় গলদ আছে বলেই কি তারা নিজ সন্তানকে ভীন পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেন?!!! তাদের কিছুই হয় না ৮০০ কোটি টাকা বা ৮০০০ কোটি টাকা চুরিতে- বস্ত্রবালিকারা ২ টাকা বাচানোর আশায় ১৬ ঘন্টার কাজের শেষে হেটে আসে তিন মাইল ।

আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো এখন পত্রিকা পড়ে যতটুক বুঝি । আশেপাশেও দেখি সাধারণ কিছু অভিযোগ ছাড়া যে যার মতো সূখী না হোক অসূখী না। উন্নয়ন, বিত্ত আরও বাড়ছে, বাড়বে। এর সাথে আমাদের আত্নিক উন্নয়ন না হলে অবস্থা হবে হয় মধ্য প্রাচ্যের মতো অথবা ইউরোপের মতো। যৌণ লিপ্সু, সোনর বাথরুম বানানোদের মতো অথবা মদ খেয়ে, উম্মত্ত যৌনাচারে স্বাধীণতার স্বাদ অতপর আত্নহত্যা, ওল্ডহোম, এইডসওয়ালাদের মতো। সেটা কি আমাদের কাম্য??

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

রিফাত_হাসান বলেছেন: ৮০০ কোটি ডলার=৬৩৫০ কোটি টাকা

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: আওয়ামী লীগের কৌশলে আবারো মুগ্ধ হলাম!!!

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: তাদের কিছু হবে না।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

জহিরুলহকবাপি বলেছেন: শেষ পর্যন্ত শাস্তি হয় পিয়ন-দারোয়ানের

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.