নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা,উপন্যাস,দর্শন,সিনেমা ও অন্যান্য

জহিরুলহকবাপি

আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।

জহিরুলহকবাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১১ নং সেক্টরের কয়েক জন মুক্তিযুদ্ধা ( ছবি সহ)- ১

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৫

১)
নাম : নুরুল হক
১১ নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধা নুরুল হকের গ্রামের নাম বালাবাড়ি। পুরানো বালাবাড়ি স্টেশনের পিছের গ্রাম, থানা- চিলমারি, জেলা- কুড়িগ্রাম ।

তিনি সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। তিনি যুদ্ধের সময় ২৫ দিনের ট্রেনিং নেন।
যুদ্ধের আগে কৃষিকাজ করতেন। বর্তমানে ধর্ম কর্ম আর গেরস্থি করেন।
তার দুই ছেলে, চার মেয়ে।


২)
মো. আব্দুল আউয়াল সরকার
কুড়িগ্রাম জেলার, চিলমারি থানার, দক্ষিন সাদুল্ল্যা গ্রামের অধিবাসী তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর, অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। তিনি আগস্ট মাসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন


১১ নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধা দু:সাহসী মো. আব্দুল আউয়াল সরকার রৌমারিতে ২৮ দিনের ট্রেনিং নেন । স্টেনগান , বেয়নেট, থ্রি নট থ্রি রাইফেল চালানো শিখেন কাইজুল ওস্তাদ, নজরুল ইসলামের কাছে।
স্টেনগান ও থ্রি নট থ্রি চালাতে বিশেষ পারদর্শী মো. আব্দুল আউয়াল সরকার উলিপুর যুদ্ধ, ডাক বাংলো অপরেশনের মতো বড় বড় যুদ্ধগুলোতে অংশ নেন।
যুদ্ধের পর তিনি মেট্রিক পাশ করেন। বর্তমানে মাটিয়াল আল মোজাদেদিয়া দ্বিনী দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন বিনয়ি এই মুক্তিযুদ্ধা।


৩)
মো: আব্দুস সামাদ
গ্রাম- বড়ুয়া তবকপুর ।থানা- চিলমারি, জেলা- কুড়িগ্রাম ।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি উলিপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তার বয়স ছিল ২০/২১ বছর।

কর্ণেল তাহেরের গর্বিত এ সহযোদ্ধা সেপ্টম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে নজরুল ইসলামের কাছে ২১ দিনের প্রশিক্ষন নেন।
দেশ স্বাধীন করার পর তিনি রানিগঞ্জ কাচারি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। ২০১০ এ শিক্ষকতা থেকে অবসর পান।
তার তিন ছেলে এক মেয়ে।


৪)
মো: ইয়াকুব
থানা- চিলমারি, জেলা- কুড়িগ্রাম, গ্রাম : উমানন্দ
১৯৭১ সালে ১৮/১৯ বছর বয়সের মো. ইয়াকুব নবম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন।

আগস্ট মাসে তিনি যুদ্ধ যোগদান করেন। ৪৫ দিনের প্রশিক্ষন নেন কাইজুল ওস্তাদ, নজরুল ইসলামের কাছে। তিনি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সম্মূখ যুদ্ধে নেন।
যুদ্ধের আগে তিনি কৃষক ছিলেন। যুদ্ধের পর আবার পুরানো পেশাতেই ফিরে যান। বর্তমানে কিছুটা অবসরে।


৫)
মো. আব্দুল লতিফ
থানা- চিলমারি, জেলা- কুড়িগ্রাম, গ্রাম : বালাবাড়ি
শিক্ষাগত যোগ্যতা : মেট্রিক ফেল

১৭৯১ সালের আগস্ট মাসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি প্রথমে ভারতের মাইনকার চর যান, ঐখান থেকে বাংলাদেশ ইউথ ক্যাম্প যান সেখোন থেকে দই খাওয়ার চরে তাকে পাঠানো হয় । সেইখান থেকে রৌমারি ক্যাম্পে গিয়ে ২১ দিনের প্রশিক্ষন নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন।
যুদ্ধ শেষে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।
৭৪ সালে মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল লতিফ বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তিনি অবসর পান।
তার ২ ছেলে ২ মেয়ে।


৬)
গোলাম মোস্তফা
১৯৭১ সালে কুড়িগ্রাম জেলার, চিলমারি থানার, দক্ষিন সাদুল্লাহ তেলিপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা মেট্রিক পরীক্ষার্থী ছিলেন।

১৬ আগস্ট তিনি যুদ্ধে যান । রৌমারী ক্যাম্পে তিনি নজরুল ওস্তাদের কাছে ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে রনাঙ্গনে প্রবেশ করেন।
যুদ্ধ জয় করে ঘরে ফিরে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে মেট্রিক পাশ করেন। তারপর ৭৪ সালে পি.টি.আই ট্রেনিং করে তিনি ৭৬ সালে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক হিসাবে কর্ম জীবনে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি স্বেচ্ছা অবসর নেন।
তার ২ ছেলে ২ মেয়ে।


৭)
মো. আব্দুস সাত্তার
১৯৭১ সালে কুড়িগ্রাম জেলার, চিলমারি থানার, দক্ষিন সাদুল্লাহ তেলিপাড়া গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তার মেট্রিক পরীক্ষার্থী ছিলেন।

রৌমারী ক্যাম্পে তিনি নজরুল, শাহজাহান ওস্তাদের কাছে ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে রনাঙ্গনে প্রবেশ করেন।
যুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে স্বাধীন জিবীকা হিসাবে তিনি ব্যাবসা শুরু করেন। বর্তমানে এক ধরনের অবসর যাপনের সাথে ঘর গেরস্থি দেখাশুনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধা মো. আব্দুস সাত্তারের ৪ ছেলে ১ মেয়ে।


৮)
আলহ্বাজ মো. রবিউস সামাদ সরকার
১৯৭১ সালে রংপুর কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর।

জুন মাসে তিনি যুদ্ধে যোগ দেন। প্রথমে যান ভারতের আসাম রাজ্যের মাইনকার চর ক্যাম্পে । সেখান থেকে আসামেরই কাকড়িপাড়া ক্যাম্পে যান । ক্যাম্পে মো. রবিউস সামাদ সরকার তিন দিনের ট্রেনিং পান। তাকে কাকড়িপাড়া থেকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বিখ্যাত রৌমারি ক্যাম্পে পাঠানো হয়। রৌমারি ক্যাম্পে তিনি ইপিআর এর নজরুল, কাইজুল এবং পুলিশের চন্ডুল এবং সোলেয়মানের কাছে প্রশিক্ষন নেন।
তিনি ছিলেণ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বাধীণ ১১ নং সেক্টরের উলিপুর-চিলমারি এলাকার চাঁন কোম্পানীর টুআইসি বা সেকেন্ড ইন কমান্ড।
আলহ্বাহ মো. রবিউস সামাদ সরকার ছিলেন স্টেন গান চালানোতে দক্ষ।
৭১ এর পর কুড়িগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করে কৃষি ব্যাংকে কর্ম জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে যোগ দেন।
এখনও প্রাণ চঞ্চল ও সুঠাম দেহী জনাব আলহ্বাহ মো. রবিউস সামাদ সরকার ২০১২ সালে চাকরী থেকে অবসর নেন।স্থানীয় জনগন এবং মুক্তিযুদ্ধাদের সবার প্রিয় তিনি।
তার ১ ছেলে ৪ মেয়ে।






মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++++

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

জহিরুলহকবাপি বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.