নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খান মোঃ মূর্খ পন্ডিত

ভাল চিন্তার মানুষ

খান মোঃ মূর্খ পন্ডিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মর্মস্পর্শী প্রেম-কথন

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

প্রেমিকা জিজ্ঞেস করলোঃ আচ্ছা আমার বিয়ে হয়ে গেলে কি করবা? ভুলে যাবো, ছেলেটা উত্তর দিলো। ছেলেটার উত্তর শুনে সে রাগে অন্য দিকে মুখ ঘোরালো। ছেলেটি আবার বললোঃ তুমিও আমাকে ভুলে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা আমি যতো দ্রুত তোমাকে ভুলে যাবো, তার চেয়েও বেশি দ্রুত তুমি আমাকে ভুলে যাবে। কি রকম? প্রেমিকা প্রশ্ন করলো। ছেলেটি বলতে শুরু করলোঃ মনেকর বিয়ের প্রথম তিন দিন তুমি একধরনের ঘোরের মধ্যে থাকবা। শরীরে গয়নার ভার, মুখে মেকআপ এর প্রলেপ, চারিদিক থেকে ক্যামেরার ফ্লাশ, মানুষের ভিড়, তুমি চাইলেও হয়তো তখন আমার কথা মনে করতে পারবা না। আর আমি তখন তোমার বিয়ের খবর পেয়ে হয়তো কোনো বন্ধুর সাথে উল্টা-পাল্টা কিছু খেয়ে পরে থাকবো আর একটু পরপর একবার তোমাকে হৃদয়হীনা বলে গালি দিবো, আবার পরক্ষনেই পুরাতন স্মৃতির কথা মনে হয়ে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো। বিয়ের পরের পনের দিন তোমার আরো ব্যস্ত সময় কাঁটবে। জামাই আর মিষ্টির প্যাকেট এইদুটো গুল্লার রস হাঁতে নিয়ে তুমি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় ঘুরে বেড়াবা। আমার কথা তখন তোমার হঠাৎ হঠাৎ মনে হবে। এই যেমন জামাইয়ের হাঁত ধরার সময়, একসাথে রিকশায় চড়ার সময়। আর আমি তখন ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরি, আর বন্ধুদের বলিঃ বুঝলি দোস্ত, জীবনে প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছুই নাই, সব ধোয়া, সব বুংগা, বুংগা। পরের এক মাসে তুমি হানিমুনে যাবা, নতুন বাসা সাজাবা, শপিং, ম্যাচিং, শত প্লান আর জামাইয়ের সাথে হালকা মিষ্টি ঝগড়া। তখন তুমি বিরাট সুখে, হঠাৎ আমার কথা মনে হলে ভাব্বা, আমার সাথে বিয়ে না হয়ে বোধহয় ভালোই হয়েছে। আমি ততো দিনে বাপ, মা, বন্ধুকিংবা বড় ভাইয়ের ঝাড়ি খেয়েমোটা - মুটি সোজা হয়ে গিয়েছি। ঠিক করেছি একটা চাকরী পেতে হবে, তোমার চেয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করে তোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে। সবাইকে বলিঃ তোমাকে ভুলে গেছি। কিন্তু, তখনও মাঝ রাতে তোমার এসএমএস গুলো বের করে পড়ি, আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি। পরের দুই বছর তুমি আর প্রেমিকা কিংবা নতুন বউ নেই। মা হয়ে গিয়েছো, পুরাতন প্রেমিকের স্মৃতি, স্বামীর আহ্লাদ, এসবের চেয়েও বাঁচ্চার ডায়পার, হামের টিকা এসব নিয়েবেশি চিন্তিত। অর্থাৎ তখন আমি তোমার জীবন থেকে মোটা-মুটি পারমানেন্টলি ডিলিট হয়ে যাবো। এদিকে আমিও একটা চাকরী পেয়েছি, বিয়ের কথা চলছে । মেয়েও পছন্দ হয়েছে। আমি এখন ভীষণ ব্যস্ত। এবার সত্যিই আমি তোমাকে ভুলে গিয়েছি। শুধু রাস্তা ঘাটে কোনো কাঁপল দেখলে তোমার কথা মনে হয়। কিন্তু, আর দীর্ঘশ্বাসও আসে না। এতো দূর পর্যন্ত বলার পর ছেলেটি দেখলো প্রেমিকা ছল ছল চোঁখ নিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে। মুখে কোনো কথা নেই। ছেলেটিও চুপ চাপ। একটু পর সে বললোঃ "তবে কি সেখানেই সব শেষ? ছেলেটি বললোঃ না। কোনো এক মন খারাপের রাতে তোমার জামাই নাক ডেকে ঘুমুবে। আমার বউও ব্যস্ত থাকবে নিজের ঘুমরাজ্যে। শুধু তোমার আর আমার চোঁখে ঘুম থাকবে না, সেদিন অতীত আমাদের দুজনকে নিঃশ্বব্দে কাঁদাবে। সৃষ্টিকর্তা ব্যতিত যে কাঁন্নার কথা কেউ জানবে না, কেউ না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: একদম সত্য কথা!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

খান মোঃ মূর্খ পন্ডিত বলেছেন: হুম, সেটাই।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

স্টিক্স অ্যাকিলিস বলেছেন: বাস্তবতা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

খান মোঃ মূর্খ পন্ডিত বলেছেন: বাস্তবতা বড়ই করুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.