নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ............... আমার সাথে যোগাযোগ: ০১৯১৫০২৯০০২

প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদ

Engr. Zunaid Ahmed (Bengali: প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ (ডাকনাম: সৈকত)) is an Engineer, Author, Social Worker and Human Rights Activist.

প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারীর অধিকার ও মর্যাদা

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

ইসলামে নারীর মর্যাদা অনেক উপরে। ইসলামে নারির চেয়ে পুরুষের অধিকার বেশি বলে অনেকেই মনে করেন। আসলে ইসলামে নারী ও পুরুষের অধিকার সমান। কিন্তু সেটা এক এক ক্ষেত্রে এক এক রকম, গড়ে সমান। যেমন বাবার চেয়ে মায়ের সম্মান ৩(তিন) গুন বেশি। নিম্নে ইসলামে নারীর অধিকার আলোচনা করা হলোঃ


মা হিসেবে নারীর সম্মানঃ
ইসলাম নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়েছে মা হিসেবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক লোক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দরবারে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশি অধিকারী কে? নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার মা’। ওই লোক জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার মা’। ওই লোক আবারও জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? এবারও তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার মা’। (বুখারি)।


মহানবী (সা.)-এর জামানার বিখ্যাত এক ঘটনার কথা আমরা জানি। মায়ের সেবা করার কারণে হজরত ওয়াইস করনি (রা.) প্রিয় নবীর জামানায় থেকেও সাহাবি হতে পারেননি। একবার ওয়াইস করনি (রা.) নবীজির কাছে খবর পাঠালেন ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার সঙ্গে আমার দেখা করতে মন চায়; কিন্তু আমার মা অসুস্থ, এখন আমি কী করতে পারি?’ নবীজি (সা.) উত্তর পাঠালেন, ‘আমার কাছে আসতে হবে না। আমার সঙ্গে সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের খেদমত করা বেশি জরুরি।’ নবীজি (সা.) তাঁর গায়ের একটি মোবারক জুব্বা ওয়াইস করনির জন্য রেখে যান। তিনি বলেন, মায়ের খেদমতের কারণে সে আমার কাছে আসতে পারেনি। আমার ইন্তেকালের পরে তাকে আমার এই জুব্বাটি উপহার দেবে। জুব্বাটি রেখে যান হজরত ওমর (রা.)-এর কাছে। এবং প্রিয় নবী (সা.) বলেন, হে ওমর! ওয়াইস করনির কাছ থেকে তুমি দোয়া নিয়ো।


কন্যা হিসেবে নারীর সম্মানঃ
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মেয়েশিশু বরকত (প্রাচুর্য) ও কল্যাণের প্রতীক।’ হাদিস শরিফে আরও আছে, ‘যার তিনটি, দুটি বা একটি কন্যাসন্তান থাকবে; আর সে ব্যক্তি যদি তার কন্যাসন্তানকে সুশিক্ষিত ও সুপাত্রস্থ করে, তার জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়।’
বোন হিসেবে নারীর সম্মান
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কারও যদি কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তান থাকে আর তিনি যদি সন্তানদের জন্য কোনো কিছু নিয়ে আসেন, তবে প্রথমে তা মেয়ের হাতে দেবেন এবং মেয়ে বেছে নিয়ে তারপর তার ভাইকে দেবে।’ হাদিস শরিফে আছে, বোনকে সেবাযত্ন করলে আল্লাহ প্রাচুর্য দান করেন।


স্ত্রী হিসেবে নারীর সম্মানঃ
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘তারা তোমাদের আবরণস্বরূপ আর তোমরা তাদের আবরণ।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যের পরিচায়ক।’ (মুসলিম শরিফ)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে–ই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি)। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)। কোরআনে আরেক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘নারীদের ওপর যেমন অধিকার রয়েছে পুরুষের, তেমনি রয়েছে পুরুষের ওপর নারীর অধিকার।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত ২২৮)।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

আহা রুবন বলেছেন: যতই উল্লেখ করেন - সুযোগ সন্ধানীরা সুবিধা মত খণ্ডিত অংশ উপস্থান করে ফায়দা লুটবেই।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ভাই, সত্যিকার অর্থে ইসলাম নারী ও পুরুষের ন্যায্য অধিকার দিয়েছে। পুরুষের অধিকার বেশি দিয়াছে যেমন পৃথিবীতে কর্তৃত্বই হল শ্রেষ্ঠত্ব আর পুরুষরাই হল নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী আর এই বেশি দেয়ার যথেষ্ট যুক্তিও রয়েছে।আল্লাহ সর্বময় গেয়ানী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.