নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণঃ অনিশ্চয়তার দোলাচলে যে যাত্রার শুরু- ৩

১৪ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

সাহসের সীমা আছে, কিন্তু অন্তঃস্থ্য যে আলো আমাকে পথ দেখায়, তার ব্যাপ্তির কোন সীমা নেই, তা আমি জানি। সে আলো অনন্ত, অসীম! সে আলোয় আমি অনেকটা দূর পথ দেখতে পাচ্ছিলাম। গাড়ী জ্যাম ঠেলে ধীর গতিতে এগিয়ে চলছিল, আর প্রত্যেকটা সিগন্যাল পয়েন্টে লাল বাতিতে আটকা পড়ছিল। প্রথমবারে বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে আমাদের গাড়ীটা মাত্র একটা সিগন্যাল পয়েন্টে আটকা পড়েছিল। সিগন্যালে যতই লালবাতি দেখাক, তার পরেও দূরে কোথায় যেন একটা সবুজ বাতির ইশারা আমি দেখতে পাচ্ছিলাম। গাড়ীতে পিন পতন নিস্তব্ধতা, ড্রাইভারও শেষ কথা বলে দিয়ে চুপ হয়ে গিয়েছে- না মুমকিন! আমি মনে মনে সম্ভাব্য সকল পসিবিলিটিজ নিয়ে হিসেব কষতে থাকলাম। অবশেষে দুটো সহজ সমীকরণে পৌঁছাতে পারলাম। এক, যদি সাথে সাথে সেই হলুদ জার্সি পরা ছেলেটাকে সামনে পাওয়া যায়, যার সম্ভাবনা খুবই কম, তবে ব্যাগটা খুঁজে পাওয়া সহজতর এবং দ্রুততর হবে। সেটার সম্ভাবনা শতকরা ২৫%। আর যদি ব্যাগটা সিকিউরিটির লোকজন নিয়ে গিয়ে থাকে, এবং সেটা তখনও জমা না দিয়ে থাকে, তবে তাদের সাথে দেন দরবার করে ব্যাগটা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ১০% এর বেশী নয়। আর সিকিউরিটির লোকজন যদি ব্যাগটা ওদের আন-এ্যাকোম্পানীড লাগেজ কোয়ারেনটাইনে জমা দিয়ে থাকে, তবে কিছুতেই দুই দিনের আগে সে ব্যাগ ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। বোম্ব ডিসপোজাল টীম ক্লীয়ারেন্স দিলেই তবে সেটা ছাড়া পাবে। ব্যাগটাকে কোয়ারেনটাইনে জমা দেবার সম্ভাবনা বেশী ছিল, কারণ সেটা তালাবদ্ধ ছিল। এসব হিসেব করতে করতে আমি কাশ্মীরের কথা ভুলে আগামী চার পাঁচটা দিন কোথায় কী করবো, তা নিয়ে ভাবা শুরু করলাম।

ঘড়ির দিকে তাকাতে ইচ্ছে করছিল না, কারো মুখের দিকেও না। ইচ্ছে করছিলো সেই সবুজ বাতির ইশারাটাকে আবার খুঁজে বেড়াতে। তবে সহজে তার নাগাল পাচ্ছিলাম না। এভাবেই এক সময় আবারও সেই টার্মিনাল-২ এর সাইন পোস্ট চোখে পড়লো। তখনো অনেকটা পথ বাকী, অন্ততঃ আরো দুটো ক্রসিং। রাস্তা পার হচ্ছিলাম আর মনে মনে স্মরণ করছিলাম এর আগের বারে পার হবার সময় পথের কোন অংশটা কেমন ছিল। দূর থেকে খুঁজে ফিরছিলাম একটি হলুদ জার্সি পরা ফর্সা মুখ। গাড়ী টার্মিনাল-২ এ ঢুকছে, আর আমি উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছি একটি কালো ব্যাগের নয়, একটি ফর্সা মুখের সন্ধানে। কেন যেন মনে হচ্ছিল, ঐ মুখটাকে পাওয়া গেলে ব্যাগটাকেও পাওয়া যাবে, নতুবা অসম্ভব।

আগেরবার চার নম্বর গেইটে ছেলেটিকে পেয়েছিলাম। এবারে দুই নম্বর গেইটের কাছেই ওকে দেখতে পেয়ে ড্রাইভারকে আচমকা গাড়ী থামাবার নির্দেশ দিলাম। দেখি ছেলেটা টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশের জন্য অগ্রসর হচ্ছে। আমি তারস্বরে চিৎকার করে তাকে ডাকলাম। সে পেছন ফিরে তাকিয়ে আমাকে দেখে কাছে এসে বললো, ‘স্যার, আপকা ব্যাগ আভি সিকিউরিটি লোগো মে লে গিয়া’। সে একজনকে দেখিয়ে বললো, তার কাছে গিয়ে অনুরোধ করে দেখতে, ব্যাগটা তখনো জমা না হলে পাওয়া যেতেও পারে। আমি তাই করলাম। লোকটা হাজারো প্রশ্ন শুরু করলো। কোথায় যাচ্ছি, কেন এসেছি, ব্যাগের ভেতরে কি কি ছিল, ইত্যাদি ইত্যাদি। যেহেতু আমার ব্যাগ আমিই গোছাই, আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ বয়ান করলাম ব্যাগের ভেতরে কি কি আছে। শুধু আমি যখন তার প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায়ে বলছিলাম যে ‘সাইড পকেটমে মেডিক্যাল ডকুমেন্টস কা ফটোকপি হ্যায়’, তখন সে বোধহয় ‘ফটোকপি’ কথাটা বুঝতে পারেনি। সে আবার জিজ্ঞেস করলো, ‘কোই ডকুমেন্টস কা যেরক্স থা?’ আমি বুঝতে পারলাম যে সে সহজ কথা ‘ফটোকপি’ বুঝতে অক্ষম, কিন্তু কঠিন কথা ‘যেরক্স’ বুঝতে পারঙ্গম। যে দেশে যেই বুলি! আমি সাথে সাথে বলে উঠলাম, হাঁ হাঁ, যরুর থা। তখন সে আমার পাসপোর্ট দেখতে চাইলো। পাসপোর্ট বের করে দেখালাম, সে তার সেলফোনে একটি ছবি তুলে ওয়াকি টকিতে কাকে যেন কি বললো। আমাকে অপেক্ষা করতে বলে সে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করলো। এতক্ষণ ধরে সে নিরন্তর জেরা করে যাওয়াতেও খারাপ লাগেনি, কারণ সে প্রশ্ন করে যাচ্ছিল, আমি উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলাম এবারে সে ভেতরে চলে যাওয়াতে আরেক নিরন্তর অপেক্ষার পালা শুরু হলো। এদিকে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলেছে টিক, টিক, টিক!!! প্রতিটি চলমান মুহূর্ত বুকের মাঝে কিক করে যাচ্ছিল, তবুও মনের মাঝে একটা আশার বাণী বলে চলেছিল, ব্যাগটা আমি পেয়ে যাব ঠিক, ঠিক, ঠিক!

চলবে....

ঢাকা
১১ মে ২০১৯

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

রহস্যময় কালো ব্যাগ উদ্ধার অভিযানের পর্ব শুরু হল। শুরু হলো প্রয়োজনীয় কথা বার্তার পর্ব। কাশ্মীর ভ্রমণ তখন এক অদ্ভুত দোলাচলের মধ্যে আসন্ন। একজনের জিজ্ঞাসা পর্ব সমাধা হলো ।‌ এবার অপেক্ষার পালা শুরু হলো অন্য আরেকজনের জন্য। চলমান মুহূর্তের সঙ্গে বুকের ধুকপুকানি ও ঘড়ির কাটার টিক টিক শব্দের নীরব সাক্ষী ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমরাও অপেক্ষার প্রহরের অপেক্ষায় রইলাম। শুরু হোক নতুন পর্ব।
পোস্টে প্রথম লাইক।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
কাশ্মীর ভ্রমণ তখন এক অদ্ভুত দোলাচলের মধ্যে আসন্ন। একজনের জিজ্ঞাসা পর্ব সমাধা হলো ।‌ এবার অপেক্ষার পালা শুরু হলো অন্য আরেকজনের জন্য। চলমান মুহূর্তের সঙ্গে বুকের ধুকপুকানি ও ঘড়ির কাটার টিক টিক শব্দের নীরব সাক্ষী ছাড়া আর কিছুই করার নেই - অতি চমৎকারভাবে আমার এ পোস্টের সাথে আত্মস্থ হয়ে একটি অনুধাবনযোগ্য ধারা বিবরণী রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...

২| ১৪ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: উফ আল্লাহ!!!

ব্যাগ মনে হয় শেষ পর্যন্ত পান নি।

১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আরেকটু ধৈর্য ধরুন, পরের পর্বেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
আপনার একই মন্তব্য দু'বার এসেছে। প্রথমটা রেখে পরেরটা মুছে দিচ্ছি।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


আমার কাছে আপনার ভ্রমন কাহিনী রহস্য উপন্যাসের মত লাগছে, মন্দ নয় নতুন এক স্বাদ আছে। আশাকরি কাশ্মীর পেীঁছানোর পরে পুরোপুরি ভ্রমণ কাহিনীর ভিতর চলে আসবো।

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের এ ভ্রমণটা শুরুই হয়েছিল এক রোমাঞ্চকর উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে। ভাবলাম, যে উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা সময়টা পার করেছিলাম, পাঠকদেরকেও তা জানিয়ে রাখি। এজন্যেই এত ঘটা করে এত কিছু ডিটেইলস দিয়ে এ সিরিজটা চালিয়ে যাচ্ছি। কে জানে, এর থেকে কারো জন্য শিক্ষণীয় কিছু বের হয়ে আসলেও আসতে পারে। এ পৃথিবীতে জানার কোন শেষ নেই, শেখার কোন শেষ নেই!
আশাকরি কাশ্মীর পেীঁছানোর পরে পুরোপুরি ভ্রমণ কাহিনীর ভিতর চলে আসবো - আমিও আশা করছি, আমাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে এমনভাবে শেয়ার করতে পারবো, যেন আপনারা তা পড়ে আনন্দ পান।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



মনে হচ্ছে একটি ভ্রমণ কাহিনীর ত্রিলার পড়ছি। খুব ভালো লাগছে। আগামী পর্বগুলো আরো উপভোগ্য হবে নিঃসন্দেহে। আপনার কাশ্মির ভ্রমনে সাথে আমরাও আছি। ভালো লাগলো।

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভালো লাগছে। আগামী পর্বগুলো আরো উপভোগ্য হবে নিঃসন্দেহে - আপনার কাছ থেকে এমন আশাবাদ ব্যক্ত হওয়ায় আমারও খুব ভাল লাগছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: চলবে চলবে আর ভালো লাগতেছে না,আরেকটু বেশী বেশী করে লিখে শেষ করুন না? প্রতিবারয়ি একেকটা আকর্ষণ রেখে যাচ্ছেন।

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিবারয়ি একেকটা আকর্ষণ রেখে যাচ্ছেন - এই আকর্ষণটুকু রেখে না গেলে আপনাকে পরেরবার আমার লেখায় পাবো কি করে? :)

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫

ওমেরা বলেছেন: পেরেশানির সময়ের শ্বাসরুদ্ধকর অনুভুতিকে পরে আর সেই রকমভাবে অনুভব করা যায় না । কিন্ত আপনার লেখার প্রতিটি লাইনে সেই তাজা অনুভুতির অনুভব পাওয়া যাচ্ছে । অনেক ধন্যবাদ নিবেন ভাইয়া ।

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পরে আমাদের উৎকন্ঠাটা উপল্বদ্ধি করতে পারছেন, এ কথা জেনে প্রীত হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

৭| ১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


হলুদ জার্সি-পরা ছেলেটাকে আপনি মনে মনে খুঁজছিলেন; তাকে এত সহজে পেয়ে যাওয়া ছিল সুলক্ষণ!

১৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, তাকে দেখার জন্য আমার দৃষ্টি ছিল ৪ নং গেইটের দিকে সুদূর প্রসারিত। দূর থেকে হঠাৎ তাকে ২ নং গেইটেই দেখতে পেয়ে মনটা লাফিয়ে উঠে আমাকে বলেছিল, ব্যাগটা আমি ফিরে পাবো। আপনি ঠিকই বলেছেন, এটা ছিল একটা সুলক্ষণ!

৮| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশে এক সময় মোটর সাইকেল বলতে হোন্ডাকেই বোঝানো হতো এবং এখনো কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত লোকজন তাই বলে। ভারতেও জেরক্সের ব্যাপারটা একই রকম। জেরক্স আসলে একটা ফটোকপিয়ার মেশিনের ব্র্যান্ড। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ১৯৭৬ সালে প্রথম যখন এই মেশিনটি আসে, তখন দেখেছিলাম মেশিনটি জেরক্স কোম্পানির। এখন অন্যান্য কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতায় জেরক্স কোম্পানি সম্ভবত পিছিয়ে পড়েছে। এই জন্য এর নাম খুব একটা শোনা যায় না। কিন্তু ভারতীয়রা এখনো ফটোকপি বলতে জেরক্সই বোঝে। অনেক উচ্চশিক্ষিত ভারতীয়কেও আমি এই ভুল করতে দেখেছি।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মত একজন প্রখ্যাত গল্পকারকে আমার পোস্টে পেয়ে অনেক খুশী হ'লাম, আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম
বাংলাদেশে এক সময় মোটর সাইকেল বলতে হোন্ডাকেই বোঝানো হতো এবং এখনো কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত লোকজন তাই বলে - হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে ভয় হচ্ছে, যারা এখনো মটর সাইকেলকে হুন্ডা নামে ডাকেন, তারা আবার আপনার এ মন্তব্যটা পড়ে ক্ষেপে যান কিনা!
আমি সিলেট অঞ্চলে দেখেছি, সেখানকার মানুষ শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে মাইক্রোবাসকে "লাইটেস" নামে ডাকে।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম - প্রীত হ'লাম এ অপেক্ষার কথা জেনে। আশাকরি, সময় করে একবার পূর্বের দুটো পর্বেও চোখ বুলিয়ে যাবেন।

৯| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পুরো পৃথিবীটা ঘুরে দেখতে ইচ্ছা করে।

১৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আশা ও দোয়া করি, আপনার এ শুভ ইচ্ছেটা একদিন পূরণ হবেই হবে!

১০| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




দারুন উৎকন্ঠার প্রতিটি মূহুর্তের বর্ণনা অসাধারণ।

ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলছে - টিক টিক টিক! আপনার লেখাটিও চলুক- ঠিক ঠিক ঠিক...................

১৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: চলবে ইন শা আল্লাহ!
দারুন উৎকন্ঠার প্রতিটি মূহুর্তের বর্ণনা অসাধারণ - মন্তব্যে এবং প্লাসে দারুণ অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা.....

১১| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আছি সাথে, ব্যগ না নিয়ে যাইয়েন্না বড় ভাই :)

১৫ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক কইছেন, যামু না!!!

১২| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১২

বলেছেন: রহস্যময় আশার বানী--------------সাথে আছি

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগামী পর্বে সব রহস্যের অবসান হবে ইন শা আল্লাহ। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা!!!

১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: আগের পর্ব পড়ে ভেবেছিলাম নাটকে যেমন হয়, আপনি উৎকন্ঠিত অবস্থায় পৌঁছানো মাত্র হলুদ জার্সি আপনার হাতে ব‍্যাগ তুলে দেবে। তা আর হল না...

কি হয় দেখার অপেক্ষায়। তবে পাঠকের উৎকণ্ঠা তৈরিতে আপনি দারুন সফল। ;)

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে পাঠকের উৎকণ্ঠা তৈরিতে আপনি দারুন সফল - শ্রদ্ধেয় পাঠক, আমি নতুন কোন উৎকণ্ঠা তৈরি করছি না, যে উৎকণ্ঠার ভেতর আমরা সেদিন সকালটা পার করেছিলাম, তারই একটা অনেস্ট ন্যারেশন দিচ্ছি মাত্র!!!! :)
যাহোক, তারপরেও আপনি সাথে থেকে এ উৎকণ্ঠার কথা পড়ে যাচ্ছেন, মন্তব্য করে যাচ্ছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
প্লাসে প্রাণিত।

১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শ্বাসরুদ্ধকর! দারুন!

চলতে থাকুক। সাথেই রয়েছি। +++

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চলছে, চলবে!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: কোন সমস্যায় আমাকে বিচলিত হতে দেখলে আমার স্ত্রী আমাকে বলে- লেট ইট বি দা বিগেস্ট প্রবলেম অফ অাওয়ার লাইফ। আপনার অন্তঃস্থ আলোর অসীম ব্যপ্তির কথা শুনে এটা মনে পড়ে গেল।
ভারতের এয়ারপোর্ট গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দৃষ্টিকটু রকমের কড়া বলে আমার মনে হয়। ব্যাগ যদি এয়ারপোর্টের দরজার ভিতরে হারাতো তবে দুশ্চিন্তা কিছুটা কম কেননা ওখানে ব্যাগ স্ক্যানার পার হয়ে ভিতরে ঢুকে, কাজেই বোম ডিসপোজাল ইউনিটের দ্বারা পরীক্ষা হওয়ার আশঙ্কা কম। ব্যাগ যেহেতু এয়ারপোর্ট এর বাহিরে হারিয়েছিল কাজেই এমন আশঙ্কা রয়েই যায়। কিন্তু মনে হচ্ছে এখনো আপনার ব্যাগটা হারানো প্রাপ্তি জিনিস হিসেবে রেজিস্টারে এন্ট্রি হয়নি, কাজেই আমি কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। দুটো জিনিস আপনার পক্ষে- আপনার বয়স এবং পরিবারের উপস্থিতি। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের একা যুবক অনেক বেশি সন্দেহ জনক।বেশি ঝামেলা ছাড়াই আপনি ব্যাগ পেয়ে যাবেন বলে মনে হচ্ছে, তবে ফ্লাইট যদি লেট না হয় তবে মিস হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। কি হয় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে সাথে আছি।

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেট ইট বি দা বিগেস্ট প্রবলেম অফ আওয়ার লাইফ - অর্থাৎ সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আপনি তাতে অবিচল থাকতে পারেন, ভাবী কি এ কথাটাই বোঝাতে চাইতেন?
দুটো জিনিস আপনার পক্ষে- আপনার বয়স এবং পরিবারের উপস্থিতি - ঠিক বলেছেন, এ দুটোই আমার পক্ষে ছিল। এ ছাড়াও আমার মনে হচ্ছিল, সবাই আমাকে সাহায্য করতে চাচ্ছিল।
তবে ফ্লাইট যদি লেট না হয় তবে মিস হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা - ফ্লাইট সেদিন লেট তো ছিলই না, বরং নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগেই আকাশে পাখা মেলেছিল। তারপরেও, ফ্লাইটটা কেন মিস হলোনা, সে এক অলৌকিক বিস্ময়।
কি হয় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে সাথে আছি। - আপনার মত একজন সূক্ষ্মদৃষ্টিসম্পন্ন সিরিয়াস পাঠকের আগ্রহ আমি এ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছি, এতেই আমি খুব খুশী। ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য, এবং মন্তব্য ও প্লাসের জন্য।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



মা.হাসান ভাইয়ের সুন্দর মন্তব্যটির (১৫) রেশ ধরে বলছি, খায়রুল হাসান ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া ব্যাগপ্রাপ্তির ব্যাপারে আমারও প্রায় একইরকম ধারণা। অর্থাৎ, ব্যাগটি তিনি সহজেই পেয়ে যাবেন এবং কাশ্মীরগামী বিমানও তাকেসহ তার পরিবার পরিজনকে রেখেই ফ্লাই করবে না।

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাগটি তিনি সহজেই পেয়ে যাবেন - খুব একটা সহজে তা পাই নি। তবে আপনার পরের কথাটা ঠিক ছিল।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: দুইতি পর্বই পড়লাম ধুকপুকানী নিয়ে। অবশেষে কী হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম :)

১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশেষে কী হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম - ইন শা আল্লাহ, আগামী কালই তা জানতে পারবেন। :)

১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

নীলপরি বলেছেন: সাসপেন্সটা এই পর্বেও থেকে গেলো । তাই পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম । :)

++
শুভকামনা

১৬ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরের পর্বের পরে আশাকরি আর কোন সাসপেন্স থাকবে না। সিরিজটি পড়ে যাচ্ছেন, মন্তব্য করে যাচ্ছেন, প্লাস দিয়ে প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন- সবকিছুর জন্যেই অশেষ ধন্যবাদ!
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

১৯| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৩১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যাইহোক এখন ব্যাগ ফেরত পাওয়ার আশাটুকু জেগেছে। পরের পর্বে হয়তো আশাপূর্ণ হবে। অনেক সুন্দর করে গোছিয়ে লিখে যাচ্ছেন।

১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: যাইহোক এখন ব্যাগ ফেরত পাওয়ার আশাটুকু জেগেছে - আমার মনেও তাই জেগেছিল। বিপন্ন অবস্থায় আশাই একমাত্র ভরসা যে!
অনেক সুন্দর করে গোছিয়ে লিখে যাচ্ছেন - অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় করে সিরিজটি পড়ে যাবার জন্য।

২০| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অফ লাইনে পড়েছিলাম কি হল কি হল চিন্তায়, কিন্তু এ পর্বে ও অপেক্ষাই ছিল।
দারুণ উপভোগ্য সিরিজ নিঃসন্দেহে।

১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: দারুণ উপভোগ্য সিরিজ নিঃসন্দেহে - সিরিজটি পড়ে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এর পরের পর্বটাও ইতোমধ্যে পড়ে ফেলেছেন, সুতয়াং এখন আর কোন উৎকন্ঠা নেই! :)
প্রশংসা এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা জানবেন।

২১| ২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

পুলক ঢালী বলেছেন:
চরম উৎকন্ঠায় অপেক্ষার প্রহর টিকটিক করে পেড়িয়ে যাচ্ছে, সাথে আশা গুলিও ব্যাপকতা হারিয়ে বিন্দুতে পরিনত হচ্ছে ।

এই পর্বে পেলাম মনোবল ধরে রাখার এক সাহসী যোদ্ধাকে যিনি ঘোর অমানিশায় স্তিমিত এক আশার আলোকে অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে দ্বিধা করেন না। :)

২১ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাফল্যের চেয়ে সফল আর কোন কিছু হয় না। যেহেতু ব্যাগটাকে শেষ পর্যন্ত আমি ফিরে পেতে সফল হয়েছিলাম এবং ফ্লাইটটাও দেরীতে হলেও, শেষ মুহূর্তে ধরতে পেরেছিলাম, সেহেতু আপনার এ প্রশংসাবাক্যটি মনে হয় আমি পেতেই পারি।
অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২২| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

ক্লে ডল বলেছেন: পাঠক হৃদয়ও কিন্তু উৎকণ্ঠায় টিক টিক করছে। তা না হলে একটানে দু পর্ব পড়ে শেষ করতাম না। কিন্তু এ পর্বেও দেখছি দুশ্চিন্তায় রেখে দিলেন :)

দৃঢ় মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস না থাকলে আবার উবার ফিরিয়ে ব্যাগ খুঁজতে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়।

১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: তা না হলে একটানে দু পর্ব পড়ে শেষ করতাম না। কিন্তু এ পর্বেও দেখছি দুশ্চিন্তায় রেখে দিলেন - মন্তব্যগুলো না পড়লে চতুর্থ পর্বের আগে দুশ্চিন্তার অবসান হবার কথা নয়! :)
একটানে দু পর্ব পড়ে শেষ করার জন্য ধন্যবাদ।
দৃঢ় মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস না থাকলে আবার উবার ফিরিয়ে ব্যাগ খুঁজতে যাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয় - আত্মবিশ্বাস আমার ছিল, ছিল সর্বশক্তিমানের উপর অগাধ আস্থাও। আর তা ছাড়া ব্যাগটাকে আমার ফিরে পেতেই হতো, কাশ্মীর ফ্লাইট মিস করে হলেও।
পোস্ট পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

ক্লে ডল বলেছেন: মন্তব্য এবং উত্তরগুলো পাঠ করে জানা গেল ব্যাগটি পেয়েছিলেন এবং ফ্লাইটও ধরতে পেরেছিলেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম!!আপনার লেখা পাঠক হৃদয় কতখানি ছুঁতে পারে এই উৎকণ্ঠা আর স্বস্তি দেখে নিশ্চয়ই বুঝবেন। :)

সুন্দর এক ভ্রমণ সিরিজ! খুব ভাল লাগছে পড়তে। এবং এক পর্ব থেকে আরেক পর্বে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখা পাঠক হৃদয় কতখানি ছুঁতে পারে এই উৎকণ্ঠা আর স্বস্তি দেখে নিশ্চয়ই বুঝবেন - খুবই অনুপ্রাণিত বোধ করছি আপনার এ কথাটায়। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!!
এক পর্ব থেকে আরেক পর্বে টেনে নিয়ে যাচ্ছে - প্রীত হ'লাম, কথাটা জেনে। :)

২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১১

সোহানী বলেছেন: পুরাই সাসপেন্সের মধ্যেই এবারের লেখা শেষ করলেন....... ;)

আর জেরক্স শব্দটা কিন্তু আমরাও এখানে হরহামেশা ইউজ করি।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, এখন জানি জেরক্স একটা চালু শব্দ।
পুরাই সাসপেন্সের মধ্যেই এবারের লেখা শেষ করলেন...... - আমার উৎকন্ঠাটুকু পাঠকদেরকেও একটু অনুভব করাতে চেয়েছিলাম, এই আর কি!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভকামনা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.