নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুত্ববাদ ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের কন্ডম পরানো

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮


উন্মুক্ত লিঙ্গ দেখে কারো অনুভূতিতে আঘিত লাগে না অথচ সেই লিঙ্গে কন্ডম পরানোতেই ধর্মানুভূতিতে প্রচণ্ড আঘাত লাগলো৷ বিষয়টি নিয়ে ক্ষেপে উঠেছে উগ্রপন্থী হিন্দুরা৷ কলকাতায় হইচই শুরু হয়েছে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের পুরনো একটি টুইট নিয়ে, যেখানে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে শিবলিঙ্গকে কন্ডম পরানোর ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। ভারতে জনসংখ্যা বেশি আবার এইডস সচেতনতা কম তাই এ ধরনের পোস্ট মানুষকে সচেতনই করবে৷ উদ্দেশ্য হয়তো তাই ছিল। কিন্তু মূর্খ মৌলবাদীরা তা বরাবরই উপলব্ধি করতে ব্যর্থ৷ তারা এটাকে দেবদেবীদের নিয়ে অশ্লীলতা দাবি করে তা মেনে নিতে চাইছে না। লিঙ্গ উন্মুক্ত রাখা তাদের কাছে অশ্লীলতা নয়, ঢেকে দেয়া অশ্লীলতা!

ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের সাবেক রাজ্যপাল ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিজেপির তথাগত রায় গত শনিবার কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে লেখেন, 'ওই টিভি অভিনেত্রীর করা টুইটে একজন একনিষ্ঠ শিবভক্ত হিসেবে আমার ধর্মীয় বিশ্বাস আহত হয়েছে।' পঁচিশ বছর আগে তিনি পায়ে হেঁটে কৈলাস-মানস সরোবর পাড়ি দিয়ে শিবের পূজা দিতেও গিয়েছিলেন, এই তথ্য জানিয়ে তথাগত রায় ভারতীয় দন্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় ওই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

শিবলিঙ্গ পূজা ভারতীয় আদিবাসীদের ধর্ম থেকে এসেছে বলে অনেকে মনে করেন। শিব অনার্য দেবতা। শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান উপাস্য দেবতা শিব ও পূজার আদর্শ উপাদান হল শিবলিঙ্গ। আধুনিক হিন্দুরা লিঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। কেউ বলেন লিঙ্গ অর্থ মাথা মানে শিবলিঙ্গ হল শিবের মাথা। আবার কেউ দাবি করেন লিঙ্গ মানে মহৎগুণ অর্থাৎ শিবের মহৎ গুণের প্রতিক হল শিবলিঙ্গ। শিবলিঙ্গকে ঈশ্বরের বিমূর্ত প্রতীক বা দিব্য আলোকস্তম্ভ বলে উল্লেখ করা হয়।অনেকের কাছে শিবলিঙ্গ স্বয়ং ঈশ্বরের প্রতীক রূপে পরিগণিত হয়। তাতে কোন সমস্যাও নেই, আপত্তিও নেই। বাস্তবিক ইতিহাস ও প্রত্ননিদর্শন তা বলে না। বিভিন্ন শিবলিঙ্গের মূর্তি দেখেই নিশ্চিত হওয়া যায় এটি পুরুষ যৌনাঙ্গের আদলেই নির্মিত হয়েছে। শিবলিঙ্গের সামনে যে রেখাটি আঁকা হয় তাও পুরুষাঙ্গের একটি অংশের মতোই। কামরূপ-কামাক্ষ্যাতে এখনো স্ত্রী-যৌনাঙ্গের পূজাও করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে শুনেছি। কামাখ্যার জাদুবিদ্যা আর সাধকদের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার গল্প শোনা যায়। এখানে নাকি কামুক পুরুষ ও নারীরা কাম কলার একান্নটি কৌশল শিখতে আসেন। কামের দেবতা হলেন কামদেব। তার নাম থেকেই কামরূপ ও কামাক্ষ্যা। স্ত্রী-যৌনাঙ্গ পূজার সময় নাকি একজন নগ্ন নারীকে বসিয়ে রাখা হয়। আগে নাকি সেখানে শিশুকন্যাও বলি দেয়া হতো।

শিবলিঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন কথা শোনা যায়। বিভিন্ন গবেষক বলেছেন বিভিন্ন কথা। ১৮১৫ সালে আ ভিউ অফ দ্য হিস্ট্রি, লিটারেচার, অ্যান্ড মিথোলজি অফ দ্য হিন্দুজ গ্রন্থে লেখক ব্রিটিশ মিশনারি উইলিয়াম ওয়ার্ড এর মতে লিঙ্গপূজা ছিল, "মানুষের চারিত্রিক অবনতির সর্বনিম্ন পর্যায়"। শিবলিঙ্গের প্রতীকবাদটি তার কাছে ছিল "অত্যন্ত অশালীন; সে সাধারণের রুচির সঙ্গে মেলানোর জন্য এর যতই পরিমার্জনা করা হোক না কেন"। ব্রিটিশরা মনে করত, শিবলিঙ্গ পুরুষ যৌনাঙ্গে আদলে নির্মিত এবং শিবলিঙ্গের পূজা ভক্তদের মধ্যে কামুকতা বৃদ্ধি করে। আবার মনিয়ার উইলিয়ামস তার ব্রাহ্মণইজম্ অ্যান্ড হিন্দুইজম্ বইয়ে লিখেছেন, "লিঙ্গ" প্রতীকটি "শৈবদের মনে কোনো অশালীন ধারণা বা যৌন প্রণয়াকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয় না।" জেনেন ফলারের মতে, লিঙ্গ "পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গে নির্মিত এবং এটি মহাবিশ্ব-রূপী এক প্রবল শক্তির প্রতীক।" ডেভিড জেমস স্মিথ প্রমুখ গবেষকেরা মনে করেন, শিবলিঙ্গ চিরকালই পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গটি বহন করছে। অন্যদিকে এন. রামচন্দ্র ভট্ট প্রমুখ গবেষকেরা মনে করেন, পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গটি অপেক্ষাকৃত পরবর্তীকালের রচনা। এম. কে. ভি. নারায়ণ শিবলিঙ্গকে শিবের মানবসদৃশ মূর্তিগুলি থেকে পৃথক করেছেন। তিনি বৈদিক সাহিত্যে লিঙ্গপূজার অনুপস্থিতির কথা বলেছেন এবং এর যৌনাঙ্গের অনুষঙ্গটিকে তান্ত্রিক সূত্র থেকে আগত বলে মত প্রকাশ করেছেন। আাবর জার্মান প্রাচ্যতত্ত্ববিদ গুস্তাভ ওপার্ট শিবলিঙ্গকে পুরুষাঙ্গের অনুষঙ্গে সৃষ্ট প্রতীক বলেই অনুসন্ধান করে মত প্রকাশ করেছেন। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব জীবন্ত লিঙ্গপূজা করতেন। তারই শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ বলেন শিবলিঙ্গের সঙ্গে পুরুষাঙ্গের যোগ বৌদ্ধ ধর্মের পতনের পর আগত ভরতের অন্ধকার যুগে কিছু অশাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তির মস্তিস্কপ্রসূত গল্প। শিবলিঙ্গ ধারণাটি এসেছে বৈদিক যূপস্তম্ভ বা স্কম্ভ ধারণা থেকে অর্থাৎ বলিদানের হাঁড়িকাঠ থেকে। তিনি শিবলিঙ্গকে যৌনাঙ্গের প্রতীক বলে স্বীকার করেননি।

আমরা যতটুকু জানি যে, অবিবাহিতা নারীরা শিবলিঙ্গ পূজা করে ভাল বর পাওয়ার জন্য। এ নিয়ে এতো মতভেদ যে- অন্য ধর্মের মতোই আজকার বহুজনই এতে আধুনিক ও মানবিক ব্যাখ্যা জুড়ে দিতে চান। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ রীতিমতো ভয় পেয়েছেন। তিনি দাবি করছেন কে বা কারা তার ওয়ালে ওটি পোস্ট করেছিল। হিন্দুরা আরো ক্ষেপেছে- যখন সায়নী ঘোষ বড়দিনে শুভেচ্ছা জানানোতে। এসব বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা দরকার। তাহলেই মানুষ সত্যটা জানতে পারবে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি লোক্যাল বুদ্ধিজীবি

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৭

মুজিব রহমান বলেছেন: লোকাল অবশ্যই। তবে বুদ্ধিজীবী কিভাবে বলেন?
আমি খুবই সাধারণ মানুষ। গ্রামে থাকি, গ্রামের মানুষের সাথে চলি। শহরে স্মার্টনেস কোথায় পাবো? তবুও শহুরে বুদ্ধিজীবীদের মাঝে মাঝেমধ্যে একটু আধটু লিখে ফেলে আপনাদের বিরক্ত করি। তবে এটুকু বুঝি আমি গ্রামের মানুষ- অত স্মার্টনেস আমার মধ্যে নেই।

একটি পাঠাগারে বসে বসে বই পড়ি, টুকটাক লিখি, পাঠচক্র করি আর তা নিয়ে আড্ডা দেই। কিভাবে আপনাদের মতো বিকশিত হবো। কোথায় আপনারা আর কোথায় অধম আমি। আপনারা যখন এই গেঁয়ো লোকটির সাথে তুলনা করেন তখন হাসি পায়। কোথায় আপনারা আর কোথায় আমি? দেখুন কদিন আগে- একটি জাতীয় পত্রিকার কেউ ইনবক্সে একটি লেখা চাইলো। পাঠানোর পরে আজ সে তা কলাম হিসেবে ছাপিয়েছে। গত সংখ্যা- নতুন দিগন্তে একটি লেখা পাঠালাম তাও ছেপে দিয়েছে। আরেকজন অনুরোধ করলো- মুক্তমনায় একটি লেখা দিতে। মেইল করলাম, দেখলাম ছাপা হয়েছে। আমি লজ্জা পাই দেখে যে, দেশে বুদ্ধিজীবীর কতো আকাল পড়লে এই গ্রামের দিকে তাকাতে হয়।

আগে পত্রিকায় কবিতা পাঠাতাম। জাতীয় দৈনিকগুলো ছেপে দিলে লজ্জায় পড়তাম। জনকণ্ঠের একজন সাহিত্য সম্পাদক ৬টি কবিতা ছাপানোর পরে ডেকে নিয়ে বললেন, আপনি গ্রামে থাকেন! মফস্বল থেকে এর চেয়ে ভাল কবিতা আর পাইনি। আমার লজ্জা লেগেছিল, আর কবিতা পাঠাইন। আমিতো আমার মান বুঝি। গত সপ্তাহে দেশের একজন বিখ্যাত কবি বললেন, ‘আপনার কবিতা খুব ভাল, লিখেন না কেন?’। বললাম, ‘আমার চেয়ে অনেকে ভাল লেখে’। আমার ভাল লাগা থেকে আমার জন্যই লিখি। ব্লগটুকুতেও দেখুন ১১ বছরে বেশি পোস্ট করিনি। আগে মাসে দুই/একটা করতাম। করোনাকালে অনেকগুলো পোস্ট করে ফেলেছি বলে, আপনাদের নজরে পড়ে গেছি। আমাকে নিয়ে অত টেনশন করবেন না। আপনার প্রতি পোস্টের অর্ধেকও আমার পোস্ট দেখে না। আপনার ব্লগ যতলোক দেখেছে আমারটা তার শতভাগের এক ভাগও হয়তো দেখেনি। আজ আপনার লেখাটা পড়লাম। ভাবলাম যদি এমন লেখা আমি লিখতাম তবে আপনি কি কি গালি দিতেন?

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশ সুন্দর বিলাপ শুরু করেছেন

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সবসময় নেতিবাচক কথা বলেন, গালিগালাজ করেন- সেটা আপনার অর্জন। সমালোচনা আর নেতিবাচক চেতনা এক নয় এটুকু অবশ্যই বুঝেন?

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " ধন্যবাদ। সবসময় নেতিবাচক কথা বলেন, গালিগালাজ করেন- সেটা আপনার অর্জন। সমালোচনা আর নেতিবাচক চেতনা এক নয় এটুকু অবশ্যই বুঝেন? "

-আপনার লেখার বিষয়টা সমালোচনার করার মতো নয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৯

মুজিব রহমান বলেছেন: জি গালি দেয়ার মতোই এটা!

আমার সব লেখাই গালি দেয়ার মতো? আমার তো মনে হয়, আপনার কাছে সবার লেখাই গালি দেয়ার মতো শুধু যারা আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ না হয় তাদরে লেখা বাদে।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "আমার সব লেখাই গালি দেয়ার মতো? আমার তো মনে হয়, আপনার কাছে সবার লেখাই গালি দেয়ার মতো শুধু যারা আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ না হয় তাদরে লেখা বাদে। "

-হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি নিয়ে আপনি অনেক চিন্তিত; আপনি হয়তো এই যুগের রাজা রাম মোহন রায়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: শুধু হিন্দু ধর্ম নয়- ইসলাম ধর্ম নিয়েও অনেক পোস্ট দেই। এগুলো নিয়ে লিখলে আইডি স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবুও বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি। যদি সবারই মনে হয়, এগুলো আলোচনার দরকার নেই তবে তারা দেখবে না, পড়বে না, লিখবে না।

আপনার লেখাতো বস্তাপচা ছাইপাস! ওগুলো মানুষ পড়ে আপনি সবার ওয়ালে মন্তব্য করেন এজন্য। আপনার ওয়ালে কোনদিনই কোন গুরুত্বপূর্ণ লেখা দেখিনি অথচ সবসময়ই ব্লগে থাকেন আর গালিগালাজ করেন। রাম মোহন রায়কে আমি বুঝি আর আপনি গালিগালাজ ছাড়া আর কিছুই বুঝেন না।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি কোন দিন সীতাকুণ্ড গেলে, শীব লিঙ্গ দেখতে যাবেন। তবে কেউ কেউ দুধও নিয়ে যায়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: শিবলিঙ্গে দুধ ঢালা হয় এজন্যই নিয়ে যায়। সীতাকুণ্ডুতে যাওয়ার আগ্রহ বহু দিনের। হয়তো যাওয়া হবে একদিন।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বোলতার বাসায় ঢিল মারলাম, মনে হয়!

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: এই ব্লগের সোনালী সময়ের লেখকদের প্রায় কেউই আর নেই। মত প্রকাশের বাধাতো ছিলই সাথে আরো কিছু ছিল। হয়তো কিছু অকাট মূর্খের গালিগালাজে অতিষ্ঠ হয়েই তারা বিদায় নিয়েছে।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিচিত্র কারণে আমার মনে হচ্ছে আমি আপনাকে চিনি, আপনিও আমাকে চেনেন। আপনার লেখা আপনার কথা বলা আমার কাছে খুবই পরিচিত। আমি যাকে ভাবছি খুব সম্ভব আপনি সেই।

আপনার শান্তি নগরের এপার্টমেন্ট আপনার খুবই প্রিয় ছিলো।


২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমি গ্রামের ছেলে, সেখানেই থাকি। আপনার ভুল হচ্ছে নিশ্চিত।

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হিন্দু মৌলবাদীরা পড়েআছে লিঙ্গ নিয়ে।তাও আবার বেসাইজ।অবস্য বেসাইজ কালী,দুর্গাও দেখেছি ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: বিক্রমপুরেই তিনটি বিশালাকার কালি পূজা হয়।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: একটু ভালো করে লক্ষ করবেন এই পার আর ও পার দুই পারের মৌলবাদীদের ধার্মানুভুতি বড্ড পলকা। কিঞ্চিৎ নড়াচড়ায় তা আঘাত প্রাপ্ত হয়। এদের কথা বলার ধরনও একই রকম, তারা আঘাত প্রাপ্ত হলেই আপনার আমার মা বা পিসি মাসি জ্যাঠা কাকা মামা দাদা দাদি নানা নানির জন্মপরিচয় জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে অমার্জনীয় আলচনায় ব্যাস্ত হয়ে পরে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৯

মুজিব রহমান বলেছেন: আমিতো সচেতন। আমার পূর্ব পুরুষ আরব থেকে আসেনি। হিন্দু/বৌদ্ধ থেকেই মুসলিম হয়েছে। ভারতের মানুষ শংকর জাতি। এর মানেই হল মিশ্রণ ঘটেছে যৌনসংস্রবে। এগুলো সত্য, মানতেই হবে। তবে মৌলবাদী ও উগ্র জাতীয়তাবাদীরা অসভ্য ও বর্বরই হয়ে থাকে।

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মুজিব সাহেব, ফেসবুকে আপনার পাঠচক্রসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখেছি। ভালো লেগেছে সত্যই। আপনার ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে এই লেখা মেলাতে আমার কষ্ট হচ্ছে। উক্ত অভিনেত্রী ভদ্রমহিলার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টটি কুরুচিপূর্ণ, এবং অহেতুক মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত দেয়ার জন্যে - এ সহজ জিনিসটি কী আপনি আসলেই ধরতে পারছেন না?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধর্মান্ধরা মানুষের মত প্রকাশের বিরুদ্ধে অবিরাম নিপীড়ন করে যাচ্ছে। এই পোস্ট নিয়ে তিনি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন- এটার প্রতিবাদই করেছি। আমরা মত প্রকাশের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চাই- ঝুঁকি থাকলেও।

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়লাম।
বাংলাদেশ এবং ভারতের লোকোজন অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হই চই করতে ভালোবাসে।

মন্তব্য গুলো এবং আপনার উত্তর সমূহ বেশ লাগলো।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৪

মুজিব রহমান বলেছেন: এটা প্রতিক্রিয়াশীলতার কারণেই হয়ে থাকে। মানুষ ধর্মান্ধ হলে প্রতিক্রিয়াশীল হয় এবং তুচ্ছ কারণেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩১

স্প্যানকড বলেছেন: হালকা বাতাসে যদি নড়ে তোমার দন্ড

মানুষ হতে পারোনি তুমি পাষন্ড !

সায়নী কন্ডম পড়াইয়া খারাপ কি করছে? এইটা জনকল্যাণমুখী কাজ! অনেকেই করে এই নিয়া আলোচনার কিছু নাই। কন্ডম বিস্ফোরণ হলেই আলোচনার বিষয় কন্ডম এর গুনগত মান নিয়ে। ভালো থাকবেন।


২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: হা হা!
ওনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। মৌলবাদী হিন্দুরা তাকে অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর অধিকার রক্ষার কথাই বলতে চাই।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫২

স্প্যানকড বলেছেন: প্রথম দুই লাইন আপনাকে উদ্দেশ্য করে নয়। তাদের উদ্দেশ্যে যাদের এই হাল। দুঃখিত। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের সমালোচনা করলে, সেটাকে মানুষ গ্রহন করতে চাহে না; উহাকে বিরোধীতা হিসেবে নেয়া হয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: সব ধর্মান্ধতারই সমালোচনা করতে হয়- মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য। নিজের ধর্মের সমালোচনা করেই হুমায়ুন আজাদ . . শাহজাহান বাচ্চু খুন হয়েছেন উগ্রপন্থীদের হাতে। শুধু হিন্দু বা মুসলিম মৌলবাদী নয়, সব মৌলবাদীরাই মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর।

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:২১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: এই পোস্টএ মন্তব্য করাটাও বোকামী- আবার প্রমান করলাম আমি বোকা।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৮

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: একটা বিরাট ক্যাঁচাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। চুপচাপ গ্যালারীতে বসলাম।

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বোলতার চাকে ঢিলটা মারলো কে ? চাঁদগাজী না মুজিব রহমান ? =p~
পোস্টের ছবিটা সরিয়ে দিলে ভালো হতো। সামুকে আপনি আবার স্টিভ জব্বারের রোষানলে ফেলে দিলেন নাতো ? =p~

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কথা বলা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি না নিলে সমাজ আগাবে না।

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪০

এমেরিকা বলেছেন: শিবলিঙ্গে কেবল শিবের পুরুষাঙ্গই নয়, পার্বতীর যোনীদেশের প্রতিকৃতিও আছে। জানা যায়, পার্বতীর অনিচ্ছায় শিব তাকে ধর্ষণ করতে গেলে পার্বতীর কাতর আহবানে বাসুদেব তার সুদর্শন চক্র দ্বারা শিবের লিঙ্গ পার্বতীর যোনিসহ কর্তন করে কামাখ্যায় নিক্ষেপ করেন। সেই থেকে শিবলঙ্গের পূজা হয়ে আসছে। মূলত নারীরা শিবলিঙ্গের পূজা করে থাকে বলশালী পুরুষকে স্বামী হিসেবে পাবার জন্য।

তবে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানোর ছবি অবশ্যই ধর্মীয়ভাবে অবমাননাকর। পৌরাণিক যুগে দেবদেবীরা কেউই জন্মনিয়ন্ত্রণ করত না। এটা আধুনিক যুগের কনসেপ্ট। তাই আধুনিক কোন কন্সেপ্ট, যা ট্যাবু হিসেবে চিহ্নিত, ইন্ডিয়ায় যেখানে কন্ডোম শব্দটাকেই ফান হিসেবে ব্যবহার করা হয় - সেখানে দেবতার লিঙ্গে কন্ডম পরানোর দৃশ্য অবশ্যই একজন শিব ভক্তের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের জন্ম দেবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ভিন্নমতকে মানতে হবে। কেউ শিবলিঙ্গে কন্ডম পড়াতে চাইলে তার স্বাধীনতা থাকা উচিৎ। এটাতে যারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে তারা প্রতিক্রিয়াশীল তবে ভিন্নমত পোষণ করে বলতে পারে- এটা সমর্থন করি না।

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: করোনার সময়ে হাজার হাজার মানুষ বিনা চিকিতসায় মাত্রা যাচ্ছে। দেশের শত শত মানুষ বেকার। আর আপনি আছেন আরেক দেশে কোন এক নায়িকার লিঙ্গের উপর কনডম পড়ানো নিয়ে। যার যা রূচি সেইরকম নিউজই পড়ে মানুষ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: তার মানে অন্য সমস্যা নিয়ে কথা বলা যাবে না?

প্রধান সমস্যা নিয়েও কথা বলছি বহুজন বলছে, আপনিও বলছেন। আবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটা থাকলে অন্যগুলোও ঠিক হয়ে যায়।

২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মুজিব সাহেব, ধন্যবাদ জানাই আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্যে। যদিও আপনি আমার প্রশ্নের উত্তরটি দেন নি।

আপনি মুরুব্বি মানুষ। বয়স বেশী হবার একটা ইতিবাচক দিক হল প্রাজ্ঞতার আগমন, একটা নেতিবাচক দিক হল - চিন্তার স্থবিরতা। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে যে মুল্যবোধ তারা অর্জন করেন, তা তারা সাধারণত আর বদলান না। যদি আপনি মুরুব্বি না হতেন, আপনাকে অনুরোধ করতাম, ধর্মান্ধতাই বাংলাদেশের প্রথম, এবং প্রধানতম সমস্যা কিনা - এ নিয়ে আপনার চিন্তাভাবনাগুলো একটু পুনরায় নেড়েচেড়ে দেখতে। একই সঙ্গে আপনার 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা' র সংজ্ঞাটাও অন্ধ / একপেশে কি না চিন্তা করতে অনুরোধ করতাম।

যে কোন দর্শন/ তত্ত্বের পলিটিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টালাইজেশন খারাপ। এটা ধর্মের ক্ষেত্রে যেমন হতে পারে, হতে পারে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক যেকোনো তত্ত্বের ক্ষেত্রেও হতে পারে। ধর্মের নামে মৌলবাদ ভালো, গণতন্ত্রের বা সমাজতন্ত্রের নামে বিচারবিহীন মানুষ গুম খুন হত্যা জায়েজ? ইনক্লুসিভ চিন্তা করতে অনুরোধ করছি।

একটা মন্তব্যে অনেক অনুরোধ হয়ে গেল। দুঃখিত। শুভকামনাসহ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সমাজ আগায়। তরুণরা সবসময়ই প্রথা ভেঙ্গে এগিয়েছে। স্থবিরতা দূর করেছে। আবার কখনো কখনো সমাজ পিছিয়ে যায় বিভিন্ন কারণে। বয়স বেশি হলেই যে চিন্তার স্থবিরতা আসবে তা নয়। যদি নতুন নতুন বই পড়ে নিজেকে আপডেট রাখা যায় তবে তার চিন্তা স্থবির হয় না। এখনো বই পড়তে পারি এবং পড়ি বলেই সেটা হয়নি।

বাংলাদেশের একমাত্র ও প্রধানতম সমস্যা মৌলবাদ তা বলিনি কোথাও। এখন গণতন্ত্র সংকটে সেটাও একটা বড় সমস্যা, দুর্নীতিও বড় সমস্যা, মানহীন শিক্ষাও বড় সমস্যা। এগুলোর উত্তরণ ঘটছে অন্য সমস্যাও কমে আসবে।

২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: *ধর্মের নামে মৌলবাদ মন্দ, আর গণতন্ত্র/ সমাজতন্ত্রের নামে বিচারবিহীন মানুষ গুম খুন হত্যা জায়েজ?

আগের মন্তব্যে টাইপো ছিল।

২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:২০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনাকে অনুরোধ করতাম, ধর্মান্ধতাই বাংলাদেশের প্রথম, এবং প্রধানতম সমস্যা কিনা - এ নিয়ে আপনার চিন্তাভাবনাগুলো একটু পুনরায় নেড়েচেড়ে দেখতে।
সহমত।

আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা জনগণের নৈতিক মূল্যবোধের চরম অভাব - আর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে অন্যান্য সমস্যাগুলো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: আমি যখন মত প্রকাশ করতে পারি না তখন সেটাই আমার প্রধান সমস্যা। যখন আমি পুলিশের হয়রাণির শিকার হই তখন আমার সমস্যা পুলিশি রাষ্ট্র। যখন আমার ঘরে খাবার থাকে না তখন সমস্যা অর্থনৈতিক বৈষম্য। ভিন্নমত থাকুক। আমাদের কথা বলতে হবে, মত প্রকাশ করতে হবে এটাই বড় কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.