নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশ এবং ওরা তিনজন

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩



ওরা তিনজন। সতেরো পেরিয়ে আঠেরোকে ছোঁয়ার অপেক্ষায়। সেই মায়াবী বয়স, যখন বাড়ির লোকেদের শাসন অসহ্য লাগে আর বন্ধুদের কথা বেদবাক্য। এই বয়স চকিত কটাক্ষের, নিজের কস্তূরীগন্ধে নিজেই উন্মনা হওয়ার সময়।

অরণী, বহ্নি আর রিমঝিম। একই স্কুলে পড়ার সুবাদে চেনা হলেও এক সেকশনে ছিলো না। কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। কলেজের প্রথম বর্ষ পেরিয়ে এখন ওরা দারুন ভালো বন্ধু। মেয়েদের স্কুলে পড়েছে; আর এই কলেজে ছেলেরাও পড়ে। তবে ছেলেরা পড়ার চাইতে মেয়েই দেখে বেশী। আর মেয়েরা কোন ছেলে কেমন, তাদের হাবভাব, স্মার্টনেস নিয়ে বান্ধবীদের সাথে গল্প করে, আর কখনো কখনো আড়ালে আবডালে পরস্পরের সাথে একটু ছেলেমানুষি প্রতিযোগিতাও করে। আসলে এই বয়সটাই যে এমন!! মনোযোগ আকর্ষণের আর আড়চোখে মুগ্ধতা লক্ষ্য করে উদাস ভাব করে এড়িয়ে যাওয়ার।

তবে এই ত্রিমূর্তির মাঝে তেমন প্রতিযোগিতা নেই। হয়তোবা তিনধরনের বলে ওরা পরস্পরের পরিপূরক। অথবা ওদের পাঠ্যরুচি, গান আর চলচ্চিত্রের পছন্দ অভিন্ন বলেই ওরা ভালো বন্ধু। অরণীর কিছু একটা ক্যারিশমা আছে। ছেলেরা পছন্দ করে আর সহজেই প্রেমে পড়ে, এক তরফা। অরনী দেখতে এমন কিছু নয়; তবে সারাক্ষণই হাসে। এক ঝলক দমকা হাওয়া। হাওয়া যেমন অনুভব করা যায়, অথচ ধরা যায় না তেমনটা।

কলেজে এক ছেলে একবার চিরকুট পাঠাল “You are like the Wind!!” অরনী বড্ড সরাসরি কথা বলে। “এই চিরকুট তুই দিয়েছিস?” চিরকুট পেয়ে কথা বলতেই ছেলে গদগদ “তোমাকে আমার খোলা হাওয়ার মতো মনে হয়।“ “তুই কি আদম?” ছেলে কথার সুরে ঢোক গিলে বলল “বুঝি নাই!!” “তুই আদম না আর তাই হাওয়ার তোর সাথে খোলামেলা হওয়ার কোন চান্স নাই!! খবরদার…আর চিরকুট পাঠাবি না!!” সেই থেকে অরনীকে ওরা ডাকে “হাওয়া বিবি’ বলে। ওদের ভাষায় “হাওয়া বিবির পেছনে বিশাল লম্বা লাইন!! কত্তো ছেলে যে ইটা পেতে রেখেছে!!”

বহ্নি ছটফটে; সারাক্ষণ কথার ফুলঝুরি তোলে। মধুরভাষী; কখনোই কারো মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে পারে না। সে একটু রক্ষণশীল; নিয়ম মেনে চলে। চশমার কালো ফ্রেমের পেছনে উজ্জ্বল চোখে উদ্বিগ্নতা মেখে সে অরণীকে মাঝে সাঝেই সাবধান করে “তুই না এমন ডাকাবুকো…দেখিস বিপদে পড়বি!!” খোলা হাওয়াকে যে সে পছন্দ করে না তা নয়; তবে খোলা হাওয়াকে সে ভয় পায়।

রিমঝিম বড্ড লাজুক। খুব চুপচাপ; জানতে না চাইলে সে খুব কম সময়েই আগ বাড়িয়ে মতামত দেয় বা কথা বলে। অন্য দু’জনকে দু’একটা প্রশ্ন করলেই যা জানা হয়ে যায়, সেই একই কথা জানতে হলে রিমঝিমকে গোটা দশেক প্রশ্ন করতে হয়। সারাক্ষণ একজোড়া কোমল বিষন্ন চোখ মেলে সে দু’বন্ধুর উচ্ছল কথা শোনে আর ঠোঁট টিপে হাসে।

ওদের কারোরই প্রেম হয় না। অরণীর প্রেম হয় না। কারণ সে বুদ্ধিমতী আর যুক্তিবাদী। অরণী সবার সাথে খুব সহজেই মেশে। সবার কথাই মনোযোগ দিয়ে শোনে অথচ কেউ দাবী করতে পারে না অরণী তাকে বেশী মনোযোগ দিয়েছে। বড় সোজাসুজি কথা বলে; কিন্তু তাকে নিয়ে আড়ালে আবডালে কেউ কানাঘুষা করে না। সে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় কেউ অসভ্য মন্তব্য করে না। ছেলেরা মেনেই নিয়েছে যে সে অধরা। বহ্নির প্রেম হয় না কারণ সে বাস্তববাদী এবং ভীতু। আর রিমঝিম? সে এতোই চুপচাপ যে যুবককুল তার অস্তিত্বই জানে না।

“এই শোন...চল ‘ঢাকা এটাক’ দেখতে যাই!” সিনেমাহলে রিলিজ হতেই “ঢাকা এটাক” দেখার জন্য অরণীর অস্থিরতা শুরু হলো। “শুনেছি তেমন ভালো হয়নি...প্লটে নাকি অনেক গরমিল!!” বহ্নি বলতেই অরনী বলে উঠলো “প্লট দিয়ে কি করবো? আমিতো যাচ্ছি শুভকে দেখতে...ওকে দেখলে আমার অস্থির লাগে। ওকে কি করতে ইচ্ছা করে বলবো?” রিমঝিম ঠোঁট টিপে হাসছে আর বহ্নির ফরসা গাল লালচে “মুখে লাগাম দে প্লিজ!! ঠিক আছে...কবে যাবি বল।“ টাকাপয়সা ম্যানেজ করার চাইতেও পড়াশোনা, কোচিংয়ের ফাঁকে সময় আর বাসার অনুমতি ম্যানেজ করতেই বেশী ঝামেলা। শেষে আসছে বৃহস্পতিবার কলেজ ছুটির পরপরই দেখার প্ল্যান হলো। সন্ধ্যে নামার আগেই বাসায় ফিরতে হবে।

“আমি যেতে পারবো নারে!! তোরা দু’জনে যা!” বৃহস্পতিবার টিফিনের সময়ে রিমঝিম বলতেই অরনী রেগে গেলো “এত্তো কষ্ট করে প্ল্যান করলাম...কেন যেতে পারবি না শুনি?” “একজন আসবে...” “কে আসবে? তোর ওই ছোট ফুপু...আবার কোন বিয়ের প্রস্তাব এনেছে নাকি? আমারতো মনে হয় ওনার নিজেরই আবার বিয়ে করতে ইচ্ছা করছে...আঙ্কেলকে বলে ওনার বিয়ের ব্যবস্থা করে দেই। যত্তোসব!!” অরনী ঝাঁঝিয়ে উঠতেই বহ্নি থামালো “আহা!! ওকে বলতে দে না..কথা শোনার আগেই এমন রেগে যাস কেন?” “হুহ!! রাগ হবো না...শুভ বলে কথা!!” “চুপ করতো!! এই রিমঝিম...কে আসবে রে?”

রিমঝিম লাজুক মুখে বললো “আকাশ!!” “সেটা আবার কে?” অরনী রাগ ভুলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে কামড় না দিয়ে জামায় কেচাপ মাখিয়ে ফেললো। “গত ডিসেম্বরে বাবা মায়ের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলাম না! তখন পরিচয় হয়েছে। ওর ফ্যামিলিও একই বাংলোতে উঠেছিলো।“ “ওমমা!! বলিসনিতো...নামওতো কি দারুণ মিলিয়েছিস!! আকাশ আর রিমঝিম!!” বলতেই রিমঝিমের লালচে মুখ লজ্জায় আরো নীচু হয়ে যায় “আসলে নামের কারণেই পরিচয়। দু’পরিবারের জানাশোনা হতেই ও বলেছিলো ‘আমাদের বন্ধু না হয়ে উপায় নেই...রিমঝিমের তো আকাশের সাথেই থাকার কথা।‘...” বহ্নি ভীষণ অবাক “তুইতো দেখি পুরোই ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিস...জানতেই পারলাম না।“ “ডুবে ডুবে জল খাবে কেন? রিমঝিম তুই এই ছেমড়াকে ঝাড়ির ওপরে রাখবি...জলে কিভাবে সাঁতার কাটতে হয় আমি শিখিয়ে দেব!!”

ত্রিমূর্তির একজনেরতো প্রেম হয়েছে; প্রথম ভালোবাসা সর্বগ্রাসী। কলেজে সময় পেলেই এখন তিনমাথা একসাথে; ফিসফাস, লুকোচুরি গল্প..কোথায় গেলো দু’জনে, কি কথা হলো! উদভ্রান্ত যুবকের দল দীর্ঘশ্বাস ফেলে আশে পাশে ঘোরে; ওদের ভ্রুক্ষেপ নেই। সারাক্ষণ রিমঝিমের কাছে আকাশের গল্প শোনা। আকাশ ওদের বছর দেড়েকের বড়; এইচ এস সি শেষ করে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছেলেটা অনেকটাই রিমঝিমের মতো; লাজুক আর অন্তর্মুখী। অদ্ভুত সুন্দর সব কথা লিখে পাঠায় রিমঝিমকে...কাব্যিক গদ্যমালা!!

একটাই সমস্যা। ত্রিমূর্তির বাকী দু’জনের সাথে আকাশ আজও দেখা করেনি; তার নাকি লজ্জা লাগে। আকাশের একটা ছবিও এখন পর্যন্ত ওরা দেখেনি। দু’বাসায় জানে না। ভালো কোথাও ভর্তি হতে পারলে নাকি একসাথে দু’জনে সেলফি তুলবে...তার আগে না। ওরা দু’জন, বিশেষ করে অরনীতো, রেগে অস্থির। এতো কাছের বন্ধুর ভালোবাসার মানুষ, অথচ ওরা মানুষটাকে দেখলো না এখনো। দেখা করতে চাইলেই সে রিমঝিমের কাছে এলোমেলো সব অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যায়। ওদের জোরাজুরিতে অবশেষে আকাশ দেখা করতে রাজী হলো।

“ডুব” দেখতে যাবে ওরা তিনজন আর আকাশ। বহ্নি একটু আপত্তি জানিয়েছিলো “সিনেমা দেখার সময়ে আকাশের সাথে কথা বলবো কিভাবে?” “আরে ধুর!! রিভিউ পড়িসনি...খুবই ঢিমেতালের সিনেমা। চরিত্ররা নাকি পরস্পরের দিকে মিনিট কয়েক ধরে তাকিয়ে থাকে...তখন টুকটাক কথা হবে।“ অরনীর কথা শুনে বহ্নি বললো “তো এমন সিনেমা পয়সা খরচ করে দেখার কি দরকার?” “ইরফান কে দেখার জন্য...বুঝিয়ে বলবো কেন?” “না না...লাগবে না...সমঝদারকে লিয়ে ইশারাই কাফি!!” বহ্নি হড়বড়িয়ে উঠতেই অরনী আর রিমঝিম হেসে গড়িয়ে পড়ে।

“কিরে? কথা হলো?” রিমঝিম মাথা নাড়িয়ে মানা করতেই বহ্নি আর অরনী আর কথা বাড়ায় না। সিনেমার অর্ধবিরতিতে হলের বাইরে গিয়ে আকাশকে ফোন করে এলো রিমঝিম। অনেকক্ষণ আগেই জানিয়েছে যে রওনা দিয়েছে; অপেক্ষা করতে করতে শেষে সিনেমা শুরু হয়ে গেলো। এখন “ডুব” মাঝপথে, তাও আকাশের দেখা নেই। রিমঝিম কয়েকবার মেসেজ দিয়েছে, কল করেছে। মেসেজের উত্তর নেই, ফোনও ধরছে না।

সিনেমা শেষ হওয়ার পরে ফুডকোর্টেও ওরা বেশ কিছুক্ষণ থাকলো। কিন্তু সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বাসায় ফিরতে হবে। রিমঝিম খুব মনখারাপ করেছে, মলিন মুখ। ওদের দু’জনেরও খুব খারাপ লাগছে। রিমঝিমকে এড়িয়ে অরনী ফাঁকতালে বেশ কয়েকবারই গজগজ করেছে “বদ পোলা!! বলে দিলেই হতো আসবে না!!” বহ্নির শাসানিতে চুপ করেছে।

পরেরদিন রিমঝিম কলেজে এলো না; ওরা একসাথে একটা কোচিংয়ে যায়, সেখানেও না। তার পরের দিনও রিমঝিমের খবর নেই। ফোন বন্ধ; মেসেঞ্জারেও চুপচাপ। দুজন ঠিক করে ফেলে যে আগামীকাল রিমঝিমের বাসায় যাবে। আজ কোচিংয়ে গিয়ে দেখে রিমঝিম সেখানে। পড়া শেষে ধারেকাছেই একটা ক্যাফেতে বসলো ওরা তিনজন; এখানে মাঝেমাঝে কফি বা মিল্কশেক খেতে আসে ওরা।

রিমঝিমকে দেখে মনে হচ্ছে ওর ওপরে ঝড় বয়ে গেছে। একটু উস্কোখুস্কু চুল; মলিন মুখ; সেই ঠোঁটটেপা নীরব হাসি নেই; দুচোখে বিষন্ন শুন্যতা। দুজনে উৎসুক চোখে তাকাতেই “ও নেই!!” “কে?” “আকাশ নেই। সেদিন রওনা দিয়েছিলো ঠিকই। বাস থেকে নামার সময়ে এক্সিডেন্ট করেছে।“ ওর খুব কাছের বন্ধুরা আমার কথা জানতো...সেদিন রাতে জানিয়েছে।“ রিমঝিমের গলা কান্নায় বুজে এলো “দেখতেও যেতে পারিনি জানিস? বাসায় জানে না...আর দেখেই বা কি হবে বল!!”

রিমঝিমের হাতের আঙ্গুল আঁকড়ে ধরলো ওদের আঙ্গুল। রিমঝিমের মাথা নীচু; টুপটাপ ঝরে পড়া জল শুষে নিচ্ছে ম্যাটম্যাটে বাদামী নিউজপ্রিন্টের খাতা; ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে নীল বলপয়েন্টের অক্ষরেরা। তিনটা শরীর পরষ্পরকে পরম মততায় ছুঁয়ে থাকলো অনেকক্ষণ। শব্দেরা যা বলতে পারে না, স্পর্শ তা বলে দেয় অনেক সময়েই।

বিকেল মরে আসছে; বাসায় ফিরতে হবে। “এগিয়ে দেই কিছুদূর...আমার বাসাতো তোর বাসার দিকেই।“ অরনী বলতেই রিমঝিম মানা করলো “নাহ!! আমি একাই যাই আজ।“ রাস্তায় নেমে রিক্সা ঠিক করে দু’জনে রিমঝিমকে তুলে দিলো।

রিমঝিমের চোখে নোনাজলের বর্ণহীন কাজল। “আমাকে ক্ষমা করে দিও আকাশ!! ক্ষমা করে দিও। তোমাকে কখনো দেখিনি; অথবা কে জানে দেখিনি বলেই হয়তো আসলেই দেখেছি। অরণীর এতো ভক্ত, এতো গুণমুগ্ধ!! খুব ইচ্ছে করেছিলো কেউ থাকুক, কোথাও কেউ থাকুক আমার জন্যেও। মিথ্যে বলিনি…কল্পনাতে তো ছিলে আকাশ!

ঠিক আর ভুল…এই বিস্তীর্ণ হিসেবী প্রান্তর পেরিয়ে যে তিতিরকান্নার মাঠ আছে, যে অরুণ বরুন কিরণমালার দেশ আছে…সেই রূপকথার রাজ্যের দেশের বাসিন্দা হয়ে আছি আমরা। সে মাঠের সবুজ মখমলী ঘাসে রেশমী রুমাল বিছিয়ে চিনেবাদামভাজা, ঝালমুড়ি আর মাটির ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিয়েই তো আমাদের যত অন্তহীন কথোপকথন, শব্দমালার রিনরিন আর বন্ধুত্বের রোদ্দুররেখা।

বুঝিনি যে কল্পনার জগত বাস্তবকে এমন এলোমেলো করে দেবে। ক্ষমা করে দিও!! আমার অহংকার নেই, জেদ নেই, মান অভিমান নেই, রাগ নেই, হিংসে নেই!! আমার তো সবই আছে, কমতি পড়েনি কিছুর। শুধু কোথাও নিজে ওড়ার একটা আকাশ ছিল, শুধু আজ সেটাই নেই হয়ে গেছে।“

© শিখা রহমান

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: পড়ছি..

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: ইসিয়াক অপেক্ষা করে আছি আপনার মন্তব্যের। পড়ার আগেই লাইক দিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে, আবার ভয়ও লাগছে।

আশা করি লাইকের মর্যাদা রাখবে আমার লেখা।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন: আমার পড়া সবচেয়ে প্রিয় গল্প ।

আমার প্রিয় কবি ও লেখিকার মধ্যে আপনি একজন ।
শুভকামনা রইলো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

শিখা রহমান বলেছেন: মন্তব্যে লেখা শেষ করতেই দেখি আপনার মন্তব্য চলে এসেছে। :)

"আমার পড়া সবচেয়ে প্রিয় গল্প ।" --- আমার দিনটাকে সুন্দর করে দিলেন। আমার লেখালেখির শুরু কিন্তু গল্প দিয়েই। আজকাল কবিতাই লেখা হচ্ছে বছরখানেক। তবে গল্পে ফিরে আসার ইচ্ছে আছে আবার কোন একদিন। :)

"আমার প্রিয় কবি ও লেখিকার মধ্যে আপনি একজন ।" --- অশেষ কৃতজ্ঞতা। অনুপ্রাণিত ও আপ্লুত হলাম। আপনিও ব্লগে আমার প্রিয় কবিদের একজন।

পাশে থাকার জন্য এত্তো ধন্যবাদ। প্রথম লাইক ও মন্তব্যের জন্য একরাশ ভালোলাগা রইলো।

শুভকামনা প্রিয় কবি। ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: তাহারাই ভাগ্যবান যাহারা কবিতা এবং গল্প সমান তালে লিখতে পারে। +++

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: স্বপ্নবাজ কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ সবকিছু যে আপনিও সমানতালে লিখতে পারেন। :)

প্লাসের জন্য ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন ভালোবাসায় ও স্বপ্নে।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

হাবিব বলেছেন: আহারে বেচারী, টমেটো কেচাপ জামায় লাগিয়ে কি অবস্থাটায়টা না পড়েছিলো........

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব আপনাকে ব্লগে নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে। আশাকরি ভালো আছেন।

"আহারে বেচারী, টমেটো কেচাপ জামায় লাগিয়ে কি অবস্থাটায়টা না পড়েছিলো........" ---- দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তবে তাই হো্ক। :) গল্পতো লেখা হলো। :P

মন্তব্য ও লাইকের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন ভালোবাসায় ও কবিতায়।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

হাবিব বলেছেন: হুম আপু, ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। আশা করি আপনিও ভালো আছেন। দাগ থেকে গল্প তো জব্বর হয়েছে। তা কন, এখন আপনার ওখানে কয়টা বাজে?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব আমার শহরে এখন প্রায় রাত একটা। কাল রবিবার ছুটি বলেই রাত জেগে ব্লগিং করতে পারছি।

সময়ের ওলটপালটেই কাজের দিনে ব্লগে আসা হয় না। :(

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: বহ্নি আপনার খুব পছন্দের একটা নাম সেটা আমি জানি। আগেও অনেকবার পড়েছি। গল্পটাতে ভালোই ট্যুইস্ট দিয়েছেন!
এতো সাইকোলজির কেস দেখছি? হুম, রিমঝিমকে নাবিলার কাছে পাঠিয়ে সুচিকিতসা করাতে হবে।
উঠতি বয়সে এই সব বিষয়ে আসলেও সিরিয়াস কম্পিটিশন চলে।
আপনার কবিতা লেখার উপদেশ গ্রহন করা হয়েছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪

শিখা রহমান বলেছেন: নীল হুউউউউ "বহ্নি" আমার পছন্দের নাম, কেউ সে নামে ডাকে বলেই। :)

"উঠতি বয়সে এই সব বিষয়ে আসলেও সিরিয়াস কম্পিটিশন চলে।" --- একদম ঠিক ধরেছেন।
"আপনার কবিতা লেখার উপদেশ গ্রহন করা হয়েছে।" --- আপনার ব্লগে সময় করে ঘুরে আসবো।

আন্তরিক ধন্যবাদ পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। শুভকামনা নিরন্তর।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: খাওয়া দাওয়া সাবধানে করতে হয়।
আপনি তো সাকিবের মতোন অলরাউন্ডার। গল্প-কবিতা সব জায়গাতেই আছেন।
গল্প সুন্দর হয়েছে।

একজন লেখক আমাকে বলেছেন, যারা ভালো গল্প বলতে পারেন, তারাই ভালো গল্প লিখতে পারেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: "আপনি তো সাকিবের মতোন অলরাউন্ডার। গল্প-কবিতা সব জায়গাতেই আছেন।" --- সব জায়গাতেই থাকলেই কি আর ব্যাটে-বলে ছক্কা কি সেঞ্চুরী ওঠে? গল্প-কবিতায় সাকিব হাসান হওয়াতো সহজ নয়।

আপনার গল্প ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
"একজন লেখক আমাকে বলেছেন, যারা ভালো গল্প বলতে পারেন, তারাই ভালো গল্প লিখতে পারেন।" --- গল্প লেখাতো গল্প বলাই। :)

আন্তরিক ধন্যবাদ পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। শুভকামনা নিরন্তর।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

মা.হাসান বলেছেন: শব্দেরা যা বলতে পারে না, স্পর্শ তা বলে দেয়।
বড় সুন্দর গল্প। ঐ বয়সের মেয়েদের আবেগ, উচ্ছাস, চপলতা , আনন্দ, বেদনা, অক্ষমতা, কষ্ট সব মূর্ত হয়ে উঠেছে। অসাধারন গল্পের জন্য অনেক ধন্যবাদ। অতীতে আপনার বেশ কয়েকটা গল্পে কবিতা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এরকম হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমি হোঁচট খাই। এখানে কবিতা না দেয়ার জন্য অতিরিক্ত ধন্যবাদ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২

শিখা রহমান বলেছেন: মা.হাসান "শব্দেরা যা বলতে পারে না, স্পর্শ তা বলে দেয়।" --- আপমার প্রিয় লাইনটাই আপনি তুলে এনেছেন। :)

আপনার মন্তব্যে একরাশ মুগ্ধতা ও ভালোলাগা রইলো। আপনি সেদিন বলাতেই গল্প পোস্ট করলাম। ভাবছিলাম আপনি পড়বেন কখন, কেমন লাগবে। :) ভালো লেগেছে জেনে অভিভূত হলাম।

"অতীতে আপনার বেশ কয়েকটা গল্পে কবিতা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এরকম হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমি হোঁচট খাই। এখানে কবিতা না দেয়ার জন্য অতিরিক্ত ধন্যবাদ।" --- কবিতা এতো ভালবাসি যে অনেক গল্পে চলেই আসে। তবে আমার অনেক গল্পেই কিন্তু কবিতা নেই। হোঁচট না খেয়ে গল্পটা পড়তে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার এই কবিতা বিদ্বেষের কারণটা কি বলুনতো? B:-/

ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

মা.হাসান বলেছেন: ছবিটা অনেক সুন্দর।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২

শিখা রহমান বলেছেন: মা.হাসান ধন্যবাদ। ইন্টারনেটে কুড়িয়ে পাওয়া। :)

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবিটার প্রশংসা করতে চাইলাম......আজকাল দেখি ব্লগার মা.হাসান আমি যা বলতে চাই, আগে এসে তাই বলে যায়! ঘটনা কি!! :(

অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে শোঅফ ব্যাপারটা খুব কাজ করে। ভালো লাগলো গল্পটা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ " ছবিটার প্রশংসা করতে চাইলাম......আজকাল দেখি ব্লগার মা.হাসান আমি যা বলতে চাই, আগে এসে তাই বলে যায়! ঘটনা কি!! :( "--- সত্যি কথা সবার মুখেই এক হওয়ার কথা। ছবিটা আসলেই সুন্দর। আর ইন্টারনেটে এই ছবিটার অনেকগুলো ভার্শন আছে। আমি তিন কন্যার ছবি খুঁজতেই গুগলমামা দিলো। :P

আপনার গল্প ভালো লেগেছে জেনে মন ভালো হয়ে গেলো।

শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকুন ভালোবাসায়।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর সাবলীল লেখা,
তবে ওরা ৩ জন। সতেরো পেরিয়ে আঠেরো না।
১৫ - ১৬ চরিত্র।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী আমার ব্লগে স্বাগতম!!

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
"তবে ওরা ৩ জন। সতেরো পেরিয়ে আঠেরো না।
১৫ - ১৬ চরিত্র।" --- হতেই পারে। সবার ম্যাচুরিটি এক নয়। গল্পটা লিখেছিলাম আমাদের সময়কার কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে। হয়তো এখন একটু বদলে গেছে সবাই।

আশা করছি কখনো কখনো লেখায় আপনাকে পাবো। শুভকামনা নিরন্তর।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২

মা.হাসান বলেছেন: @ ভুয়া মফিজ -- .আজকাল দেখি ব্লগার মা.হাসান আমি যা বলতে চাই, আগে এসে তাই বলে যায়! ঘটনা কি!!

কোথাও প্রশ্ন ফাঁসা হয়ে যাচ্ছে B-))
নাহিদ কাকু বা দিপু আপুর সাথে যোগাযোগ করেন

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

শিখা রহমান বলেছেন: মা.হাসান প্রশ্ন ফাঁস হবে কেন? আপনারা দুজনেই মেধবী ছাত্র। প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিয়ে গোল্ডেন এ পেয়েছেন। 8-| :)

শুভকামনা ও শুভরাত্রি প্রিয় ব্লগার।

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৮

আরোগ্য বলেছেন: যেহেতু গল্প তাই একটু নিরিবিলিতে পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম আপু। অবশেষে পড়ে শেষ করলাম।
প্রথম পর্যায়ে স্কুলসময়ের কথা মনে পড়ে গেল। চরিত্র তিনটি বেশ দারুণ হয়েছে। মনে হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শান্ত মেয়েরাা আগে প্রেমে পড়ে, বহ্নিরা সুচারু গৃহিণী হয় আর অরণীরা প্রায়শই অধরাই থেকে যায়। আপু সম্প্রতি আমিও অধরার যাতনা নামে একটি কবিতা পোস্ট করেছি।
তিন বান্ধবীর গল্প ভালোই এগোচ্ছিল, শেষে এসে ধাক্কা খেলাম। এখানেই গল্পকারের সার্থকতা।
অনেক শুভ কামনা রইলো আপু।
ব্লগ ডেতে আসার কি কোন সম্ভাবনা আছে আপু?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

শিখা রহমান বলেছেন: আরোগ্য মন্তব্য পেয়ে ভালোলাগায় ভাসলাম।

"মনে হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শান্ত মেয়েরাা আগে প্রেমে পড়ে, বহ্নিরা সুচারু গৃহিণী হয় আর অরণীরা প্রায়শই অধরাই থেকে যায়। " --- খুব সুন্দর করে চরিত্রগুলোকে বিশ্লেষণ করেছেন।

আশা করছি শেষে ধাক্কা খেলেও গল্পটা ভালো লেগেছে।

ব্লগ ডেতে আসা কঠিনই হয়ে যায় যখন হাজার মাইল আকাশপথে পাড়ি দিতে হয়। এ বছর হবে না। আপনাদের ছবি দেখেই ব্লগ ডে কল্পনায় উদযাপন করতে হবে। :(

পাশে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শেষের টুইস্টটা ব্যাপক ছিল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

শিখা রহমান বলেছেন: আমি তুমি আমরা পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। টুইস্টটা আপনার ভালো লেগেছে দেখে প্রীত হলাম।

শুভকামনা নিরন্তর। ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.