নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://web.facebook.com/salauddin.shahria

সালাউদ্দিন শাহরিয়া

আমার মনের মৃত্যু হয়েগেছে দেহের মৃত্যু বাকি, বিষাক্ত ধুলিমাখা দীর্ঘজটে দেহটা কোথায় রাখি? - সালাউদ্দিন শাহরিয়া

সালাউদ্দিন শাহরিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৩৭

সালাউদ্দিন শাহরিয়া

মানুষের ধর্ম মানেই হলো বিশ্বাস৷ আর এই ধর্ম বা বিশ্বাসগুলো অস্থায়ী হয় নতুবা উন্নতি।

পৃথিবীতে অনেক ধর্ম রয়েছে। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত ধর্ম হলো ইসলাম। আর আমি নিজেও একজন মুসলমান।

ধর্মের কথা কি রূপকথা। জান্নাত আর জাহান্নাম কি কাল্পনিক। এগুলো যার ভিতরে প্রশ্ন জাগবে তার ঈমান বা বিশ্বাস নাই। ধর্ম মানে নিজের ধর্মে যা আছে তা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতে হবে, অন্তর থেকে বিশ্বাস করতে হবে। আর ইসলাম ধর্ম হলো সবচেয়ে আধুনিক ধর্ম। যার থেকে বিজ্ঞানের জয়যাত্রার সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।

আচ্ছা কে চাইবে জাহান্নামে যেতে? সবাই তো চাইবে জান্নাতে যেতে। আর এই জান্নাতে কিভাবে যেতে হবে তা অবশ্যই কোরআন ও হাদিসে আছে। আচ্ছা আমি তো কোরআন ও হাদিস এর সব জ্ঞান নাই। এতো এতো বিশ্লেষণ আর গবেষণা আমার দ্বারা হচ্ছে না। তো যারা বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে তাদের ধারে কাছে যাই। তাহলে উত্তর পেয়ে যাবো যে, আমি কিভাবে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাবো আর জান্নাতে যাবো।

প্রথম জনঃ তুমি হক্বানী আলেমদের ছাড়া আর কারো কথা শুনবা না। আর এই হক্বানী আলেম যা বলবে তাই মানতে হবে। এই হক্বানী আলেম উলামা হলো আমরা। আমাদের সিড়ি। আমাদের বাপ দাদার সিড়ি। আর আমাদের কথামতো না শুনলে তুমি জান্নাতে যেতে পারবে না। তুমি জাহান্নামি।

দ্বিতীয় জনঃ তুমি পীরদের মুরিদ হও। পীরের মুরিদ হলে তুমি জান্নাতের পথে থাকবে। নতুবা জাহান্নামি।

তৃতীয় জনঃ আপনি একমাত্র কোরআন আর হাদিস ছাড়া আর কিছুই বিশ্বাস করবেন না। কোন মাযহাব মানবেন না। আর যদি মাযহাব মানেন তাহলে ফেরকায় পড়ে যাবেন। আর তুমার স্থান জাহান্নামে হবে।

চতুর্থ জনঃ তুমি আল্লাহ ও তার রাসূলের পথে চলবে। ইসলামী ফরজ বিধানগুলো মেনে চলবে। সুন্নত পালন করবে। আর নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নিকটত্ব লাভ করবে। ফরজ কাজগুলো হলো নামাজ, রোজা আর ইসলামের জন্য জিহাদ করা। আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষে দুনিয়াতে আল্লাহ ও তার রাসূলের অনুসরণ করতে হবে। তাহলে জান্নাতে যেতে পারবে। নতুবা জাহান্নামি।

পঞ্চম জনঃ শিয়া...

ষষ্ঠ জনঃ মাজার পূজারী। গান বাজনা করতে হবে। গুরুকে মানতে হবে। বয়াতীদের কথা মানতে হবে। তাহলে জান্নাতে যেতে পারবে। নতুবা জাহান্নামি।

আচ্ছা ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে জান্নাতে যেতে হলে কিভাবে যাবো৷ ছয় জনের কাছে ছয় ধরনের জান্নাত জাহান্নাম। এরা প্রত্যেকেই বলেই তাদের কথা অনুসারে চললে জান্নাতি আর তাদের কথা অনুসারে না চললে জাহান্নামী। এখন মুসলিম ছয় জনের কাছে ছয় ধরনের জান্নাত ও জাহান্নাম। কিন্তু সবাই নাকি মুসলিম।

এখন কি করবো? মুসলমান আমি। আর ওরা জান্নাত ও জাহান্নামের রাস্তা দেখিয়ে দিলো আমাকে। এখন আমার বিবেক যেদিকে বলবে আমি সেই দিকে যাবো। ছয়জনের মাঝে যেকোনো একজনের জান্নাতের পথে হাটবো। আর নিজেই কোরআন ও হাদিস পড়ে যতটুকু পড়ে বুঝি তা আমল করবো। কে কি বললো আর কে জান্নাত বা জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলো সেটা আমার দেখার বিষয় না।

ধর্ম মানেই হলো বিশ্বাস। এই বিশ্বাস যেদিকে দিবেন সেদিকেই ছুটবে জীবনের প্রত্যেক মূহুর্ত। হাদিসে আছে, অল্প আমলিন নাজাতের জন্য যথেষ্ট হইবে।

তাই কে কি বললো আর কে জান্নাত বা জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলো সেটা দেখার সময় নাই। নিজের আমল নিজেই প্রেজেন্ট করতে হবে। আর ইসলামের ফরজ ও সুন্নতগুলো ঠিকমতো আদায় করতে পারলেই হলো সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৮

ইকবাল সরদার বলেছেন: ১৬ঃ৯. সাফল্যের সরলপথ আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছায়। কিন্তু ভ্রান্ত পথের সংখ্যাও কম নয়।

২৩ঃ৫৩. কিন্তু রসুলের অনুসারী বলে দাবিদাররা নিজেদের ধর্মকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক সম্প্রদায়ই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে আনন্দিত। ৫৪. ওদের তুমি কিছুকাল মূর্খতায় ডুবে থাকতে দাও!

৬ঃ১৫৯. (হে নবী! জেনে রাখো) যারা তাদের ধর্মবিশ্বাসকে খণ্ড খণ্ড করে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোনো দায়িত্ব তোমার ওপর বর্তায় না। তাদের বিষয়টি পুরোপুরিই আল্লাহর এখতিয়ারে। সময় হলেই তিনি তাদের বুঝিয়ে দেবেন, তারা কে কী করেছে!

Allah will raise for this community at the end of every hundred years the one (Mujaddid) who will renovate its religion for it.
— Sunan Abu Dawood, Book 37: Kitab al-Malahim [Battles], Hadith Number 4278

আপনাকে এই মুজাদ্দিদ খুজে বের করে তার সাথেই থাকতে হবে। তবেই আপনি ৭৩ দলের মধ্যে একমাত্র জান্নাতি দলের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি বেকার?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫০

সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: জ্বী না। কেনো?

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫১

সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: ওকে ভাইয়া।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪০

ইকবাল সরদার বলেছেন: যারা মৃত্যু কে স্বাভাবিক পরিনতি ভাবে তাদের জন্য আমি এ মন্তব্য করিনি। যারা মৃত্যু কে বিশাল কিছু মনে করে তাদের জন্য এ মন্তব্য।
বড় ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তরঃ না।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

নতুন বলেছেন: বিশ্বে সবচেয়ে বিত`কিত ধম` খৃস্টান ধম`।

যেই ধম` যেখানে সংখ্যা গরিস্ঠ সেখানে ধান্দাবাজেরা ধমের নামে বেশি টাকা কামানোর ধান্দাও বেশি করে, অন্য ধমের মানুষের উপরে অত্যাচারও বেশি করে।

বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে বেশি বিতক` হয়। ভারতে হিন্দু ধম` নিয়ে বিতক` হয়।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১০

বহ্নি শিখা বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি,
ভুল পথে মারামারি ।
আমার টাই ঠিক,
আর সবই ভুল
এই নিয়েই গন্ডগোল
সবাই বনে গেছি বোকা ফুল ।
পকেট ভরে পুরোহিত কুল
মানুষ হয়েছে ব্যাকুল ।
ভুল সবই ভুল ।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সালাউদ্দিন শাহরিয়া ভাই
পৃথিবীতে অনেক ধর্ম রয়েছে। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত ধর্ম হলো ইসলাম
আমি আপনার এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আজকাল ধর্মকে যে যার মত করে ব্যাখা করেন। কোরআনের রেফারেন্স মানেন না আর
হাদিস তো প্রশ্নেই আসে না। তারচেয়ে ভয়ানক বিষয় হল যে, যেভাবে ধর্মকে বিশ্বাস করে
তার মতের সাথে অমিল হলে হয়ে উঠে অসহিষ্ণু আর হিংস্র। ইসলাম কারো মনগড়া কারো
জীবন ব্যবস্থা নয়, এটা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মনোনীত ও গ্রহণযোগ্য
একমাত্র ধর্ম যা তিনি সুরা আলে ইমরানের ১৯ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই
নয় সুরা মায়েদাহ ৩ নাম্বার আয়াতে তিনি আরো ঘোষণা দেন যে , “...... আমি তোমাদের
জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে
দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।”
অথচ আল্লাহ
প্রদত্ত আল কোরআন ও রাসুল সাঃ এর সুন্নতের নির্ধারিত দ্বীনের পরিবর্তে মনগড়া
নবাবিস্কৃত আর্দশ ও নীতি ধর্মে অনুপ্রবেশ করছে। প্রতিনিয়ত ধর্মকে নিয়ে নানা
অসঙ্গতি,কুসংস্কার আর ভ্রান্ত ধারনা দেখতে পাই যা একজন মুসলমান হিসেবে
মেনে নেয়া কষ্টকর।
পৃথিবীতে একমাত্র শান্তির ধর্ম ইসলাম। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক,
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বয়ং সম্পূর্ন এক জীবন ব্যবস্থার
নাম-ই হলো 'ইসলাম'।এই ধর্ম বিতর্কিত নয় কিছু মানুষ তার অজ্ঞানতা
প্রসূত মন্তব্যে এই ধর্মকে বিতর্কিত করার প্রয়াস চালালেও তারা সক্ষম হয়নি এবং হবেও
না কারন এই ধর্মের মূলমন্ত্র আল কোরআন। আল- কুরআন কুরআনে করীম
মহামহিম আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের পবিত্রতম বাণী। যার হেফাজতকারী স্বয়ং
আল্লাহ রব্বুল আলামীন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে এ কথা ঘোষণা করে
দিয়েছেন যে, ' যারা ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো জীবন ব্যবস্থা সন্ধান করে, তা
তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে না। তাই
” ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের
ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।



৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই উপমহাদেশ বাদে পূর্বএশিয়া ও পশ্চিমে আরব মধ্যপ্রচ্যে ধর্ম ব্যক্তিগতই,
তেমন বাড়াবাড়ি দেখা যায় না। ভারত উপমহাদেশ বাদে ধর্ম নিয়ে কোথাও এরকম অস্থিরতা নেই।

নবী (স) আমলেও ধর্ম ব্যাক্তিগত ছিল।
মদিনায় এক জেহাদির মা মক্কা থেকে এসে হাজির। ছেলে কে ফিরিয়ে নিতে মক্কা থেকে হেটে এসে এসেছে।

তরুন যোদ্ধা রসুলের কাছে হাজির হয়ে বললো -
হুজুর মা এসেছে, মা তো মুসরিক/কাফের। মাকে কি করবো? (মাকে মেরে ফেলতে চায়?)
রসুল বলেছিল তোমার মাকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই, মা আসছে থাকুক। তোমার নামাজ তুমি পড়।

ধর্ম-কর্ম করা ও পরকালের ভাবনাটিও ব্যাক্তিগত।
কিতাবে যা লেখা - হাশোরের মাঠে তুমি একা, এলাকার কাউকে চিনবে না, পরিবারের কাউকে চিনবে না, তুমি ইন্ডিভিজুয়াল। একা।
বিচারেও পাপের জন্য নিজেই দায়ী ১০০% । পরিবারের কেউ বা প্রতিবেশী বা সমাজ সরকার কাউকেই জবাবদিহি করতে হবে না।

বেহেস্তে গেলেও একা। সাথে থাকবে ৭২ বেহেস্তি হুর। পরিবার সহ যাওয়ার উপায় নেই, (সেরকম কিছু হাদিস কোরানে নেই) হাসরের ময়দান থেকেই একা।
এছাড়াও কর্তাকে ৭২ বেশ্যার সাথে দেখলে পরিবারের সবাই এমনিতেই পালিয়ে যাওয়ারই কথা।

আর বেহেস্ত দোজখের ব্যাপারটিও একক যেহাদির মনস্ততের উপর ভিত্তি করে।
তৎকালিন সময় তরুনদের যথেষ্ঠ অর্থ না থাকলে বৌ জুটানো কঠিন ছিল। এসব যৌনকাতর যেহাদিদের শয়নে সপনে একটাই চিন্তা "কবে একটা নারীর অধিকারি হব"। যেহাদির মনস্ততের উপর ভিত্তি করেই ৭২ হুর।

যদিও সব ধর্মপুস্তকে বলা আছে পরকালে কোন বংশবিস্তার হবে না, সে হিসেবে রিপ্রডাক্টিভ অর্গান, তথা যৌন তাড়না না থাকারই কথা। কিন্তু। তরুন একক যেহাদিদের প্রবল যৌন চাহিদা বলে কথা।

আমাকে যদি কেউ বলে বেহেস্তে কি চাও?
আমি বলবো পরিবারের সবার সাথে মিলে আনন্দে থাকতে চাই। ৭২ হোর চাই না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.