নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগতের সব প্রানী সুখি হোক

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাতেই যেন শেষ না হয় জাতিকে হিংস্রতা থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টার

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৫


আবরার হত্যার চতূর্থ দিনে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, হয়তো ভবিষ্যতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়েও একই পদক্ষেপ নেয়া হবে | এটা অবশ্যই অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ | আমাদের ছাত্রজীবনে স্বৈরাচার হটানো সহ কিছু ইতিবাচক কর্মকান্ডে ছাত্রনেতা ও কর্মীদের পাওয়া গেলেও বর্তমানে কোনো জনহিতকর কাজে এদের আর দেখা যায় না | চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কোটাবাজি করে এরা নিজের আখের গুছিয়ে নেয়ার ধান্দায় চরম ব্যস্ত | লোভ এদের রন্দ্রে রন্দ্রে এতটাই ঢুকে গেছে যে এদের রুটি রুজিতে সামান্যতম ভাগ বসানোর কোনো সম্ভাবনা দেখলে এরা বিরুদ্ধমত দমনের ছুতো খুঁজে অন্যপক্ষকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করে | এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয় | হাই কমান্ডকে বুঝ দেয়া হয় বিরুদ্ধপক্ষকে দমন করা হয়েছে বলে আর নিজের চামচাদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়া হয় হালুয়া রুটিতে অন্যপক্ষ কোনো ভাগ পেলো না বলে | যাহোক, বুয়েট থেকে যদি শুরু হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের, তবে সেটা অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুভ লক্ষণ | যে দেশে টপ টু বটম কারো কোনো নৈতিকতা নেই সেই দেশে ছাত্রছাত্রীদের আদর্শের রাজনীতি করাটা পুরোটাই হিপোক্রেসি এবং সময় নষ্ট করা |

তবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে ফেললেই হিংসা, হানাহানি বন্ধ হয়ে যাবে বলে ভাবাটা ঠিক নয় | বাংলাদেশের সর্বত্র যেভাবে হিংস্রতার বিস্তার ঘটেছে তা আফ্রিকার কিছু দেশ ছাড়া বর্তমানে আর কোথাও দেখা যাবে না | দেশের সর্বস্তরে মানুষের হিংস্রতা, সীমাহীন লোভ, দূর্নীতির মতো মানুষের চরম অধঃপতন বা স্খলনের উদাহরণ বা তালিকা কোনোদিনই শেষ হবে না | গৃহকর্মীদের খুনতি দিয়ে ছ্যাকা দেয়া, গ্যারেজ বা অন্যত্র হতোদরিদ্র স্বল্পবয়সী কর্মচারীটির পায়ুপথে কম্প্রেসরের বাতাস প্রবেশ করিয়ে দেয়া, মাদ্রাসাছাত্রীকে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, কোটাবিরোধীদের হাতুড়ি পেটা করার মতো নিস্রংশতাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে ভাবার কোনোই কারণ নেই | বরং এই সকল জঘন্য কর্মকান্ডের পিছনে যে সকল অনুঘটক কাজ করছে তা নিয়ে ভাবা সকলের জন্য ফরজ হয়ে গেছে | এইসব বিষয়ে নির্লিপ্ত থেকে নিজের গা বাঁচানোর প্রচেষ্টা কোনো কাজেই আসবে না, কোনো না কোনোভাবে নিজের উপরেও একদিন এরকম কিছু এসে আছড়ে পড়তে পারে | সুতরাং সবাইকে ভাবতে হবে কিভাবে নৈতিক অধঃপতিত এই জাতিটিকে স্খলনের পথ থেকে উদ্ধার করা যেতে পারে |

ছবি: অন্তর্জাল

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ছাত্রছাত্রীর কাজ পড়ালেখা করা, তারা রাজনীতি করবেন কেনো?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই, পড়ালেখা করে যতটুকু লাভ তার চেয়ে সহস্রগুন্ ফায়দা রাজনৈতিক বলয়ে থেকে টেন্ডারবাজি আর কোটাবাজি করাতে |

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


একা বুয়েটে, বা আরো ২/৪ টা ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে লাভ নেই; ছাত্র রাজনীতি বলতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলকে বুঝায়; এরা যদি কিছুটা থামে, তাদের অনুপস্হিতিতে শিবির পুরোটাকে দখলের চেষ্টা করবে, ওরা রাজনীতি করে না, ওরা শিবির করে, যার কোন সঠিক ডেফিনেশন নেই।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিয়ম করতে হবে, কোন রাজনৈতিক দল, কিংবা কোন সংগঠনের হদল হিসেবে ছাত্রদের কোন দল থাকতে পারবে না; কোন দলের কোন ছাত্র শিক্ষাংগণে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারবে না, চালালে আউট।

কিন্তু তারপরেও শিবির থেকে যাবে, ইহা এখন একটা সমস্যায় পরিণত হবে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দলীয় বলয়ে ছাত্র সংগঠন করতে না পারলে বা কোনো দলের শেল্টার না নিতে পারলে এমনিতেই গুন্ডামি কমে আসবে - অনেকটা সাপের বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার মতো | তবে সমাজের নৈতিক অবক্ষয় এবং তার কারণে সৃষ্ট মানুষের চরম হিংস্রতা দূরীকরণে এটা খুব সামান্যই প্রভাব রাখতে পারবে |

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ছাত্র রাজনীতি অর্থ পড়ালেখা ছাড়াও ছাত্রছাত্রী ব্যানারে আয় করা সম্ভব। এটি সর্ব সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ঘৃণ্য অপরাধ। একটি দেশকে পঙ্গু করে দিতে হলে তার শিক্ষা ব্যাবস্থা পঙ্গু করে দিলেই হবে। অবাধ ইন্টারনেট, সস্তা সেলফোন, সস্তা ফোন কল চার্জ, সস্তা স্যাটালাইট টিভি চ্যানেল এমনিতে দেশের অবস্থা নাজুক করে দিয়েছে।


১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই সকল ছাত্রদের মধ্যে সৃষ্ট চরম নিস্রংশতার অন্যতম কারণ তাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড | এদের অধিকাংশই হয় চরম দুর্নীতিগ্রস্ত এবং রাজনৈতিক বলয় থেকে আসা পরিবার থেকে আসার কারণে অর্থ ও ক্ষমতার লোভে শিক্ষার চাইতে অন্য দিকে ঝুকে পড়ে |

আর শিক্ষা ব্যবস্থাতো এমনিতেই পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে চাকুরী ক্ষেত্রে যত্রতত্র কোটা সিস্টেম চালু করে | যেভাবে কোটাপ্রথার মতো অতি বিতর্কিত সিস্টেম রাখা হয়েছে তাতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করে প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে চাকুরীর বাজারে প্রতিদ্বন্ধিতার মোটিভেশন হারিয়ে ফেলেছে |

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা অবশ্যই একটি ভালো পদক্ষেপ। তবে এটাকে কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে । ভিতরে ভিতরে রাজনীতি কিন্তু ঠিকই চলবে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সহমত | ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি এটি লোভনীয় যে এটাকে নিষিদ্ধ করে যথেষ্ট হবে না, সাথে সাথে মনিটরিং করতে হবে | তবে শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো এতো সহজে তাদের ক্ষমতার এই অন্যতম স্তম্ভ হাতছাড়া হতে দিবে বলে মনে হয় না | কিছুদিন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার আইওয়াশ চলবে, তারপর ওই সকল দলের হাইকমান্ড ঠিকই তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এদের এবিউজ শুরু করবে |

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করলেই বাকী সমস্যার সমাধান হবে না এটা সত্য। কিন্তু শিক্ষকরা মর্যাদা ফিরে পাবে, ভিসি রা বিচি ফেরত পাবে, বন্ধু বন্ধুর হাতে মার খাবে না, আশে পাশের ব্যবসায়ীরা শান্তি পাবে...

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অন্তত: শিক্ষাঙ্গনে কিছুটা শান্তি ফিরে আসবে | তবে ভিসিরা ..... ফিরত পাবে বলে মনে হয় না, তাদের পদলেহনপরায়ণতা সমাজের বৃহত্তর সমস্যার অংশ |

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনার চিন্তাধারা ও লেখা বেশ ভালোলাগে। ক্যারি অন...

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ !

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

সুপারডুপার বলেছেন:

§ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি অতীতেও নিষিদ্ধ করলে , ভিতরে ভিতরে অনেক ছাত্ররা ছাত্র রাজনীতি করেই গেছে। কারণ , ঢাকা ভার্সিটি জোনের রাজনীতির প্রভাব বুয়েটে থেকেই যায়।

নাটক না করে , ছাত্র রাজনীতি যদি সত্যিই নিষিদ্ধ করতে হয় , এক যোগে বুয়েট - ঢাকা মেডিকেল -আলিয়া মাদ্রাসা -ঢাকা ভার্সিটি জোনের সকল ভার্সিটি, কলেজে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে , যে ছাত্র ও শিক্ষক এর পরেও রাজনীতি করবেন , তাদেরকে একদিনের নোটিশেই বহিষ্কার করতে হবে।

§ জাতি হিসাবে হিংস্রতার মূল কারণ : নেতা - নেত্রীরা হিংস্র।

আরেকটি কারন বাসস্থান। এতো বেশি মানুষের দেশে , নোংরা - চিপা চিপি য় যে সব বাচ্চারা বড় হয় , তারা ব্রুটাল হয়।

জাতিকে হিংস্রতা থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টায় মূলে আঘাত করতে হবে , ডালপালায় না।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জাতিকে হিংস্রতা থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টায় মূলে আঘাত করতে হবে , ডালপালায় না।
সহমত |
তবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ?

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনার পোস্ট আলোচিত অংশে গেলে শিরোনামের সাথে ছবি শো করে। এর রহস্য কী??!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: রহস্যভেদ করতে চাইলে আগাথা কৃষ্টির স্মরণাপন্ন হতে হবে | ;)

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি কোনো দিনই বন্ধ হবে না।
তলে তলে ঠিকই চলবে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যতদিন ছাত্ররাজনীতি আখের গোছানোর অবলম্বন হিসাবে থাকবে |

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি কোনো দিনই বন্ধ হবে না।
তলে তলে ঠিকই চলবে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো এতো সহজে তাদের ক্ষমতার এই অন্যতম স্তম্ভ হাতছাড়া হতে দিবে বলে মনে হয় না | কিছুদিন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার আইওয়াশ চলবে |

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

মা.হাসান বলেছেন: আপনি ব্লক মুক্ত হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশের সাথে এক মত`, প্রথম অংশের সাথে না। ক্ষমতাসীনদের কলুষিত চিন্তার পরিবর্তন না হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান করা হয়েছিল ফেয়ার ইলেকশনের জন্য । বিএনপির কলুষিত চিন্তার কারণে এই পদ্ধতি কার্যকর হয় নি। ছা্ত্র রাজনীতি বন্ধ হলে নতুন বোতলে পুরাতন মদ বাজারে আসবে মনে করি।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ !
অন্তত: শিক্ষাঙ্গনে কিছুটা শান্তি ফিরে আসবে | এটাকে আমি পজিটিভ হিসাবেই দেখি | জামাত, লীগ, বিএনপি এবং বাম সংগঠনগুলো তাদের ক্ষমতার স্তম্ভ হিসাবে ছাত্র সংগঠনগুলিকে ব্যবহার করে |

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

সুপারডুপার বলেছেন: এক আসামির ভয়ংকর বর্ণনা (১৮+ নিউজ )

'' এক আসামির ভয়ংকর বর্ণনা ''- প্রথম আলো (১৮ + নিউজ )। এই নিউজ-টি আজ চোখে এলো। পড়ে যে কেউ-ই প্রচন্ড ভয় পাবেন।

ভালো ভালো ছাত্ররাও কি বর্বরতায় ছেয়ে গেছে !!!

হল প্রভোস্ট ( একজন বুয়েট শিক্ষক ) ও ছাত্রলীগরা এটাকে ডাইরেক্টলি সমর্থন করেছেন, এমনকি তসলিমা নাসরিনেরাও ইনডাইরেক্ট সমর্থন করছেন।



১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমরা খুব পরশ্রীকাতর আর আমাদের মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা একদমই নেই |

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দলভিত্তিক তথা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি কয়েকবছর বন্ধ রাখাই উচিত।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কয়েকবছর নয় - চিরতরে রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেয়া উচিত |

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রাকু হাসান বলেছেন:

এটা ভালো সিদ্ধান্ত ধন্যবাদ হল প্রসাশন কে এবং সরকারকে । এখন ছাত্রদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করি ।
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দলভিত্তিক তথা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি কয়েকবছর বন্ধ রাখাই উচিত।
---আমিও সেটা ভাবছি । একমত । বন্ধ হবে কি ?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কয়েকবছর নয় - চিরতরে রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেয়া উচিত |

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি আশাবাদী মানুষ, আমি নিরাশাবাদী। সময় গড়ালে আবার সেই পুর্বের অবস্থা ফেরত আসবে । স্বৈরাচারী সরকারের পতন না হলেম অবস্থার কোন পরিবর্তনই হবে না।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সরকার পরিবর্তন হলেও জাতির মনমানসিকতার পরিবর্তন হবে না | সভ্যতা ও নৈতিকতার মাপকাঠিতে জাতি হিসাবে এখনো আমরা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে খুব একটা বেশি এগিয়ে নেই | সামাজিক বিপ্লব হতে হবে এবং যার জন্য প্রয়োজন সৎ ও কমিটেড নেতৃত্বের |

১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফল শুভ হবে না। বাংলাদেশের সামনে সংকট আসন্ন। সাম্প্রদায়িক শক্তি শক্তিশালী হবে। সামরিক সরকারের জন্য পথ সহজ হবে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সামরিক সরকার যদি আসে তরুণ প্রজন্ম তখন ঠিকই সংগঠিত হবে প্রতিবাদে, এর জন্য এখন তাদের রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তির প্রয়োজন নেই | সামরিক সরকারের জুজুর ভয়ে ছাত্র রাজনীতির মতো একটি চরম ক্ষতিকর কর্মকান্ডের প্রয়োজন নেই |

১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: সামরিক সরকার আসলেতো দেশটা বেচেঁই যেত।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দেশটা বাঁচাবার একমাত্র পথ হচ্ছে সৎ নেতৃত্ব ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন |

১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ,




বর্তমানের ছাত্ররাজনীতিকে জিইয়ে রাখার মূল কারন আপনার লেখার প্রথম প্যারায় ফুটে উঠেছে।

ছাত্ররা "রাজনীতি" নয় " ছাত্রনীতি" করবে। ছাত্রদের , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের, শিক্ষাব্যবস্থার সকল সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানে সচেষ্ট থাকাটাই তাদের নীতি হওয়া উচিৎ। আর তেমন প্রয়োজনে সম্মিলীত ভাবে সমাজ ও আপামর জনগনের পাশে এসে দাঁড়াবে, কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকার তলে নয়।
যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের জুজুর ভয় দেখান তাদের বোঝা উচিৎ সমগ্র অসাম্প্রদায়িক ছাত্রসমাজ যদি এক থাকে ছাত্রনীতিতে তবে কোনও অশুভ শক্তিরই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস হবেনা। বরং ছাত্র সমাজের বিভক্তির ফাঁক দিয়েই (যে ফাঁক ছাত্র রাজনীতিই তৈরী করে দেয়) অশুভ শক্তির ঢুকে পড়ার পথটি সহজ হয়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সমগ্র অসাম্প্রদায়িক ছাত্রসমাজ যদি এক থাকে ছাত্রনীতিতে তবে কোনও অশুভ শক্তিরই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস হবেনা |
সহমত |

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
রাজনীতিকে ব্যবসায়ীমুক্ত, আমলামুক্ত, ঠগমুক্ত, ছাত্র-মাস্তানমুক্ত, পদলেহী ভিসি/শিক্ষকদের ঘৃণ্য রাজনীতিমুক্ত করে প্রকৃত রাজনীতিকদের কাছে ছেড়ে দিতে হবে, যারা জনগণের সুখে দুখে তাদের পাশে থাকে, যারা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে পারে। সাংসদদেরকে শুল্কমুক্ত গাড়ী ও অন্যান্য উপঢৌকন দেয়া বন্ধ করে, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে সম্মানিত করতে হবে। প্রয়োজন বোধে একজন সাংসদের জন্য সংসদ বিলুপ্ত হবার পরেও অন্ততঃ পনের বছর ধরে সম্মানজনক পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে যেন সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন তাদেরকে পরবর্তী জীবনের জন্য জীবিকা অন্বেষণে ব্যস্ত থাকতে না হয়। সাংসদগণকে সকল প্রকার প্রশাসনিক ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যানদেরকে প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে গণমুখী ও গতিশীল করতে হবে। সংসদ ও ও সকল আদালতের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আদালতের উপর যে কোন ধরণের সরকারী হস্তক্ষেপকে ঘৃণার চোখে দেখতে হবে এবং এ ধরণের সরকারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিকার পাবার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সংবিধানকে পুংখানুপুংখ পরীক্ষা করে সেটাকে জনস্বার্থের রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
রাজনীতিতে আজ পচন ধরেছে। মাথার এ পচন দূর করতে না পারলে লেজের পচন যাবে না। পেঁয়াজ নিয়ে দেশের পনের কোটি জনগণের সাথে যে নির্দয় তামাশা করা হচ্ছে, তা এই মুনাফাখোর রাজনীতিকদের চরিত্র তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট।
জাতিকে হিংস্রতা থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টায় মূলে আঘাত করতে হবে , ডালপালায় না - সুপারডুপার এর এ মন্তব্যের সাথে (৮নং) একমত।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই | দু:খিত, উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো।

২১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নতুন পোস্ট দিন | পড়ি |

২২ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভাইরে, লেখার ইচ্ছা তো আছে। কিন্তু দিনকামলার সময় মিলে না পোস্ট দেয়ার। আপনাদের পোস্টেই আমার মনের কথা উঠে আসে।

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার লেখা পড়বার জন্যে প্রায়ই আপনার ব্লগে এসে ঘুরে যাই স্যার। কাজের চাপে সময় পেলে নতুন কিছু চিন্তাভাবনা শেয়ার করবার অনুরোধ রইল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৩২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অবশ্যই লেখার চেষ্টা করবো। আপনার উৎসাহ অনেক মোটিভেটেড করবে লেখার জন্য। ধন্যবাদ আর শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.