নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মোগল সম্রাট

মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...

মোগল সম্রাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশ্বিক আতংকের আরেক নাম বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন (ফিচার)

২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১





আজকের পৃথিবীতে বর্তমানে বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন। বাংলাদেশ ক্রান্তিয় (Topical) মৌসুমি (মৌসুমি জলবায়ু হচ্ছে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যে অঞ্চলের বায়ু প্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়ে থাকে) জলবায়ু অন্তর্গত একটি দেশ তাই কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তির নিকটবর্তী অঞ্চলের মধ্যে বিস্তৃত এ অঞ্চলে জলবায়ুর ব্যাপক তারতম্য ঘটেছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৮৫টি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বড় দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়ধসের মতো দুর্যোগ রয়েছে। এতে ১১ হাজার ৪৫০ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৩৭২ কোটি ডলার।

ক্রমবার্ধমান জনসংখ্যার চাপ আর পৃথিবীব্যাপী জীবাশ্ব জ্বালানীর (কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসকে জীবাশ্ব জ্বালানী বলা হয়) অতিব্যবহারে দ্রুতহারে তৈরী হচ্ছে উষ্ণায়ন। আর উষ্ণায়নের ফলে হিমবাহের বরফ গলতে থাকায় সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দিন দিন প্রানঘাতী দুর্যোগের ঝুকিঁ প্রবল হচ্ছে। বরফ গলে যাবার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে চলে যাবে বলে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। হুমকির মুখে পড়ছে জগতের জীব বৈচিত্র, বিলুপ্ত হয়ে যাছে প্রণিকুলের অনেক প্রজাতি।



বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারন হিসাবে আমরা দেখিঃ

জীবাশ্ব জালানীর সর্বোচ্চ ব্যবহারঃ বিশ্বের মোট শক্তি ব্যবহারের ৮১শতাংশ জীবাশ্ম জালানি। গ্যাসোলিন (গ্যাসোলিন হলো প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ক্রুড ওয়েল বা জ্বালানী তেল যা পরিশোধের মাধ্যমে পাওয়া যায় আমরা সেটাকে পেট্রোল হিসাবে চিনি) কয়লার মতো জীবাশ্ব জালানীর ব্যবহারে বায়ু মন্ডলে কার্বন নিঃসরন বেড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শিল্পবিপ্লবের পর থেকে পৃথিবীব্যাপী জীবশ্ম জালানির অপরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকির নাম এখন কার্বন নিঃসরণ। বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের শির্ষ তালিকায় রয়েছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ সমুহ।



কার্বন নিঃসরণ সীমিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর উত্তাপকে কমিয়ে আনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার একমাত্র উপায়। এ লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরন কমিয়ে আনার অঙ্গিকার করেছে এবং চীন ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ দেশ হবে বলে অঙ্গিকার করেছে। তাহলে বন্যা, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ফসলের বিপর্যয়ের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

তেজক্রীয় দুষনঃ তেজস্ক্রিয়তাজনিত দূষণ মানুষের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর এক ধরনের অদৃশ্য দূষণ।বিশ্বজুড়ে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য অপসারণের সমস্যা জনসমাজে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তেজস্ক্রিয় বর্জ্য গভীর সমুদ্রে নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে যা সমুদ্রের চারপাশে বসবাসরতদের জন্য একটি বড় আতঙ্কের বিষয়। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিক্ষেপের ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়াসহ ভারত উপমহাদেশের জনগণের উদ্বেগ বেড়েছে। পারমাণবিক চুল্লি থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ , চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপগুলি থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় পারমাণবিক কণা এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর ওর ভস্মগুলি পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে যে দূষণ ঘটায় , তাকেই তেজস্ক্রিয় দূষণ বলা হয় ।



বনভুমির তথা বনাঞ্চল ধ্বংশ করাঃ জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ইউনেপ- এর মতে, বিশ্ব জলবায়ু পবিবর্তন বা উষ্ণায়নের জন্য যেসব বিষয় দায়ী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বৃক্ষনিধন। জলবায়ুর ক্রমশ উষ্ণতার জন্য ২০ ভাগ দায়ী করা হয় পৃথিবীতে বন ধ্বংসের ধারাবাহিক কার্যক্রমকে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের হিসাব বলছে, ২০২০ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার বর্গকিলোমিটার বন ধ্বংস হয়েছে, যা আয়তনের দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যের চেয়েও বড়।
গাছপালা নিধনের ফলে আমরা যে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছি। অন্যদিকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুপ্রবাহের উষ্ণতা স্বাভাবিকভাবেই শীতল অবস্থায় থাকা বনভূমির বায়ুর সংস্পর্শে কমে এবং এর ফলে বৃষ্টি হয়।



ওজোন স্থরের ক্ষয়ঃ বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে রয়েছে ওজোন স্তর, যা সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মিকে আমাদের এই পৃথিবীতে আসতে দেয় না। ওজোন স্তর যদি না থাকে তাহলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি আমাদের এই পৃথিবীতে এসে পৌঁছাবে যা মানুষ, প্রাণী এবং উদ্ভিদের জন্যে ক্ষতিকর । ওজোন স্তরের হ্রাসের ফলে আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান, যেমন— উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহের দিক ও গতি প্রভৃতির পরিবর্তন ঘটেছে।
ওজোনস্তর রক্ষার জন্য ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে ‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ গৃহীত হয়েছিলো। জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র এই প্রটোকল স্বাক্ষরও করেছিলো।
মন্ট্রিল প্রটোকল (Montreal Protocol) হলো বায়ুমন্ডলের ওজোনস্তর রক্ষা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি বা প্রটোকল, যার পুরো নাম Montreal Protocol on Substances that Deplete the Ozone Layer। ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, কানাডার মন্ট্রিলে প্রটোকলটি গৃহীত হয় এবং কার্যকর হয় ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি। মন্ট্রিল প্রটোকলের লক্ষ্য হলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত ওজোন স্তরের ক্ষয়কারী রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। প্রাথমিকভাবে, প্রটোকলটিতে ৪৬টি দেশ স্বাক্ষর করে, এই চুক্তিতে এখন পর্যন্ত বর্তমানে ১৯৭ টি দেশ এই প্রোটোকলের সাথে চুক্তিবদ্ধ আছে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট মন্ট্রিল প্রটোকল অনুস্বাক্ষর করে।
মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন হলে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটাই রোধ করা যাবে।



বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কেবল তাপমাত্রাই বাড়বে না, বর্ষাও হবে দীর্ঘমেয়াদি, বাড়বে খরা। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এশিয়ার ৪ কোটি মানুষ জলবায়ুজনিত উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এই মুহুর্তে বাংলাদেশের করনীয় কি তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা, গোলটেবিলে বৈঠক সভা সেমিনার প্রায় প্রতিদিনিই কোন না কোন সংস্থা, সরকারি বেসরকারি সংগঠন আয়োজন করছে এবং অনেক পরিকল্পনাও করছে।
তবে বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (সিসিটিএফ) গঠন করে তা বাস্তবায়নের জন্য জলবায়ু ট্রাস্ট আইন-২০১০ নামে একটি আইনও প্রনয়ন করেছে। (Click This Link)
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্প বা কর্মসূচি গ্রহণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অভিযোজন (Adaptation), প্রশমন, (Mitigation), প্রযুক্তি হস্তান্তর (Technology Transfer), এবং অর্থ বিনিয়োগ (Finance & Investment) এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক গবেষণা এবং অনেক কর্মসূচি রয়েছে এ ট্রাষ্টের।


ছবি ও তথ্য সুত্রঃ
১। জার্মান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষনা সংস্থা ‘জার্মান ওয়াচ’-২০২১
২। বিবিসি বাংলা
৩। উইকিপিডিয়া
৪। প্রথম আলো
৫। গুগল




মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের অন্ধকার ভবিষ্যত যেন আমরাই রচে যাচ্ছি!!!

উন্নয়ন, সূখ আর ভোগ বিলাসিতার নামে এমন আত্মঘাত- পৃথিবীর অন্য কোন প্রাণীকুলে সম্ভব নয়।

এবারের কপ২৭ লস এন্ড ড্যামেজ দিতে সম্মত হয়েছে মাত্র।
কিন্তু ক্ষতিপূরণের চেয়ে এই ক্ষতিটা যাতে না হয় সেই উদ্যোগের আহবান কেউ রাখছে না।
কারণ- ঐ যে আমরা আমরাই!
চার্টে সবচে বেশি কার্বন নিস্বরণকারী যে তারা তারাই....

তবে প্রকৃতি ছেড়ে কথা কয়না। আর বাছ বিচারও করেনা!
ধ্বংস যখন শুরু হবে - আমরা তোমরা কেউই তা থেকে রেহাই পাবো না।

মানুষের হুশ ফিরুক।
ক্ষমতাবানদের অর্থহীন ক্ষমতার দম্ভের প্রতিযোগীতা বন্ধ হোক।
আপাত বাহ্য সূখের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী বিশ্ব সুরক্ষায় সকলের চেতনা জাগ্রত হোক।

+++

২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

মোগল সম্রাট বলেছেন:

প্রথমেই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

গত বছর গ্লাসগোর কপ-২৬ সম্মেলনে বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। সেগুলো হলো- ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার কমানো, বন উজাড় ২০৩০ সালের মধ্যে বন্ধ করা, মিথেন গ্যাস নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কমানো, জাতিসংঘে নতুন জলবায়ু কর্মসূচি পরিকল্পনা জমা দেয়া।

ড্যমেজে জন্য প্রতিশ্রুত শতকোটি ডলার বার্ষিক জলবায়ু তহবিল প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে উন্নত দেশগুলো প্রতিবারই ব্যর্থ।

কার্ব ন নিঃসরনকারী উন্নত দেশগুলো পূর্বে র দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ দিতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। উন্নয়নশীল দেশগুলো চাইছে তাদেরকে এই খাতে আর্থিক সহায়তা দেয়া হোক। দেখা যাক সামনে কি হয়।

শুভকামনা ।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



পেটে যাতে গ্যাস না'হয়, সেই ধরণের খবার খাবেন।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ফিচার লেখার জন্য ভালো বিষয় নির্ধারন করেছেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ ।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার পছন্দের ফিচার সাবজেক্ট ছিল, এক সপ্তাহ অনেক খাটাখাটুনি করেছি। এমন একটা বিষয় লিখতে গেলে পাতার পর পাতা। পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ব্লগার সোনাগাজি' র পোষ্টের উত্তরে বিস্তারিত লিখব। মানে বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব, কোনকোন খাতে আমাদের উচিত ওদের সাথে বসে ঠিক করা ক্ষতিপূরণ নেয়ার ব্যাপারে। আমাদের আরও দুর্ভাগ্য যে বিশ্বের সবচাইতে বেশি দূষণ উৎপন্ন কারি দেশ চীন এবং ভারত আমাদের প্রতিবেশী।

আমাদের নিজেদের ও নাকে খত দিয়ে বলা আসা দরকার রূপপুরের মত এমন একটা প্রকল্পের জন্যে। অন্যান্য দেশের স্বেচ্ছাচারিতার দায়ভার আর কতভাবে দিতে হবে আমাদের?


আপনার পোষ্টে ভালোলাগা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৫

মোগল সম্রাট বলেছেন:
আসলে বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও অনেক ঘেটে লিখেছিলাম কিছুটা। পরে এখানে আর লম্বা করলাম না। এমনিতেই লম্বা লেখা দেখলে মানুষ স্কীপ করে চলে যায়। তাই ঐ অংশ বাদ দিয়েছি ইচ্ছে করেই।

আর আপনি ঠিকই বলেছেন এই বিষয়টি লিখলে পাতার পর পাতা লেখা যায় সত্যি। যেমন ধরেন রামপালে যে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে তার জন্য ভবিষ্যতে সুন্দরবন কি পরিমান আক্রান্ত হবে তার উপর বিস্তর লেখা যায়। দিন শেষে সব আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে।

আমার পোস্টে আপনার উপস্থিতি এবং মন্তব্য দেখে সত্যিই আমি আনন্দিত।

আপনার জন্য শুভকামনা।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলাদেশও কি পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করেছে তার সঠিক তথ্য আমাদের জানা নেই, সমস্যা হচ্ছে আমরা অকারণ অযথা দেশ দেশ করি কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশ নিয়ে কোনো প্রকার ভাবনা চিন্তা নেই, যদি দেশ নিয়ে সত্যি সত্যি ভাবনা চিন্তা থাকতো তাহলে দেশে এতো এতো পরিবেশ দূষণ হতে পারে না।

আমাদের পরিবেশ এতোটাই দূষণ হয়েছে যে এ বছর বলতে গেলে বৃষ্টি হয়নি এর জন্য দায়ী আমাদের দেশের মানুষ, ভীন দেশের বা ভীন গ্রহের কেউ নয়।

অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান তথ্য পোস্ট দিয়েছেন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬

মোগল সম্রাট বলেছেন:


বাংলাদেশের কার্বন নির্গমনের ৫৫ শতাংশেরও বেশি আসে বিদ্যুৎ, পরিবহন, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি ও ইটভাটা ইত্যাদি খাত থেকে। বাংলাদেশ যদি এসব ক্ষেত্রে দ্রুতই কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দেশের নির্গমন গিয়ে ঠেকবে ৪০৯ মিলিয়ন টনে।
(সুত্রঃ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (এনডিসি)

তবে গতবার সরকার ১০টি পরিকল্পিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করেছিলো। এটি নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো পদক্ষেপ।
সময়ের অভাবে অনেক কিছু সংযোজন করতে পারিনি ঠাকুর ভাই।

দেরিতে রিপ্লাই দিতে হয়েছে বলে দুঃখিত। ডিসেম্বর মাস পুরাই দৌড়ের উপ্রে থাকতে হবে।
ভালো থাকবেন প্রিয় ঠাকুর ভাই।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলাদেশে প্রতিটি জেলাতে যদি গড়ে ৩০টি করে ইটের ফ্যাক্টরি ধরি তাহলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর বাদে ই দেশে ২,০০০ এর উপর ইটের ফ্যাক্টরি আছে, তারপর আছে শত সহস্র রি রোলিং মিল, ঢেউটিন কারখানা, শত সহস্র প্লাস্টিক রবার কারখানা, শত সহস্র কেমিক্যাল কারখানা, সার কারখানা, শত সহস্র ফিশ ফিড পোল্ট্রি ফিড কারখানা।

আদতে আমাদের দেশ ছোট ও মাঝারি কারখানার দেশে রূপান্তর হয়েছে - যা আগামী দিনের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়ঙ্কর খারাপ হতে পারে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১

মোগল সম্রাট বলেছেন:

আন্তর্জাতিক এক গবেষণা বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে সেই ধারা অব্যাহত থাকলে রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচটি বড় শহর আগামী কয়েক বছরে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে।

বর্তমান প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী- এই চারটি জেলা শহরে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য বা তারতম্য কমে আসবে, ফলে সবসময় গরম অনুভূত হবে।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমার বেশ কিছু কথা বলার ছিল কিন্তু আমি ঢাকার বাইরে আছি, কীবোর্ড না থাকায় গুগল করে বাংলা লিখে মন্তব্য করতে হয়েছে।


৩০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:

অন্য কোন সময়ে এ বিষয়ে আপনার পোষ্ট পড়বো আশায় থাকলাম।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৮

জোবাইর বলেছেন: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সেদিক দিয়ে আপনার লেখাটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কিছু প্রয়োজনীয় পয়েন্ট বাদ পড়েছে তারপরেও লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.