নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেকড়ে বিপুল ক্ষুধা!!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫৯



এক পুলিশ হাডসন নদীর ধারে একজন অভিযুক্তকে ধরবার জন্য অপেক্ষা করছিলো। গোপন সূত্রে খবর পায় যে সেই অভিযুক্ত নাকি প্রতিদিন ক্রোশখানেক সাতার কাটে এই নদীর ধারেই। তারজন্যই ১ সপ্তাহ ধরে সকালের ঘুম নস্ট করে সে অপেক্ষা করে। অভিযুক্তের দেখা না পেলে সে বুঝতে পারে রুটিন পাল্টেছে এবং নতুন রুটিন তার অজানা। রুটিনের ব্যাপারটা মাথায় খেলতেই তীরঘেষা ১০ তলা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে কেউ একজন ঝাপিয়ে পড়ে। ঘটনার হতবিহ্বলতায় আগে পিছে চিন্তা না করে তাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেয়, সাতার কেটে তাকে উদ্ধার করে।

আত্মহত্যাপ্রচেস্টাকারীর জ্ঞান ফিরতেই পুলিশ জিজ্ঞেস করলো ,"কেন তুমি ঝাপ দিয়েছিলে?" সে নিস্পলক দৃষ্টিতে শূন্যে তাকিয়ে ছিলো, পেটানো শরীর, হাতের ফিস্টে কালো দাগ দেখলেই বোঝা যায় লোকটা ফাইটার। মানুষ পিটানো তার জীবিকা,"আমি আমার স্ত্রীকে অনুসরন করছিলাম!" পুলিশ একটু অবাক হলো,"তোমার স্ত্রী সকাল বেলা সূর্য দেখতে ঐ ছাদে গেলো আর তুমি তাকে দেখে ঝাপ দিলে?" তার দৃষ্টি তখনও শূন্য,"গতকাল ওর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।" পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। কিছুদিন পর সে আবারও সেই ১০ তলা থেকে ঝাপ দেয় এবং সেবার কেউ তাকে আর বাঁচাতে আসেনি।

কাজের কথায় আসি। ধরা যাক আপনি ১০ টি শিশু নিয়ে একটা গুহায় আটকে রাখলেন। তাদের পায়ে শেকল বাধলেন, ঘাড় এমনভাবে সেট করলেন যে তারা শুধু সামনের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকবে। তারা ডানে বায়ে কাউকে দেখবে না অথচ পাশাপাশি বসে থাকবে আর শুধু দেয়ালের দিকেই তাকিয়ে থাকবে। তাদের পেছনে বিশাল আগুনের কুন্ডলী জ্বালানো আছে যার সামনে দিয়ে কেউ হেটে গেলে প্রতিচ্ছবি দেয়ালে পড়বে। অমানবিক শোনালেও রিপাবলিক বইতে কথার ছলে এভাবেই একটা পরীক্ষার কথা বর্ননা করা আছে। পরীক্ষাটা বছরের পর বছর চলতে থাকলো। শিশুগুলো কৈশোরে পদার্পন করলে তার মধ্যে থেকে একজনকে বাইরের পৃথিবীতে ছেড়ে দেয়া হলো। সূর্য্যের আলো চোখের ওপর পড়তেই কিশোরটি অস্বস্তিতে ভুগতে থাকবে। প্রথম প্রথম মনে হবে তার মনিকোঠর পুড়ে যাচ্ছে, কপাল খারাপ থাকলে সূর্য্যের আলোর দিকে বেশীক্ষন চেয়ে থাকার ফলে তার কর্নিয়া পুড়ে চিরঅন্ধত্বের শিকার হবে। এমনকি কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলে রড কনের কিছু অংশ জ্বলে বর্নান্ধ বরন করে নিতে পারে। সূর্য থেকে চোখে সরিয়ে চারপাশে জলজ্যান্ত মানুষ দেখলে ভীনগ্রহবাসী বলে ঠাউড়াবে কারন গুহায় সে এরকম মানুষের প্রতিকৃতিই শুধু দেখেছিলো। তার শেষ ধাক্কাটা আসবে আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে।

গুহাতে বসবাস করা কালীন তাকে কোনো কাজ করতে হয়নি। সময় মতো খাবার পেয়েছে, ক্লান্তি লাগলেও এক জায়গায় বসেই তার অভ্যস্ততা গড়ে উঠেছে। কিন্তূ বাইরের পৃথিবীতে তাকে শ্রম করতে হবে, খাদ্যের জন্য উপার্জন করতে হবে যে ব্যাপারটা তার কাছে সম্পূর্নই অজানা। সে এসব সহ্য করতে না পেরে গুহাতেই ফিরে আসবে। তখন গুহাটাই তার কাছে স্বর্গ মনে হবে।

শিশুবয়সে যখন মাদ্রাসাতে ভর্তি হলাম তখন আমাদের শেখানো হয়েছিলো পশ্চিমা বিশ্বে প্রচুর অশান্তি বিরাজ করছে। তারা নিঃসঙ্গ, নিঃসঙ্গতার ভয়াবহতার কারনে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যখন বৃদ্ধ হয় তখন ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি কেউ তার পাশে থাকে না। নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্বের ভয়াবহতা একজন শিশুর থেকে কেউ বেশী জানে না। কারন এসব শিশুরা অন্ধকার ঘরে একা হলে সামান্য শব্দেও চমকে উঠে। তার ওপর সবার মুখে মুখে শোনা দৈত্য দানো ভুত প্রেত শয়তানের গল্প তাকে আরো ভয় পাইয়ে দেয়। সে সুত্রে পশ্চিমা বিশ্বের এসব নির্মম নিঃসঙ্গতার গল্প আমাদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিলো। তখন আমরা নিজেদের দুঃসহ স্মৃতির সাথে সেগুলোকে মেলাতে পারতাম। সীমাহীন ব্যাভিচার, হারাম খাবার, এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের গল্প শুনিয়ে মনের মধ্যে ঘৃনার চাষাবাদ করিয়েছিলো বলেই মনে হতো নিজের দেশ বাবা মা এর ওপর আর কিছু নেই। তখন বাংলাদেশে যৌথ পরিবারের চল ছিলো যদিও শহুরে প্রেক্ষাপটে যৌথ পরিবারের ধারনা আস্তে আস্তে ভেঙ্গে যাচ্ছিলো। ২০০০ সালের পর ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার আমাদের মননশীল ধারনাতে একটা ব্যাপক পরিবর্তন আনে। সক্রেটিসের গুহা এক্সেপেরিমেন্টের কনসেপ্ট অনেকটা ভেঙ্গে পড়ে। সে সময় জাফর ইকবাল সাহেবের একটা ক্যাম্পেইন ছিলো তথ্যের স হজলভ্যতা। যার কাছে তথ্য আছে সেই রাজা। যদিও এসব গুঢ় কথা মাথায় তেমন খেলতো না। আস্তে আস্তে চাকুরিজীবন শুরু হলে, বাইরের জগৎ সম্পর্কে ধারনা পেতে শুরু করি এবং ছোটবেলায় শেখা সেসব ভয়, কল্পকথা, সত্যকথনের নামে একটা ইউটোপীয়ান রাজ্যের লোভ তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে।

এটা শুধু আমার ক্ষেত্রেই হয়নি, সবার ক্ষেত্রেই হয়েছে। যারা সাহস করেছে, তারা নিজেদের পাল্টাতে পেরেছে। যাদের সাহস হয়নি তারা সেই ভয় নিয়েই থেকে গেছে।

প্লেটোর ছাত্র এ্যারিস্টটলকে(এখানে আমি একটা ভুল করেছিলাম। লিখেছিলাম সক্রেটিসের ছাত্র। ভুলটা কেন করলাম জানি না তবে ব্লগার দজিয়েব সাহেবকে ধন্যবাদ এটা ধরিয়ে দেবার জন্য) আমার কখনোই ভালা মানুষ মনে হয়নি। সে ছিলো প্রচন্ড জাত্যাভিমানী। তার ছাত্র আলেক্সান্ডারকে শিখিয়েছিলেন গ্রীকরা হলো সবচে উচুজাতের এবং তাদের জন্মই হয়েছে শাসন করার জন্য। আলেক্সান্ডার বড় হয়ে দেখলেন আসলেই তাই। গ্রীকরা আসলেই উচুজাতের। তাদের চিন্তাভাবনার ব্যাপ্তি শাসন করার জন্য, প্রজা হয়ে নয়। শুরু হয় গনহত্যার নামে রাজ্য জয়ের নেশা। সেই নেশা তাকে খুব বেশী দিন বাঁচতে দেয়নি। ভারতবর্ষে এসে সামান্য জ্বরে তার মৃত্যু হয় অল্প বয়সেই। এ্যারিস্টটল গ্রীক থেকে চলে আসেন, একটা স্কুল খুলে সেখানে তার দর্শনের প্রচার করতে শুরু করেন। বলা হয়ে থাকে ইসলামী দার্শনিকদের সকলেই এ্যারিস্টটলের বস্তুবাদী দর্শন ও মেটাফিজিক্স দ্বারা প্রভাবিত। সেজন্যই তাদের মধ্যে ইসলামবিরোধী কথা বার্তা বা কাজের পরিচয় পাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে ইসলামি মুক্তচিন্তাবিদ আভিরুশের মৃত্যুর পর ইসলামিক স্বর্ন যুগের সমাপ্তির শুরু। তখন ইসলামী রাজ্যগুলো একে একে হাত ছাড়া হয়ে সেই যুগের পরিমাপ্তি ঘটে। আভিরুশের চিন্তাভাবনার পুরোটাই জুড়ে ছিলো এ্যারিস্টটল টলেমির মতো দার্শনিকের ভাবাদর্শ।

আলেক্সান্ডারের মৃত্যুর পর এ্যারিস্টটলের দর্শনে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এটা একটা ধাক্কা হিসেবে ধরে নিলে এ্যারিস্টটলের চিন্তার জন্য কিছু নতুন তথ্যের সমন্বয় হয়েছে। আপনার ভাবনার গন্ডি নির্দিস্ট কিছু বই বা ভৌগলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে ব্যাপ্তি লাভ করে তখন আপনার মধ্যে পরিবর্তন আসবেই। নিজের মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষেদ, ভয়, দুর্ভাবনা গুলো দূর হয়ে আপনি তখন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অনেকটা কম্পিউটারের এআই এর মতো। এ্যালগরিদম তাকে সিদ্ধান্তে উপনীত হবার ক্ষমতা দিয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হলে তার দরকার সে সম্পর্কিত বিশাল ডাটাবেজ । ডাটাবেজে চোখ বুলানো শুরু হবার সাথে সাথেই তার সিদ্ধান্ত নেবার শক্তি জন্ম নেবে। যতবড় ডাটাবেজ তত নিখুত হবে সিদ্ধান্তের ক্ষমতা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ডাটাবেজসমূহ স্বয়ংক্রিয় ভাবেই মেশিন লার্নিং বা সেন্সর থেকে নিতে পারে অথবা আপনি তাকে ম্যানুয়ালী দিতে পারেন।

মানুষ হিসেবে আপনিও পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সে সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন যদিও তার ব্যাপ্তি ব্যাপক। একটা ছোট্ট উদাহরন দেই, ভদ্রলোক রাশিয়ান। পিএইচডি করেছেন ইতিহাসের ওপর। রাস্তার ওপর এক বেদুইনকে ভিক্ষা করতে দেখে আক্ষেপ শুরু করে দিলো," এই যে এত ধনী মানুষ রোলস রয়েস, ফেরারী গাড়ি চালাচ্ছে, বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো কামাচ্ছে। কিছু টাকা এদেরকে যদি দিয়ে দিতো তাহলে কি সমস্যা হতো?" আমি কৌতুকদৃষ্টিতে তাকালাম,"তুমি কিছু দিয়ে দিলেই তো পারো।" আমাকে অবাক করে দিয়ে পকেটে যত খুচরা পয়সা, ইউরো দিলো সব তাকে দিয়ে দিলো,"শান্তি পেয়েছো? মনে কি হয় তার এই সমস্যার সমাধান হবে?"

সে প্রচন্ড বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ হলো,"কি বলতে চাও তুমি? তোমার কি মনে হয় ওকে সাহায্য করে ভুল করেছি?"
: না, ভুল কখনোই করোনি। কিন্তু এতে তার সমস্যারও সমাধান হবে না।
: তাহলে তুমি কি প্রপোজ করো?
: ধরা যাক দেশের সকল ব্যাংকে ৮৩ বিলিয়ন ইউরো জমা আছে। অনেক টাকা মনে হচ্ছে তাই না? আর দেশে জনসংখ্যা আছে ১ কোটি। তুমি সবাইকে এই টাকাটা সমভাবে বন্টন করলে। সবাই কত করে পাবে?
: ৮৩০০ ইউরো
: এখন এই টাকা যখনই জনগনের হাতে যাবে তাদের খুব বেশী হলে চলবে মাত্র ৮ মাস। এরপর তাদের হাত শূন্য। ততদিন সরকারের পতন ঘটবে। সরকার কোনো উন্নয়ন করতে পারবে না। অফিস আদালত কার্যত অচল। একজন কৃষকের কাছে প্রচুর আঙ্গুর আছে কিন্তু সে ধান কিনতে পারছে না। যার কাছে ধান আছে সে ওষুধ কিনতে পারছে না। পুরো দেশটা ৮ মাস পর ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষ জন আদিম অবস্হায় ফিরে যাবে। বুঝতে পেরেছো ব্যাপারটা কত ভয়াবহ?
: তা পেরেছি।
: যখন বিদ্যুৎ নেই, পানি স্বাস্থ্যসেবা এমনকি প্রশাসনিক স্থবিরতা দেখা যাবে তখন অপরাধ চরমে পৌছুবে। সমাজে অবক্ষয় গৃহযুদ্ধ নামের একটা মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে তোমার এই সাম্যবাদী চিন্তা সুফল বয়ে আনছে না। কিন্তু সেখানে যদি কল্যানমূলক রাস্ট্র গঠন করো, এবং সেই রাস্ট্রে মানুষের মেধা ও শ্রমের ভিত্তিতে সম্পদের বন্টন চালু করো তাহলে তো সমস্যাটা মিটে যাচ্ছে ঠিক?
: হ্যা, তাই।
: এবং এটা করার জন্যই পুজিবাদের একটা শক্ত ভীত দরকার। এই যে বেদুইন সে যদি তার যৌবনে মদ জুয়াতে সময় নষ্ট না করতো, সরকারকে নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে নিজের কিছু পুজি দিয়ে কিছু করতো তাহলে কি আজ তার এই দিন দেখতে হতো? আজ পুজিবাদ আছে বলেই একজন আর্টিস্ট তার জলরং কোনো শৌখিন শিল্পনুরাগীর কাছে ভালো মূল্যে বিকিয়ে তার মেধার মূল্যায়ন পাচ্ছে। অথবা একজন গায়ক..অথবা তোমার মতো ইতিহাসবিদ। কিছু মনে করবে না, একজন প্রোগ্রামার বা ইন্জিনিয়ার যে পরিমান গঠনমূলক এবং অর্থকরী কাজ করে, যখন পুরো পৃথিবী সাম্যবাদের সুষম বন্টনের নীতিতে চলতে শুরু করবে তখন কি হবে? তুমি হয়তো ইতিহাস নিয়ে পড়তে না, হতে একজন ছুতার।
: কিন্তু তোমার পুজিবাদ থাকা সত্বেও এখনো অনেক মানুষ না খেয়ে মরে।
: অবশ্যই মরে। এবং সেটা দুঃখজনক। তোমার হাতে যদি অগাধ টাকা থাকে তাহলে তুমি কি চাকুরী করতে? এই যে সমাজ গঠনে তোমার অবদান সেটা কি পাওয়া যেতো? ফিনল্যান্ড সুইডেন আমেরিকা কানাডা ভারত ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম চালু করেছে। কেনিয়ার মতো দেশে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এটা চালু করা হয়েছিলো। শর্ট টার্মে দেখা যায় তাদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায় কিন্তু লং টার্মে এটা কমে যায় (বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তাদের মতো), তারা তাদের সন্তানদেরকে আরো ভালো শিক্ষার দিকে মন দিতে পারেন।মানসিক প্রফুল্লতার কারনে চিকিৎসা খরচ কমে। যদিও এটা একটা টেস্ট কেস কিন্তু লং টার্মের এফেক্ট বলা যাচ্ছে না। এখন আবার ফিরে আসি তোমার কথায় যদি সবাইকেই আমরা সমানভাবে সম্পদের সুষম বন্টন করি এবং ধরে নিলাম সরকার টিকে থাকবে তখন কি হবে?
: কি হবে?
: তখন দেখা যাবে সবাই ব্যাবসা করছি। সবাই একরকম জিনিস তৈরী করলে তাতে কোনো উন্নয়ন বা আবিস্কার থাকবে না। একজন অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত মানুষ যে জিনিস বানাচ্ছে একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষও সেটা বানাচ্ছে। তার মানে শিক্ষা এখানে মূল্যহীন। শিক্ষাব্যবস্থার সমাপ্তি ঘটবে। শৈল্পিক কাজে যারা নিয়োজিত তারা কর্মহীন পয়ে পড়বেন কারন পুরো পৃথিবী হয়ে যাবে মেধার অনুপস্থিতি বা নতুনত্ব তৈরীর স্পৃহা। কিন্তু সেটা সম্ভব না। মানুষ নতুন অভিনব জিনিস তৈরী করবে। তখন স্বল্প সংখ্যক লোক অভিনব জিনিস দিয়ে মিলিয়নিয়ার থেকে বিলিয়োনিয়ার হয়ে যাবে এবং যারা ধরা খাবে তারা হয়ে যাবে নিঃস্ব। তাহলে আমরা ফিরে যাচ্ছি সেই একই পুজিবাদী অবস্থায় কিন্তু তখন আর সরকারের রেগুলেশন নাই বা রেগুলেশন থাকলেও সেটা হবে অন্যায়। এইজন্যই তোমাদের দেশের সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদ টিকেনি। এই কনসেপ্টের গোড়াতেই গলদ।
: আচ্ছা বুঝলাম। এখন উঠি, কাজ আছে।

আমি জানি তার কোনো কাজ নেই। যখন কোনো কট্টর জাতীয়তাবাদী মানুষ লাগসই সমালোচনার শিকার হয় তখন সেটা স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না।

কিন্তু আমরা যদি এই প্রহেলিকা পূর্ন এবং অজানা বিষয় সম্পর্কে কিছু তথ্য আহরন করি এবং সেই তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে যাচাই বাছাই করি তাহলেই সক্রেটিসের গুহাতত্বকে ভুল প্রমানিত করতে পারবো নতুবা আমরা সেই অন্ধকার তিমিরেই থেকে যাব।

হ্যাপী ব্লগিং

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৭

বলেছেন: একটা উদাহরনের সাথে আরেকটার কি মিল বুঝাতে চেয়েছেন!!!

দশ তালা থেকে ঝাপ
গুহায় বাস
সমাজতান্ত্রিক জীবনধারা
পুঁজিবাদ
একসুতোয় মিয়ে আসার চেষ্টা!!
আবার পড়েন।।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমরা আমাদের কমফোর্ট জোন থেকে বের হতে চাই না বরংচ কুয়োর ব্যাঙ হয়েই থাকতে চেস্টা করি। এর ফলাফল কখনোই সুবিধাজনক হয় না। আপাত সুফল পেলে দীর্ঘ সময়ে তা ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। এজন্যই পরিবর্তনশীল বিশ্বে আমরা প্রতিনিয়ত নিজেদের ভাঙ্গা আর গড়ি। এটা ব্যাক্তিগত জীবনে যেমন সত্য তেমনি সত্য আমাদের আর্থ সামাজিক এবং ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও। সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদ একসময় সবার মন জয় করলেও এর মূল ভিত্তিতে খুব সহজ একটা ভুল থাকায় এর ধ্বংস এড়ানো যায় নি। পুঁজিবাদ এই সমাজের নিয়তি কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদও ক্ষতির কারন হয়। তাই নরডিক দেশগুলো সমাজতান্ত্রিক পুজিবাদের হেজেমনি তাদেরকে কল্যাণমূলক রাস্ট্রে পরিনত করেছে।

প্রশ্ন থাকতে পারে কল্যাণমূলক রাস্ট্র তো পেলাম কল্যান মূলক বিশ্ব কি সম্ভব? সম্ভাব্য উত্তর পোস্টেই।

খোলাসা করিনি কারন আমি দেখতে চেয়েছি কে কতদূর তাদের মাথা খাটান। পাঠকের মাথা খাটানো ও অংশগ্রহণ মূলক আলোচনা আমার পছন্দের

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩১

রাকু হাসান বলেছেন:

দারুণ ! এসেই আপনার পোস্ট ফেলাম কিছু না ভেবেই পড়ে ফেললাম । কিছু চিন্তার খোরাকও যেন পেলাম পোস্টের মাধ্যমে । বিশেষ করে এরিস্টটল ও তার ছাত্রের ব্যাপারটা । আমি এমনটা করে ভাবিনি কোনো দিন । ইতিবাচক ভাবেই ভেবে আসছিলাম । অভিনন্দন ও ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য । শুভকামনা । হ্যাপি ব্লগিং

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। একটা কথা না বললেই নয় যে পাঠ্যপুস্তকে আমরা এমন বিষয় পড়ি যার প্রয়োজনীয়তা আমরা কখনো অনুভব করি না। এজন্য আমরা অনেকেই ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ইউটোপিয়ান মিথ্যা কুহেলিকার পিছনে সময় নস্ট করি করলো কখনো কখনো নিজের অজ্ঞতাপূর্ন বিশ্বাসের কারনে ধ্বংস বা অবক্ষয়ের কারন হয়ে দাড়াই। অথচ নিজের এইযে অজ্ঞতা এটা দূর করবার জন্য যে জ্ঞানের দরকার সে জ্ঞানের আধার এখন বেশ সস্তা সহজলভ্যতা। তাই মনে হয় অজ্ঞ হওয়া শুধুই একটা অপরাধ এবং এক গুরুতর শাস্তির প্রয়োজন

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সক্রেটিস ঠিক কথাই বলেছেন- আমরা ভালো মানুষ হতে পারিনি।
সুন্দর লিখেছেন। পোষ্ট পড়ে একটুও বিরক্ত লাগেনি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি ভালো হয়েছেন তো?

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩২

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
আমি কিন্তু বুঝেছি। পোস্টের সামগ্রিকতা। আপনাকে তো অনেক মিস করেছিলাম। কেন যে মডুরা আপনাকে মাঝেমধ্যে গুহায় পাঠাই দেয়।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নিজের অজ্ঞতাপূর্ন বিশ্বাস ধরে রাখার জন্য মানুষ শফি কুকুরের মতো হারামজাদা টাইপের লোকজনের সাথে হাত মেলায়। অথচ আমরা সবাই জানি শফি কুকুর আর তার জঙ্গি অনুসারীরা রক্তের জন্য ছুটে আসবে, তাদের পদলেহন যতই করেন আপনি ছাড় পাবেন না। কারন তাদের মতাদর্শ এটাই শেখায় যেটা আপনি বিশ্বাস করতে ভয় পান অথবা আপনি অজ্ঞ।

হ্যাপি ব্লগিং। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আব‌ারও পড়‌তে হ‌বে। একবার প‌ড়ে ঠিক বু‌ঝে উঠ‌তে পার‌ছি না। অ‌নেক দিন পর আপনার পোস্ট পেলাম। ম‌নে হয়, খুব কা‌জের চাপ যা‌চ্ছে আপনারভ

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আব‌ারও পড়‌তে হ‌বে। একবার প‌ড়ে ঠিক বু‌ঝে উঠ‌তে পার‌ছি না। অ‌নেক দিন পর আপনার পোস্ট পেলাম। ম‌নে হয়, খুব কা‌জের চাপ যা‌চ্ছে আপনারভ

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিজি কাজে কর্মে ছিলাম না, একটু ঘুরলাম। ছুটিটা নিজের মতো করে কাটালাম।

আপনার প্রজেক্ট কেমন চলছে? আশা করি হাল ছাড়বেন না!!

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে কোনো ভালো লেখা পড়লাম। আমি বনিক মানুষ বানিজ্য বুঝি আর বুঝি ভোক্তা। আপনার লেখায় +++

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যখন কোনো দেশের অর্থনীতি প্রাইভেট সেক্টরের ওপর ঝুকে পড়ে তখন সেটা পুজিবাদের অংশ হয়ে যায়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেমের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রাইভেট সেক্টরের এবং যত ব্যাক্তি বা কর্পোরেট মালিকানাধিন মিল কারখানা সেবাখাত আছে তার ৮০ শতাংশ এই ব্যাংকিং সেক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরি পুজিবাদী অর্থনীতির ওপর বসবাস করছি। যতদূর জানি আপনি এক্সপোর্ট ইমপোর্টের সাথে জড়িত। আপনার ভালো জানার কথা দেশের রপ্তানী সেক্টরের সিংহভাগ প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে চলে বলেই দেশ আজ দুটো টাকার মুখ দেখছে। যদি সেটা সরকারী বা পাবলিক সেক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো তাহলে আপনারা তাদের অদক্ষতার কারনে মাথা তুলে দাড়াতে পারতেন?

আমার মনে হয় যারা পুঁজিবাদকে উঠতে বসতে গালি দেন তাদের জন্য আপনি ভালো উদাহরন হতে পারেন।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭

সুমন কর বলেছেন: হুম, বুঝলাম। আচ্ছা উঠি............এতো চিন্তা কইরেন না !! মাথা নষ্ট হয়ে যাবে।
ভালো পোস্ট। +।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিগত দশ বছরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ সাহেব শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু সফলতা অর্জন করলেও শিক্ষার মান তলানীতে নামিয়ে দিয়েছেন। তার সময়কাল এ জন্যই কালযুগ বলবো দেশের শিক্ষাব্যাবস্থার গভীরে মধ্যযুগীয় জঙ্গি মৌলবাদ ঢুকিয়ে দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের চিন্তাশীল মনন ধ্বংস করে দিয়েছেন। এরা না পারে কোনো সুস্থ বিতর্ক করতে না পারে লব্ধ জ্ঞান দিয়ে কোনো কিছুকে বাস্তবতার আলোকে নিরপেক্ষ বিচার করতে।

এই পঙ্গুত্বের ভার আমাদের বহু দিন বইতে হবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হ্যাপী ব্লগিং

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি আমদানীকারক ও ট্রেডার। কমিউনিষ্ট চিন্তা পুঁজিবাদীদের পক্ষে কাজ করে না। কমিউনিষ্ট ও কওমি সম্ভবত একই মতবাদ। কমিউনিষ্ট ও কওমিরা পুঁজিবাদীদের হিংসা করেন, আর পুঁজিবাদীরা কমিউনিষ্ট ও কওমিদের নর্দমার কীট মনে করে ঘৃণা করেন।

তবে কিছু ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান আছে যাদের পুঁজিবাদী বলে সম্মান করা যায় না, বাংলাদেশে তাদের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান “প্রাণ আরএফএল” একটি প্রতিষ্ঠান সকল ব্যাবসা করতে পারে না, সীমা অতিক্রম কাকে বলে তার পরিচয় প্রাণ আরএফএল! ডিসিসিআই, এফবিসিসিআই বা সরকারী কোনো অনুষ্ঠানে তাদের পরিচালকদের সাথে অন্য কোনো প্রতিষ্টানের পরিচালক কথা বলতে পছন্দ করেন না - এর চেয়ে অপমান আর কিইবা হতে পারে।

***ব্লগে তর্ক বিতর্ক হয় আপনার সাথেও হয়েছে, দয়াকারে মনে রাখবেন না। আমি নাস্তিক নই, তবে ধর্মান্ধ ও নই, তথাকথিত পরিচিত ধর্মে আমি অনেক এগিয়ে, শ্রষ্টা একজন আছেন তবে তিনি প্রচারিত ধর্মের শ্রষ্টা না, তার স্থান অনেক উপরে - তার ধর্ম
প্রচারে তিনি রক্ত চাইবেন না।


১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কওমী তথা ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে একটা পোস্টে বিষদভাবে দেখিয়েছিলাম যে আমরা মুখে যতই ইসলামী অর্থনীতি বা সুদমুক্ত সমাজের মূলা ঝুলাই না কেন আদতে এটা পুরো সুদী অর্থনীতির কপিপেস্ট। ইসলামিক ডেভেলপম্যান্ট ব্যাংকের এক ম্যানেজার বলেছিলেন যখনই পশ্চিমারা ব্যাংকিং সিস্টেমে নতুন কিছু যুক্ত করে তারা সেটা ইসলামিক ব্যাংকিং এও যুক্ত করে এবং সেটা করার আগে তাদের লিস্টে থাকা মোল্লাদের কাছে পাঠায়। যারা প্রভাবশালী তাদেরকে মাথা প্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার দিলেই তারা সেটার ওপর ফতোয়া জারী করে হালাল করে দেয়।

হিংসা থাকাটা এসব ভ্রান্ত এবং নড়বড়ে মতবাদের জন্য জরুরী কারন এটা আছে বলেই এসব মতাদর্শের অন্ধ অনুসারীরা সে সেবা গ্রহন করবে। এটা হলো তারা বেশ্যাবৃত্তী করবেন কিন্তু পর্দা পড়িয়ে।

কিন্তু ভ্রান্ত মতাদর্শ যে বেশীদিন টিকে না সেটার বড় প্রমান মধ্যপ্রাচ্যের চলমান তীব্র অর্থনৈতিক সংকট যেটা তারা তেল বিক্রি করেও পোষাতে পারছে না।

আরএফএলের ব্যাপারটা জানি না, তবে এত বড় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে তার পতন একসময় হবেই। এটা সময়ের ব্যাপার। পুজিবাদে লাগাম না দিলে অথবা দুর্নীতি করলে সেটার পতন অবশ্যম্ভাবী। আমেরিকার মতো শক্তিশালী পুজিবাদী দেশের যেখানে ধ্বস নেমেছে সেখানে বাংলাদেশ তো চুনোপুটি।

আর বিতর্কের বিষয়ে আমি মাইন্ড করিনি। যতদূর মনে পড়ে আপনার সাথে আমর বিতর্কের বিষয় ছিলো বাংলাদেশ পুলিশ নিয়ে। একজন সাবেক পুলিশ অফিসার হিসেবে আপনার ব্যাপারটা আমি বুঝি। আসলে মাঝে মাঝে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি।

কটুকথার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

হ্যাপী ব্লগিং

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৭

সোহানী বলেছেন: চমৎকার ভাবনা। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু!!! এসব নিয়ে চিন্তা করার মতো মেধা, মগজ, সময়, ইচ্ছা কিছুই নেই ওই লেভেলের মানুষদের। ধরুন একটা দেশ আগামী ৫০ বছর পর কোথায় যেয়ে দাঁড়াবে তার ক্যালকুলেশানটা এখনই করতে হবে। তা কি কেউ করে?? ৫০ বছর জাহান্নামে যাক, ৫ বছর, ২ বছর বা ১ বছর?? নাহ্, সবাই ব্যাস্ত ব্যাক্তিগত পুজিঁবাদ নিয়ে..... কোন প্রজেক্ট দিলে বেশী লাভ, কে বসবে কেনাকাটা পোস্টে, কত মুনাফা, কত লাভ!!! চলছে সে চক্র দিনের পর দিন। দু কদম ব্লগ লিখে বা কিছু ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আমার আপনার মতো নাদান পাবলিকগুলা মাঝে মাঝে চারপাশ গরম রাখার চেস্টা করি এই যা.......।

অনেক ভালো থাকেন, চমৎকার লেখনি চালিয়ে যান কেউ পড়লি কি পড়লো না সেটা বড় বিষয় নয় ;)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি মনে হয় এ নিয়ে তিনটি কমেন্ট করলেন আমার ব্লগে এবং আমি সত্যিই খুশিতে গদ গদ।

আপনার ভালো লেগেছে শুনে মনে হচ্ছে আরেকটা কিছু লিখে ফেলি। এই লেখাটা অনেক আগে ড্রাফট করা ছিলো আরো অনেক গুলো পোস্টের সাথে। কাল একটু ঘষামাজা করে পোস্ট করলাম।

আপনার ভালো লেগেছে শুনে সত্যি ভালো লাগছে।

ভালো থাকবেন সবসময়

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৬

রাফা বলেছেন: খাচার পাখি আর মুক্ত বিহঙ্গের মধ্যে পার্থক্য‘তো থাকবেই।পুজিবাদি সমাজের পক্ষের জন্য উৎকৃষ্ট লেখা।সবকিছু ঠিক থাকবে তখনি ,যখন এর সাথে মুল্যবোধ ও মানবিকতা যোগ হবে।অন্যথায় সবকিছু অন্তঃসারশুণ্য হয়ে যায়।

আমিও এর পক্ষেরই একজন। মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতেই অর্জিত হয় সফলতা।এখানে সম-বন্টনের প্রাসাঙ্গিকতা আছে বলে মনে করিনা।

ভলো লিখেছেন,উ.স্বপ্ন ।ধন্যবাদ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মূল্যবোধ ও মানবিকতার ব্যাপারটা এখন কেমন যেনো মেকি মনে হয়। কেউ দুই পয়সা দিয়ে মানবিকতা ফেসবুকে না ইন্সটাতে দেখানোর জন্য করে। তখন আমি এক অদ্ভুত ডাইলেমায় ভুগি এটা ভেবে যে সে কি মানুষকে শো করছে নাকি সবাইকে অনুপ্রানিত হচ্ছে।

যেখানে চারিদিকে নৈতিক অবক্ষয় আর জঙ্গিবাদের ছড়াছড়ি সেখানে মূল্যবোধ নিয়ে ভাবে না, মানবিকতা হয়ে যায় সিলেক্টিভ কোনো গ্রুপের জন্য। একজন সত্যিকারের মানুষের মধ্যে এসব গুন থাকা উচিত নয়।

সত্যিকারের মানুষ পাবোই বা কিভাবে, যেখানে ছোটবেলা থেকেই পাঠ্যপুস্তকে এমন বৈষম্যমূলক মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাথে সামন্জস্য রেখে ক্ষতিকারক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে সেখানে কিছু আশা করাই বৃথা!

এরকম হবার কথা কখনোই ছিলো না।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সমবন্টন তথা কমিউনিষ্ট ও কওমি মতবাদ প্রচলন ছিলো আছে থাকবে, কারণ তাদের নেই আর আপনার আছে এবং যা আপনি অর্জন করেছেন তাতে তাদের “হক” আছে !!! মধ্যযুগিয় বর্বরতা এখোনো আছে ভিন্ন নামে ভিন্ন প্যাকেটে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কতদিন টিকে থাকে সেটাই দেখার বিষয়। আলীর মতো নির্মম পরিনতি যে হবে না সেটাও কেউ বলতে পারে না। পতন খুব সন্নিকটে। কম্যুনিজম ক্যাপিটালিজমের সাথে মিশে এখন স হায়ক শক্তি হিসেবে টিকে আছে। বিবর্তনের ধারা বলা যেতে পারে। কওমীরা বিবর্তিত হতে জানে না, জানে ধ্বংসাত্মক গোড়ামী করতে যেটা তাদের শেষ অস্ত্র হতে পারে। কওমীর নিয়তি এজন্যই ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে আমার

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৬

রাফা বলেছেন: ঐটা আপনার দেখার দৃষ্টিভঙ্গি। কেউ যদি জানিয়ে বা ফলাও করার জন্য হলেও মানবিকতা বা সমাজ সেবা করে সেটাকে নেগেটিভ সেন্সে দেখা ঠিক নয়।আখেরে তবুও উনি কিছুটা হলেও অবদান রাখছেন।এক সময় এটা তার অভ্যাসে পরিনত হতেই পারে।

এর বিপরীত চিত্রও আছে আমাদের সমাজে।আপনার দেখার দৃষ্টির সিমাবদ্ধতাও আছে।অবক্ষয় না ঘটার প্রাথমিক শিক্ষাটা‘তো পরিবার থেকেই শুরু করতে হয়।

পরিবর্তন হঠাৎ করে ঘটেনা।ধীরে ধীরে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তন সাধিত হয়। ২০ বছর পুর্বের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়।আজকের চিত্রটা মনের মধ্যে একেঁ রাখেন ।২০ বছর পরের বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে নিবেন।তখন হয়তো আপনার ধারনা বদলে যাবে।

যা হয়নি বা ঘটেনি আগামির বাংলাদেশে আমি এখনই তা দেখতে পাচ্ছি।আমি আমার দেশ নিয়ে আরো বেশি গৌরভান্নিত হব নিশ্চিত।

ধন্যবাদ,আপনার প্রতি উত্তরের জন্য।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একসময় আমরা ভেবেছিলাম গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা সুসংগঠিত হলে ছাত্র রাজনীতি থেকে ছেলে পেলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই ফিরে আসবে। কিন্তু আমরা এখন দেখছি জাতীয় ভাবে স্কুলের গন্ডিতেও ছাত্র রাজনীতি ঢুকিয়ে দেয়া হলো যেটা হিতে বিপরীত হলো। আমাদের সময় স্কুলের গন্ডিতে ছাত্ররাজনীতি না থাকলেও বখে যাওয়া পোলাপানের দু একটা গ্যাং থাকতো যারা এলাকা ভিত্তিক নেতাদের দখলদারীত্বের স হায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু জাতীয় ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু হওয়াতে এখন সেই গ্যাং এর পরিমান আগের চেয়ে ব হুগুন। এখন একই এলাকাতে বিভিন্ন গ্রুপ এবং ভার্সিটি ও যুব রাজনীতির একচ্ছত্র আধিপত্য বাড়াতে একেক নেতার একেক গ্রুপ। কিছুদিন আগেও পত্র পত্রিকাতে এনিয়ে বেশ লেখা লেখি হলো।

তার চেয়ে বড় সমস্যা হলো এসব গ্যাং থেকে যারা গা বাচিয়ে বই এর মধ্যে মুখ গুজে কিছু শেখার চেস্টা করবে তারা শিখছে কিশোরী মেয়ে কিভাবে ধর্ষনের হাত থেকে বাচতে পর্দানশীল কাপড় চোপড় পড়বে যেটা কিনা সবাইকে স্কেপগোটিং ফ্যালাসী শেখানো হচ্ছে। যারা বইটি প্রনয়ন করছেন হয় তারা দর্শন শাস্ত্রের যুক্তিবিদ্যা বোঝেননি অথবা সমাজবিজ্ঞানীদের মনোলগ বা ডিসকোর্স সম্বন্ধে ন্যুনতম ধারনা নাই। আবার অনেক বইতে মেয়েদের মাসিক ও যৌনক্রিয়ার সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ পুরোটাই বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের সময় গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও অর্থনীতির জন্য আলাদা একটা বই ছিলো যেটা খুবই তথ্য সমৃদ্ধ ছিলো এবং মেয়েদেরকে এটা গুরুত্ব স হকারে ক্লাস ৭/৮ এ পড়ানোর পর এটা ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে নেয়া যেতো।

ছোটদের মধ্যে যেকোনো শিক্ষাই একসময় বাটারফ্লাই এফেক্ট হিসেবে কাজ করে। জাফর ইকবালের সৃজনশীল শিক্ষা ব্যাবস্থা ছিলো পুরোপুরি বিজ্ঞানধর্মী কিন্তু আমলারা সেটা পুরোপুরি ধর্মীয় পর্যায়ে নিয়ে হেজেমনির মতো অবস্থার সৃষ্টি করলেন এবং প্রত্যেকটা প্রশ্নেই কজালিটির সাথে ফলাফল মিল নেই বা যুক্তির বদলে ফ্যালাসীর ছড়াছড়ি।

তবে হ্যা, ফলাফল কিছু ভালো আসছে। আগে আমরা মাস্টার্সের জন্য হার্ভার্ড অক্সফোর্ড এমআইটির কথা চিন্তা করতাম কিন্তু এখন ছেলে পেলে ইন্টার পাশ করেই আইভি লীগে স্কলারশীপ পাচ্ছে যার মূল কারন জাতীয় গনিত ফিজিক্স অলিম্পিয়াড। যদিও এই সংখ্যাটা অপ্রতুল।

সাফল্য আছে এটা অস্বীকার করবো না, কিন্তু যদি ভিত্তিটাই বিষাক্ত করা ফেলা হয় তাহলে সামগ্রীক দিক থেকে মোটা দাগে একটা জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার সামিল। আজকে একটা খবর দেখলাম এবং এটা পড়ে কিছুক্ষন তাজ্জুব হয়ে বসে রইলাম যে জঙ্গি গুলো এত বড় সাহস পেলো কিভাবে?

এটা আমার অভিমত। তবে হ্যা, আগামীতে বাংলাদেশে পরিবর্তন আসবে। সেটা যদি জঙ্গি বা জলপাই বাহিনী হাইজ্যাক করে নিয়ে যায় তাহলে পরিবর্তনটা বর্তমান সিরিয়া বা আফগানিস্তান হয়ে যাবে। সেদিন পিউ রিসার্চে পেলায বাংলাদেশের ৮২ শতাংশ লোক শরীয়া আইন চায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের কৃতিত্বটা এখানেই এবং ভয়টা আমার এখানেই

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:২৬

শেখ মিজান বলেছেন: এক কথায়- দারুণ !

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রজেক্ট চলছে। হাল ছাড়ছি না। শেষ দেখে নেব। তার পর আবার নতুন করে হাল ধরবো।
কখনো হাল ছাড়তে নেই।

উৎসাহিত করার জন্য সীমাহীন কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন সব সময়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভ কামনা

১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার ১৮-০১-২০১৯ আজকের লেখা “আবারো বিতর্কে আল্লামা শফি (দা. বা.) ব্রিটল বিস্কুট খাইতে খাইতে যায় বেলা, তাঁকে কেউ দুইটা বিস্কুট কিনে দিন।” - লেখাটি আপনাকে উৎসর্গ করা, আর অনুরোধ করছি বর্তমানের অন্ধকার যুগ ও ক্রান্তিকাল সম্পর্কে কিছু লিখবেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি সত্যি সম্মানিত অনুভব করছি কিন্তু কমেন্ট ব্যান এ আছি। অন্ধকার যুগ নিয়ে আসলেই লেখার ইচ্ছা এবং এখানে আমি কিছু মানুষের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের অনুরোধ ছিলো অন্ধকার দূর করার জন্য যেমন আলো দরকার সেহেতু এই মিথ্যা ভ্রান্ত কুৎসিত মতবাদ দূর করতে দরকার বিজ্ঞান ও যুক্তি।

অবশ্যই লেখবো, যতক্ষন না আমার আইডি গায়েব হচ্ছে এই ব্লগে এসব নিয়ে লেখালেখি বন্ধ হবে না। অন্তত যতদিন আইডিটা আছে ততদিন এসব লিখে যতজনকে পারা যায় এই ভ্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত আলোচনা করতে সবাইকে বাধ্য করা হয়।

মুমিনরা এসব বিষয়ে আলোচনা করতে ভয় পান দুটো কারনে এক হলো তাদের অজ্ঞতা এবং দুই হলো তাদের বিশ্বাস মিথ্যা প্রমানিত হবে এই ভয়ে।

আপনি বলতে পারেন এই অজ্ঞ থাকার প্রধান কারন তারা ভয় পায় যে যদি তাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়। এজন্যই বলি অজ্ঞ হওয়াটা একটা অপরাধ এবং এটা একান্তই শাস্তিযোগ্য ব্যাক্তিগত অপরাধ। বিশ্বাসীরা তাদের ভ্রান্ত মিথ্যা অপবাদ টিকিয়ে রাখে কারন তারা মনে করে এই মতবাদ না থাকলে তাদের অস্তিত্ব জীবিকা সবই সংকটাপন্ন হবে। এই কারনেই তারা নিজের স্বার্থপর চিন্তা ভাবনার কারনে এটা চাপিয়ে দিতে জোর করে এবং সভ্য সমাজে জঙ্গিবাদ ও বিশৃঙ্খলার সৃস্টি করবে।

আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং কমেন্ট করতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। হ্যাপি ব্লগিং

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

বাংলাদেশ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে যেই নামে লিপিবদ্ধ করা আছে তা “শাইখুল ইসলাম শাইখুল হাদীস আল্লামা মাওলানা শাহ আহমদ শফী ওরফে আল্লামা শফি (দা. বা.)” এতো বড় নাম ! তাঁর আসল নাম আমি জানি না, জানার প্রয়োজন বা কৌতুহলও মনে করিনা। তিনি বয়োবৃদ্ধ মানুষ তাঁর কেনো নারীদের প্রতি এতোটা বিদ্বেষী মনোভাব তা কল্পনা করাও পাপ, তাঁর সাথে শুধুই তুলনা করা চলে একমাত্র বখাটে ফেসবুকার ইউটিউবারদের সাথে, যারা আলোচনায় ‍ও বিতর্কে আসার জন্য নারীদের নিয়ে নোংরা অশালীন ভিডিও সহ মন্তব্য করে যাচ্ছে। জানতে ইচ্ছে করে তাঁর “আল্লামা শফি (দা. বা.) পারিবারিক জীবন কি ? তিনি তো ইসলামী বিশ্বাসী মানুষ - তাহলে তাঁর পারিবারিক জীবন অবস্যই থাকা বাঞ্চনীয়। আর এও জানতে ইচ্ছে করে ***আল্লামা শফি (দা. বা.) এনআইডি বা পাসপোর্টে তাঁর আসল নাম কি “আল্লামা শফি (দা. বা.) নাকি তাঁর বিশালাকার নাম “শাইখুল ইসলাম শাইখুল হাদীস আল্লামা মাওলানা শাহ আহমদ শফী ওরফে আল্লামা শফি (দা. বা.) ? বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত এনআইডি/পাসপোর্টে এমন অদ্ভুত নাম গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা না !!! তারপরও কথা থেকে যায় বাংলাদেশে ছাপার অক্ষরে অনেক কিছুই সম্ভব ! (আল্লামা শব্দের অর্থ সম্ভবত আল্লাহর মাল হবে - ***আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে - জনপ্রিয় মন্তব্যে প্রাক্তন স্বরাষ্টমন্ত্রী আলতাফ হোসেন) গুগল সার্চে বাংলাভাষীগণ আল্লামা শব্দের অর্থ দিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন, তবে আরবী, ফারসী/পারশী ভাষায় আল্লামা বলে কোনো শব্দ বা শব্দার্থ নেই*** !!!

***মাদ্রাসা শিক্ষা দেশকে তলানি থেকে তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে এটি সংশোধন সম্ভব নয়। তুলা রাশির জাতক(তাঁর কর্মকান্ডে) আল্লামা শফি (দা. বা.) আবারো বিতর্কে এসেছেন তাঁর নারী প্রসঙ্গে কুটিল মন্তব্যে। আল্লামা শফি (দা. বা.) বারংবার বিতর্কে আসতে চান তবে অবস্যই যে কোনো নারী প্রসঙ্গে ! ধারণা করছি তার বেলা যায়না, সময় কাটে না, এখন তাঁকে তো আর রবিন্দ্রগীতি শুনানো সম্ভব নয় “আমার বেলা যে যায় সাঁঝ বেলাতে”! - ব্রিটল বিস্কুট খাইতে খাইতে যায় বেলা, তাঁকে কেউ দুইটা বিস্কুট কিনে দিন, তাঁর বেলাও যাবে সাথে সময়!

উপসংহারঃ “দুঃসাশন, গুন্ডারাজ, আর ধর্মরাজ” চলে-“ভয়ে” । ভয় আছে তো শিশু থেকে মৃত্যুর সাথে যুঝে বিছানায় কাতর বৃদ্ধও মেনে নেবে - দুঃসাশন, গুন্ডারাজ, আর ধর্মরাজ !!! এটি আমার মতামত নয়, আমার প্রাক্তন স্যার “ষ্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্তান ইঞ্জিনিয়ার ডঃ মোহাম্মাদ রমজান আলী স্যারের অমর বাণী” ইঞ্জিনিয়ার ডঃ মোহাম্মাদ রমজান আলী স্যার প্রবল আস্তিক মানুষ তবে ধর্মান্ধ নন ।

উৎসর্গঃ- লেখাটি উৎসর্গ করছি ব্লগার “উদাসী স্বপ্ন” ভাইকে, এবং অন্ধকার যুগ নিয়ে বিষদ বিস্তারিত আলোচনার জন্য অনুরোধ করছি ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:- বিচিত্র কারণে ব্লগার উদাসী স্বপ্ন কমেন্ট করা থেকে ব্যান হয়ে আছেন, ব্লগে অনেক কবিতা/গল্প দেখি যেখানে নারী লিপ্সা, নারী শরীর, নারী নিয়ে স্বপ্ন/নষ্টস্বপ্ন নিয়ে লাইন এর পর লাইন লিখা হয়ে থাকে সাথে থাকে, সাথে থাকে আঁকা বাঁকা নারী শরীরের পেইন্টিং (গুগল থেকে ধার করা) তাদের সামহোয়ারইনব্লগ মদদ দিচ্ছে এটি সত্যি দুঃখজনক ! এবং এও বলতে চাই সেইসব ব্লগার, কবি ও কবিতার পাঠক নারী নিয়ে বিকৃত রুচি পোষন করেন - এখানে আমার কোনো সন্দেহ নেই। ***সামহোয়ারইনব্লগ কি সজাগ হবেন***





১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার ব্যান বিষয়ক সমস্যা নিয়ে সামহোয়্যারইনব্লগ এ একটি পোষ্ট দিতে চাচ্ছি, বরাবর: - সামহোয়্যারইনব্লগ, কপি টু: - কাল্পনিক ভালোবসা, কপি টু: - মডারেটর, ওয়েবমাষ্টার ও সামহোয়্যারইনব্লগ ফাইল ।

***আপনার অনুমতি চাচ্ছি পোষ্টের জন্য । তাছাড়া সামহোয়্যারইনব্লগ কোনো কয়েদখানা না, তাহলে কেনো ব্যান করে রাখবে প্রথম পৃষ্টার পোষ্ট ও মন্তব্য থেকে । আমার মনে হয় চিরতরে ব্যান করে দেওয়া উচিত নয়তো ব্লগারদের বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ।

যে কোনো ব্লগারের অনুরোধে ব্লগে ব্যান করে রাখবেন কাউকে এটি ব্লগে সুবিচার না। আর আপনার প্রতি অনুরোধ সবার মন্তব্যে প্রতিউত্তর করা জরুরী না, তাদের এড়িয়ে চলুন, তারা উস্কানী দেবে যাতে আপনি রাগ করে প্রতিউত্তর দেন এবং আপনার বিরুদ্ধে ব্যান করার জন্য মডারেটরের কাছে রিপোর্ট করা যায়। অনুমতি পেলে বিস্তারিত পোষ্টে লিখবো*** ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছি না। যদিও জানি না আমার কমেন্ট করেই বা কি হবে! তারপরও যদি মনে করেন পোস্ট দিতে পারেন। তবে আমার মতো মানুষের পক্ষে পোস্ট দিলে আপনি ব্লগের মৌলবাদীদের রোষানলে পড়তে পারেন এ বিষয়ে সজাগ থাকার অনুরোধ রইলো

১৯| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ২:২০

দজিয়েব বলেছেন: আপনার পুরোনো লেখাগুলোও পড়ছি বা পড়ার চেষ্টা করছি। আপনার চিন্তাভাবনাগুলো কেমন তা না বলে বলি আপনার সাথে আমার চিন্তাভাবনা কোথায় যেন মিলে যায়। এরি দাদুকে আমার কাছেও জাত্যাভিমানী বুড়ো দাদু বলেই মনে হয়। আর হ্যা, উনি সক্রেটিসের শিষ্য না, প্লেটোর শিষ্য। প্লেটোর গুহার রূপক কিন্তু অসাধারণ একটা উদাহরণ, যদিও কন্ট্রাডিকশন আছে। প্লেটোর রাজনৈতিক দর্শন পড়তে গেলে দেখবেন তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের তিনটি মূল বই- The Republic, Statesman এবং Laws এ তাঁর ধারনণাগুলো কি সুন্দরভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তাঁর তিনদফা সিসিলি ভ্রমণের সাথে সাথে। কতগুলো কালজয়ী ধারণা উনি দিয়ে গেছেন! ওনার সমালোচনা অবশ্যই আছে। কিন্তু আমি যা সবসময় বলি, তাঁর সময়ের তুলনায় উনি অনেক প্রগতিশীল ছিলেন।

বিশুদ্ধ সমাজতন্ত্র আর বিশুদ্ধ পুঁজিবাদ দুটোর কোনোটাই সমাধান না। এপ্রসঙ্গে এই বিষয়ে না বলে কাছাকাছি অন্য একটা বিষয়ে বলি। এপ্লাইড ফিলোসফিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত আছে যে, প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার সমান অধিকার আছে একথা বলা চলেনা (সহজ ভাবে ধরুন, সবার সমান বেঁচে থাকার অধিকার থাকলে আপনি কোনো বড় খুনীকেও ফাঁসি দিতে পারবেন না), কিন্তু প্রত্যেক মানুষের বেড়ে ওঠার সমান অধিকার আছে। আমরা বস্তিতে জন্ম নেয়া কালা মিঞা আর বড়ঘরে জন্ম নেয়া ধলা মিঞার পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা সেম হয়তো করে দিতে পারিনা, কিন্তু এটা অন্তত করতে পারি যে তারা দুজনই সমান শিক্ষার সুযোগ পাক, সমান স্বাস্থ্যসেবা পাক। অর্থাৎ আমি যেটা বলতে চাই যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এগুলো অন্ততঃ জাতীকরণ করা উচিৎ। আমরা আজব দেশে বাস করি যেখানে চার-পাঁচ প্রকারের শিক্ষা ব্যবস্থা আছে! এখানে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য আর সেবা নেই, এদুটো পুরো ব্যাবসা। কিন্তু আর যেখানেই পুঁজিবাদী নীতি অবলম্বন করা হোক না কেন এদুটোয় অন্তত সাম্যবাদী নীতিতে চলা উচিৎ। তাতে করে, কালা মিঞা আর ধলা মিঞাকে আমরা নিজেদের ভাগ্য গঠনের মোটামুটি একটা ফেয়ার চান্স তো দিতে পারব!

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ । আপনি তো দেখি সিরিয়াস পাঠক। এত তথাকথিত জ্ঞানী গুনী মানুষ এসে ধরতে পারলো না।

ঈগালিটারিয়ান সোসাইটি এটার নিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখে কনসেপ্টটা তৈরী করা হয়েছিলো কিন্তু সমাজতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের গোড়াতে দুর্বলতা থাকার কারনে সোভিয়েত ইউনিয়ন সেরকম কিছু গড়তে পারেনি। কিউবা স্বাস্থ্যসেবার নামে যে এতকিছু শোনা যায় আসলেই কি ভাল? ধরা যাক শিশুদের মৃত্যুহার ৪.২ মানুষের গড় আয়ু ৭৮-৮১। কিন্তু একজন ডাক্তারের বেতন মাত্র ৫১ পাউন্ডের মতো। সেখানে জনপ্রতি মাত্র ৪০০-৫০০ ডলার খরচ করা হয়ে থাকে বাৎসরিক। রাজধানীর বাইরে বেশীর ভাগ ক্লিনিক সরকারী হাসপাতালে আপনি সাধারন টেস্টে সপ্তাহের পর সপ্তাহ সময় নেবে। কারন তাদের মেশিন ভাঙ্গাচুড়া এবং আমেরিকার দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞায় নতুন করে কেনা সম্ভব না। তাই কিউবাকে বাধ্য হয়ে তাদের স্বল্পমূল্যের ডাক্তার এবং ঔষধ বিভিন্ন দেশে সাপ্লাই করে ৮ বিলিয়ন ডলার কামায়। সেখানে জনপ্রতি ৪০০-৫০০ ডলার ও বেতন ৫২ পাউন্ড এর বিপরীতে ৮ বিলিয়ন খারাপ না। ব্যাপারটা সেই পুজিবাদের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। অথচ পুঁজিবাদী রাস্চ্রু দক্ষিন কোরিয়া অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড সহ অনেক দেশে এর চে ভালো সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

পুঁজিবাদ এমন একটি নিখুঁত ব্যাবস্থা যেটা কিনা শুধু মানবসমাজের বিভিন্ন আচার এবং চাহিদার ওপর লক্ষ্য করে সৃস্ট এবং এটাকে নিয়ন্ত্রন করা গেলে সেটা হবে সর্বাপরি কল্যানময় ব্যাবস্থা। আমাদের দেশের পুঁজিবাদ অনিয়ন্ত্রিত এবং দুর্নীতিগ্রস্ত তাই এখান থেকে ভাল কিছু চিন্তা করা বোকামী। এজন্যই এদেশে তৈরী হয় জেএমবি জঙ্গি জানোয়ার মুসলমান আর অন্য দেশ তৈরী বিজ্ঞানী মানবসেবায় ব্রতী পারফেক্ট সমাজ যেটা এই থার্ড ওয়ার্ল্ডের ইসলাম শিক্ষায় জান্নাত বলে উল্লেখিত

সে হিসেবে আপনি ঠিক বলেছেন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.