নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ক্লাসমেট শাহজাহানের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া এবং সোহানীর ইলিশ মাছ ধরা

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪২

এখন আমি আপনাদেরকে স্কুলজীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনার কথা শোনাব। সেটা একটা রেড লেটার ডে ছিল।

আজ থেকে ৩৫ বছর আগের কথা। আমরা তখন নিউ টেনে পড়ি, অর্থাৎ, দশম শ্রেণিতে উঠেছি, কিন্তু তখনো এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় নি বলে আমাদের ক্লাসকে নিউ টেন বলা হয়।
স্কুলে ধুমাইয়া স্পোর্টসের প্র্যাক্টিস হচ্ছে। ক্লাস শুরু হয় ১১টায়, কিন্তু আমরা পারি তো ভোরে উঠেই স্কুলে গিয়া মাঠ দখল করি।
আমাদের বজলু ছিল লং জাম্প, হাই জাম্প আর ট্রিপল জাম্পে মাস্টার। মফিজ ভুইয়া পোল ভল্টে। আহমেদ জীএস হলো শট পুটের চিরস্থায়ী চ্যাম্পিয়ন- ওর জায়াগা থেকে ওরে কেউ টলাইতে পারে না। মান্নাকে ঐ বছরই আবিষ্কার করি জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসাবে।

আমি কোন কোন ইভেন্টে ওস্তাদ ছিলাম বলবো না, দেখি আন্দাজ করে কমেন্টে কেউ কিছু লিখে কিনা।

তো, যেদিন অ্যানোয়াল স্পোর্টস হলো, তার পরের দিন নিয়মানুযায়ী ছুটি ঘোষণা করা হলো। ঐ সময়ে আমরা এতটাই স্কুলপাগল হইয়া গেছিলাম যে, স্কুল ছুটি হওয়ার পর মন বেদনার ভারে আক্রান্ত হইয়া উঠতো। এর কারণটা বলে রাখা ভালো- তার আগের বছর পর্যন্ত মেয়েরা শুধু ক্লাসের সময় স্যারদের পিছে-পিছে ক্লাসে আসতো, ক্লাস শেষে স্যারদের আগে-আগে ক্লাস থেকে বের হয়ে কমন রুমে চলে যেত। এ ব্যাপারটা আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জার জনক ও অপমানের জনক ছিল। শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারটা অনেক বেদনার জনকও ছিল- ক্লাসের ফাঁকে ওদের দিকে একটু তাকাব, চোখাচোখি হবে, কখনো সাহস কইরা দুই-চাইরডা কথা কমু- স্যারেরা সেই সুযোগ আর রাখে নাই। এই নিষ্ঠুর, অমানবিক, স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের মন বিদ্রোহী হয়ে উঠছিল; বিশেষ করে ক্লাস ক্যাপ্টেন শাহজাহান মিয়া শুরু থেকেই এটার বিপক্ষে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে আসছিল। ক্লাস টেনে ওঠার পর আমরা বেশ কয়েকবার শাহজাহানকে নিয়া মাল্টি-লেটারাল সংলাপে বসলাম। আমরণ অনশনে যাব কিনা তা নিয়াও চিন্তাভাবনা করলাম। তারপর সবাই মিলে শক্ত একটা প্রতিবাদের লিপি লিখলাম। তাতে স্কুলের সকল ছাত্রের স্বাক্ষর গ্রহণ করলাম; আমাদের এ আন্দোলনে বেশ কয়েকটা মেয়ে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করলো। ফলে আমাদের শক্তি অনেক গুণ বেড়ে গেলো। শাহজাহান হেড স্যারের কাছে গিয়া প্রতিবাদের লিপিটা জমা দিয়া আসলো। ফলাফল অপ্রত্যাশিতভাবেই আমাদের পক্ষে এলো। ব্যাপারটা বুঝলেন তো! মেয়েরা তার পর থেকে কমন রুমে যাওয়া থেকে নিস্কৃতি পাইল। এখন ব্যাপারটা বুঝছেন তো কেন আমরা স্কুলে যাওয়ার জন্য এত পাগল ছিলাম? আমাদের আসলে বাসায় মন টিকতো না। মাত্র বছরখানেক পর স্কুল শেষ করে কে কোথায় চলে যাব, আমাদের ক্লাসমেট মেয়েগুলো বেছে বেছে বড়ো ভাইদের বিয়ে করবে, আমরা পথের এতিম হয়ে যাব। এই একবছর কাল যত বেশি ওদের চোখের সামনে থেকে থেকে সময় কাটানো যায়, ততই ভালো, মনটা সজীব, ফ্রেশ থাকবে। এটা মিস করা যায় না। কেন যে ২৪/৭ নিয়মে ক্লাস হয় না- আমরা এ নিয়ে গভীর চিন্তার ভেতর মগ্ন হইয়া যাইতাম।

অ্যানোয়াল স্পোর্টসের পরের দিন, অর্থাৎ ছুটির দিন শাহজাহান মিয়া আমাদের সবাইকে ওদের বাড়িতে দাওয়াত দিল। ওদের বাড়ির পাশেই পদ্মা নদী। পদ্মা নদী দেখার আশায় শায়মা আর জুলিয়া লাফাইয়া উঠলো। আমরা বেশ কয়েকজন পদ্মায় সাঁতরানোর জন্য নেংটি নিয়া যাওয়ার প্লান করলাম।
করিম আর তমাল আগেই শাহজাহান মিয়াদের বাড়িতে গেছে। ডিসিশন হলো, আমরা শুরুতে স্কুলের মাঠে জড়ো হবো। সেখান থেকে একযোগে করিম আর তমালের নেতৃত্বে শাহজাহানদের বাড়ি যাব। স্টার্ট টাইম সকাল ১০টা।

আমরা মোটে ২৩ জন ছেলেমেয়ে হাজির হলাম। মেয়েদের মধ্যে সোহানী, শমী কায়সার আর চম্পা এসেছে। ছেলেদের মধ্যে বেশি উৎসাহ ছিল জামাল আর অনন্ত জলিলের- ওরা আসে নাই। সোহানী এসেই দুনিয়া মাথায় কইরা নিল – যে ছেলেগুলো আসে নাই, ওগুলোরে একচাপা ‘দামড়া’ বলতে বলতে গলা ফাডাই ফালাইল। ঐ দিকে কিন্তু কয়েকটা মেয়েও অ্যাবসেন্ট। যে-মেয়েগুলো আসে নাই, ওগোরে কী বলা যায়, এইটা নিয়া আমি গভীর মনোযোগে ভাবতে বসে গেলাম, সেই ভাবনায় যোগ দেয়ার জন্য মাঃ হাসানকে আহবান জানাইলাম; কিন্তু ভেবে ভেবে ‘দামড়া’ সমার্থক কোনো উপযুক্ত শব্দ না পাওয়ায় একা একাই চুপ মাইরা গেলাম। ক্যাচালে আমি বিশেষ পারদর্শী নই, এটা বুঝলাম।

রাজীব নুর আর মাসুদ মেঘুলা বাজার থেকে ১০ কেজি রসগোল্লা নিয়া হাজির। আমি আবার রসগোল্লার পাগল। এক ফাঁকে ঐখান থেকে গপাগপ কয়েকটা সাবাড় করে দিলাম।

আমরা যথাসময়ে শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছে দেখি এলাহি কাণ্ড। আমাদের যাওয়ার খবর শুনে ওর বাবা ওদের একটা তিন-সনী লাল ষাঁড় জবাই করেছেন। কচি ষাঁড়- পাক্কা ২ মণ ৪৭ সের মাংস হয়েছে। পুকুর থেকে আইর, কাতল আর কোরাল মাছ ধরেছেন। এখানেই শেষ না, শাহজাহানের শ্বশুর-শাশুড়ি, ৪ শ্যালক আর ৫ শ্যালিকাও ওদের বাড়িতে এসেছেন। বাহির বাড়িতে মাটি খুঁড়ে লম্বা চুলা বানাইছে, বিরাট বিরাট ডেকচিতে রান্নাবান্না হচ্ছে। খাবারের গন্ধে চারদিক মৌ মৌ করা শুরু করলো।
শাহজাহানের বউ এসে আমাদের ধমকানো শুরু করলো- ‘এই, তোমাদের না সকালে আসার কথা ছিল, এই দুপুরবেলা তোমাগো কেডা আসতে কইছিল? এখন কি সকালের নাস্তা খাইবা, নাকি দুপুরের গোশত-পোলাও খাইবা? যত্তসব ফাজিলের দল। ইচ্ছা করে সবগুলার টেংরি ভাইংগা ফালাই।’
কীসের খাওয়া খাওয়ি। আমরা সদলবলে পদ্মার পাড়ে চইলা গেলাম। মাত্র দেড়শ গজ দূরে পদ্মা। হা রে রে রে করে জোরসে দৌড় দিলাম, কেউ কেউ পোশাক পাল্টাইলো না, অমনি পানিতে ঝাঁপ দিল। আমরা পানিতে দাপাদাপি করতেছি, এমন সময়ে দেখি মেয়েগুলো নদীতে বড়শি ফেলে মাছ ধরছে।
আমার বড়শিতে মাছ ধরার খুব শখ। আমি পানি থেকে উঠে এসে একজনের বড়শি কেড়ে নিলাম। দেখাদেখি হাবিব আর হাসানও এলো। পরে আরো কয়েকজনে এসে যোগ দিল।
অল্পক্ষণের মধ্যেই বড়শি দিয়া বেশকিছু চিংড়ি, খল্লা আর বাইম মাছ ধরা হলো। এমন সময় সোহানী চিৎকার দিয়া উঠলো- ঐ আমার বড়শি টাইন্যা নিয়া যাইতেছে রে- তোরা ধর আমারে- ধর। আমরা আগাইয়া যাইয়া ওর ছিপ ধরে ফেলি। হাবিবের গায়ে শক্তি সবচাইতে বেশি। হাবিব ওর গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়া আমাদের সাথে টানতে শুরু করলো। কিন্তু তবু দেখি কী, আমাদের সবাইকে সহ ছিপ টাইন্ন্যা নিয়া যাইতে চায়। হালার কুমির না তো! আমার ভয় করলো। আস্তে আস্তে আমরা বড়শি টানছি। খুব শক্ত, আসতে চায় না। বড়শি কাছাকাছি হতেই দেখলাম পানির সামান্য নীচে রুপালি রঙের বিরাট একটা মাছ উঠে আসছে। ছিপ উঁচু করতেই দেখি প্রায় চার-পাঁচ কেজি ওজনের এক ইলিশ মাছ বড়শিতে লাফাইতেছে। আনন্দে আমরা চিৎকার করে উঠলাম। জীবনে এই প্রথম বড়শিতে ইলিশ মাছ ধরলাম। আমার মনে হয় এটা একটা জাতীয় রেকর্ডও হতে পারে। সাথে সাথে সোহানী ওটা ফেইসবুকে শেয়ার করলো; তাতে যতগুলো লাইক, কমেন্ট আর শেয়ার হলো, সেটাও পৃথিবীর ইতিহাসে একটা জাতীয় রেকর্ড হবার কথা।

এই ইলিশ মাছ জবাই করা হলো। ভেতরে বোঝাই করা ডিম। কিছু ডিম ফুটে অলরেডি ইলিশের পোনা লাফালাফি করতেছিল। শাহজাহানের বউ কলুই শাক আর ঢেঁড়স দিয়ে সেই ইলিশ মাছ রান্না করলো। রান্নাটা এতই মজাদার হইছিল যে, দীর্ঘ ৩৫ বছর পরও মনে হচ্ছে এখনো হাতের তালুতে ইলিশ মাছের তেল লেগে আছে- বাকিদের খবর জানি না, আমি আজো বুড়ো আঙুলে তুড়ি বাজাতে পারি না।

সেদিনের দুপুরে যে আনন্দ হইছিল তা বলার মতো না। নানান পদের রান্না খেয়ে, বিশেষ করে পোলাও আর খাসির গোশত খেয়ে আমাদের নয়ন ভরে গেছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমরা শাহজাহানদের উঠোনে সবাইকে নিয়ে একটা গ্রুপ ছবি তুললাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, গ্রুপ ছবিতে আমার চেহারা ঢাকা পড়ে গেছিল- কারণ, শাহজাহানের এক শ্যালিকা আমার সামনে দাঁড়ানো ছিল।

স্কুলজীবনে বন্ধু শাহজাহানের বাসায় বেড়ানোর এই কাহিনি আমার মানসপটে এখনো পরিষ্কারভাবে জ্বলজ্বল করিতেছে। আমাদের সেই ক্লাসমেটরা আজ পৃথিবীর নানান জায়গায় সেলিব্রেটি হিসাবে শীর্ষস্থান দখল করে দাঁড়াইয়া আছে। কেউ-বা বাংলার বিখ্যাত চিত্রনায়ক বা নায়িকা, কেউ-বা আবার বিখ্যাত সেলিব্রেটি ব্লগার। তাদের সবার জন্য রহিল ফুলেল শুভেচ্ছা।

৩০ মার্চ ২০১৯

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়া এটা কি রিপোস্ট? কারণ অনেক আগে মনে হচ্ছে পড়েছি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো লাগলো যে এটা আপনার স্মরণে আছে। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক ভাই। শুভেচ্ছা।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৯

মা.হাসান বলেছেন: রিপো্স্ট। আমি পুরাতন কমেন্টই করি। আপনি যেমন খুশি সাজো খেলায় পরিবার পরিকল্পনার আপা সেজেছিলেন। :P

আপনার গল্পটি খুব অনুপ্রেরণাদায়ক, আগের ফুটবলে এক ডজন গোল দেয়ারটিও। আমি ভাবছি আমার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া এরকম একটা রোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা ব্লগে দেব। হেলিকপ্টারের পা এক হাত দিয়ে ধরে ঝুলতে ঝুলতে আর এক হাতে কাঁধে রকেট লাঞ্চার রেখে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক ট্যাংক-বিমান উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কেমন হয়?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি যেমন খুশি সাজো খেলায় পরিবার পরিকল্পনার আপা সেজেছিলেন। তাও আপা বানাইয়া দিলেন? অন্তর্দৃষ্টি দিয়া দেখার চেষ্টা করিতেছি, সেই আপাকে দেখতে কেমন কিম্ভূতকিমাকার দেখাইবে :)

আপনার গল্পটি খুব অনুপ্রেরণাদায়ক, আগের ফুটবলে এক ডজন গোল দেয়ারটিও। ধন্যবাদ মা হাসান ভাই।

আমি ভাবছি আমার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া এরকম একটা রোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা ব্লগে দেব। হেলিকপ্টারের পা এক হাত দিয়ে ধরে ঝুলতে ঝুলতে আর এক হাতে কাঁধে রকেট লাঞ্চার রেখে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক ট্যাংক-বিমান উড়িয়ে দিয়েছিলাম। জেমস বন্ডের অনুকরণে জনি ইংলিশ সিরিজ হয়েচে, যদিও সেটা কমেডি সিরিজ। তবে, আপনার বর্ণনায় আমি মুগ্ধ। 'ফিরে এলো মাসুদ রানা' সিরিজ শুরু করতে পারেন। আপনার বর্ণনার উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। খুব জমজমাট সিরিজ হবে।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: রোমহষর্ক কাহিনির পর এবার আনন্দের স্মৃতিচারণ। আচ্ছা ভাই, মাংস ২ মণ ৪৭ সের কেন হলো, ৩ মণ ৭ সের কেন হলো না? তাহলে মাংস আরেকটু বেশি হতো। আমার বরশিতে যে মাছের বদলে একটা কাঁকড়া ধরা পড়েছিলো সেটা বোধহয় আপ্পনি বলতে ভুলে গেছেন। সোহানি আপুর ইলিশ মাছের পোনাগুলোকে বুড়িগঙ্গায় ছাড়া হয়েছিলো। তারা থাকতে না পেরে চাঁদপুর চলে গিয়েছিলো। তাদের বংশধরেরা এখনো ধরা পড়ে সেখানকার জেলেদের হাতে। আপনার ও আপনার বন্ধুদের জন্য শুভকামনা রইলো। বেশ উঁচুস্তরের বন্ধুভাগ্য আপনার।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

আচ্ছা ভাই, মাংস ২ মণ ৪৭ সের কেন হলো, ৩ মণ ৭ সের কেন হলো না? অল্পবয়সী ষাঁড় হওয়ায় ওজন একটু কম, আই মিন, ২ মন ৪৭ সের। বড়ো গরু হইলে কমসে কম ৩ মন ৭ সেরই হইত

বাল্যবন্ধুদের অনেক কথাই অবলা রয়ে গেছে। অল্প পরিসরে যতটুকু সম্ভব বলা হয়েছে। আকরাম খান কীভাবে ডাংগুলি খেলতে খেলতে ক্রিকেট হিরো হইয়া উঠলো, এইটা বলা হয় নাই। এরকম আরো অনেক সাফল্যগাথা বাদ পড়ে গেছে, যা ভবিষ্যতে বলা যাবে নে

বেশ উঁচুস্তরের বন্ধুভাগ্য আপনার। এ কথা আর বলতে

সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ তমাল ভাই।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বেশ - পারেন বটে ভাই!!!

আপনার এই পোষ্টে আমি আড়াইখানা লাইক দিয়েছি। না দেখতে পেলে আপনার চোখের সমস্যা আছে।
তবে খলিল ভাই আপনি যে ভাল ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন এটা সেদিনের পোষ্টে প্রমান হয়ে গেছে!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এই পোষ্টে আমি আড়াইখানা লাইক দিয়েছি। না দেখতে পেলে আপনার চোখের সমস্যা আছে। হ্যাঁ হ্যাঁ। আমি ঠিকই দেখতে পাচ্ছি আপনার আড়াইখানা লাইক, কী জ্বলজ্বল করতেছে। যারা দেখতে পাচ্ছেন না, তাদের সবার চোখেই সমস্যা

তবে খলিল ভাই আপনি যে ভাল ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন এটা সেদিনের পোষ্টে প্রমান হয়ে গেছে! - ফুটবল খেলায় আমার গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যগাথা নিয়ে ফেইসবুকে একটা পোস্ট দিয়াছিলাম। সেখানে এখনো খুঁজছি। পেলে ব্লগেও সেটা শেয়ার দিব। দেখবেন, কী অসাধাণ ফুটবলার একজন


:) :)

পোস্ট পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৪

সোহানী বলেছেন: মানি না, মানবো না ... এক কুমিরের ছানাকে বার বার দেখানো মানবো না কিছুতেই। তারচেয়ে তার পরের ঘটনাগুলো লিখেন যেগুলা চামেচুমে চাইপা গেছেন আপনি।

সেই যে চম্পার সাথে আপনার ইটিষ পিটিশ কাহিনী। ধরা খাইয়া নীল ডাউন! তারপর ধরেন গিয়া পাড়াপড়শীর আম বড়ই পেয়ারা চুরি কইরা ভো ভো দৈাড় দিতেন তারপর নালিশের পর সে শাস্তির কথা, আবার ধরেন স্কুলের কমনরুমে আপনার উকিঁ দিয়া চম্পারে চিঠি দেয়ার সময় ধরা খাওয়া!!!

কত কথা কত স্মৃতি। খালি ভালো ভালোগুলা কইবেন আর নিজের ধরা খাওয়াগুলা লুকাইবেন তা কিন্তু ঠিক না। হাটে হাড়ি ভাঙ্গার আগে নিজেই সামাল দেন জনসম্মুখে প্রকাশ কইরা B-) B-) B-) B-)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইয়ে মানে, আপনার সব অভিযোগ অসত্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জনসমক্ষে একজন সম্মানি মানুষের সম্ভ্রম নিয়া আপনি টানাটানি করিতেছেন। খুবই অন্যায়। চম্পার সাথে আমার কিছুই হয় নাই। সেই বরং স্কুলে যাওয়ার পথে আমারে দাবড়ানি দিত। কত দাবড়ানি তো আপনি নিজেই ফিরাইছেন, মনে নাই?

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইলিশ মাছ বড়শিতে আটকে আবার উপরে তোলার পর ছটপটও করে। আপনি কখনো দেখেছেন? :D

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি দেখেছেন, শিওর। আপনি নদীতে হাতড়ে মাছ ধরার সময় একসাথে কয়টা ইলিশ ধরেছেন?

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এবার তাহলে ইলিশ ধরার ফাঁদ পেতেছেন তাও আবার সোহানী আপুকে দিয়ে। কল্পনায় দারুন সব কাজ কারবার করে যাচ্ছেন মশাই।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা বাস্তব গল্পকে কল্পনা বলে দিলেন মাইদুল ভাই? এই দুঃখ আর কোথায় রাখি? দেখি, এবার একটা অবাস্তব গল্প অবলম্বনে বাস্তব গল্প লিখবো

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: হা হা হা হা ..... ম্যারাডোনার সহখেলোয়াড় শেষ পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনার আপা!!!!ৎ

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই পরিবার পরিকল্পনার আপায় আমারে কয় নিয়া যায় কে জানে? ভরা সভায় সম্মান হানি না হয় আবার

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: কী অসাধারণ সুন্দর করে লিখেছেন!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।

১০| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: মজার পোষ্ট।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.