নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে বুঝতে পারছি না আমি কে বা কি ?

মাধুকরী মৃণ্ময়

কিংকর্তব্যবিমুড়

মাধুকরী মৃণ্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন রহস্যময় !

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪



মনে করেন আপনি জন্ম নেন নাই। যেহেতু নিজের জন্মের উপর আপনার কোন হাত নাই । সেহেতু সে ক্রেডিট আপনি নিতে পারেন না। তো জন্ম না নিলে কি হতো , সেই রকম চিন্তা করেন। জন্ম না নিলে কোন কিছুই আপনাকে স্পর্ষ করতো না। ওজন স্তর ফুটো হচ্ছে ভেবে আপনি আপনার ওজন বাড়াতেন না।

মনে করেন আপনি জন্ম নিয়েছেন । আমার মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে না। উচ্চবিত্ত পরিবারে । ধরেন প্রধানমন্ত্রির ঘরে। সে ক্রেডিটও কিন্তু আপনার না। উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়ার ফলে আপনি যে সুবিধা পাচ্ছেন তার কোন কিছুই আপনার না। যে বস্তিতে জন্মালো । সেখানে জন্মানোর ফলে যে দুর্ভোগ ভোগ করতে হচ্ছে। সে দায়ভারও তার না।

ধরনে আপনি যে কোন পরিবারেই জন্ম নিয়েছেন। ছোটকালে আপনার উপর যেহেতু আপনার কোন নিয়ন্ত্র থাকে না সেহেতু আপনার আব্বা আপনাকে এক সকালে ধরে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলো। এবং সারা জীবনের জন্য আপনার চিন্তার প্যাটার্ন চেইঞ্জ হয়ে গেলো । আপনি ধরে নিলেন, ইহায় সত্য, ইহায় জীবন। ধরেন আপনাকে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে দেয়া হলো। আপনার চিন্তা অন্য স্রোতে প্রবাহিত হলো। আপনিও মনে করলেন ইহায় সত্য।

ধরেন আপনি বাংলাদেশে না জন্মিয়ে আমেরিকায় জন্ম গ্রহন করেছেন। যেহেতু আল্লাহ কোন দেশের সিল মেরে কাউকে পাঠায় না। তাহলে কেমন হতো। আপনি আপনার চিকে আলতো করে হাত বুলিয়ে বলতেন , ব্যাংলাডেশ, হুয়চ এরিয়া ?

যেহেতু আমাদের জন্ম কোন ধর্মের ভেতর হবে তা আমরা নির্ধারন করি না। সেহেতু ধর্ম বিষয়ক কচকচানি আমাদের মানায় না। ছোটকাল থেকে আমাদের উপর ধর্ম ইমপোজ করা হয়। সেটা করে প্রথমে আমাদের পরিবার তারপর সমাজ আর রাষ্ট্র। এবং বড় হয়ে এই ধর্মের জন্য আমরা রকেট লাঞ্চার মারি। অথচ এক মুসলিম শিশুর জন্ম হতে পারতো এক হিন্দু পরিবারে , এক হিন্দু শিশুর জন্ম হতে পারতো এক খ্রিষ্টান পরিবারে। যে শিশু মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলো সে ভাবলো এইটাই সহিহ, যে হিন্দু পরিবারে জন্ম নিলো সে ভাবলো ইহার চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নাই, খ্রিষ্টান পরিবারের শিশুও বড় হয়ে ভাবলো গড এর ছেলে যিশু। শুরু হয়ে গেলো ধর্ম যুদ্ধ। অথচ এই ধর্ম আমাদের চয়েজ না। বাচ্চা হাতির পায়ে যেমন দড়ি বেধে ভাবানো হয় তোমার ক্ষমতা দড়িতে সীমাবদ্ধ আমাদেরও ছোটবেলা থেকে চিন্তা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়। আর এই সীমাবদ্ধ বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে আমরা মরে যায়।

দুনিয়াডা রহস্যময় ভাইলোক। তার ভেতর সবচেয়ে বড় রহস্য হলো জন্মরহস্য।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকায় প্রতি বর্গ মাইলে যেই পরিমান প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, অন্য দেশগুলোতেও গড়ে্ সেই পরিমাণ সম্পদ আছে; মানুষের মানসিকতা আলাদা মাত্র।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। যে বিষয়ে আমাদের কোন হাত নেই অথচ আমরা অহেতুক বিভাজন সৃষ্টি করে লড়াইয়ে ব্যস্ত আছি। মনের সংকীর্ণতা দূর হোক। আমাদের মনের সুকুমারবৃত্তির বিকাশ ঘটুক।
বেশ কিছু টাইপো চোখে পড়লো।
পোস্টে তৃতীয় লাইক।
শুভকামনা জানবেন।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মন্ত্যব্যের জন্য। হুম সংকীর্ণতা দূর হোক।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শনিবার, নাকি রবিবার নামে ১টি সিরিজ প্রকাশ করেছিলেন; পড়া হয়নি; লেখার শুরুতে একটি বিরক্তিকর বাক্য ছিলো, "এটি একটি অমিথ্যা গল্প ..."

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: শনিবার সন্ধ্যা। এখন এই সিরিজ লেখা আপাতত বন্ধ রাখছি সময়ের অভাবে। হুম বাক্যটি বিরক্ততিকর। কিছুই করার নাই।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক। জন্মের উপর কারো কোনো হাত নেই।

জন্মের এই রহস্য নিয়ে ভাবলে মনে হয়, সৎ ও সুন্দরভাবে চলাই একমাত্র ধর্ম। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ.... ইত্যাদি এক একটি দর্শন মাত্র।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১২

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকায় জন্ম নিলে আমার জীবনটা অন্য রকম হতো।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৪

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: আপনি কোন দেশে জন্ম নিবেন তার উপর আপনার নিয়ন্ত্রন নাই। কিন্তু কোথায় বসবাস করবেন তার উপর আছে। চেষ্টা করেন।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

নতুন বলেছেন: এই জিনিস বুঝতে হলে যেই জ্ঞান লাগে সেটা বেশির ভাগ মানুষই অ`জন করে না।

তাই জ্ঞানী মানুষরা বেশি বিনয়ী হয়। তারা বোঝে মানুষের অহংকার মতন কিছু নাই।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৪

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: আসলেই আমাদের অহংকার করার মতো কিছু নাই।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪২

সুপারডুপার বলেছেন: §
জন্ম থেকে মৃত্যু একটা যাত্রা পথ। ২ টা বিন্দু দিয়ে একটা সরল রেখা আঁকা যায় বটে , কিন্তু তৃতীয় বিন্দুর অভাবে এটা কেমন কার্ভ নাকি সরল রেখা , তা কিছুই স্পষ্ট না। মানে, তৃতীয় বিন্দু বা কেউ জন্মের আগে কি ছিল বলতে পারে না , তাই মৃত্যুর পরে কি হবে এটাও স্পষ্ট না। বিভিন্ন ধর্ম এই অস্পষ্টতা থেকে গড়ে উঠার সুযোগ পেয়েছে।

§
আমরা কেউ কখনো জীবন সিস্টেমের রহস্য বের করতে পারবো না। কারণ আল্টিমেটেও সিস্টেমের ভিতরেই আমাদের অবস্থান করতে হয়। সিস্টেমের বাহিরে যেতে পারি না। সিস্টেমের ভিতরে থেকে ঐ সিস্টেমের রহস্য বের করা সম্ভব না।

§
তাই আর কি , শিল্পী: আব্দুল আলীমের কণ্ঠে বলতে হয় : ''এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া এত যত্নে গড়াইয়াছেন সাঁই। ছায়া বাজী পুতুল রূপে বানাইয়া মানুষ যেমনি নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কি দোষ।'' অনেকেই ভাগ্যকে অস্বীকার করলেও, জীবনের রহস্য ভাগ্য / তাঁরই করা ডিজাইন দ্বারা নির্ধারিত।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: সিস্টেমের ভিতরে থেকে ঐ সিস্টেমের রহস্য বের করা সম্ভব না। ঘটনা সত্য।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:২৪

আনমোনা বলেছেন: মাঝে মাঝেই ভাবি, জন্মের আগের জীবন নিয়ে যদি মাথা ব্যাথা না থাকে, তবে মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে এত মাথা ব্যাথা কেন?

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: মাথা ব্যাথার কোন কারন নাই। চিল !

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২২

মিরোরডডল বলেছেন: So true!
খুব সুন্দর লিখেছেন ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ। সত্য বড় কঠিন।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লেগেছে।
শুভসকাল

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জীবন একটা প্যারাডক্স

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জন্মান্তরবাদ কিন্তু আপনার সব চিন্তার সমাধান দেয়। সব পারাডক্স মিলিয়ে দেয়!
এখন আপনি যদি বলেন -মানি না! ;) এইটা আরেক প‌্যারাডক্স!

জন্মান্তরবাদে আপনার 'কর্মফল' অনুযায়ী আপনি আগম নিগমের খেলায় দুলতে থাকেন!
যতক্ষন না সেই সুপার "নো"তে মেশার উপযোগী হয়ে আত্মাকে মুক্ত করতে পারেন।
সো গেইম ইজ গোয়িং অন!

অবোধ্যতার কারণ - নিজের খুঁজতে না চাওয়া
মোহাবিষ্টতার পর্দা ভেদ করতে না পারা!
বাহ্য সত্যকেই চূড়ান্ত সত্য জ্ঞান করা
একটা প্রি-পজিশনে আগেই দাড়িয়ে থেকে বুঝতে চাওয়া
বস্তুগত সসীম দেহের সীমাবদ্ধতার ক্ষুদ্রতায় সসীমকেই আলটিমেট ট্রুথ ভাবা!
অসীমের উপযোগী হতে অ-পদার্থ বা এন্টিমেটার/মেটার জিরো তে যাবার অনাগ্রহ!
সূখ নামক অসুখের বাঁধাকেই চরম প্রাপ্তি এবং সফলতার মানদন্ড মানা!
সকল আবিস্কার যেমন কঠোর সাধনা, জ্ঞান, ধ্যান আর চর্চার নিয়মিত পর্যায় পেরিয়ে আসে
আত্মার জগতকে সেই ট্র্যাকে না ফেলে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় দোলানো!

এইবার এইগুলানরে ফেলে দেন!
দেহত্ববাদের অনু পরমানুতে চলে যান! অনুপরমানু, জৈবিক, রাসায়নিক বিশ্লেষন করে, সকল পদার্থকে বিশ্লিষ্ট করুন। আগে ভাবনাতেই করুন। শুন্যতার পরম মাত্রায় দাড়ানোর চেষ্টা করুন!
সেখানেও অবলম্বন বা বস্তু আছে। প‌্যারামিটার ভিন্ন! প্রকাশ বহুমাত্রিক। শক্তি সসীমের বন্ধনমুক্ত।
এবার তারে নিয়ে আপনার যাত্র শুরু করুন।
সময়ের ল্যুপকে ক্রস করে -দূরে বসে সময়ের অতীত, বর্তমান ভবিষ্যতকে দেখুন!
যেমন মজা তেমন কষ্ট!

খুঁজে পাবেন জন্মের কারন! পদ্ধতি! আত্মার অধোগমন আর আরোহনের দিশা!
এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া আর গাইতে হবে না ;)
হা হা হা

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ভালো লিখেছেন। মানুষ নিজেই খুব শক্তিশালী এন্টিটি তার ব্রেইন এর কারনে। তো শক্তিশালী বা ক্ষমাতাবানরা কি করে ? টিকে থাকার চেষ্টা করে। মানুষও তাই করছে। মরার পরে একেবারে নাই হয়ে যাওয়া মানুষ মেনে নিতে পারে নাই। তারপর সৃষ্টি করেছে আলাদা জগত। যেখানে কেউ কোনদিন মরবে না, আবার মরলেও ফিরে আসবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমার মনে হয় মানুষ জন্ম জাস্ট একটা কোয়েন্সিডেন্স। আমি হতে পারতাম মশা, মাছি, ছারপোকা বা গরু। ভাবেন। গরু হলে কি হতো। জন্মান্তর বা অন্য কিছু চিন্তাও করতে পারতাম না। আরো ভাবেন, গরুর যদি চিন্তা করা সক্ষমতা থাকতো তাহলে তারাও চিন্তা করে বের করে ফেলতো যে এই জীবন জীবন না আরো জীবন আছে, এই জীবন নিয়ে যাবো ঐ জীবনের কাছে। একেবারে শেষ হয়ে যাবো , এই বাস্তবতাকে কন্ট্রাডিক করতেই আমরা এতো কিছু করি। আবার অন্য অর্থে শেষ বলে কিছু নাই। আমাদের মৃত্যুর পর আমরা অন্য ফর্মে এই মহাবিশ্বে বিরাজ করবো। তবে সেটা নিশ্চয় মানুষ হিসাবে না।

১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কোন দেশে জন্ম নিবেন তার উপর আপনার নিয়ন্ত্রন নাই। কিন্তু কোথায় বসবাস করবেন তার উপর আছে। চেষ্টা করেন।

আমেরিকা, লন্ডন অথবা অসয়েলিয়া যাওয়ার চেষ্টায় আছি।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: চেষ্টা করেন ভাই। আর পড়েন দ্যা আলক্যামিস্ট। চেষ্টা ফুয়েল পাবে।

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নাসির ইয়ামান বলেছেন: @‍চাঁদগাজী
তিনি বলেছেন,"আমেরিকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে যে সম্প......."
সত্য কথা,প্রত্যেক জনপদে আল্লাহ যে পরিমাণ সম্পদ রেখেছেন তা দিয়ে ঐ জনপদের লোকদের জীবিকা নির্বাহ সহজ ও তা খেয়ে পরে সুখে বেঁচে থাকতে পারবে। কিন্তু দুষ্ট রাজনীতিবিদগণ এর সরল প্রবাহধারাকে ভিন্ন দিকে বয়ে নিয়ে যায়! যেমন বৃটিশকর্তৃক উপমহাদেশের সম্পদরাজী লুটপাট,এমন আরো যত দুষ্টচক্র আছে।
এক্ষণে বলতে হচ্ছে,এইযে সমাজে দেশে দেশে চরম দরিদ্রতা বিরাজ করছে,এটা আসলে অর্থাভাব বা রিজিকের সংকোচনের কারণে নয়।বরং এটা শোষণমূলক রাজনীতি ও সমাজনীতির যথেচ্ছা ব্যবহারে কৃত্তিমভাবে সৃষ্ট সংকট।(এখানে রাজীব ভাইয়ের দৃষ্টি আক্ষণ করছি)
আল্লাহ বলেন,"ওরা (বিশ্বব্যাংক,জাতিসংঘ,আইআইএমএফ) কি আপনার রবের রহমত বণ্টণ করে,আমিই তাদের মাঝে জীবিকা নির্বাহ/বণ্টণ করে থাকি"

১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৭

নাসির ইয়ামান বলেছেন: @পোস্টদাতা,জুনায়েদ বি রহমান,আনমোনা,

হাদিসের ভাষ্য,"প্রত্যেক আদম-সন্তান মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করে,অতঃপর তার মা-বাবা তাকে হয়তো ইহুদী(জুঈশ)বানায় কিংবা নাসারা (খৃষ্টান)বানায় বা অগ্নিপূজারী বানায়। যদি লজিকে বিচার করেন,তাহলে দেখতে হবে কোন ধর্ম সর্বাপেক্ষা ন্যায়,সুষম বণ্টণ,পরমতসহিঞ্চুতা এবং সেধর্ম মানলে পুরষ্কার ইত্যাদি বিষয়ে অধিক সত্য ও শান্তির কথা বলে সেটা মানতে।
একটা স্বীকার করতে হবে, শুদ্ধ ও অশুদ্ধির বিচারের ক্ষমতা উপরওয়ালা মানুষকে দিয়েছেন!

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: হাদিসে আছে , সেই ব্যাক্তি সব থেকে উত্তম যে নিজের সমালোচনা নিজে করে। এখানে নিজের সমালোচনা কিন্তু শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত সমালোচনা না। নিজের ধর্ম, নিজের পরিবার , নিজের সন্তান ও অনান্য। সুতরাং ধর্ম যেহেতু আমাদের নিজের , তার সমালোচনা করাই যায়। কি বলেন ? যেহেতু অনুমতি আছে। এইটা একটা খোড়া যুক্তি।
একটা ভাল যুক্তি দিই।
ভালো যুক্তি নং ১ঃ যদি মুসলিম হয়েই জন্মগ্রহন করে তাহলে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করতে বাধা কোথায়?
ভালো যুক্তি নং ২ঃ যে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করলো জন্ম থেকেই মুসলিম হিসাবে এডভান্টেজ পাচ্ছে। আর যে করলো না
সে কিন্তু পাচ্ছে না। এই যে বৈষম্য এইটা কার সৃষ্টি ! যে জন্মগ্রহন করলো তার না যে তাকে সৃষ্টি করলো তার ?
ভালো যুক্তি নং ৩ঃ একটা ছাত্র নিয়ে ক্লাস চালু হলে। সেই ছাত্র ই সবসময় প্রথম হবে। মানে বলতে চাচ্ছি বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ পড়েন।
দেখবেন থোড়া বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়া। ইসলাম লেটেস্ট ধর্ম বলে কম্পারেটিভলি আধুনিক।
সর্বাপেক্ষা ন্যায় ,সুষম বন্টন পরমতসহিঞ্চুতা কথা বলতে গেলে বিশাল কাহিনি লিখতে হবে । কিন্তু ঘরে নাই
কেরোশিন । লিখতে ইচ্ছে করছে না।
ভাই না ভালো । অন্ধের মতো বিশ্বাস না করে একটু ভাবুন।

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৬

সুপারডুপার বলেছেন: @নাসির ইয়ামান ,

৬১০ খ্রিস্টাব্দের আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছিল, তারাও কি মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল ?

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩১

নাসির ইয়ামান বলেছেন: @সুপারডুপার,
সৃষ্টির শুরুলগ্ন থেকে যারাই এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিল,সবাই মুক্তিপ্রাপ্ত দল!

এই মুক্তিপ্রাপ্ত দল বা মিল্লাত বা জাতি একই! তবে এই মিল্লাতের নাম "মুসলিম"করণ করেছেন ইব্রাহিম(আব্রাহাম){আঃ}। এজন্য তাকে মুসলিম জাতির পিতা বলা হয়!
হ্যাঁ,নবী ইব্রাহিমের সময় থেকে জাতি হিসেবে 'মুসলিম'এসেছে।
যা কোরানে বর্ণিত আছে।
আর ইহুদী নাম হয়েছে,খাঁটি ধর্ম থেকে বের হওয়ার কারণে,খৃষ্টানরা নিজেদেরকে ঈসা (যীশু)সাহায্যকারী মনে করে বিধায় তারা নাসারা,(অথচ এই খৃষ্টানরাই নবী ঈসা {আ.} মারতে উদ্যত হয়েছিলো! )

১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৫

সুপারডুপার বলেছেন: @নাসির ইয়ামান,

তাহলে তো মুহাম্মাদ (সাঃ) কে হেরা পর্বতের গুহায়ও যাওয়ার দরকার ছিল না।

মুহাম্মাদ (সাঃ) নবুওয়াত প্রাপ্তির আগে মানুষকে ইসলাম ধর্ম এর দিকে দাওয়াত দিলেন না কেন ?

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

নাসির ইয়ামান বলেছেন: তাঁর নবুওয়াতপ্রাপ্তির আগপর্যন্ত ঈসায়ী বা খৃষ্টধর্ম সত্য হিসেবে বহাল ছিল।কোরান নাযিলের পর তা রহিত হয়ে গিয়েছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.